সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কতপ্রিয় পাঠক, আপনি কি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কেননা আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে আমরা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত, সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত, সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা, সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো, সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি এবং সোদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত

আমাদের দেশে যেমন ধরনের বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে তেমনি সৌদি আরবের এমন অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে। যে কোম্পানিতে কাজের জন্য প্রতিবছর অনেক লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। আর সেই শ্রমিকদেরকে কাজের জন্য বিভিন্ন বেতন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও যাদের কাজের প্রতি দক্ষতা বেশি তাদেরকে কাজের ভিন্নতার ভিত্তিতে আলাদা আলাদা ধরনের পুরাতন প্রদান করা হয়।

সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা জানবো। কোম্পানিতে কাজের প্রকৃতি ভেদে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যেহেতু কাজের প্রকৃতি আলাদা তাই এই সকল কাজের জন্য আলাদা আলাদা ধরনের বেতন দেওয়া হয়ে যাবে। তাই আপনি যদি সৌদি আরবে কাজের জন্য কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সৌদি আরবে কোন কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে গেলে কেমন বেতন পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে আগেই জেনে যাওয়া উচিত। আপনি যদি না জেনে থাকেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
  • সৌদি আরবের কোম্পানির লেবার ভিসায় বেতন দেওয়া হয় সর্বনিম্ন ৮০০ রিয়াল থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত
  • সৌদি আরবের ড্রাইভিং কোম্পানির ভিসার বেতন ২০০০ সৌদি রিয়াল থেকে ৫০০০ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • সৌদি আরবের সুপার মার্কেট ভিসায় বর্তমানে বেতন দেওয়া হয় ১২০০ রিয়াল থেকে ১৪০০ রিয়াল পর্যন্ত।
তবে সৌদি আরবে কাজের বেতনের পরিমাণ নির্ভর করে থাকে কোম্পানির ওপরে এবং কাজের প্রকৃতির উপরে। সৌদি আরবে এমন অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে যে সকল কোম্পানিগুলো তার শ্রমিকদের অনেক ভালো পরিমাণে বেতন প্রদান করে থাকে। আর এমন ধরনের কোম্পানির তালিকা সবার প্রথমে রয়েছে সৌদি আরামকো কোম্পানি। এই কোম্পানির কাজ হল তেল শোধন করা।

তাই এই কোম্পানির কর্মরত শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন বাংলাদেশী টাকায় ৩৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র যে এই একটি কোম্পানি এমন ভালো মানের বেতন দিয়ে থাকে তার শ্রমিকদের তেমনটি নয়। এই সৌদি আরামকো কোম্পানি ছাড়াও আরো অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে যে সকল কোম্পানি অনেক ভালো পরিমাণে বেতন দিয়ে থাকে। চলুন তাহলে আমরা এবার সকলেই সেই কোম্পানগুলোর নাম জেনে নেই।
  • আরামকো কোম্পানি
  • আল মারাই কোম্পানি
  • আল বদর কোম্পানি
  • আল খায়ের কোম্পানি
  • আল-ইমামা কোম্পানি
  • ইনিশিয়াল কোম্পানি
  • জুসুর ইমদাদ কোম্পানি
  • সাসকো কোম্পানি
  • বলদিয়া কোম্পানি
  • পেপসি কোম্পানি

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত

আপনি যদি সৌদি আরবে ক্লিনার ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনার জানা উচিত সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত টাকা আপনাকে দেওয়া হবে। যেহেতু সৌদি আরবে ক্লিনার ভিসার মাধ্যমে গেলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না, তাই অধিকাংশ মানুষজন এই ক্রিনের ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে চান। আর তাই সৌদি আরব প্রতিবছর বিশ্বের সকল ধরনের মুসলিম দেশগুলো থেকে ক্লিনার ভিসার জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের ক্লিনার ভিসার জন্য কাজের আগ্রহ নেই এমন ব্যক্তি খুব কম পরিমাণে পাওয়া যাবে। কারণ যেহেতু এই কাজ পাওয়া তুলনামূলক সহজ তাই এই কাজের জন্য সকলেই আগ্রহ কম। তবে এই কাজের ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হলো বর্তমানে সৌদি আরবে ক্লিনার ভিসার বেতন অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার জন্য এই বিষয়ে বেতন আনুমানিক ৬০০ রিয়াল সৌদি রিয়াল থেকে ১৫০০ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।
যেটা বাংলাদেশী টাকায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা অথবা এর কম বেশি হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি ক্লিনার ভিসার জন্য কোন এক ভালো কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন তুলনামূলক অনেকটাই বেশি হবে। আর সেজন্য আপনার বেতন সর্বনিম্ন ৬০০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার অথবা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে জানার পরেও আবার অনেকে সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা সম্পর্কে জানার আগ্রহ জাগে। সৌদি আরবে অনেক ধরনের কাজ পাওয়ার পরেও এই সুপার মার্কেটের ভিসা অনেকটাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে এই কাজের জন্য বাংলাদেশের এমন অনেক লোক নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের এমন অনেকেই রয়েছেন যারা সৌদি আরবে এই কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন।
সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা
তাই আপনারা যারা সৌদি আরবের সুপার মার্কেট ভিসায় যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই সৌদি আরবের সুপার মার্কেট ভিসা বেতন কত টাকায় সে সম্পর্কে জানাও উচিত। সৌদি আরবের সুপার মার্কেট ভিসার বেতন নির্ভর করে থাকে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং আপনার কাজের ডিপার্টমেন্টের উপরে। এর অর্থ হল আপনি সুপার মার্কেটের কোন ডিপার্টমেন্টের কাজ করছেন এবং আপনার কাজের গতি কেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ওপরে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়।

আপনি যখন নতুন পর্যায়ে সৌদি আরবের সুপার মার্কেটের ভিসায় যাবেন তখন আপনাকে সাপ্লাই কোম্পানির মাধ্যমে সবার সাথে কাজ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আপনার কাজের সময় হবে আট ঘন্টা থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত। এছাড়াও আপনি এই কাজের জন্য ওভারটাইম কাজ করানো সুবিধা পাবেন। যেখান থেকে আপনি ওভারটাইম করার মাধ্যমে বেতনের প্রায় সমপরিমাণ টাকা তুলতে পারবেন।

সৌদি আরবের সুপার শপের এই কাজের জন্য আপনাকে মাসিক এক হাজার রিয়াল থেকে ১২০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে। তবে আপনি কাজ করতে করতে যখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মী হয়ে যাবেন তাহলে আপনাকে মাসিক বেতন ১৫০০ রিয়াল অথবা তার ঊর্ধ্বে দেওয়া হবে। তবে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই কাজের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে সৌদি আরব যান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন প্রথম অবস্থায় থেকেই অনেক বেশি হয়ে থাকবে।
সৌদি আরবে এমন অনেক সুপার শপ রয়েছে যে সকল সুপার সাথে ৮ ঘন্টা থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি করার প্রয়োজন হয়। আর সেজন্য আপনাকে বেতন দেওয়া হবে ১৫০০ সৌদি রিয়াল থেকে ২০০০ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো, আপনার খাওয়ার খরচ নিজের হলেও এখানে থাকার ব্যবস্থা কোম্পানিই করে দেয়। এছাড়াও এই কোম্পানির মালিক আপনাকে প্রতিবছর কাজের জন্য আকামা করে দিবে।

সৌদি আরবের কিছু জনপ্রিয় সুপার মার্কেট গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সুপার মার্কেটের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • হাইপার সুপার মার্কেট
  • গ্র্যান্ডমল
  • পান্ডা হাইপার সুপারমার্কেট
সৌদি আরবের সবথেকে জনপ্রিয় এই তিনটি সুপার মার্কেটেই কাজের জন্য সবথেকে বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও এই সুপার মার্কেটে কাজের জন্য এবং বেতন নিয়ে কোন প্রকারের ঝামেলায় পড়তে হয় না। সৌদি আরব যেহেতু প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের মুসলিম দেশ হতে সুপার মার্কেটের জন্য নিয়োগ দেয় সেহেতু বাংলাদেশও এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। যার জন্য আপনি খুব সহজেই এই ভিজার মাধ্যমে আবেদন করেছে সুপার মার্কেটে কাজ করতে পারবেন।

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি। এখন এই পাঠের মধ্যে আমরা সকলেই সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। যেহেতু সৌদি আরব প্রতিবছর অনেক মানুষজন কাজের জন্য গিয়ে থাকেন তাই আমরা যারা নতুন আছি সৌদি আরবে কাজের জন্য যেতে চাই তাদেরকে অবশ্যই সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এই সম্পর্কে জানা উচিত।

সৌদি আরবে কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা নির্ধারণ করা রয়েছে। সেই সকল ভিসাগুলো হলো
সৌদি আরব যাওয়ার জন্য উপরের উল্লেখিত ভিসার গুলো নির্ধারণ করা রয়েছে। এখান থেকে আপনি যে কোন একটি ভিসা বেছে নিয়ে সেই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে পারেন। তবে আপনার জন্য কোন ভিসাটি ভালো হবে সেটি জানার জন্য চলুন তাহলে এই ভিসাগুলো সম্পর্কে আগে বিস্তারিত জেনে নেই।

আমল আইডি ভিসাঃ আপনি যদি এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে আপনাকে সেখানে গিয়ে আপনার একজন মাত্র কফিল থাকবে আপনাকে সেই কফিলের অধীনে কাজ করতে হবে। আপনি সেই কফিলের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না। তাই এই কাজে যাওয়ার জন্য সৌদি আরবের একজন কফিলের অনুমতি বা রেফারেন্স পাওয়া বাধ্যতামূলক। তবে এই ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার কফিলকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফি দিতে হবে।

আমেল মঞ্জিল ভিসাঃ যারা সৌদি আরবে বিভিন্ন ধরনের বাসা বাড়িতে কাজ করতে যেতে চান তাদের জন্য মূলত এই আমেল মঞ্জিল ভিসা। ভিসার মাধ্যমে গেলে আপনি আপনার বাড়ির মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করতে পারবেন না। এই আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রতি বছর রিনিউ করতে হয়। যার জন্য আরো একটা বাড়তি খরচ ১ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ হয়ে যায়। এই ভিসার জন্য আপনি যে সকল কাজগুলো পাবেন সেগুলো হলো
  • দারোয়ান
  • কেয়ার টেকার
  • ক্লিনার
  • ইত্যাদি
ক্লিনার ভিসাঃ যারা কোন প্রকার কাজের প্রতি দক্ষ নয় তাদের জন্য এই ভিসা হল একটি উপযুক্ত ভিসা। যে সকল ব্যক্তিগণ সৌদি আরব যেতে চান কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে তেমন দক্ষতা নেই তারা চাইলে এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে পারেন। তবে এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব গেলে আপনাকে অনেক বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করতে হবে। তবে পরিশ্রম বেশি হলেও আপনি অনেক ভালো টাকা বেতন পাবেন। এই ভিসার কাজ হল রাস্তায় ক্লিনিং এর কাজ করা। যাকে খাঁটি বাংলায় বলা হয় পরিছন্নতা কর্মীর কাজ।

চাওয়াক খাছ ভিসাঃ এই ভিসাটি দেওয়া হয়ে থাকে সৌদি আরবের ড্রাইভারদের জন্য। যারা গাড়ির ড্রাইভিং করতে পারেন এমন লোক সৌদি আরবে অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই একজন ব্যক্তির ড্রাইভার হিসেবে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের একজন লোককে নিয়ে যায়। তবে এই কাজের জন্য সেই একজন মাত্র মালিকের অধীনে কাজ করতে হবে। সেই মালিক ব্যতীত অন্য কারো কাজ করার অনুমতি নেই।

মাজরার ভিসাঃ যারা বাগান শ্রমিকের কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। এই বিষয়ে মূলত কাজ হল সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের বাগান রয়েছে সেই সকল বাগানের কাজ করা। এই ভিসা তারাই বেশি নিয়ে থাকে যারা সৌদি আরবের কোন ধরনের কাজ করার জন্য দক্ষ নয়। তবে এই কাজ তুলনামূলক অনেকটাই কঠিন। যার জন্য এই ভিসার খরচ টাও কম।

সৌদি ফ্রি ভিসাঃ বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের এই ফ্রি ভিসা বন্ধ রয়েছে। তবে আপনি যদি এই ফ্রি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে আপনাকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হবে। যেহেতু এই ভিসার মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি পাওয়া যায় আর সেজন্যই দালাল চক্ররা এই ভিসার সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে থাকে। যার জন্য তারা মানুষজনকে ভুল তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।
সুপার মার্কেট ভিসাঃ যারা সুপার মার্কেটে কাজ করার জন্য যেতে ইচ্ছুক তারা এই সুপার মার্কেট ভিসায় যেতে পারেন। আপনি যদি এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যান তাহলে আপনি সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের সুপার হবে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও এই ভিসার সব থেকে বড় একটি সুবিধা হল এই ভিসার মাধ্যমে ওভারটাইম কাজ করা যায়। যেখান থেকে আরো বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

সৌদি কোম্পানি ভিসাঃ আপনি যদি সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে এটি হবে আপনার জন্য সবথেকে ভালো ভিসা। এই ভিসার মাধ্যমে যদি আপনি সৌদি আরব যেতে পারেন তাহলে আপনি সেখান থেকে কাজের জন্য অনেক ভাল পরিমানে সুযোগ সুবিধা পাবেন। তবে এজন্য আপনাকে কাজের জন্য দক্ষতা অর্জন করে তারপরে যেতে হবে।

সৌদি আরবের যত ধরনের ভিসা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি সকল ভিসাগুলো সম্পর্কে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার জন্য কোন ভিসা ভালো হবে। তবে একটি কথা না বললেই নয় আপনি যদি সৌদি আরবে কাজের জন্য কোম্পানি ভিসায় কোন একটি ভালো কোম্পানির ভিসা পেয়ে যান তাহলে আপনার জন্য সেই ভিসা সবথেকে ভালো হবে।

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি

ইতিমধ্যে আমরা সকলেই সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত এছাড়াও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা জানবো সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি এই সম্পর্কে। সৌদি আরবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে সেই সকল কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তাই চলুন এখন আমরা সকলেই সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি এই বিষয়ে জেনে নেই।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
সৌদি আরবে বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি বেতন দেওয়া হয় যে ৪টি কাজে সে চারটি কাজ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • রেস্টুরেন্ট অথবা হোটেলের কাজ
  • ড্রাইভিং এর কাজ
উপরের উল্লিখিত এই সকল কাজগুলো শেখার পরে যদি আপনি সৌদি আরবে যেতে পারেন অথবা এই সকল কাজের প্রতি যদি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সৌদি আরবে এই কাজের জন্য অনেক ভালো পরিমাণে বেতন পাবেন। তবে এই কাজ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে করবো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।

সোদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত

সৌদি আরবে বর্তমান সময়ে যেহেতু কোম্পানি ভিসার অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে তাই এই ভিসার মাধ্যমে যেতে কত টাকা খরচ হয় সেই সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। যদি আপনি সৌদি আরবে কোম্পানির অরজিনাল ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনি কাজের জন্য সেখানে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পাবেন। তবে আপনি যদি কোম্পানি ভিসা নেওয়ার জন্য দালাল চক্রের হাতে পড়ে যান তাহলে তারা আপনাকে কোম্পানি ভিসার নামে সাপ্লাই ভিসা দিয়ে দিবে।
যদি আপনি এমন ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব দিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রতি ধাপে ধাপে বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আপনি যখন সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দেখে বুঝে শুনে কোম্পানি সম্পর্কে সকল কিছু বিস্তারিত জানার পরে তারপরে আপনাকে যাওয়া উচিত হবে। তবে তার জন্য আপনাকে কোম্পানির ভিসাটি চেক করে নিতে হবে।

বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় যেতে খরচ হয়ে থাকে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা অথবা ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে আপনি যদি আপনার কোন পরিচিত মানুষের মাধ্যমে সেখানে যেতে পারেন অথবা যদি আপনার এমন কোন বিশ্বস্ত এজেন্সি থেকে থাকে যদি তাদের মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেকটাই কমে আসবে।

FAQ । সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত

প্রশ্নঃ সৌদি আরবে চাকরির সর্বোচ্চ বয়স কত?
উত্তরঃ সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, ১৮ হতে ৬০ বছরের সমবয়সী যেকোনো ব্যক্তি সৌদি আরবের কর্মসংস্থান করার জন্য কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্য।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবে ক্লিনার কি কাজ করে?
উত্তরঃ সৌদি আরবের ক্লিনারের কাজ হলো রাস্তার অথবা বিভিন্ন কোম্পানির ধুলোবালি পরিষ্কার করা।

প্রশ্নঃ সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা বেতন কত?
উত্তরঃ সৌদি আরবের সুপার মার্কেটের ভিসা ১২০০ রিয়াল থেকে ১৪০০ রিয়াল পর্যন্ত।

প্রশ্নঃ সৌদি ভিজিট ভিসা পেতে কত দিন লাগে?
উত্তরঃ সৌদি আরবের ভিজিট ভিসা পেতে হলে ৩ থেকে ৬ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবে কতদিন থাকা যায়?
উত্তরঃ যদি আপনি সৌদি আরবে ই-ভিসার মাধ্যমে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার সুযোগ দেয়। তবে যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ভিসা বেছে নিতে হবে।

শেষ কথা। সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত

আজকের আমাদের এই আর্টকেলে আমরা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post