ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহপ্রিয় পাঠক, আপনি কি নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলো জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলো সব তুলে ধরবো। তাই এই সম্পর্কে জানার জন্য শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলো
আজকের আর্টিকেলটি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়লে নামাজ কেন কবুল হয় না নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আজকের আর্টিকেলটি পড়লে দোয়া কবুল হওয়ার আলামত দোয়া কবুলের জন্য ইস্তেগফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ  নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণ

নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া

নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলো জানার পূর্বে আমরা জানবো নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে। আমরা মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আমাদের জন্য ফরজ। যেটা অবশ্যই পালন করতে হবে অন্যথায় সে ব্যক্তি গুনাগার হবে। আমরা যে নামাজ আদায় করি তার সঠিক নিয়ম কানুন না জেনে নামাজ আদায় করলে সে নামাজ সুন্দর হবে না এবং আল্লাহ তাআলার কাছে সেই নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না।

তাই নামাজ সুন্দর ছাগলের ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আমাদেরকে নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানা উচিত। তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে। দুই,তিন ও চার রাকাত নামাজের নিয়মঃ নামাজ পড়ার জন্য আগে অবশ্যই পাক-পবিত্র জায়গা নির্বাচন করে নিতে হবে। তারপর সেই স্থানে জায়নামাজ বিছিয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার পূর্বে এই দোয়া পড়তে হবে ( ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন )।

জায়নামাজের দোয়া পড়লে জায়নামাজ পবিত্র হয়। তারপর নামাজের ধরণ অনুযায়ি নামাজের নিয়ত করতে হবে ( দুই, তিন, চার )। নামাজের জন্য মনে মনে প্রস্তুত হওয়ায় নামাজের নিয়ত। মুখে উচ্চারণ করার জরুরী নয়, তবে মুখে উচ্চারণ করা মুস্তাহাব। নিয়ত করে হাত বাধার পরে ছানা পড়তে হবে ("সুবহানাকা আল্লহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।" (তিরমিজি, আবু দাউদ মিশকাত))।

ছানা পাঠ শেষ করার পরে "আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম" পাঠ করার পরে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। সূরা ফাতিহার সাথে কোরআন শরীফ থেকে সর্বনিম্ন তিন আয়াত অথবা সুরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা পাঠ করতে হবে। সূরা ফাতিহা ও অন্য একটা পাঠ করার পরে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হয়। রুকুতে গিয়ে এই তসবি পাঠ করতে হয় "সুবহা-না রব্বিয়াল আ`যিম" তিনবার, পাঁচবার অথবা সাত বার।
অধিকাংশ ব্যাক্তি তিনবার পাঠ করে থাকেন। এরপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় "সামি আল্লা হুলিমান হামিদাহ" বলে দাঁড়াতে হয়। দাঁড়িয়ে এই তসবি পড়তে হয় "রাব্বানা লাকাল হামদ"।
এরপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হয়। সিজদায় গিয়ে এই তাসবীহ পড়তে হয় "সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা"। দুই সিজার মাঝখানে হালকা একটু বিরতি দিয়ে এই দোয়া পড়তে হয় "আল্লাহুম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী"। এইভাবে এক রাকাত নামাজ শেষ হয়।

দুই রাকাত নামাজ শেষে একটু বসতে হয়। বসে তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়তে হয়। আর নামাজ যদি দুই রাকাত হয় তাহলে দুই রাকাত নামাজের শেষে তাশাহুদ, দরু্‌ দোয়ায়ে মাসুরা পড়তে হয়। আর নামাজ যদি তিন রাকাত হয় অথবা চার রাকাত হয় তাহলে দুই রাকাত নামাজের মাঝখানে শুধু তাশাহুদ পড়ে আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। এবং করবেন না শুধু মাত্র সানা বাদ দিয়ে অন্য সকল দোয়া যেমন সূরা ফাতিহার সাথে অন্য আরেকটি দোয়া মিল করে পড়ে নামাজ আদায় করতে থাকবে।

দোয়া কবুল হওয়ার আলামত

নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলোই হলো মূলত দোয়া কবুল হওয়ার আলামত। একমাত্র নবী-রাসূলগণ ব্যতীত পৃথিবীর সকল জিন ইনসান পাপ যুক্ত। শুধুমাত্র নবী রাসুলগণ ছিলেন পাপমুক্ত। আমরা সকলেই পাপের অন্ধকারে ডুবে আছি। আরে পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা সৃষ্টিকর্তার নিকট পানাহ চেয়ে থাকি। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকম দোয়া করে। সকলের দোয়াই আল্লাহ তায়লার নিকট পৌছায়। এর মধ্যে কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছে তাদের দোয়া সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়।
নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণ
আবার কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের দোয়া কবুল হয় দেরিতে। আমরাও তো আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করে থাকি। কিন্তু বুঝতে পারি না যে আমাদের দোয়া কবেল হচ্ছে কিনা। আমরা বুঝবো কি করে আমরা যে আল্লাহ তায়লার নিকট দোয়া করছি সেই আমাদের দোয়া কবুল হচ্ছে কিনা। এই দোয়া কবুল হওয়ার বিষয় বুঝার জন্য আলেমগণ কিছু লক্ষণ বা আলামতের কথা উল্লেখ করেছেন। তাহলে চলুন সেই লক্ষণ বা আলামত সম্পর্কে এখন জেনে নেওয়া যাক।

দোয়া করার মুহুর্তে আকাশে মেঘ জমবেঃ অনেক আলেমগণ এই কথা বলেছেন যে, আপনি যখন আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করছেন সেই সময় যদি আকাশে মেঘ জমে তাহলে তখন বুঝে নিবেন আপনার দোয়া তৎক্ষনাত কবুল হয়েছে। এবং আপনি তার ফল কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন।

কান্না করাঃ অনেক আলেমগণের কাছে আমরা এমনটা শুনে থাকি যে দোয়া করার সময় কান্না করলে তার দোয়া কবুল হয়। আপন যখন দোয়া করছেন সেই সময় যদি আপনার অনেক কান্না আসে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন আপনার দোয়া কবেল হচ্ছে।
দোয়া করার সময় শরীরে ঠাণ্ডা অনুভব হওয়াঃ যখন দোয়া কবুল হবে তখন শরীরে ঠান্ডা অনুভূত হবে। আমরা যখন আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া প্রার্থনা করি তখন আল্লাহ তাআলা আমাদের দোয়া কবুল করে মনে প্রশান্তি দান করেন। তাই আপনি যখন দোয়া করবেন তখন যদি আপনার শরীরে ঠান্ডা অনুভূত হয় তাহলে বুঝে নেবেন আপনার দোয়া কবুল হয়েছে।

শরীর শির শির করে উঠবেঃ কোন মানুষ যদি আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করার সময় কান্না করে ফেলেন তখন আল্লাহ তাআলার রহমতে তিনি ফেরেশতাদের পাঠিয়ে দেন। তখন ফেরেশতারা আমাদের পুরো শরীরে হাত বুলাতে থাকে। তখন আমাদের গা শিরশির করে ওঠে। দোয়া করার সময় যদি আপনার গা শিরশির করে ওঠে তাহলে বুঝবেন এটা আপনার দোয়া কবুল হওয়ার আলামত।

যে তিন সময় দোয়া কবুল হয়

নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে আমরা তো সকলেই জানলাম। এখন আমরা জানবো যে তিন সময় দোয়া কবুল হয় সেই তিন সময় সম্পর্কে। দোয়া ইসলামের একটি অন্যতম ইবাদত। আমরা সকলেই আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করতে পারব। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালার ওলি আওলিয়া হওয়াটা জরুরি নয়। সকল পাপি বান্দার দোয়া ও আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তিনি যে মহান এটাও তারই একটি প্রমাণ বহন করে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোন দুর্যোগ প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেই হে আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়ায় মগ্ন হয়ে যেতেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তিন সময়ে আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করতেও নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এবং তিনি বলেছেন প্রথম দুই সময় দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না সব সময় কবুল করে নেওয়া হয়। আর তিনি তার উম্মতদের তিন সময়ে দোয়া করার কথা বলে গেছেন। এই তিন সময়ে সৃষ্টি কর্তা আমাদের দোয়া কবুল করে থাকেন। তাহলে চলুন জেনে নেই যে তিন সময় দোয়া কবুল হবে সে সম্পর্কে।

আজান বা নামাজের ইকামতার সময়ের দোয়াঃ আজান বা ইকামতের সময়ে দোয়া কবুল হয়। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (তিরমিজি, হাদিস : ২১২)
ফরজ নামাজ শেষ করার পরে দোয়া করলেঃ ফরজ নামাজ শেষ করার পরে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। আর দোয়া করার সময় কান্না করে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই দোয়া কবুল্ল করবেন
এছাড়াও আরো কিছু সময় রয়েছে যে সময় দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। সে সময়গুলো উল্লেখ করেই রাসুল (সা) বলে গেছেন।

সেই সময়গুলো হলো রাতের শেষ সময়ে দোয়া করলে, রোগাক্রান্ত অবস্থায় দোয়া করলে, দূরবর্তী সফরের সময় দোয়া করলে, বালা মসিবতের সময় দোয়া করলে, যখন একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ লিপ্ত থাকে সে সময় দোয়া করলে, বৃষ্টির সময়ের দোয়া করলে, এছাড়াও বাব-মা এর দোয়া সবসময় কবুল হয় বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার উপায়

নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলো আপনি ঠিক তখনই বুঝতে পারবেন যখন আপনি দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানবে। দোয়া কবুল হওয়ার উপায়। দোয়া কবুল হওয়ার উপায় বলতে নির্দিষ্ট সময় রয়েছে সেই সময়ে দোয়া করলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হবে। আপনি যদি সে নির্দিষ্ট সময় মেনে দোয়া করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার দোয়া দ্রুত কবুল হবে। তাহলে চলুন বন্ধুত্ব দোয়া কবুল হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার কিছু উপায় হলোঃ
  • আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দোয়া করা
  • মসজিদে বসে দোয়া করলে দোয়া দ্রুত কবুল হয়
  • আল্লাহর তায়লার কিছু গুণগত নাম রয়েছে, সেই নামগুলোর উসিলা দিয়ে দোয়া করলে দোয়া দ্রুত কবুল হয়।
  • সিজদারত অবস্থায় আল্লাহর তায়লার নিকট দোয়া করলে দোয়া দ্রুত কবুল হয়
  • বৃষ্টি চলাকালীন অবস্থায় দোয়া করলে আল্লাহর তায়লা দোয়া কবুল করেন
  • নেক আমলের জন্য দোয়া করা
  • পাক পবিত্র অ উত্তম অবস্থায় থাকা অবস্থায় দোয়া করা। তাহলে আল্লাহর তায়লার নিকট দোয়া করলে দোয়া দ্রুত কবুল হয়।

দোয়া কবুলের ইস্তেগফার

নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণ। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হলো বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করা। আল্লাহর তায়লা সকলের দোয়াই কবুল করেন। সে ব্যাক্তি যত গুনাগারই হক না কেন। যদি সে নেক আমলের জন্য দোয়া করেন তাহলে অবশ্যই তার দোয়া কবুল হবে। আল্লাহর তায়লার কাছে কোন দোয়া করার পূর্বে অবশ্যই বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।

দোয়া কবুলের জন্য অনেক ইস্তেগফার রয়েছে। তার মধ্যে থেকে কিছু নিচে তুলে ধরা হল।

দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যানের জন্য দোয়া পাঠ করতে হবেঃ "রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাতাও ওয়া কিনা আজাবান্নার"
এর অর্থ হলোঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে আগুনের-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর। (সুরা বাকারা- আয়াত ২০১)

হিদায়াত পাওয়ার পর অন্তরের বক্রতা হতে মুক্তি চাওয়ার জন্য দোয়াঃ রব্বানা-লা-তুযিগ্ কুলূবানা- বা’দা ইয্ হাদাইতানা-ওয়া হাবলানা-মিল্ লাদুন্কা রহমাহ , ইন্নাকা আন্তাল্ ওয়াহ্হা-ব।
অর্থঃ হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। (সুরা আল ইমরানঃ আয়াত ৮)
খুব ছোট্ট কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা দুআঃ "আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল- ‘আ-ফিয়াহ"

নামাজ ভঙ্গের কারণ দলিল সহ

নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলোর পাশাপাশি আমাদেরকে অবশ্যই নামাজ ভঙ্গের কারণ দলিল সহ জানা প্রয়োজন। নামাজ ইসলাম ধর্মের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দ্বিতীয় স্তম্ভ। নামাজ হলো জান্নাতের চাবিকাঠি। তাই নামাজ আদায়ের সময় আমাদের সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ গুরুত্ব সহকারে নামাজ আদায় না করলে নামাজ ভেঙে যাবে।

যার কারণে নামাজ ভেঙে যাবে। আর নামাজ ভেঙে গেলে নামাজ আদায় হবে না। তাই আমাদের সকলের নামাজ ভঙ্গের কারণগুলো জেনে থাকা উচিত। এখন আমরা নামাজ ভঙ্গের কারণগুলো জানবো। যেন আমরা নামাজ আদায় করার সময় আরো সচেতন হতে পারি। তাহলে চলুন এখন নামাজ ভঙ্গের কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক।
নামাজ ভঙ্গের কারণ হলো ১৯ টি। কারণগুলো হলোঃ
  • নামাজের মধ্যে কুরআন তেলয়াত অশুদ্ধ পড়া ( ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৮০ )
  • নামাযের ভিতর কথা বললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (আল বাহরুর রায়েক : ২/২)
  • কোন লোককে সালাম দিলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (আল বাহরুর রায়েক ২/১২০)
  • অন্য কারো সালামের উত্তর দিলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (আল বাহরুর রায়েক ২/৪)
  • নামাজের মধ্যে অনাকাঙ্খিত শব্দ করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (
  • কোন কারণ ছাড়া কাশি দিলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে ( মারাকিল ফালাহ ১/১২১)
  • আমলের কাছীর করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (বায়েউস সানায়ে ১/২৪১)
  • কোন সুসংবাদ শুনে আলহামদুলিল্লাহ বলা বা খারাপ সংবাদে ইন্নানিল্লাহ পরা ( নূরুল ইজাহ, পৃ. ৬৮)
  • তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় সতর খুলিয়া থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (ফাতওয়ায়ে শামী ১/২৭৩, হাশিয়াতুত তাহতাবি ১/৩৩৭)
  • মুক্তাদি ব্যতীত অপর ব্যক্তির লুকমা নেওয়া (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬২২)
  • নামাযে থাকা অবস্থায় কুরআন শরীফ দেখিয়া পড়া (মারাকিল ফালাহ ১/১২৪, হাশিয়াতুত তাহতাবি ১/৩৩৬)
  • নামাযে থাকা অবস্থায় হাসা-হাসি করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (কানযুদ্দাকায়েক ১/১৪০)
  • দুনিয়াবি কোন কথা মাথায় ঘুরপাক খাওয়া অথবা দুনিয়াবি কথা ভাবা ( ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৯)
  • কারো হাচির উত্তর দেওয়া (ফাতাওয়ায়ে শামী ২/১১৭)
  • নামাযে খাওয়া ও পান করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে (মারাকিল ফালাহ ১/১২১, নূরুল ঈজাহ ১/৬৮)
  • ইমাম সাহেবের ইকামতের আগে নামাজের রুকু বা সিজদা দেওয়া (বাদায়েউস সানায়ে ১/১৫৯)
  • কিবলামুখি হইতে ঘুরিয়া গেলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে

শেষ কথা

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণগুলো সব তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্রঃ দেশের সংবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post