ডেকাসন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়প্রিয় পাঠক, আপনি কি ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েত তাহলে ই ক্যাপ এর কাজ কি, ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম, ই ক্যাপ কখন খেতে হয়, ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো কিকি এবং ই ক্যাপ 400 দাম কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
ই ক্যাপ এর কাজ কি
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো জানার পূর্বে আমাদের সকলেরই জানা প্রয়োজন ই ক্যাপ এর কাজ কি সেই সম্পর্কে। কেননা যদি আমরা বুঝতে না পারি ই ক্যাপ খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরের কোন কোন ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে সেটি আমরা বুঝতে পারবো না। তাই আমাদের এই ই ক্যাপ এর কাজগুলো সম্পর্কে জানা উচিত। আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই।
- ই ক্যাপে থাকা ভিটামিন ই আমাদের শরীরের বার্ধক্যের প্রভাব অনেকটাই নিরাময় করে।
- পাজরের ব্যাথার সমস্যার সমাধান করে থাকে
- এমনকি যারা বন্ধ্যত্বের অবস্থায় রয়েছেন তাদের বন্ধ্যত্বের সমস্যারও সমাধান করে থাকে
- ই ক্যাপ ক্যাপশন আমাদের রাতের ক্রিমের কাজ করতে সক্ষম। শীতের সময় যদি আপনি মুখের ত্বকে সারারাত ই ক্যাপ লাগিয়ে রাখেন তাহলে এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সহযোগিতা করবে।
- ই ক্যাপ আমাদের শরীরের ভেতরে তেলটি সিরাম হিসেবেও কাজ করে থাকে।
- ই ক্যাপ আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এছাড়াও ত্বক টান করার জন্য সাহায্য করে থাকে।
- এটি আমাদের নখের যত্নের ক্ষেত্রে অনেকটাই ভালো প্রভাব ফেলে। তাই যাদের নখ ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ই ক্যাপ হতে পারে একটি আদর্শ ঔষধ।
- ত্বককে রোদে পুড়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
যদি আপনি নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপ ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার চুল পড়া রোধেও সমাধান এনে দিতে পারে। এছাড়াও নতুন করে চুল গজানোর ক্ষেত্রে এর কোন জুড়ি মেলা ভার। আপনি বাড়িতে যেই তেল ব্যবহার করেন না কেন তার সাথে এই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা সকলেই এখন ই ক্যাপ এর কাজ কি সেই সম্পর্কে জানি। এখন এই পাঠের মধ্যে আমরা জানবো ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কেননা এই ই ক্যাপের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের সকলকে এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অবগত হয়ে আগে থেকেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চলুন তাহলে এখন আমরা এর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
সবার প্রথমে আমরা ই ক্যাপ এর উপকারিতাগুলো জানবো। তারপরও যদি আমরা সকলেই ই ক্যাপ এর অপকারিতাগুলো সম্পর্কে জানবো। চলুন এখন আমরা জেনে নেই এই ই ক্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত।
ই ক্যাপ এর উপকারিতাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো
ত্বকের যত্নেঃ যদি নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপ ব্যবহার করা হয় তাহলে এটি আমাদের ত্বকের বলে রেখা, কালো দাগ এছাড়াও ব্রণের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও যদি আপনি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজ ক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি করবে। যার জন্য আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং নমনীয়।
ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করেঃ আমাদের মানব দেহের জন্য ভিটামিন ই কতটা জরুরী সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। আপনি যদি এই ভিটামিন ই ক্যাপ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শরীরে এটি ভিটামিন ই এর সকল ধরনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিনের নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি আপনি শরীরের ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য ই ক্যাপসুল নিয়মিত ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
চুলের যত্নেঃ যদি নিয়মিত চুলে ভিটামিন ই ক্যাপ দেওয়া হয় তাহলে এটি আমাদের চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং চুল পড়া রোধ করার ক্ষেত্রে দারুন ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এটি নতুন করে চুল গজানো এবং চুল ঘন ও মসৃণ করতে সহযোগিতা করে থাকে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ভিটামিন ই আমাদের শরীরের সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। এটি আমাদের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি এই ধরনের সংক্রমণ রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করেঃ যদি আপনার ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকে তাহলে সেজন্য আপনি প্রতিদিন একটি করে হলেও ই ক্যাপ ৪০০ ইউ আই সেবন করুন। তাহলে আপনার এই থ্যালাসেমিয়া রোগ খুব দ্রুতই সেরে যাবে। তবে অবশ্যই আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তারপরে তিনি যেই নিয়ম অনুযায়ী সেবন করতে বলেন সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনি সেবন করবেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ ই ক্যাপ আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। যার জন্য খুব সহজেই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। আমরা যারা বাহিরে কাজ করি তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকটাই কমে যায় এই অতিরিক্ত রোধের কারণে। তাই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা যদি আপনি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চান তাহলে এই ই ক্যাপ ক্যাপসুল নিয়মিত ব্যবহার করুন।
নখের যত্নেঃ নখ যেহেতু আমাদের শরীরের একটি অংশ তাই আমাদের এই অংশের উপর যত্নবান হওয়া উচিত। না হলে আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি নখের যত্ন সঠিকভাবে নিতে চান তাহলে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই ই ক্যাপ এর তেল প্রতিটি নখের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার নখ দেখতে আরো সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ ই ক্যাপ ক্যাপশনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। যেটি আমাদের শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে এটি আমাদের শরীরের কোষের ক্ষতিরোধ করে। এতে করে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি পেতে ব্যাহত হয়।
শরীরের হাড় মজবুত করেঃ আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ই ক্যাপ 400 খান তাহলে এটি আপনার শরীরের নখের পাশাপাশি শরীরের হাড়ের গঠন ও মজবুত করবে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন
হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়ঃ ভিটামিন ই যেহেতু আমাদের হৃদপিন্ডের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাই এর ফলে আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর যার জন্য আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে এই ছিলো ই ক্যাপ এর উপকারিতা। এখন আমরা সকলে জানবো ই ক্যাপ এর অপকারিতাগুলো সম্পর্কে। নিম্নে ই ক্যাপ এর অপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলোঃ
এলার্জির সমস্যাঃ যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা এটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যার জন্য শরীরে ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট এবং চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেট খারাপঃ যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে ই ক্যাপ সেবন করেন তাহলে এটি আপনার পেট খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও এটি আপনার বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
শরীরের ক্লান্তি ভাবঃ যদি আপনি পরিমিত পরিমাণের অধিক ই ক্যাপ খান তাহলে এটি আপনার শরীরের ক্লান্তির সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে আপনি নিজেকে দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন।
মাথা ব্যথা করাঃ অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যারা এই কাপ ক্যাপসুল বেশি পরিমাণে ঘাম তাদের ক্ষেত্রে মাথাব্যথা ছাড়াও মাথা ঘোরার মত সমস্যা হয়ে থাকে।
রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়াঃ আপনারা যারা রক্তপাত পাতলা করার জন্য ঔষধ খেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে যদি তারা ই ক্যাপ খান তাহলে তাদের জন্য রক্ত পাতলা করার ঔষধের সাথে এটি বিক্রিয়া করতে পারে। তাই আপনারা যারা এমন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকেন তাদের অবশ্যই ই ক্যাপ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
ই ক্যাপ খাবার ফলে এই ছাড়া আর তেমন ধরনের কোন প্রকার অপকারিতা নেই। তাই আপনি যখন ই ক্যাপ খাবেন তারপরে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন। যদি আপনি এমনিতেই খেতে চান তাহলে অবশ্যই পরিণত পরিমাণে খাবেন। অতিরিক্ত কোন জিনিসই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নাই। তাই যেটাই সেবন করুন না কেন অবশ্যই পরিণত পরিমাণে সেবন করবেন।
ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা তো আমরা সকলেই জানলাম। এখন অনেকেই জানতে চান ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি ই ক্যাপ 400 খেতে চান তাহলে তার পূর্বে অবশ্যই এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। তাই চলুন আর বেশি দেরি না করে আমরা সকলেই ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
আপনারা দিনে ই ক্যাপ সর্বোচ্চ একটি থেকে দুটি খেতে পারেন। তবে যদি আপনি ই ক্যাপ 400 খেতে চান তাহলে এটি খাওয়ার জন্য সব থেকে ভালো নিয়ম হচ্ছে যদি আপনি সন্ধ্যেবেলায় কিছুটা পরিমাণে হালকা নাস্তা করেন এবং তারপরে খান। তবে এর জন্য যদি আপনি ভাল ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এক মাস পর্যন্ত নিয়ম মেনে খেতে হবে। তাহলে আশা করছি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
আরো পড়ুনঃ লো প্রেসারের ঔষধের নাম
ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়মগুলো হলো
- যদি হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে প্রতিদিন 400-800/খাওয়া যেতে পারে
- হৃদ যন্ত্রের সুস্থতার জন্য ৪০০-৮০০ আই ইউ প্রতিদিন সেবন করতে পারবেন।
- প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যেহেতু তাদের শরীরে ভিটামিন ই এর অনেক বেশি অভাব থাকে তাই তারা প্রতিদিন 200-400/ খেতে পারবেন।
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপের পরিমাণ হচ্ছে প্রতিদিন 200iu
- সিক্ল–সেল অ্যানিমিয়া এর জন্য প্রতিদিন ৪০০ আই ইউ পর্যন্ত সেবন করা যাবে
- থ্যালাসেমিয়া রোগের জন্য প্রতিদিন 800 আই ইউ পর্যন্ত খেতে পারবেন
- ত্বক অথবা চুলের সমস্যার সমাধানের জন্য ২০০-৪০০ আই ইউ পরিমাণ প্রতিদিন গ্রহণ করা যেতে পারে।
যদি আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে খায় তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেকটাই বেশি ভালো হবে। যার জন্য আমরা অনেক বেশি উপকার উপভোগ করতে পারব। এর পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং এমন ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে যে সকল খাবারে ভালোভাবে পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়। তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক ভালো একটি বেনিফিট পেতে পারেন।
ই ক্যাপ কখন খেতে হয়
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পরে আবার অনেকের জানার ইচ্ছে হয় ই ক্যাপ কখন খেতে হয় সেই সম্পর্কে। কেননা অনেকেই জানেন না তারা এই ই-ক্যাপ কখন খাবেন। আর কখন খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাবেন। তাই আপনিও যদি এমন না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
যদি আপনি ই ক্যাপ খেতে চান তাহলে অবশ্যই এর পূর্বে জানা প্রয়োজন আপনি কেন ই ক্যাপ খাবেন। যদি আপনি কোন রোগের ক্ষেত্রে খেতে চান তাহলে অবশ্যই রাতে খাবার গ্রহণ করার পরে এটি খাওয়া আপনার জন্য উত্তম হবে। তবে অবশ্যই রোগের ক্ষেত্রে হলে আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরে তারপরে সেবন করবেন। তাহলেই তিনি জানিয়ে দিবেন কোন নিয়মে আপনাকে খেতে হবে। তাহলে এটি আপনার জন্য সবথেকে বেশি উপকারী হবে।
আরো পড়ুনঃ টাইফয়েড পরবর্তী সমস্যা
এছাড়াও আমরা ইতিপূর্বে ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখান থেকে আপনি দেখে নিতে পারেন কোন নিয়মে এবং কোন রোগের জন্য আপনার খাওয়া উচিত হবে। যদি আপনি সৌন্দর্য বর্ধনে ক্ষেত্রে অথবা চুলের জন্য ব্যবহার করতে যান তাহলে অবশ্যই আপনি রাতে সেবন করুন। আশা করছি আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পাশাপাশি আমাদের সকলেরই ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা উচিত। কেননা যদি কেউ ই ক্যাপ খেয়ে উপকারিতা উপভোগ করতে চান আর তার জন্য যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে তার জন্য অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আমাদেরকে পূর্ব দিকে এই সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তারপরে খাওয়া উচিত। চলুন তাহ।লে এখন আমরা ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
- যদি আপনি অতিরিক্ত ই ক্যাপ সেবন করেন তাহলে আপনার আমাশয় জনিত সমস্যার এবং পেট খারাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাদের ক্ষেত্রে এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গায়ে ফুসকুড়ি ওঠা এবং চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় ই ক্যাপ সেবন করেন তাহলে আপনার বমি বমি ভাব অথবা বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যদি আপনি অত্যাধিক মাত্রায় ই ক্যাপ সেবন করেন তাহলে এটি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
- যদি কোন গর্ভবতী মহিলা ই ক্যাপ সেবন করতে চায় তাহলে তার পূর্বে অবশ্যই তাকে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- এছাড়াও যাদের হাই প্রেসার, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই একজন চিকিৎস্যদের পরামর্শ নেওয়ার পরে ই ক্যাপ সেবন করা উচিত হবে।
- যদি আপনি ই ক্যাপ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে চান তাহলে জেনে রাখুন এর ফলে আপনার ত্বকের সমস্যা ঠিক হতে পারে। আর এই সমস্যা এড়ানোর জন্য মধু, লেবু অথবা তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ই ক্যাপ 400 দাম কত
যদি আপনি ই ক্যাপ 400 খেতে চান তাহলে এটি বাজারের যেকোন ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। তবে অনেকেই এর দাম নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। তাহলে আপনি জেনে রাখুন বর্তমান সময়ের ই ক্যাপ 400 এর প্রতিটির মূল্য হলো ৬.৫০ টাকা করে। আপনি যেখান থেকেই এই ই ক্যাপ 400 কিনুন না কেন আপনার কাছে থেকে এই নির্ধারিত মূল্যই নেওয়া হবে।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ই ক্যাপ ঔষধ কি কি কাজ করে?
উত্তরঃ ই ক্যাপ ঔষধ আমাদের শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও এটি আমাদের কোষকে সকল ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে থাকে। শরীরের রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে। এছাড়াও আরো অনেক ধরণের কাজ করে থাকে এই ই ক্যাপ ঔষধ।
প্রশ্নঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে কিভাবে ব্যবহার করব?
উত্তরঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে ব্যাবহার করার জন্য সরাসরি একবারে ব্যাবহার না করাই উত্তম। এর সাথে আপনি কিছুটা তেল অথবা দই মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন। তাহলে আরো অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
প্রশ্নঃ ই ক্যাপ 400 খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ ই ক্যাপ 400 খেলে মোটা হওয়া যায় না। তবে এটি আমাদের শরীরের ভিটামিন ই এর সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্যও কাজ করে থাকে। তবে এর জন্য আপনি সামান্য পরিমাণে একটু মোটা হতে পারেন। তবে খুব একটা বেশি মোটা হবেন না।
প্রশ্নঃ ই ক্যাপ কত দিন খেতে হয়?
উত্তরঃ আপনার জন্য ঠিক কতদিন ই ক্যাপ খেতে পারবেন সেটি একমাত্র আপনার চিকিৎসকই বলতে পারেন। তবে আপনি যদি এমনিতেই ই ক্যাপ খান তাহলে কোনভাবেই আপনার একটা তিন মাসের বেশি খাওয়া উচিত হবে না।
প্রশ্নঃ ই ক্যাপ কিভাবে খেতে হয়?
উত্তরঃ আপনি ই ক্যাপ খাওয়ার জন্য দিনে দুটি, সকালে ১টি এবং রাতে ১টি করে খাবার খাওয়ার পরে খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়?
উত্তরঃ হ্যা। ভিটামিন ই ক্যাপ যদি নিয়মিত চুলে ব্যাবহার করেন তাহলে এটি আপনার খুব সহজেই চুল পরা বন্ধ করবে। এর পাশাপাশি এটি চুলের সকল ধরণের সমস্যা দূর করবে। এবং এটি আপনার মাথায় নতুন করে চুল গজিয়ে মাথার চুলকে আরো ঘন করে তুলবে।
শেষ কথা
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment