নামাজ কবুল হওয়ার লক্ষণপ্রিয় পাঠক, আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি সেগুলো সম্পর্কে। কেননা অনেকেই আছি যারা এই সম্পর্কে তেমন একটা জানি না। তাই চলুন আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেকটাই হেল্পফুল হতে চলেছে। তাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।
নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি
আমরা মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রাপ্ত সকলের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়লার অপর আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যে সৃষ্টিকর্তা অনেক খুশি হন আমাদের ওপর এবং খুশি হয়ে তিনি অনেক নেয়ামত দান করেন আমাদের ওপর। আপনি যদ নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পরতে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি জেনে নিন

ভূমিকা। নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি?

আজকের আর্টিকেলটি আপনি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পরলে নামাজ কত প্রকার কি কি নামাজের ওয়াজিব কয়টি নামাজের সুন্নত কয়টি জানাজার নামাজের ওয়াজিব কয়টি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করা জেনে নেওয়া যাক নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি।

নামাজ কত প্রকার কি কি?

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলের জন্য ফরজ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে সৃষ্টি কর্তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। এই নামাজ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আদায় করতে হয়। যা কুরআন ও হাদিসের সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আপনি কি জানেন নামাজ কত প্রকার ও কি কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন।

প্রকৃতপক্ষে নামাজের কোন প্রকারভেদ হয় না। নামাজ তো নামাজই এর আবার প্রকারভেদ হবে কি। তবে নামাজের গুরুত্ব বিবেচনায় নামাজকে প্রধানত শরীয়তের বিচারে চার বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। চলুন সেই শরীয়তে চার বিভাগে বিভক্ত নামাজগুলোকে জেনে নেওয়া যাক।

ফরজ নামাজ

ফরজ নামাজ অবশ্যই আদায় করতে হবে। অন্যথায় যে ব্যক্তি ফরজ নামাজ আদায় করবে না সে ব্যক্তি গুনাহ গার হবে। এই নামাজের গুরুত্ব অনেক যা কুরআন বা হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। ফরজ নামাজ দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলঃ ফরজে আইন, ফরজে কিফায়া। ফরজে আইন হলো যে নামাজগুলো প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদাভাবে ফরজ করা হয়েছে। আমাদের প্রতিদিনের ৫ অয়াক্ত নামাজ হলো ফরজে আইনের অন্তর্ভুক্ত। যে নামাজগুলো আদায় করা প্রত্যেকের জন্য ফরজ নয় সেই নামাজগুলো ফরজে কিফায়া এর অন্তর্ভুক্ত। যেমনঃ জানাজার নামাজ।

ওয়াজিব নামাজ

ফরজ নামাজের পরেই ওয়াজিব নামাজের গুরুত্ব রয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি এই নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয় বার নিয়মিত পড়ে না তাহলে সে ব্যক্তি গুনাহগার হবে। ওয়াজিব নামাজগুলো হলঃ দুই ঈদের নামাজ ( ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা ) এবং বিতর নামাজ।

সুন্নত নামাজ

সুন্নত নামাজের অনেক দূরত্ব রয়েছে। ফরজ নামাজের পাশাপাশি এ নামাজেরও গুরুত্ব অনেক। আমাদের নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী নামাজ আদায় করা তার সুন্নত। সুন্নত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি অগাধ ভালোবাসার বই প্রকাশ ঘটে ও তার অনুপম আদর্শ অনুসরণ করা হয়। সুন্নত নামাজ আবার দুই ধরনের রয়েছে। সেগুলো হলোঃ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এবং সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা।

নফল নামাজ

এই নামাজ রোজ হাশরের ময়দানে একজন ব্যক্তির জন্য জান্নাত বা জাহান্নামের ফয়সালা করে দিতে পারে। আপাতত দৃষ্টিতে নফল নামাজের কোন প্রয়োজন মনে না হলেও প্রকৃতপক্ষে এটা অত্যন্ত জরুরি। অনেক আলেমগণের মতে এই নফল নামাজ হাশরের মাঠে যদি কোন ব্যক্তির ফরজ নামাজের কমতি থাকে তাহলে আল্লাহ তা'আলা ফরজ নামাজের পরে প্রথমে ওয়াজিব তারপরে সুন্নত এবং তারপরে নফল থেকে নামাজ নিয়ে সেই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করবেন।

নামাযের ভিতরে কত ফরজ?

নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি সেগুলো সকল এখন আমরা এই আলোচনার মধ্যমে জানতে পারবো। আমরা প্রত্যেকে মুসলমান ব্যক্তি হিসেবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। নামাজ হলো ইসলামের যে পাঁচটি ভিত্তি রয়েছে তার ভিতরে দ্বিতীয় স্তম্ভ বা ভিত্তি। নামাজ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দটি উল্লেখ করেছেন।
নামাযের ভিতরে কত ফরজ?
এর মাধ্যমে তিনি নামাজের অনেক গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন। তাই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের পরেই নামাজের স্থান দিয়েছেন। নামাজের ফরজ হলো যে সমস্ত কাজ নামাজ থেকে একটুও বাদ করলে সেই নামাজ আদায় হবে না। তাই নামাজ পড়ার সময় অবশ্যই আমাদের নামাজের ফরজ সম্পর্কে জেনে নিয়ে সতর্ক থেকে নামাজ আদায় করা উচিত।

নামাজের ভেতরে বাহিরে মোট ১৩ টি ফরজ রয়েছে। তার মধ্যে নামাজের ভেতরে রয়েছে ৬টি ফরজ। আর এই নামাজের ভেতরের ৬টি ফরজকে আরকান বলা হয়। আর এই ফরজ কাজের একটিও বাদ পরে গেলে নামাজ আদায় হবে না। আপনি যদি জেনে না থাকেন নামাজের ভেতরের ছয় ফরজ (আরকান) সম্পর্কে। তাহলে চলুন এখন জেনে নেয়া যাক নামাজের ভিতরে ৬টি ফরজ।
  • তাকবীরে তাহরীমা বাধাঃ অর্থাৎ নামাজের শুরুতে কানের লতি বরাবর দুই হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলে দুই হাত বেধে ফেলাকে তাকবীরে তাহরীমা বাধা বলে।
  • কিয়াম করাঃ এর অর্থ হলো কেবলামূখি হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা।
  • নামাজে কিরাত পড়াঃ অর্থাৎ নামাজে সূরা ফাতিহার পর অন্য আরেকটি সূরা মিলিয়ে পড়া। কোরআন শরিফ থেকে সবথেকে ছোট হলেও ন্যূনতম পরিমাণ হিসেবে এক আয়াত পরিমাণ পড়া।
  • রুকু করাঃ প্রতি নামাজের জন্য নূন্যতম পরিমাণ ১ বার রুকু করা ফরজ।
  • সিজদা করাঃ প্রত্যেক রাকাত নামাজে দুইবার সিজদা করা ফরজ। সিজদা করার সময় মাটিতে প্রথমে নাক এবং তারপর কপাল মাটিতে ঠেকবে।
  • শেষ বৈঠকে বসাঃ প্রতি রাকাত নামাজের শেষে নির্ধারিত পরিমাণ বসা। অর্থাৎ নামাজ শেষে তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ার জন্য যতটুকু সময় লাগে ঠিক ততটুকু সময় পরিমাণ বসা এখানে উল্লেখ্য যে নামাজ শেষে তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব, দরূদ পড়া সুন্নত এবং দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নত।

নামাজের বাহিরে 7 ফরজ

নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ এর মধ্যে থেকে ইতিপূর্বে আমরা ভেতরের ফরজগুলো জেনেছি। এখন আমরা নামাজের বাহিরেও আরো যেসকল ফরজ আছে সেগুলো সম্পর্কে জানবো। নামাজের ভেতরে যেমন ফরজ কাজ রয়েছে তেমনি নামাজের বাইরে সাতটি ফরজ কাজ রয়েছে। যেগুলো আমাদের সকলের জানা উচিত।

আর এই ফরজ কাজের একটি ছাড়া পড়ে গেলে আপনার নামাজ আদায় হবে না। নামাজের বাইরে যে স্বার্থ খরচ হয়েছে তাকে নামাজের আহকাম বলে। আপনি যদি নামাজের আহকাম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নিন নামাজের আহকাম গুলো।

নামাজের বাহিরে রয়েছে 7 ফরজ কাজ। সেগুলো হলোঃ
  • শরীর পাকঃ অর্থাৎ নামাজ আদায় করার পূর্বে ওযু, গোসল অথবা তায়াম্মুমের মাধ্যমে শরীর পাক পবিত্র করে নেওয়া। অর্থাৎনামাজ পড়ার পূর্ব মুহুর্তে শরীর পাক পবিত্র করে নেওয়া।
  • কাপড় পাকঃ নামাজ আদায় করার সময় আপনি যে কাপড় পরিধান করে নামাজ আদায় করবেন সেই কাপড় অবশ্যই পাক-পবিত্র হওয়া। পাক-পবিত্র বলতে নামাজের কাপড় যে দামী হতে হবে এমন নয়। এর মানে হল আপনি যে পোশাক পরিধান করে নামাজ পড়ছেন তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নামাজ পড়া।
  • নামাজের যায়গা পাকঃ যে স্থানে বা জায়গায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা হবে সেই জায়গা অবশ্যই পাক পবত্র হতে হবে।
  • সতর ঢাকাঃ নামাজ আদায় করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সতর ঢেকে নিতে হবে। ছেলেদের জন্য নাভির থেকে টাখনুর উপর পর্যন্ত এবং মেয়েদের জন্য হাত মুখ এবং পায়ের পাতা ছাড়া সমস্ত অঙ্গ ঢেকে রেখে নামাজ আদায় করতে হবে।
  • ক্বিবলামূখী হওয়াঃ নামাজ আদায় করার সময় অবশ্যই কেবলার দিকে নির্ধারণ করে নামাজ আদায় করতে হবে। কেবলা যেহেতু পশ্চিম দিকে তাই অবশ্যই আমাদের জন্য নামাজ আদায় করার সময় পশ্চিম দিকে নামাজ আদায় করতে হবে।
  • নামাজের ওয়াক্ত চিনাঃ নামাজের ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়তে হবে। নামাজের যদি ওয়াক্ত না হয় তাহলে নামাজ আদায় করা যাবে না।
  • নামাযের নিয়ত করাঃ নামাজ আদায় করার জন্য অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো আমাদের জন্য নিয়ত করা। আপনাকে মুখে মুখে বলে যে নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে এমনটা নয় নামাজের জন্য মনে মনে নিয়ত করা।

নামাজের ওয়াজিব কয়টি কি কি

সম্পূর্ণভাবে নামাজ আদায় করার জন্য ফরজের পাশাপাশি ওয়াজিবের ও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। নামাজ আদায় করার সময় যদি নামাজের একটি ওয়াজিব বাদ পড়ে যায় তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে। আর যদি সাহু সিজদা দিতে আপনার মনে না থাকে অথবা ভুলে যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পুনরায় আবার সেই নামাজ পড়তে হবে। আপনি যদি নামাজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি জেনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলুন। চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক নামাজের ওয়াজিব কয়টি কি কি।
নামাজের ওয়াজিব কয়টি কি কি
নামাজের মধ্যে ওয়াজিব কাজ রয়েছে ১৪টি। সেগুলো হলোঃ
  • নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা সম্পূর্ণভাবে পড়া।
  • নামাজ আদায়ের সময় সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়া। অথবা কুরআন শরীফের কমপক্ষে এক আয়াত বা তিন আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা।
  • ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাত পাঠের জন্য নির্দিষ্ট করে নেওয়া।
  • নামাজের কিরাত, রুকু, সিজদার মধ্যে ক্রমধারা ঠিক রেখে নামাজ আদায় করা।
  • কাওমা করা। অর্থাৎ নামাজ আদায়ের সময় রুকু থেকে উঠে আকাবাকা হয়ে না দারিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
  • প্রথম বৈঠক করা। অর্থাৎ তিন অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দুই রাকাতের পর বসা। (বুখারি ১/১১৪, হাদিস : ৮২৮)
  • উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পড়া। (বুখারি ১/১১৫, তিরমিজি ১/৮৯, হাদিস : ৩৯১)
  • তাদিলে আরকান করা। অর্থাৎ রুকু, সিজদায়, কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ বসে স্থির হওয়া।
  • প্রতি রাকাত নামাজ আদায়ের সময় ফরজ ও ওয়াজিবগুলো ধারাবাহিক ঠিক রেখে পড়া।
  • ফরজ ও ওয়াজিবগুলো যথাস্থানে আদায় করা। (তিরমিজি ১/৬৬, ৬৭,)
  • বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর দোয়া কুনুত পাঠ করলে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও একসাথে আদায় করা হয়ে যাবে। (তিরমিজি ১/১০৬, হাদিস : ১১৮২)
  • দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সহিত নামাজ আদায় করা। (আবু দাউদ ১/১৬৩, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ ২/১৭২, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ৩/২৯৩, হাদিস : ৫৬৮৬)
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ।

নামাজের সুন্নত কয়টি

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করো আমাদের সকলের জন্য ফরজ। তবে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে নামাজ আদায় করার কোন এখতিয়ার নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা আমার মত করে নামাজ আদায় করো। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথে সহিহ এবং শুদ্ধ। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দেখানো পথ অনুযায়ী চলা আমাদের জন্য তার উম্মত হিসেবে সুন্নাত। এর নামাজের জন্য তিনি কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এগুলো আমাদের সকলের মানা উচিত। কারণ এগুলো সুন্নত। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই নামাজের সুন্নতগুলো সম্পর্কে।

নামাজের সুন্নত রয়েছে ২১টি। সোমনাথ গুলো পালন করলে নামাজ আদায় হবে না এমন নয়। সুন্নত পালন করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে। সুন্নতগুলো হলঃ
  • তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় পরষের জন্য কানের লতি পর্যন্ত এবং নারীরদের জন্য কাঁধ বরাবর হাত উঠবে।
  • তাকবীরে তাহরীমা বাধার সময় দু’হাতের আঙুলগুলো ফাকা ফাকা করে রাখা
  • হাতের এবং পায়ের আঙ্গুলি গুলি কেবলা মুখে করে রাখা।
  • ঈমান যখন থাকবে তাকবিরে তাহরিমা বলবেন তার সাথে সাথে মুক্তাদিদের তাকবিরে তাহরিমা বলা।
  • হাত বাধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের উপর রাখা।
  • নাভির নিচে হাত বাধা
  • তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় মাথা নিচে না নামানো
  • তাকবীরে তাহরীমা বাধার পরে সানা পড়া।
  • সূরা ফাতিহা পড়ার আগে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম পড়া
  • নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া
  • সূরা ফাতেহা পড়ার পর আমীন বলা
  • নামাজের সুন্নত অনুসরণ করে নামাজে কিরাত পড়া
  • রুকু-সেজদার সময় তিন বার পরিমাণ তাসবিহ পরিমাণ পড়া
  • নামাজের সিজদাতে যাওয়ার সময় প্রথমে দুই হাটু, এরপর দুই হাত তারপর নাক এবং তারপর কপাল রাখা।
  • শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর দুরূদ শরীফ পড়া
  • তাশাহহুদ, দুরূদ শরীফ এরপর দোয়ায়ে মাছুরা পড়ার পরে প্রথমে ডান দিকে তারপরে বাম দিকে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজের সমাপ্ত করা।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের আর্টিকেল এর মূল বিষয় ছিল নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ টি খরচ কি কি নামাজের সুন্নত কয়টি ও কি কি নামাজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা এমন অনেকেই আছি যারা এগুলো সম্পর্কে তেমন একটা ভালো জানিনা। আজকের এই আর্টিকেলটা আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ার পরে আশা করছি নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ করে থাকলে আশা করছি এগুলোর আপনি আমল করবেন। এমন আরো ইসলামিক পোস্ট ও বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post