কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কেননা আজকের এই পোস্টে আমরা
একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এছাড়াও আজকের পোস্টে একুরিয়াম মাছ চাষ পদ্ধতি, মাছের নাম ও দাম সম্পর্কেও
বিস্তারিত আলোচনা করবো।
পেজ সূচিপত্রঃ
একুরিয়ামের পানি ঘোলা হয় কেনো
একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে
একুরিয়ামের পানি কেনো ঘোলা হয়। যারা একুরিয়ামের মধ্যে মাছ পোষেন তাদের জন্য
সবথেকে অসুবিধা হলো একুরিয়ামের পানি ঘোলা হওয়া।
যখন একুরিয়ামের পানি ঘোলা হয়ে যায় তখন সেই একুরিয়ামটি দেখতেও খারাপ লাগে। আবার
অনেকসময় মাছ ও মারা যায়। তাই চলুন সবার প্রথমে দেখে নেওয়া যাক কেনো একুরিয়ামের
পানি ঘোলা হয়ে যায়।
ফিল্টার ঠিকঠাক কাজ না করাঃ যদি আপনার একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার করার
ফিল্টার ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে আপনার একুরিয়ামের পানি ঘোলা হবে, আর এটা
স্বাভাবিক। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি একটি ফিল্টার স্থাপনের পরে সেটি কাজ করতে
কমপক্ষে ৪০-৪৫ দিন সময় লাগে।
তবে এই সময়ের মধ্যে কোনভাবে ফিল্টার বাহিরে বের করা যা ধোয়া যাবে না। তাহলেই এটি
ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে থাকবে।
মাছের সংখ্যাঃ একুরিয়ামের পানি ঘোলা হওয়ার পেছনে মাছের সংখ্যাও ডিপেন্ড
করে। কেননা যদি আপনার একুরিয়ামটি ছোট হয়, আর যদি সেখানে মাছের পরিমাণ অনেক বেশি
হয় তাহলে পানি খুব সহজেই ঘোলা হয়ে যাবে।
খাবারের পরিমাণঃ যদি আপনি মাছের চাহিদার তুলনায় খাবার বেশি দিয়ে থাকেন
তাহলেও একুরিয়ামের পানি ঘোলা হবে। কারণ মাছের অবশিষ্ট খাবার নষ্ট হয়ে সেখানে
ময়লা হবে। যার জন্য সেটি গলে গিয়ে পানি ঘোলা হয়ে যাবে।
অক্সিজেনের মাত্রাঃ যদি পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কম হয়ে যায় তাহলেও পানি
ঘোলা হবে।
ব্যাকটেরিয়াঃ একুরিয়ামের জন্য অনেকগুলি উপকারি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।
যদি সেগুলি কোন কারণে মারা যায় তাহলেও পানি খুব দ্রুত ঘোলা হয়ে যাবে।
ফিল্টারঃ যদি দীর্ঘদিন যাবৎ একুরিয়ামের ফিল্টার পরিষ্কার না করেন তাহলেও
পানি খুব দ্রুত ঘোলা হয়ে যাবে।
একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায়
এতক্ষণ আমরা জানলাম একুরিয়ামের পানি কেনো ঘোলা হয়। আশা করছি আপনি সকল বিষয় অনেক
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেই যদি আপনি একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার
রাখতে চান তাহলে কোন কোন বিষয় অবল্বন করবেন।
ফিল্টার পরিষ্কারঃ প্রথমের একুরিয়ামের মধ্যে পরিষ্কার পানির মধ্যে
ফিল্টার দিতে হবে। আর ফিল্টার একবার পানিতে দেওয়ার পরে সেটি আর পরবর্তি ৪৫ দিনের
মধ্যে পরিষ্কার করা যাবে না।
তবে আপনি যদি ফিল্টার পরিষ্কার করতে চান তাহলে সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি বাহিরের
পানি ব্যাবহার না করে একুরিয়ামের পানিই ব্যাবহার করেন।
পাওয়ার ফিল্টারঃ যদি আপনার একুরিয়ামে মাছ অনেকটাই বড় হয়ে থাকে তাহলে
সেক্ষেত্রে পাওয়ার ফিল্টার অথবা একটি টপ ফিল্টার ব্যাবহার করাই উচিত হবে। এছাড়াও
একুরিয়ামের ফিল্টার চেষ্টা করবেন যেনো ২৪ ঘন্টাই চালু থাকে।
কেননা এটি পানিতে অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। এছাড়াও পানি
পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
পানি বদলঃ যখন আপনি একুরিয়ামের পানি বদল করবেন তার পূর্বে অবশ্যই মনে
রাখবেন ফিল্টার পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। প্রথমে ফিল্টার পরিষ্কার করে নিতে হবে,
এরপরে ফিল্টার বসানো হলে তারপরে পানি দিতে হবে।
মাছের পরিমাণঃ যদি আপনার একুরিয়াম বেশ বড় হয়ে থাকে, আর তাতে যদি অনেক
বেশি পরিমাণে মাছ থাকে তাহলে ভালোমানের ফিল্টার ব্যাবহার করাই উচিত হবে। এছাড়াও
পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থাও গ্রহণ করতে হবে।
মাছের খাবারঃ একুরিয়ামে মাছকে খাবার দেওয়ার সময় এমনভাবে খাবার দিতে হবে
যেনো সেই খাবার ২-৫ মিনিটের মধ্যেই খেয়ে শেষ করে ফেলতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াঃ একুরিয়ামের মধ্যে বেশকিছু উপকারি ব্যাকটেরিয়া থাকে। যেগুলো
পানি পরিষ্কার রাখতে সহযোগিতা করে। আর তাই এই সকল উপকারি ব্যাকটেরিয়াগুলিকে
বাঁচিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যাবস্থা করতে হবে।
তলানি পরিষ্কারঃ একুরিয়ামের তলানিতে ময়লা জমে। আর এই জমে থাকা ময়লাই পানি
অপরিষ্কার করে ফেলে। আর তাই প্রতি ১৫ দিন পরপর সাইফন পাইপ ব্যাবহার করে
একুরিয়ামের তলানি পরিষ্কার করতে হবে।
পানি বদলঃ যখন একুরিয়ামের পানি বদল করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কনভাবেই
২৪ ঘন্টার বার ৪৮ ঘন্টার বাসি পানি যেনো ব্যাবহার করা না হয়। এছাড়াও পানি বদলের
সময় মেথিলিন ব্লু অথবা আক্রিফ্লেভিন পরিমাণ মতো ব্যাবহার করবেন।
একুরিয়াম মাছ চাষ পদ্ধতি
একুরিয়াম মাছ চাষ করা একটা সৌখিন কাজ। তবে শখের বসে অনেকেই এই কাজটি করতে গিয়েও
অনেক সময় সমস্যার সম্মুক্ষিন হন। আর তাই আজকে আমরা জানবো কিয়াভবে একুরিয়ামে মাছ
চাষ করতে হয়।
একুরিয়াম মাছ চাষ করার জন্য আমাদেরকে বেশ কইয়েকটি বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে। আর
সেগুলি হলোঃ
- একুরিয়াম তৈরি
- কাঁচের একুরিয়াম
- নুড়ি পাথর
- একুরিয়ামের জন্য পানি
- একুরিয়ামের জন্য জলজ উদ্ভিদ
- মাছ নির্বাচন
- মাছের খাবার ও ব্যাবস্থাপনা
একুরিয়াম তৈরিঃ একুরিয়ামে মাছ চাষ করার জন্য সবার প্রথমেই যেই কাজটি করতে
হবে, আর সেটি হলো একটি সঠিক মাপের একুরিয়াম তৈরি করা। আর এই বিষয়ে আমাদেরকে বেশ
যত্নবান হতে হবে। যদি বাড়িতে স্থাপন করেন তাহলে সেক্ষেত্রে এর আকার হবে ১৮ ইঞ্চি
থেকে ৬০ ইঞ্চি পর্যন্ত।
যদি আপনি মাছ পালনে একেবারেই নতুন হন তাহলে ১২, ১২, ২৪ অথবা ১৫, ১৫, ৩০ ইঞ্চি
আয়তনের একটি একুরিয়াম তৈরি করে মাছ পালনের যাত্রা শুরু করতে পারেন।
কাঁচের একুরিয়ামঃ একুরিয়াম তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই কাঁচের একুরিয়াম তৈরি
করবেন। কেননা আপনি বাড়িতে মাছ পালন করবেন। আর এটিতে মাছ দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে।
আর এক্ষেত্রে কাঁচকে জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে আঠা বা গাম ব্যাবহার করে হয়।
একুরিয়ামের আকার ভেদে কাঁচের পুরুত্ব ও আলাদা হয়ে থাকে। আর এটিকে ময়লা বা অন্য
কিছু থেকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য কাঠ বা অন্য কোন ধরণের ঢাকনা ব্যাবহার করা হয়ে
থাকে। তবে আলোর সংযোগ দেওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো হয়।
নুড়ি পাথরঃ একুরিয়ামের ব্যাবস্থাপনার জন্য নুড়ি পাথর ব্যাবস্থাপনা করা
অনেক জরুরি একটি কাজ। কেননা এই নুড়ি পাথর একুরিয়ামের জলজ উদ্ভিদকে আবদ্ধ রাখে।
এছাড়া মাছ এই পাথরের ভেতরে লুকায় এবং খেলা করে।
একুরিয়ামের জন্য পানিঃ মাছ পালন করার জন্য প্রধান এবং প্রথম উপাদানই হলো
পানি। এক্ষেত্রে একুরিয়ামে পুকুর, ডোবা অথবা ওয়াসার পানিও ব্যাবহার করা যায়। তবে
পানিকে রোগ-জীবাণু মুক্ত করার জন্য সূক্ষ্মছিদ্রযুক্ত কাপড় ব্যাবহার করে ছেঁকে
নিয়ে তারপরে একুরিয়ামের মধ্যে দিতে হবে।
একুরিয়ামের জন্য জলজ উদ্ভিদঃ অনেকে একুরিয়ামকে জলজ বাগান বলে অ্যাখ্যা
দিয়ে থাকেন। কেননা এখানে মাছের জীবন যাত্রাকে স্বাভাবিক করার জন্য বিভিন্ন ধরণের
জলজ উদ্ভিদ রাখা হয়ে থাকে।
যেটা মাছের সহজ জীবন যাত্রার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে
আমাদের দেশেই পাওয়া যায় এমন কিছু একুরিয়ামের জন্য ব্যাবহৃত জলজ উদ্ভিদের নাম
নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- ঘেচু
- কুটিপানা
- ঝাউ ঝাঁঝি
- পাতা ঝাঁঝি
- উল্কিপানা
- ক্ষুদিপানা
- টোপাপানা
- ইন্ডিয়ান ফার্ন
- পাতা শেলা
- জাভা মস
মাছ নির্বাচনঃ একুরিয়ামে মাছ পালন করার জন্য অবশ্যই এমন মাছ নির্বাচন করতে
হবে যেই মাছ একদম সুস্থ এবং সবল। আর এমন মাছ চেনার প্রথম উপায় হলো এরা পানিতে
যেকোন স্থানে স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করে। এমনই কিছু একুরিয়ামের জন্য মাছের নাম
নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- বেটা ফিশ
- নোজ টেট্রা
- অস্কার ফিশ
- ফ্লেম টেট্রা
- গাপ্পি
- জেব্রা ড্যানিও
- গোললাইট টেট্রা
- ডিসকাস
- সার্পে টেট্রা
- প্লেকোস্টোমাস
- নিওন টেট্রা
- কঙ্গো টেট্রা
- অ্যাঞ্জেল ফিশ
- টাইগার শার্ক
- মলি
- ফ্লাওয়ারহর্ন ফিশ
আপনি চাইলে উপরের উল্লিখিত মাছগুলো একুরিয়ামে পালন করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে
রাখবেন আপনার একুরিয়ামের আকার অনুযায়ি মাছের সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। অন্যথায় পানি
দ্রুতই ঘোলা হয়ে যাবে।
মাছের খাবার ও ব্যাবস্থাপনাঃ একুরিয়ামের মাছ পালনের ক্ষেত্রে সবথেকে
সবথেকে মাছের খাবারের দিকটায় বেশি মনোযোগ দিতে হয়। মাছের খাবারের ক্ষেত্রে সবথেকে
ভালো হয় যদি আধুনিক প্রক্রিয়াজাত খাবার দেওয়া হয়।
এছাড়াও শুকনো খাবারের পাশাপাশি একুরিয়ামে জীবন্ত খাবার ও দেওয়া যেতে পারে। জীবন্ত
খাবার আবার দুই ধরণের হয়ে থাকে। জলজ ও স্থলজ। এছাড়াও একুরিয়ামে যদি সাদু পানির
মাছ পালন করা হয় তাহলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেনো পানির তাপমাত্রা কোনভাবেই ২৫
ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়।
এছাড়াও মাছের প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে একুরিয়ামে যেনো পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ
করতে পারে সেদিকটাতেও খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে মাছ সুস্থ সবল থাকবে।
একুরিয়ামে কি কি মাছ একসাথে রাখা যায়
একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় এবং একুরিয়াম মাছ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে
আমরা এতোক্ষণ বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানবো একুরিয়ামে কি কি মাছ
একসাথে রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যদি আপনি একুরিয়ামের মধ্যে গোল্ড ফিস বা কৈ কার্প মাছ চাষ করতে চান তাহলে তার
সাথে যেগুলো মাছ রাখতে পারবেন, সেই সকল মাছের নাম নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- টাইগার সার্ক
- সাকার ফিশ
- গোঁড়ামি
- এঙ্গেল ফিশ
যদি আপনি একুরিয়ামে চিংড়ি মাছ পালন করতে চান তাহলে তার সাথে নিওন পেট্রা এবং
গাপ্পি রাখতে পারেন। এছাড়াও বার্ব বা গোরামি জাতের মাছ ও রাখতে পারেন।
একুরিয়ামের মাছের খাবার কি কি
একুরিয়ামে মাছ পালনের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি যেই দিকটির দিকে লক্ষ্য রাখতে হয় আর
সেটি হলো মাছের খাবার। এর মধ্যে আবার দুই ধরণের খাবার রয়েছে। শুকনো খাবার ও
জীবন্ত খাবার। চলুন তাহলে এখন আমরা এই সকল খাবারে নামগুলো জেনে নেই।
একুরিয়ামে মাছের শুকনো খাবার হিসেবে যেই সকল খাবারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলো নিম্নে
তুলে হলো।
- ফ্রীজড ড্রাই ফুড
- ফ্লেক ফুড
- প্যালেট ফুড
ফ্রীজড ড্রাই ফুডঃ এই ধরণের খাবারগুলী মাছেরা অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে।
এই জাতের খাবারগুলি জান্ত খাবার থেকেই বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুকনো খাবারের
রুপ দেওয়া হয়। যেমন কেঁচো, ডাফনিয়া, মশার লার্ভা, আর্টিমিয়া, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি।
ফ্লেক ফুডঃ এই ফুডগুলো মাছ খেতে অনেকটাই স্বাচ্ছনন্দ বোধ করে। এই জাতের
খাবারগুলি দেখতে অনেকটা পাতলা পাপরের মতো হয়ে থাকে।
প্যালেট ফুডঃ এই ধরণের খাবারগুলি গোল ধরণের হয়ে থাকে। তবে বাজারে এই জাতের
খাবার আবার বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায়। খুবই মিহি দানা থেকে শুরু অনেক বড় সাইজের
এবং শক্ত সাইজের ও পাওয়া যায়।
এছাড়াও একুরিয়ামে মাছের জ্যান্ত খাবার হিসেবে আরো বেশকিছু ধরণের খাবার দেওয়া হয়ে
থাকে। সেই সকল খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে
- কেঁচো
- ব্ল্যাক ওয়ার্ম
- মশার লার্ভা
- আর্টিমিয়া
- জ্যান্ত মাছ
- ডাফনিয়া
- চিংড়ি মাছ
- মাকড়সা
এছাড়াও একুরিয়ামের মাছকে আপনি যেকোন কিছু খাওয়াতে পারেন। তার মধ্যে আবার রয়েছে
- মিল্ক ওয়ার্ম
- আরশোলা
- শশা বা তরমুজের টুকরো
- পিঁপড়ের ডিম
- মশা
- আলু সিদ্ধ
- ফড়িং
- ঝিঁঝিঁ পোকা
- জ্যান্ত গাছ
- ডিমের কুসুম
- বিভিন্ন ধরণের শাকের পাতা
- কাঁচা মাংস বা সিদ্ধ মাংস
উপরের উল্লিখিত এই সকল খাবারগুলোই আপনি একুরিয়ামের মাছকে খাওয়াতে পারেন। তাতে করে
শুকনো খাবারের পাশাপাশি তারা প্রাকৃতিক খাবার ও গ্রহণ করবে। আর এতে করে তাদের
স্বাস্থ্য ও অনেক ভালো থাকবে।
একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ গাপ্পি মাছের দাম কত?
উত্তরঃ গাপ্পি মাছের প্রকারভেদে দামের পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে বাজারে এখন
যেই অ্যালবিনো গাপ্পি মাছ পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম প্রতি জোড়া ৬০০ টাকা থেকে ৮০০
টাকা।
প্রশ্নঃ অ্যাকুরিয়ামে মাছকে কতবার খাবার দিতে হয়?
উত্তরঃ অ্যাকুরিয়ামে মাছকে দিনে একবার অথবা দুইবার খাবার দিলেই হয়। তবে
সাপ্তাহে একদিন করে মাছকে না খাইয়ে রেখে মাছের পেট পরিষ্কার করে নিতে হবে।
প্রশ্নঃ গাপ্পি মাছ কি খায়?
উত্তরঃ গাপ্পি মাছ সাধারণত শৈবাল এবং বিভিন্ন পোকামাকড়ের লার্ভা খেতে
ভালোবাসে।
প্রশ্নঃ একুরিয়ামের সবচেয়ে রঙিন মাছ কোনটি?
উত্তরঃ বর্তমান সময়ে একুরিয়ামের সবচেয়ে রঙিন মাছ হলো নিওন টেট্রা। এর
গায়ের রং উজ্জ্বল লাল এবং বৈদ্যুতিক নীল রঙের।
প্রশ্নঃ অ্যাকুরিয়ামের ভাগ্যবান মাছ কোনটি?
উত্তরঃ একুরিয়ামের সকল মাছের মধ্যে অরোওয়ানাকে সবথেকে সৌভাগ্যবান মাছ
হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ মাছের একুরিয়াম কোন দিকে রাখা উচিত
উত্তরঃ মাছের একুরিয়াম উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকগুলিতে রাখা
উচিত। কেননা এই সাইডগুলিতে অনেক বেশি আলো এবং বাতাস প্রবাহ পায়।
শেষ কথা
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় এবং
একুরিয়াম মাছ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আরো অনেক বিষয় আপনাদের
সাথে শেয়ার করেছি। আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
এছাড়াও একুরিয়ামে কোন জাতের মাছ কিভাবে চাষ করবেন সেই সম্পর্কে জেনেও উপকৃত
হয়েছেন। যদি তথ্যগুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করবেন। এমনই আরো আর্টিকেল প্রতিদিন পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment