সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন ২০২৪প্রিয় পাঠক, আপনি কি অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন এই সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে
আমরা অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।
তাই জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি অনলাইন লোন অ্যাপ ইন বাংলাদেশ, অনলাইন লোন
অ্যাপ্লাই কিভাবে করবেন, বিকাশ থেকে অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার উপায়, অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধা এবং অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোনগুলো প্রয়োজন হবে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ
বর্তমান সময়ে আমাদের হাতে যেই স্মার্টফোনটি রয়েছে এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করে আসছি। আর এরই ধারাবাহিকতায়
বর্তমান সময়ে এমন কিছু কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আমাদের কাছে থেকে
আমাদের ডকুমেন্টগুলো নেওয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে অনলাইনের ভিত্তিতে লোন সুবিধা চালু
করেছে।
এই সুবিধাটি থাকার কারণে আমরা যদি কোন ধরনের বিপদে পরি অথবা যদি আমাদের কিছু টাকা
প্রয়োজন হয় আর আমরা মানুষের কাছে থেকে ধার নিতে লজ্জাবোধ করি তাহলে এই অনলাইনের
মাধ্যমে লোন নেওয়া একটি সহজ কাজ হবে। যেখান থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ হাজার টাকা
২০ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনলাইনের ভিত্তিতে লোন দিয়ে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদেরকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে
হবে। এই লোনগুলো আপনি যদি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রেও নিয়ে
ব্যবহার করতে পারবেন। এবং একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে তাদের নির্ধারিত সুদ অনুযায়ী
সেই পরিমাণে টাকা তাদেরকে ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য
থাকবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন বিজনেস আইডিয়া ২০২৪
তাই আপনি যদি সুযোগ সুবিধার কথাগুলো বিবেচনা করে অনলাইন থেকে লোন নিতে চান তাহলে
কোন মাধ্যমে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন সেই সকল নিয়মগুলো এখন আমরা
বিস্তারিত জানবো। নিম্নে অনলাইন থেকে লোন নেওয়ার জন্য কোন সকল ধাপগুলো অনুসরণ
করতে হবে সেগুলো বিস্তারিত আকারে তুলে ধরা হলো।
- সবার প্রথমে আপনাকে মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে। সেই অ্যাপস এর নাম হলো "লোন অ্যাপস"। এরপর সেই অ্যাপসের মধ্যে গিয়ে সকল ইনফরমেশন গুলো দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
- যখন আপনার রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে তারপরে এখানে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি ঠিক কতটুকু পরিমান লোন নিতে চাচ্ছেন।
- এরপর আপনার লোনের পরিমাণ ঠিক করার পরে এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী ঠিক করার পরে আপনি যে রেজিস্ট্রেশন করার সময় যেই মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল ঠিকানা দিয়েছিলেন এই লোন কোম্পানি সরাসরি আপনার সাথে সেই মোবাইল নাম্বারে অথবা ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করবে।
- এরপরে তারা আপনার কাছে থেকে লোন প্রাপ্তির জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টস চাইবে। তাদের কাঙ্খিত নির্দিষ্ট সকল ডকুমেন্টসগুলো জমা দিতে হবে। এখানে ডকুমেন্টস হিসেবে সম্ভবত চাওয়া হয়ে থাকে বেতনের স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এবং আয়কর প্রদানের সকল তথ্যসমূহ।
- আপনি যখন তাদেরকে সকল ডকুমেন্টসগুলো সঠিকভাবে জমা দিয়ে দেবেন এরপরে তারা আপনার কাছে লোনের জন্য আবেদন করতে একটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পাঠাবে। আপনাকে সেই লোনের অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- ফরম জমা দেওয়ার পরে তারা আপনার সেই ডকুমেন্টগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি আপনি লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনুমোদিত হন তাহলে তারা আপনাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লোন দিয়ে দেবে।
অনলাইন লোন অ্যাপ ইন বাংলাদেশ
ইতিপূর্বে আমরা সকলেই জানতে পেরেছি অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন
সেই সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো অনলাইন লোন অ্যাপ ইন বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ
থেকে অনলাইনের মাধ্যমে লোন নিতে হলে কোন অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। কোন অ্যাপস
ব্যবহার করার মাধ্যমে যদি আপনি অনলাইনে লোন এর ক্ষেত্রে আবেদন করেন তাহলে
তাড়াতাড়ি লোন পেয়ে যাবেন সেই সম্পর্কে জানব।
অনলাইন থেকে লোন পাওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে গুগল প্লে স্টোরে অনেক ধরনের অ্যাপস
রয়েছে। সেখান থেকে আপনি লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রেটিং প্রাপ্ত মোবাইল
অ্যাপস টি ইনস্টল করে নিয়ে তারপরে আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। চলুন তাহলে
এখন আমরা একনজরে দেখে নেই বাংলাদেশের মধ্যে অনলাইনে লোন পাওয়ার জন্য কোন সকল
মোবাইল অ্যাপস রয়েছে।
প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে ফোনের প্লে-স্টোরে প্রবেশ করুন। তারপর সেখানে
একটি সার্ভার পাবেন সেখানে গিয়ে সার্চ করুন "লোন অ্যাপস বাংলাদেশ/ loan app
bangladesh" লিখে। তাহলে আপনি সেখানে বাংলাদেশের যতগুলো অনলাইন ভিত্তিক মোবাইল
লোনের কোম্পানি রয়েছে সেই সকল কোম্পানির অ্যাপস গুলো দেখতে পাবেন। যেমনটি আপনারা
নিজের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
আপনি হয়তো চিন্তাই করতে পারবেন না বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এতগুলো অনলাইনের
মাধ্যমে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির রয়েছে। এছাড়াও হাজার হাজার মোবাইল
লোনের অ্যাপ্লিকেশন আপনি গুগল প্লে স্টোরের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তবে এখানে একটি
কথা বলে রাখা ভালো যে লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি নিজের সাবধানতা নিজে
অবলম্বন করে চলবেন।
আপনি যখন এই অ্যাপসগুলো ইনস্টল করতে চাইবেন তার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে
হবে এই সকল অ্যাপসের কোম্পানি বিশ্বাসযোগ্য কিনা। এছাড়াও আপনাকে একটু ঘাটাঘাটি
করে করতে হবে এই কোম্পানির কোন ওয়েবসাইট রয়েছে কিনা। যখন এই সকল তথ্যগুলো
সম্পর্কে জেনে আপনি অবগত হবেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হবেন তারপরে
আপনাকে এই অ্যাপ ইন্সটল করা উচিত হবে।
যদি সেখান থেকে ঘোরাঘুরি করে আপনি জানতে পারেন যে তাদের সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে
এছাড়াও তাদের একটু অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং তাদের হেল্প সেন্টার রয়েছে তাহলে
আপনি তাদের সাথে লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি আপনি এই তথ্যগুলো বিচার
বিবেচনা না করে লোনের জন্য আবেদন করেন তাহলে এটি আপনার ক্ষেত্রে অনেক বড় বিপদ
থেকে আনতে পারে।
এছাড়াও আপনি যখন লনের আবেদন করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টি লক্ষ্য
রাখতে হবে যে তারা আপনার কাছে থেকে কোন ধরনের ডকুমেন্ট চাইছে। যদি এমন কোন ধরনের
ডকুমেন্টস তারা আপনার কাছে থেকে চেয়ে থাকে যেটি আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিপদ থেকে
আনতে পারে তাহলে সেই কোম্পানির কাছে থেকে লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরো পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম
বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের সাইবার মামলা দেখা যায় যে এক ব্যক্তি এমন ধরনের
তথ্য একজন ব্যক্তিকে দিয়েছে সেই ব্যক্তি সেই তথ্যগুলো নিয়ে তার নামে ব্যাংক
একাউন্ট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা লোন নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে লোনের পরিমাণ ৫
লক্ষ টাকা থেকে তারও অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে যে ব্যক্তির নামের লোন উঠানো
হয়েছে সেই ব্যক্তি জানে না যে তার নামে এতগুলো টাকা ব্যাংক থেকে লোন তোলা
হয়েছে।
এজন্য আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলবো। কেননা আপনি যখন একজন
মানুষকে আপনার নিজের ব্যক্তিগত ডকুমেন্টগুলোগুলো দিতে চাইবেন তখন অবশ্যই বিচার
বিবেচনা করে তারপরে দিবেন। তাই আমাদের ক্ষেত্রে আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে আপনি যখন
অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে লোন নেওয়ার চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই
বিচার বিবেচনা করে পরামর্শ করে তারপরে অনলাইনের মাধ্যমে লোনের ক্ষেত্রে আবেদন
করবেন।
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে লোন
দেওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের নাম
হলো
Rapid Cash
আপনি যেকোনো সময় মোবাইল ফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করলে এই অ্যাপ্লিকেশনটি
পেয়ে যাবেন। কিভাবে লোনের জন্য আবেদন করবেন চলুন দেখে নেই।
- প্রথমেই এই অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
- এরপর তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী তাদেরকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড, আপনার জবের আইডি, আপনার বেতনের স্লিপ এছাড়াও তাদের নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস আপনার তাদেরকে হস্তান্তর করতে হবে।
- এরপরে তারা যদি বলে আপনার ফেসের স্ক্যান কত নিবে, তাহলে তাদের অনলাইন ভিত্তিক যে স্ক্যান কপি দেওয়ার মাধ্যম রয়েছে সেই মাধ্যমে আপনার অনলাইন স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে।
- এই সকল ডকুমেন্টগুলো দেওয়ার পরে আপনি অনলাইন ভিত্তিক লোন আবেদন করার জন্য আবেদন ফরম পাবেন।
- এই অ্যাপ্লিকেশন থেকে আমি লোন নিয়েছিলাম প্রায় ৫ মাস আগে। তখন তারা আমাকে নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ পেমেন্ট করেছিল। এছাড়াও তাদের উল্লেখিত পরিমাণ টাকা আমি তাদেরকে ফেরত দিয়েছিলাম।
- তবে এক্ষেত্রে লোন নেওয়ার জন্য সবথেকে বড় অসুবিধা হলো তারা অনেক বেশি পরিমাণে সুদ ধার্য করে। আর তাদের সুদ গণনা প্রতি সাপ্তাহিক হিসেবে করে থাকে।
- তবে এক্ষেত্রে আপনি যখন তাদের কাছে থেকে লোন নিতে চাইবেন তখন আপনার লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ দেওয়া হবে সাত দিন। আপনার লোনের পরিমাণ যত বেশি জ্ঞান না হোক আপনি সাত দিনের বেশি সময় পাবেন না।
- আপনি প্রথম অবস্থায় ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত তাদের কাছে থেকে লোন পাবেন।
- আর এই ৩ হাজার টাকার বিপরীতে আপনাকে ৫০০ টাকা বেশি দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই লোন পরিষদ করার সময়সীমা থাকবে সাত দিন।
তাই আপনি যখন অনলাইন থেকে লোন নিতে যাবেন তখন অবশ্যই বুঝে শুনে লোন নিবেন। এখানে
বলা যেতেই পারে অনলাইনের মাধ্যমে লোন দেওয়া হল এক ধরনের ধান্দাবাজি। যেখান থেকে
তারা চড়া সুদের লোন দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে আপনার পরিচিত
কারো সাহায্য নেই। অনলাইন থেকে অযথা লোন নিতে আসবেন না। যদি পারেন একটি ব্যাংক
থেকে লোন নেওয়ার চেষ্টা করুন।
বিকাশ থেকে অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার উপায়
যখন আমরা বিকাশ নামক শব্দটি শুনি তখন আমাদের সকলের ভেতরে একটা আস্থা কাজ করে।
এছাড়াও একটি বিশ্বস্ততার জায়গা কাজ করে। কারণ বর্তমান সময়ে অনলাইন জগতে মোবাইল
ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে বিকাশ জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। তারা দীর্ঘ একটি সময় ধরে
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। যেহেতু বিকাশ হল একটি ব্র্যাক ব্যাংকের
প্রতিষ্ঠান তাই এক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা কাজ করাটাই স্বাভাবিক।
বিকাশ এর মাধ্যমে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত ধারণা এখন আপনাদেরকে দেব। তাই আপনি চাইলে বর্তমান সময়ে মোবাইল
ব্যাংকিং হিসেবে বিকাশের মাধ্যমে অনলাইন থেকে লোন নিতে পারবেন। কিভাবে লোন নিবেন
চলুন সেটি আমরা এখন জেনে নেই।
বিকাশ থেকে লোন নিতে হলে আপনার ফোনে যদি বিকাশ মোবাইল এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা না
থাকে তাহলে ফোনের গুগল প্লে স্টোর থেকে
বিকাশ অ্যাপসটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। এরপরে সেই একাউন্ট সচল করার জন্য আপনার বিকাশ
মোবাইল নাম্বার এবং আপনার বিকাশের পিন নাম্বার দিয়ে অ্যাপসটি ওপেন করুন।
- আপনি যখন মোবাইলের বিকাশ অ্যাপস এর প্রবেশ করবেন তখন আপনি প্রথমেই "লোন" নামক একটি অপশন পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর যদি তারা দেখে আপনি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্য তাহলে আপনাকে একটি লোন পাওয়ার ফর্ম দিবে। এরপর সেই ফর্ম পূরণ করে আপনাকে তাদের কাছে জমা দিতে হবে।
- তবে আপনি যদি লোন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত না হন তাহলে আপনাকে নিচের ছবির মতো করে একটি নোটিস দেখাবে।
- এর কারণ হলো বিকাশ সকলকে লোন দেয় না। কেবলমাত্র যে ব্যক্তি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্য বিকাশ কেবলমাত্র তাকেই লোন দিয়ে থাকে।
আশা করছি আপনি এতক্ষণে বিকাশ থেকে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে লোন পাবেন সেই বিষয়ে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি এই সম্পর্কে জানার জন্য আপনার আরো কোন জিজ্ঞাসা
থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করার মাধ্যমে জানাবেন।
অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধা
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন সেই সম্পর্কে জেনেছি। এখন আসুন
আমরা জেনে নেই অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধাগুলি কি। কেননা আমরা কোথাও থেকে
লোন নিতে গেলে সুবিধার কথা আগে বিবেচনা করি। তাই এক্ষেত্রেও কোন ব্যাতিক্রম নয়।
তাহলে চলুন এখন আমরা একনজরে দেখে নেই অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধাগুলো।
দ্রুত এবং সহজ মাধ্যমঃ যেহেতু লোনের প্রক্রিয়াকে অনলাইন ভিত্তিক তাই এই
লোনের ক্ষেত্রে কার্যক্রম গুলো খুব তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে। যেহেতু এটি বাড়িতে বসে
থেকেও আবেদন করা যায় তাই এটি আরো একটি সহজ এবং দ্রুতগতির মাধ্যম।
অনেক সুবিধাঃ যেহেতু এই লোনের আবেদন ঘরে বসে থেকেই করা যাচ্ছে তাই এই
কাজটি অনেকটাই সুবিধাজনক।
সুদঃ অনলাইন ভিত্তিতে মোবাইলের লোনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে সুদের
পরিমাণকে একটি অসুবিধা হলেও বিবেচনা করা যেতে পারে। কেননা এখানে সুদের হার
অনেকটাই বেশি নেওয়া হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট
আপনি যদি অনলাইন থেকে মোবাইল লোন নিতে জানতে হলে আপনি বেশকিছু মাধ্যম ব্যবহার
করতে পারেন। সেই সকল জনপ্রিয় এবং মাধ্যমের মধ্যে মোবাইল অ্যাপসগুলোতে রয়েছে
নগদ, বিকাশ, সহজ, Amarpay ইত্যাদি।
আপনি যখন এই সকল লোন নেওয়ার জন্য অ্যাপসগুলো ইন্সটল করবেন তারপরে আপনার নিচের
ব্যক্তিগত তথ্যগুলো দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। তারপরে
আপনার নিজের পছন্দমতো একটি অ্যামাউন্ট নির্ধারণ করে নিয়ে সেখান থেকে লোনের জন্য
আবেদন করতে পারবেন। যখন আপনি লোনের জন্য নির্বাচিত হবেন তখন আপনার সেই লোনের টাকা
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সেই টাকা আপনি নিজের
পছন্দমত খরচ করতে পারবেন।
অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার জন্য বেশকিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল লোন নিতে
চাচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে নিবেন এবং কোন সকল কাগজপত্রগুলো জমা দেওয়ার মাধ্যমে
মোবাইল লোন নিবেন সেই সম্পর্কে জানেন না। তাই চলুন এখন আমরা জেনে নেই অনলাইন এর
মাধ্যমে মোবাইল লোন নিতে গেলে কোন কোন কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে।
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার
- ভোটার আইডি কার্ড
- বেতন স্লিপ
- বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা
- আয়ের প্রমাণপত্র
- চাকরির প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
- ব্যবসার প্রমাণ পত্র (যদি থাকে)
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল থেকে লোন নিতে চান তাহলে উপরের উল্লেখিত
কাগজপত্র গুলো জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনাকে লোন নিতে হবে। আপনি যখন এই সকল
কাগজপত্রগুলো তাদের কাছে জমা দিবেন তারপরে তারা বিচার বিবেচনা করে দেখবে আপনাকে
আসলেই লোন দেওয়া যায় কিনা। যদি আপনি সকল ক্ষেত্রে বিবেচিত হন তাহলেই তারা
আপনাকে লোন দিবে। এরপরে সেই লোনের টাকা আপনার একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান
থেকে তুলে নিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
FAQ। অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রশ্নঃ বিকাশ লোন নিতে কি লাগে?
উত্তরঃ আপনি যদি বিকাশ থেকে লোন নিতে চান তাহলে শুধুমাত্র আপনার একটি বৈধ
বিকাশ একাউন্ট থাকলেই হবে। বিকাশ একাউন্ট লোন নেওয়া অনেকটাই সহজ। কারণ যদি একটি
বৈধ bkash একাউন্ট থাকে তাহলে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আর বাড়তি কোন ডকুমেন্টসের
প্রয়োজন হয় না।
প্রশ্নঃ বিকাশ থেকে কি একসাথে দুইবার লোন নেওয়া যাবে?
উত্তরঃ না। কোনভাবেই একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে দুইবার লোন নেওয়া যাবে না।
তবে আপনি যদি পূর্বের লোন পরিশোধ করেন তাহলে আপনি পুনরায় লনের জন্য আবেদন করতে
পারবেন।
প্রশ্নঃ বিকাশ থেকে লোন নিতে হলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ বিকাশ থেকে লোন নিতে হলে তেমন কিছু একটা করতে হয় না। সর্ব প্রথমে
আপনাকে বিকাশ অ্যাপসের মধ্যে প্রবেশ। করতে তারপরে সেখানে "লোন" নামক অপশন দেখতে
পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। যদি আপনি লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য হন তাহলে আপনি
লোন পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। আর যদি আপনি যোগ্য বলে বিবেচিত না
হন তাহলে আপনাকে একটি নোটিশ দিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্নঃ বিকাশ সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়?
উত্তরঃ বর্তমান সময়ে বিকাশ থেকে একজন গ্রাহককে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে
সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মুঠোফোনের মাধ্যমে লোন দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্নঃ বিকাশ লোন পরিশোধ না করলে কি হয়?
উত্তরঃ আপনি যদি লোনের টাকা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে
আপনার লোনের টাকার ওপর বাড়তি ২% হারে জরিমানা আরোপ করা হবে। এরপরেও যদি আপনি লোন
পরিষদে ব্যর্থ হন তাহলে আপনার বিপরীতে তারা আইন-নানো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিবে।
তাই জরিমানা এড়ানোর জন্য এবং আইনি ঝামেলা থেকে বিরত থাকতে নির্দিষ্ট সময়ে
বিকাশের লোনের টাকা পরিশোধ করুন।
শেষ কথা
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন সেই সম্পর্কে আজকের আমাদের এই
আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে করার মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
যদি অনলাইন মোবাইল লোন সম্পর্কে আপনার আরো কোন জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই
আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমনই আরো তথ্যাবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন
পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment