দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ ও ভালো মলমেপ্রিয় পাঠক, আপনি কি চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির নাম ও দাম জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলে
আমরা চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির নাম ও দামগুলো জানাবো। তাই আপনি যদি
এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম, চুলকানির মলম
কোনটা ভালো, সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ, এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম এবং গোপনাঙ্গের
চুলকানি দূর করার ওষুধের নামগুলো জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির
চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির অনেকগুলো ঔষধ রয়েছে। সেই সকল ঔষধগুলো আজকে
আমরা আপনাদের সাথে তুলে ধরবো। আমাদের শরীরের বৈশিষ্ট্য যেহেতু একেকজনের থেকে
আলাদা সেহেতু একেকজনের শরীরে এক এক কারণে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে।
তবে সে জন্য
অবশ্যই আপনাকে সবার প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে আপনার কোন কারণে চুলকানি হচ্ছে। যদি আপনি সেই চুলকানির সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে সঠিক চিকিৎসা
গ্রহণের মাধ্যমে এবং সঠিক সময়ে সঠিক ঔষধ গুলো সেবন করার মাধ্যমে আপনি কিছুদিনের
মধ্যেই সকল ধরনের চুলকানি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তবে সে ক্ষেত্রে আপনি
যদি চিকিৎসা গ্রহণ না করে বসে থাকেন তাহলে আপনার সেই চুলকানি বড় আকার ধারণ করতে
পারে। আমাদের শরীরের লালভাব, ফোলাভাব সৃষ্টি হওয়া, চর্মরোগ প্রদাহ, টিস্যু তরল নির্গমন
এবং ত্বকের স্কেলিং এই সকলকিছুকে আমরা একজিমা বলে থাকি।
আর এই চুলকানির সমস্যা
উপশম করার জন্য আমরা আমাদের নিজের অজান্তেই হাতের আচর দিয়ে ফেটে সেই স্থানে। যার
ফলে এটি আমাদের ত্বকের অবস্থা আরো খারাপ করে ফেলে। তাই আপনি যদি আপনার এই
চুলকানির সমস্যা দূর করতে চান তাহলে স্কয়ার কোম্পানির চুলকানির ঔষধগুলো ব্যাবহার
করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম
নিম্নে কিছু স্কয়ার কোম্পানির চুলকানির ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো। চলুন একনজরে
দেখে নেওয়া যাক।
- টেবাস্ট ১০ মিলি (Tebast 10 ml)
- ফ্লুগাল ৫০ মিলি (Flugal 50 mg)
- বিলিস্তা ২০ মিলি. (Bilista 20 mg)
- ফেক্সো ১২০ মিলি (Fexo 120 mg)
- রূপাট্রোল ১০ মিলি (Rupatrol 10 mg)
আপনি যদি স্কয়ার কোম্পানির চুলকানির ঔষধ ব্যাবহার করার কথা চিন্তা করে থাকেন
তাহলে আপনি উপরের ঔষধগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। এই সকল ঔষধ যদি আপনি নিয়মিত একজন
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করেন তাহলে খুব দ্রুতই আপনার শরীরের সকল চুলকানি
দূর হয়ে যাবে।
তবে যখন আপনি এই সকল ঔষধ ব্যাবহার করতে চাইবেন তখন তার পূর্বে
অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে সেবন করবেন।
চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম স্কয়ার কোম্পানির
চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির যেমন রয়েছে ঠিক তেমনই রয়েছে চুলকানি দূর
করার ক্রিমও। আপনি যদি ঔষধের পাশাপাশি স্কয়ার কোম্পানির চুলকানির ক্রিম ব্যাবহার
করতে চান তাহলে কোন সকল ক্রিমগুলো ব্যাবহার করবেন চলুন এখন আমরা সেই সকল বিষয়ে
জেনে নেই।
যখন আমাদের দেশে ঋতুর পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং অস্থিতিশীল আবহাওয়া বিরাজ করে
সর্বত্র আর সেই সময়েই মানুষজন অস্বস্তিবোধ করে। আর এই সময়টাতেই একজিমা দেখা দেয়।
আর এই একজিমা ই আমাদের শরীরের সৃষ্টি করে চুলকানির।
তাই আপনি যদি এই চুলকানি বেশি
করা থেকে বিরত থাকতে চান তাই চুলকানির পরিধি বৃদ্ধির পাবার আগেই ক্রিম ব্যবহার
করুন। স্কয়ার চকোম্পানির চুলকানির ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি আপনি যদি স্কয়ার কোম্পানির
চুলকানির ক্রিমগুলো ব্যবহার করেন তাহলে খুব দ্রুতই আপনি এই চুলকানির সমস্যা থেকে
প্রশান্তি বোধ করবেন।
স্কয়ার কোম্পানির যেমন রয়েছে চুলকানির বিভিন্ন ধরনের ঔষধ
ঠিক তেমনি রয়েছে এ স্কয়ার কোম্পানির নির্দিষ্ট কিছু চুলকানির ক্রিম। সেই সকল
ক্রিমগুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- ইজেক্স ক্রিম (Ezex Cream)
- টজেন্ট ক্রিম (Togent Cream)
- ফাংগিডাল এইচসি ক্রিম (Fungidal HC Cream)
স্কয়ার কোম্পানির উপরের উল্লেখিত ক্রিমগুলো চুলকানির জন্য অনেক ভালো ক্রিম।
উপরের এই তিনটি ক্রিমের মূল্য সর্বোচ্চ ৭০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনি এই ক্রিম
তিনটি বাজারের যে কোন ফার্মেসির দোকান থেকে পেয়ে যাবেন।
সেখান থেকে কিনে নিয়ে
একজন ডাক্তারের থেকে দিক নির্দেশনা নিয়ে এই সকল ক্রিমগুলো আপনি ব্যবহার করতে
পারেন। যদি আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানির ক্রিম ব্যবহার করেন
তাহলে আশা করছি আপনার চুলকানি সমস্যা কোন দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
বর্তমান সময়ে বাজারে এছাড়াও আরো বেশ কিছু চুলকানির জন্য ক্রিম পাওয়া যায়।
আপনি যদি এই সকল ক্রিম ব্যবহার করতে সাচ্ছন্দ বোধ না করেন তাহলে বাজারে যে আরো
বেশ কিছু চুলকানি দূর করার জন্য ক্রিম পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেগুলো ব্যবহার
করতে পারেন।
আশা করছি সেই সকল ক্রিমও আপনার অনেক ভালো ফলাফল দিবেন। তাহলে চলুন
এখন আমরা সেই সকল ক্রিমগুলোর নাম জেনে নেই।
- অ্যালোভেরা ক্রিম (Aloe vera cream)
- বেনজিল পারক্সাইড ক্রিম (Benzyl peroxide cream)
- বেটামেথাসোন ক্রিম (Betamethasone cream)
- ক্লোরহেক্সিডিন ক্রিম (Chlorhexidine cream)
- ক্যালামাইন ক্রিম (Calamine cream)
- হাইড্রোকোর্টিসোন ক্রিম (Hydrocortisone cream)
- স্যালিসিলিক অ্যাসিড ক্রিম (Salicylic acid cream)
আপনার শরীরের চুলকানি সমস্যা গুলো দূর করার জন্য আপনি উল্লেখিত এ সকল ক্রিমগুলো
ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যেই ক্রিমই ব্যবহার করেন না কেন সেই সকল ক্রিমগুলো
ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
তাহলে তিনি
আপনাকে বুঝিয়ে বলে দিবেন আপনার জন্য কোন ঔষধ বা ক্লিন সবথেকে ভালো হবে। আশা করছি
আপনাকে সম্পূর্ণ বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। চুলকানি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন
সারা শরীরে অনিয়ন্ত্রিত চুলকানি বন্ধ করার উপায়?
আপনার সারা শরীরের অনিয়ন্ত্রিত চুলকানি বন্ধ করার জন্য আপনি ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। তারপরেও যদি আপনি কোনভাবেই সমাধান খুঁজে না পান তাহলে অবশ্যই স্কজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
ঘরোয়া প্রতিকার ব্যাবহার করার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা যে সকল প্রতিকার ব্যাবস্থাগুলো গ্রহণ করতে বলেন, সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- চুলকানি শুরু হলে সাথে সাথেই ৫ থেকে ১০ মিনেটের জন্য একটি ঠান্ডা অথবা ভিজা তোয়ালে নিয়ে চুলকানির জায়গায় ব্যাবহার করতে পারেন। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।
- চুলকানিতে ঠান্ডা ক্রিম বা লোশন ব্যাবহার করতে পারেন। আর এজন্য ফ্রিজে এটি সংরোক্ষণ করে রাখতে পারেন।
- ক্যালামাইন লোশন চুলকানিতে ব্যাবহার করতে পারেন। এটি সরাসরি চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- বেকিং সোডা আর পানির সংমিশ্রণে একটি পেস্ট তৈরি করে ব্যাবহার করতে পারেন।
এছাড়াও চুলকানিকে খুব সহজেই পশমিত করার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা যেসকল কাজ করতে সুপারিশ করেন, সেগুলো হলোঃ
- সুগন্ধবিহিন সাবান, লোশন ব্যাবহার পরিহার করুন।
- ত্বকের জ্বালা পোড়া এড়াতে ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন।
- গরম পানি ব্যাবহার করে ৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করবেন না।
- বাড়ি সবসময় ঠান্ডা রাখার ব্যাবস্থা করুন।
- একজিমার সমস্যা থেকে থাকলে শীতের সময়টাতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে উপরের উল্লিখিত এই সকল টটকাগুলি ব্যাবহার করলে আপনি সাময়িক সময়ের জন্য স্বস্থি পাবেন। তবে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
চুলকানি দূর করার ক্রিমের দাম কত
চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির সকল ঔষধ সম্পর্কে জেনেছি। এছাড়াও আমরা কিছু
ক্রিমের নাম সম্পর্কে জেনেছি। এখন অনেকেই জানতে চান আমরা যে চুলকানির জন্য ক্রিম
ব্যাবহার করবো এই সকল চুলকানি দূর করার ক্রিমের দাম কত?
আপনি যদি এই সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। চুলকানি আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের যেকোনো স্থানে হতে পারে। আর এখান থেকে মুক্তি
পাওয়া অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পরে। তাই আপনি চুলকানির ওষুধের পাশাপাশি চুলকানির
জন্য ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
তবে এই সকল ক্রিম কেনার জন্য আমাদের আমাদেরকে
ক্রিমের দাম সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে এখন আমরা সেই সকল ক্রিমগুলোর দাম
জেনে নেই।
উপরের ক্রিমগুলো আপনি উল্লিখিত দামের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। হয়তোবা বাজারের উর্ধগতির
কারণে দাম কিছুটা কম অথবা বেশি হতে পারে। আপনি এই সকল ক্রিমগুলো বাজারের যেকোন
ফার্মেসিতে গেলেই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
তবে ক্রিম ব্যাবহার করার পূর্বে অবশ্যই
আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে নিবেন। তাহলেই আরো অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
চুলকানির মলম কোনটা ভালো
ইতিপূর্বে আমরা চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির এবং এ স্কয়ার কম্পানি সহ
আরো অনেক বেশ কিছু কোম্পানির চুলকানির জন্য মলম কোনগুলো ব্যবহার করবেন সেই সকল
মলম গুলোর নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
এখন আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন
করে থাকেন চুলকানির মলম কোনটা ভালো হবে। চলুন তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে
নেওয়া যাক।
যদি আপনি চুলকানির মলমের কথা বলেন তাহলে সবার প্রথমে বলতে হয় এ স্কয়ার
কোম্পানির যেই সকল চুলকানির মলম রয়েছে সেই সকল চুলকানির মলম সম্পর্কে।
কেননা এ
স্কয়ার কোম্পানির যেই তিনটি চুলকানির মলম রয়েছে এই তিনটি মলমই চুলকানির জন্য
বেশ ভালো। তবে আপনার শরীরে চুলকানি কোন কারণে হচ্ছে সেই নির্দিষ্ট কারণ যদি আপনি
সনাক্ত করতে পারেন তাহলে আপনি মলম ব্যবহার করে আরো অনেক ভালো পারফরম্যান্স পাবেন।
এছাড়াও আপনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে তিনি আপনাকে জানিয়ে দিবেন
আপনার ত্বকের চুলকানির কারণ।
এছাড়াও তিনি জানিয়ে দিবেন চুলকানির জন্য আপনার
ক্ষেত্রে কোন মলম সবথেকে ভালো হবে। যেহেতু এখন বর্তমানে চুলকানি নিত্যনৈমিত্তিক
একটি সমস্যা তাই সকল চিকিৎসকেরা যে দুটি মলমের কথা উল্লেখ করছেন সেগুলো হলো
- জোল স্কিন মলম (Zole Skin Ointment)
- ইজেক্স ক্রিম (Ezex Cream) ক্রিম
তাই এক্ষেত্রে চুলকানির সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনার জন্য কোন ক্রিম ভালো হবে
সেটি একমাত্র আপনার চিকিৎসকই বলতে পারবেন। কেননা তিনি সকল কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে দেখবেন তারপরে তিনি সঠিক রেজাল্ট জানাবেন আশা করছি আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। যদি কোন কিছু জানার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট
করে জানাবেন।
সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ
চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির বেশ কিছু ঔষধের নাম আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি।
এখন আপনারা অনেকেই জানতে চান সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ কোনটি ব্যাবহার করবো। অথবা
কোন কারণে আমার এমন গায়ে এমন চুলকানি দেখা দিচ্ছে।
আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে
চুলকানি হতে পারে। সেটি হতে পারে কোন নির্দিষ্ট জিনিস বা বস্তুর সংস্পর্শে আসার
কারণে। অথবা অন্য কোন কারণে। সারা গায়ে চুলকানি রয়েছে। আর এই চুলকানি দূর করার জন্য ঔষধ গুলো ব্যবহার করার
পূর্বে আমাদের সকলেরই জানা প্রয়োজন আমাদের শরীরে এই সকল চুলকানির আসল কারণ গুলো
কি।
অর্থাৎ কোন কারণে জন্য আমাদের শরীরে এমন ধরনের চুলকানি দেখা দিচ্ছে। যে সকল
কারণে চুলকানি দেখা দেয় সেই সকল কারণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
- শরীরের হরমোন যদি পরিবর্তন হয়
- যদি লিভারের রোগ থাকে
- অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে
- কোন নির্দিষ্ট বস্তুর সংস্পর্শে আসলে
- কোন নির্দিষ্ট খাবারের সংস্পর্শে আসলে
উপরের উল্লেখিত এই সকল কারণগুলোর জন্যই আমাদের শরীরে আসলে চুলকানি গুলো দেখা
যায়। আর এই চুলকানি দূর করার জন্য বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে। আবার বেশ কিছু
কোম্পানির ঔষধও রয়েছে। আপনি চাইলে সেই সকল গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি
ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে কোন সকল ক্রিমগুলো আপনি ব্যবহার করবেন চলুন গুলোর নাম
জেনে নেই।
- পেভিটিন ক্রীম
- পেভিসোন ক্রীম
চুলকানি দূর করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই দুটি ক্রিম। এই ক্রিম
আপনার চুলকানির জায়গায় দিনে দুইবার ব্যবহার করতে হবে। এর অর্থ হল আপনার শরীরে
যে সকল জায়গায় চুলকানি দেখা দিচ্ছে সেই সকল জায়গায় আপনার এই ক্রিমগুলো
ব্যবহার করতে হবে।
চুলকানির এই ক্রিমটি আপনি বাজারের যেকোন ফার্মেসিতে পেয়ে
যাবেন। সেখান থেকে আপনি কিনতে পারবেন। এই ক্রিমের দাম এখন ১০০ টাকা অথবা এর কম
বেশি হতে পারে। এই দুটি ক্রিম ছাড়াও বর্তমান বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির আরো অনেক ধরনের ক্রিম
রয়েছে।
চুলকানি দূর করার ক্ষেত্রে আপনি সেই সকল ক্রিমগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
নিম্নে এমন বেশ কিছু ক্রিমের নাম তুলে ধরা হলো।
- ফানজিডাল - এইচসি ক্রীম
- পান্ডা মলম
- Betameson Cl Cream
- Fungin
- Fungin-B
চুলকানি হওয়ার কারণ কি?
আপনি হয়তো এখন ভাবছেন আমি তো এখন চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির সকল ঔষধ
এর নামগুলোই জানি। আমি চাইলেই সেই ঔষধ খেতে পারি। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না আপনি
ঠিক কোন কারণে এমন চুলকানির স্বীকার হচ্ছেন।
যদি সেটি নির্দিষ্টভাবে খুঁজে বের
করতে পারেন তাহলে আপনি আরো অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। তাই চলুন এখন আমরা জেনে নেই
চুলকানি হওয়ার কারণ কি?
আমরা সকলেই জানি যে চুলকানি হল একটি বিরক্তিকর সমস্যা। যেটি আমাদের দৈনন্দিন
জীবনের চলাফেরা কে ব্যাঘাত ঘটায়। যখন আমাদের শরীরে চুলকানি হয় তখন এই চুলকানির
সমস্যা নিয়ে কোন একজন মানুষের সামনে যেতেও আমাদের বিরক্তিকর বোধ হয়।
তবে এই
চুলকানি নৃত্যনাট্যের সমস্যা বলে ধরা হলেও কখনো এটিকে হেলায় ফেলে রাখা উচিত নয়।
কেননা একজন মানুষের ত্বকে চুলকানি দেখা দিতেই পারে। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের বিভিন্ন রোগের কারণে চুলকানি হয়ে থাকে।
তাই সবসময়
আমাদের সবার প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে চুলকানি হওয়ার আসল কারণ কি। তাহলে চলুন
এখন আমরা জেনে নেই চুলকানি কোন কোন কারণে হয়ে থাকে। কিছু নির্দিষ্ট কারণে
চুলকানি হয়ে থাকে। সেই সকল কারণগুলো হল।
- এলার্জিজনিত খাবার
- একজিমা
- হরমোনের পরিবর্তন
- মশার কামড়
- ম্যালিগন্যান্ট টিউমার
- ধুলো
- ঋতুর পরিবর্তন
- এন্ডোক্রাইন রোগ
- ভেরিকোজ ভেইনস
এলার্জিজনিত খাবারঃ এমন অনেক খাবার রয়েছে যে সকল খাবার গুলো খাওয়ার ফলে
আমাদের শরীরে এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। এমনই কিছু উল্লেখযোগ্য খাবারের মধ্যে
রয়েছে "বেগুন, কচুর লতি, গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, বাসি পচা খাবার, পুঁইশাক
ইত্যাদি। তাই এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে এমন ধরনের খাবার খাওয়া থেকে আমাদের বিরত
থাকতে হবে।
একজিমাঃ একজিমা নামক শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। কারণ আমাদের মধ্যে
প্রায় অনেকেরই এমন সমস্যা হয়ে থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি আমাদের শরীরে প্রভাব
বিস্তার করে শরীরের উপরে লালচে ভাব, ফোলাভাব এবং চুলকানির সৃষ্টি না করছে ততক্ষণ
এটিকে একদিমা বলা যাবে না। তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলকেই সতর্ক থাকা উচিত।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি
হরমোনের পরিবর্তনঃ আমাদের শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের ফলেও চুলকানির সৃষ্টি
হতে পারে। এটি সর্বাধিক দেখা যায় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। যখন একজন মেয়ে
গর্ভবতী অবস্থায় থাকে তখন তার শরীরের যখন হরমোনের পরিবর্তন হয় তখন সেই মহিলার
যতই বিভিন্ন ধরনের চুলকানির উপসর্গ দেখা দেয়।
মশার কামড়ঃ আমাদের বাড়ির আশেপাশে পচা নর্দমার পানিতে এবং জমে থাকা
পানিতে মশার বিস্তার করে। আর এই মশা যখন আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠে তখন এই মশার শরীরে
থাকা জীবাণুর কারণে এই মশা আমাদের শরীরে কামড় দিলে এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমারঃ অনেকের ক্ষেত্রে এমন দেখা গিয়েছে যাদের
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের চুলকানির উপসর্গ দেখা
দিয়েছে। এমনই একটি টিউমারের নাম হল লিম্ফোমা টিউমার।
যেটি আমাদের ত্বকে চুলকানোর
জন্য একটি বিশেষ ধরনের পদার্থ নিঃসরণ করে। এছাড়াও ক্যান্সারের আক্রান্তের কারণেও
শরীরে চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
ধুলোঃ আমরা রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় ধুলোবালি উড়ে যেতে দেখি। এই
ধুলোবালি আমাদের মধ্যে অনেকের সহ্য হয় আবার অনেকের সহ্য হয় না। যাদের ক্ষেত্রে
সহ্য হয় না তাদের ক্ষেত্রে শরীরে এলার্জি চুলকানি দেখা দেয়।
ঋতুর পরিবর্তনঃ মৃত্যুর পরিবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণে আমাদের শরীরের
চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল তাদের
ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়।
এর কারণ হলো ঋতুর পরিবর্তনের ফলে ত্বক
অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে সহ্য করতে পারেনা। আর এই সমস্যাটি সবথেকে বেশি দেখা দেয় শরৎ
এবং শীত ঋতুর শুরুতে।
এন্ডোক্রাইন রোগঃ মেয়েদের ক্ষেত্রে এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে। যেমন
ডায়াবেটিস অথবা থাইরয়েডের কারণে যখন কর্মহীনতায় ভোগে তখন এই চুলকানি উপসর্গ
অনেক বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও এমন চুলকানি সমস্যা দেখা
দিতে পারে।
ভেরিকোজ ভেইনসঃ ভেরিকোজ ভেইনস হলো খুবই সাধারণ। যাদের ক্ষেত্রে দুর্বল
রক্ত সঞ্চালন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশি হয়ে ওঠে। এছাড়াও রক্ত
সঞ্চালন করার সময় যখন সম্পূর্ণ শরীরের রক্ত সঞ্চারিত হয়ে হৃদপিণ্ড ফিরে যেতে
অক্ষম হয় তখন এমন সমস্যা দেখা দেয়।
যদি এই সময়ে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা না হয়
তাহলে এই সমস্যা আরো অনেক বেশি গুরুতরও হতে পারে।
চুলকানির জন্য কখন ডাক্তার দেখাতে হবে?
চুলকানি অনেকটাই কষ্টকর একটি রোগ। যেটা অসহ্যকর ও বটে। তাই যখন আমাদের শরীরে চুলকানি দেখা দিবে তার সাথে সাথেই আমাদের ডাক্তারকে দেখানো উচিত। এখন আবার অনেকেই জানতে চান চুলকানির জন্য কখন ডাক্তার দেখাতে হবে? চলুন তাহলে জেনে নেই।
- যখন দেখবেন আপনার ত্বকে সাধারণ চুলকানি দেখা দিচ্ছে এবং চুলকানির মলম ব্যাবহার করার ফলে সেই চুলকানি দূর হয়ে যাচ্ছে তাহলে এমন অবস্থায় কোন প্রকারের ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন নেই।
- যখন দেখবেন শরীরের এলার্জিগুলো এমনি হচ্ছে এবং দুই একদিনে ঔষধ খাওয়ার পরেও সেটি কমছে না তখন অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। এছাড়াও যদি এলার্জির কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয় তাহলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
- এলার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে আরো একটি হলো ড্রাগ এলার্জি। এই এলার্জির কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি উঠা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, ক্লান্তি অনুভব, বমি বমি ভাব এই সকল উপসর্গগুলি দেখা দেয়। এমন হলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- যদি কোন ঔষধ সেবনের ফলে অনেক গুরুতর এলার্জি হয় তাহলে এটি অনেক বড় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এমন অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির ২০২৪ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞসা (FAQ)
প্রশ্নঃ চুলকানি দূর করার জন্য কোন ঔষধ সবচেয়ে ভালো?
উত্তরঃ আমাদের সকল শরীরের চুলকানি যেহেতু আলাদা ধরণের হয়ে থাকে, তাই ঠিক
নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় কোন ঔষধটি ভালো হবে। তাই আপনার চুলকানির জন্য
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপরে ঔষধ গ্রহণ করবেন।
প্রশ্নঃ গোপনাঙ্গে চুলকানির জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো?
উত্তরঃ বর্তমান সময়ে গোপনাঙ্গে চুলকানির জন্য আপনি ক্লোট্রিমাজোল ঔষধটি
খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো কি কি?
উত্তরঃ এলার্জির জন্য বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য খাবার রয়েছে। সেগুলো হলো
- গরুর মাংস
- পুঁইশাক
- বাদাম
- কচুর লতি
- চিংড়ি
- সয়া এবং আরো অনেক কিছু
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমরা আপনাদের সাথে চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির ২০২৪ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার
মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এমনই আরো তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল
প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment