সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কতপ্রিয় পাঠক, আপনি কি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করছেন? কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য জানতে পারছেন না? তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই পোস্টটি। কেননা আজকে আমরা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন কোন নিয়মে করবেন সেই সকল সটিক নিয়ম আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক, সৌদি কোম্পানি ভিসার আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি, সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত, এবং সোদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে চান। কিন্তু কিভাবে করবেন সেটা বুঝে উঠতে পারেন না। এছাড়াও তারা কোন নিয়ম অনুসরণ করে সৌদি আরবের কোম্পানিগুলোর জন্য ভিসা আবেদন করবেন সেটাও জানেন না। তাই আপনারা যারা এমন আছেন তাদের জন্য এই পোস্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আপনি যদি সৌদি আরবের ভিসা আবেদন আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে ভিসার জন্য মেডিকেল পরীক্ষা পাশ করতে হবে। এরপরে আপনি কোন ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা নিতে চাচ্ছেন সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী সকল কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে তারপরে আপনাকে ভিসার আবেদন করতে হবে। তবে এর জন্য আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। কিভাবে করবেন স্টেপ বাই স্টেপ আমরা দেখে নেই।
- সৌদি আরবের কোম্পানিগুলোর জন্য ভিসার আবেদন করতে আপনাকে সবার প্রথমে মেডিকেল পরীক্ষার পাস করার পরে visa.vfsglobal.com এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে আপনাকে নিজের জন্য একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপরে আপনি ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি নিচে না পারেন তাহলে আপনি কোন একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারেন।
- এই ওয়েবসাইটে এসে আপনাকে এখন ভিসার ধরন চিহ্নিত করতে হবে।
- এরপরে আপনি সেই ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
- যখন আপনি ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া গুলো সম্পন্ন করবেন এরপরে আপনাকে সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধ করতে বলা হবে। সেটি আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে।
- এখন এখান থেকে একটি ফর্ম পাবেন ভিসার জন্য। সেই ফর্ম নিয়ে গিয়ে আপনার নির্দিষ্ট কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
- এরপরের কাজ হবে আপনার নিজের অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাক করা। এটি আপনার মোবাইল ফোনের মেসেজ এর মাধ্যমেও পেতে পারেন।
- এরপরে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকে।
আপনারা যারা এমন সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা হাতে পেয়ে সৌদি আরব কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন তারা উপরের দেওয়ার নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করে বিচার আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি যখন ভিসার আবেদন করবেন তখন সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ আপনার সকল তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে কিছুটা সময় নিয়ে আপনাদের ভিসা দিয়ে দেবেন। তবে এই সময়ের মধ্যে আপনি চাইলে আরবি ভাষার জন্য দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সৌদি আরব কাজ পাওয়ার জন্য আপনার আরো অনেক বেশি সুবিধা হবে।
আরো পড়ুনঃ দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
উপরের উল্লেখিত অনলাইনে আবেদন করা ছাড়াও আপনি নিম্নের দেখানো প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য আপনি অফলাইনে কোন কোন কাজ গুলো করবেন চলুন তাহলে সেগুলো এখন স্টেপ বাই স্টেপ দেখে নেওয়া যাক।
সৌদি আরবের ভিসার নিয়োগ কর্তার সাথে যোগাযোগ করুনঃ আপনি যদি অফলাইনে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে সবার প্রথমে আপনাকে এই ভিসার নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে তিনি আপনাকে বুঝিয়ে দিবেন কোন সকল নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করুনঃ আপনার এই নিয়োগকর্তার থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনি একটি ফরম পাবেন। খুবই সতর্কতার সহিত আপনাকে এই ভিসার ফরম পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিনঃ আপনার যদি সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য ফরম পূরণ করা হয়ে থাকে তাহলে এরপরে আপনাকে সেই ধরনের সাথে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তবে অবশ্যই সবগুলো তথ্য সঠিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ভিসার ফি প্রদান করুনঃ আপনি যে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা চাচ্ছেন সেই ভিসার ভেতরে একটি নির্ধারিত ফি রয়েছে। আপনাকে সেই প্রদান করতে হবে।
ভিসা হাতে পেতে অপেক্ষা করুনঃ ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার এই ভিসা অনুমোদন পেতে কিছুটা সময় লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত অবশ্যই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আপনি যখন সৌদি আরবের কোম্পানিতে কাজে যাওয়ার জন্য ভিসা পাবেন সেই ভিসায় একটি নির্ধারিত মেয়াদ উল্লেখ করা থাকবে। সৌদি আরব যাওয়ার পরে সে কাজের ক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই আপনাকে সৌদি আরব ট্যাগ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার চাকরি পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই অন্য আরেকটি ভিসার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সৌদি আরবের সকল আইন কানুন মেনে চলতে হবে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করার পরে আপনি যখন সৌদি আরবের সেই কোম্পানির ভিসা হাতে পাবেন তখন অবশ্যই আপনার উচিত হবে কোম্পানির ভিসা চেক করে নেওয়া। আর এই কাজটি আপনি বাড়িতে বসে থেকেই মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করেই করতে পারবেন। কিভাবে এই কাজটি করবেন চলুন তাহলে জেনে নেই।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে একটি সৌদি আরবের সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তার জন্য আপনাকে visa.mofa.gov.sa এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
এরপর আপনার নিজের এবং আপনার ভিসা সকল ইনফরমেশন গুলো সেখানে দিয়ে দেবেন। সেই সকল ইনফরমেশন গুলোর মধ্যে রয়েছে (পাসপোর্টের নম্বর, ভিসার ধরন, জাতীয়তা, ভিসায়ীশ্বর জন্য অথরিটি, এবং ইমেজ কোড)। এই সকল তথ্যগুলো যখন আপনি সঠিকভাবে দিয়ে সার্চ বাটনে ক্লিক করবেন তখন সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভিসার সকল যাবতীয় তথ্য চলে আসবে।
আরো পড়ুনঃ বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম
এখান থেকে আপনি যেখানে পাবেন আপনার জন্য কোন ভিসা দেওয়া হয়েছে। এবং সেই ভিসার সকল ইনফরমেশন গুলো দেখতে পাবেন। সেই ভিসার মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত রয়েছে সেটিও আপনি সেখান থেকে দেখতে পাবেন। আর এভাবে মূলত আপনি বাড়িতে বসে থেকেই মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনার ভিসা চেক করে নিতে পারেন।
সৌদি কোম্পানি ভিসার আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যখন সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে যাবেন তখন অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। আপনি যদি সেই সকল কাগজপত্রগুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করে নেন তাহলে আপনার ভিসার জন্য আবেদন করা আরো বেশি সহজ হবে। তাহলে চলুন এখন আমরা এই পর্বের মধ্য থেকে সৌদিতে কোম্পানি ভিসার আবেদন করতে কোন কোন কাগজপত্রগুলোর প্রয়োজন হবে সেগুলো দেখে নেই।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং মূল কপি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের মূল কপি অথবা ফটোকপি
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট ৪ কপি ছবি
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
- ভিসার জন্য আবেদন ফর্ম
- কাজের নিয়োগকর্তার প্রেরিত চিঠি
- ভ্রমণ বীমা
একটি বৈধ পাসপোর্টঃ আপনি যখন সৌদি আরব কাজের ক্ষেত্রে যেতে চাইবেন তখন তার বলবে অবশ্যই আপনাকে একটি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। সেই পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই আপনার ভিসার মেয়াদ থেকে ৬ মাস বেশি মেয়াদ হতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং মূল কপিঃ বাংলাদেশ সরকার করতে নির্ধারিত আপনার জন্য নাগরিক পত্রের এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং মূলকপি জমা দিতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের মূল কপি অথবা ফটোকপিঃ আপনি কত দূর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করেছেন সেই সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্রের মূলকপি এবং ফটোকপি আপনাকে জমা দিতে হবে।
মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেটঃ একজন স্বীকৃত চিকিৎসকের নিকট থেকে আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে এবং আপনার সকল বিষয় সম্পর্কে সাম্প্রতিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আবেদনকারীর পাসপোর্ট ৪ কপি ছবিঃ ভিসার আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে। হবে সেই ছবিতে অবশ্যই আপনার কান পর্যন্ত দেখা যেতে হবে।
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্রঃ আপনি যদি কোন কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে সেই কাজের প্রমাণপত্র।
আরো পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ভিসার জন্য আবেদন ফর্মঃ আপনি যখন সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইবেন এবং সেই সময় আপনাকে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে। বিচার আবেদন করতে অবশ্যই আপনাকে সেই ফর্ম পূরণ করে তাদেরকে জমা দিতে হবে।
কাজের নিয়োগকর্তার প্রেরিত চিঠিঃ আপনি ভিসার জন্য আবেদন করার পরে একটি কোম্পানি আপনাকে নিয়োগ দিতে। সেই নিয়োগ পত্রের ভিতরে উল্লেখ করা থাকবে আপনি কোন কাজ করছেন, আপনার কাজের বেতন কত এবং আপনার কাজের সময়কাল কতখানি। এই সমস্ত কিছু নিয়োগ পত্রের ভিতরে উল্লেখ করা থাকবে।
ভ্রমণ বীমাঃ আপনি যখন এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাচ্ছেন তখন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ক্ষেত্রে ভ্রমণ বীমা প্রযোজ্য।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে হয় কিভাবে এবং কোন সকল প্রয়োজনীর কাগজপত্র গুলোর প্রয়োজন হয় আমরা সেই সকল বিষয় ইতিপূর্বে জেনেছি। এখন আমরা জানবো সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি। কারণ আপনি যদি এমন কোন কাজ জেনে থাকেন যেই কাজের বেতন অনেকটাই বেশি পরিমাণে সৌদি আরবে রয়েছে তাহলে আপনার সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। আর সেই সকল কাজের ক্ষেত্রে বেতন অনেক ভালো পরিমাণে দেওয়া হয়ে থাকে। যেখানে অন্যান্য সকল দেশে প্রাবাসীদের কাজের বেতন অনেকটাই কম দেওয়া হয়ে থাকে, সেখানে সৌদি আরবে প্রসাবীদের কাজের ক্ষেত্রে অনেক ভালো পরিমাণে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি চান তাহলে নিম্নের দেওয়া কাজগুলো শিখে সৌদি আরব যেতে পারেন।
এর প্রধাণ কারণ হলো এই সকল কাজের ক্ষেত্রে সৌদি আরবে অনেক ভালো পরিমাণে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই সকল কাজের পাশাপাশি আরো অনেক ধরণের সুযোগ সুবিধা ও দেওয়া হয়ে থাকে। সৌদি আরবে যেই সকল কাজের চাহিদা অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- ব্যাংকার
- ব্যবস্থাপক
- ডাক্তার
- নার্স
- আইনজীবী
- প্রকৌশলী
- অ্যাকাউন্টেন্ট
উপরের উল্লেখিত সকল কাজের ক্ষেত্রে সৌদি আরব অনেক বেশি পরিমাণে বেতন দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আবার অনেকেই চিন্তা করে থাকেন আমি তো এমন প্রফেশনাল কাজ জানি না। তাহলে তাদের জন্যও বিকল্প কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। আর এই সকল বিকল্প কাদের ক্ষেত্রে অনেক ভাল পরিমাণে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এই সকল কাজের জন্য সৌদি আরবে অনেক বেশি চাহিদা।
আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
আর আমরা এমনটা সকলেই জানি যে যেই কাজের চাহিদা বেশি থাকে সেই কাজের ক্ষেত্রে বেতনও অনেক ভালো এবং বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এমন আরো বেশ কিছু কাজের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো।
- প্লাম্বিং
- কন্সট্রাকশন
- টেকনিশিয়ান
- ইলেকট্রিক
- অটোমোবাইল
উপরের উল্লেখিত এই সকল কাজগুলোর ক্ষেত্রে সৌদি আরবে অনেক ভালো পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি এই সকল কাজগুলোর ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে তারপরে সৌদি আরবে যান তাহলে আপনি সেখানে অনেক ভালো পরিমাণে বেতন পাবেন। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছেই।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করার পরেই আমাদের জানার যে আগ্রহ থাকে সঠিক হল সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা দেওয়া হয়। তাই আপনি যদি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার জন্য কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে যেতে চান তাহলে এই বিষয়টি আপনার নজরে রাখা উচিত। তাই চলুন এ বিষয়েও আমরা জেনে নেই।
সৌদি আরবের যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে আর তাই সেই সকল কোম্পানির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ধরনের কাজও রয়েছে। আপনার যদি কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকে এবং সেই কাজের জন্য আপনার যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনার সে দক্ষতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে কাজের দক্ষতা এবং কাজের যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে সেই কোম্পানির কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।
বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে ৮০০ সৌদি রিয়াল থেকে ১৫০০ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছেই। সেই সকল সুযোগ সুবিধাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সুযোগ সুবিধা হল
- আকামা খরচ কোম্পানি বহন করে
- সেখানে থাকা এবং খাওয়ার খরচ কোম্পানির
- দেশে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানি বিমান টিকিট সংগ্রহ করে দেয়
- কোম্পানির বিমানের ভাড়ার খরচ বহন করে
তাই আপনি যদি সৌদি আরবে কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে এমন সকল উল্লেখযোগ্য সুযোগ সুবিধা গুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে দেখে শুনে সৌদি আরবের ভালো কোম্পানিতে চাকরি করতে হবে। তবে এর জন্য কোন প্রকার দালালের সহযোগিতা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি আপনার পরিচিত কেউ সৌদি আরব থেকে থাকে তাহলে আপনি তার থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন।
সোদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত
আমাদেরকে শুধু সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করলেই হবে না। তার সাথে সাথে আমাদেরকে সোদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত সেটি সম্পর্কেও জানতে হবে। কেননা আপনি যদি খরচ বহন করতে না পারেন তাহলে সৌদি আরব কিভাবে যাবেন। আর যদি সেখানে নাই যেতে পারেন তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করে তো কোন লাভ নেই। তাই চলুন আমরা এখন সকলেই সোদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত সেটি সম্পর্কে জেনে নেই।
বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। আর সেটির কারণ হলো যদি সৌদি আরবে ভালো কোন কোম্পানির ভিসার মাধ্যমে যেতে পারা যায় তাহলে সেখানে ভালো বেতনের পাশাপাশি আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। তবে আমরা বেশিরভাগ সকলেই ভুল করে দালালের পাল্লায় পরে যাই। আর তিনি আমাদেরকে সাপ্লাই ভিসা ধরিয়ে।
আরো পড়ুনঃ ১০+ অনলাইন ইনকাম করার উপায়
আর এই সাপ্লাই ভিসার মাধ্যমে যদি সৌদি আরব যাওয়া যায় তাহলে সেখানে ধাপে ধাপে বাধার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আমাদের সকলেরই সৌদি আরব যাওয়ার জন্য সৌদি আরবের কোম্পানির অরিজিনাল ভিসা সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে হবে। আর সেজন্য আপনি সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা হাতে পাওয়া মাত্রই সেই ভিসা চেক করে নিবেন।
বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে কোম্পানির ভিসার মাধ্যমে যেতে চাইলে সেক্ষেত্রে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। তবে এজন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার পরিচিত কোন মানুষ অথবা পরিচিত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে। এছাড়া আপনি যদি যেতে চান তাহলে আপনার খরচ আরো অনেক বেশি বেরে যাবে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ বিষয় বুঝতে পেরেছেন।
FAQ। সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
সৌদি আরবের কাজের ভিসা কিভাবে চেক করব?
আপনার সৌদি আরবের কাজের ভিসা চেক করার জন্য আপনি visa.mofa.gov.sa এই ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো যদি দিয়ে দেন তাহলেই আপনার সেই ভিসার সকল তথ্যগুলো দেখতে পাবেন। এবং সেই ভিসা কোন কাজের জন্য ও কোন কোম্পানির সেটিও দেখতে পাবেন।
কত বছর বয়স হলে সৌদি আরব যাওয়া যায়?
যদি আপনার বয়স নূন্যতম ২১ বছর হয়ে থাকে এবং উর্ধে ৪৫ বছর হয়ে থাকে তাহলেই আপনি সৌদি আরব যেতে পারবেন।
সৌদি আরব যাওয়ার খরচ কত?
বর্তমান সময়ে সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে খরচ হয়ে থাকে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তবে দালালের হাতে পরলে সেটি আরো অনেক বেশিও হয়ে যেতে পারে।
সৌদি ই ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
আপনি যদি সৌদির ভিসার জন্য আবেদন করে ফেলেন এবং আপনার আবেদন যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার সময় ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত লাগতে পারে।
সৌদি আরবে সবচেয়ে ভালো চাকরি কোনটি?
সৌদি আরবের বেশ কিছু সেরা চাকরি রয়েছে। সেগুলো হলো
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- শিক্ষকতা
- নার্সিং পেশা
- একাউন্টিং
- অডিট পেশা
সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা বেতন কত?
সৌদি আরবের সুপার মার্কেটের কাজের জন্য বর্তমান ১২০০ সৌদি রিয়াল থেকে ১৪০০ সৌদি রিয়াল।
সৌদি আরবে ড্রাইভার এর বেতন কত?
সৌদি আরবের ড্রাইভিং কাজের জন্য বর্তমান সময়ে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০০ থেকে ৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করবেন কিভাবে এবং সৌদি আরবের ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনি এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি তথ্যগুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিতে পারেন। এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment