হাতের চামড়া উঠার ক্রিমপ্রিয় পাঠক, আপনি কি বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নামগুলো জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন কেননা আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নামগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আপনি যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ছোট বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি আমাশয় কাকে বলে? বাচ্চাদের আমাশয় এর ঔষধ নাম, বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত, বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং শিশুদের আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নামগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ 

আমাশয় কাকে বলে?

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম জানার পূর্বে আমাদের সকলের উচিত হবে আমাশয় কাকে বলে? এই সম্পর্কে জানা। কেননা আমরা যদি না জানি আমার সাথে কোনটাকে বলে এবং কেমন হলে বুঝবো আমাশয় হয়েছে তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব না। তাই আমাদের সকলের সবার প্রথমেই আমাশয় কাকে বলে? এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

আমাশয় হলো মূলত আমাদের পেটের ভেতরের অন্ত্রের এক ধরনের ইনফেকশন জনিত সমস্যা। যদি আপনি আমি অথবা যদি কোন শিশু পেটের অন্ত্রের ভেতরে ইনফেকশন জনীত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তার আমাশয় হয়ে যাবে। এখানে ইনফেকশন বলতে মূলত বোঝানো হয়ে থাকে পেটের ভেতরে কোন ধরনের জীবাণুর প্রবেশ। আর এটি যদি আমাদের পেটের অন্ত্রের ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের পেটের সমস্যা অথবা আমাশয় এর সৃষ্টি হয়।

তবে আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত আমাকে কোন ধরনের মরণব্যাধি রোগ নয়। তবে এই সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই সতর্কতা উচিত। কেননা যদি আমার চাই দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে থাকে তাহলে এটি আমাদের মরণব্যাধির মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমরা আজকের এই পাঠে আমাকে বলে বাচ্চাদের কোন ধরনের সিরাপ খাওয়াতে হবে এবং বাচ্চাদের জন্য কোন ধরনের ঔষধ খাওয়াতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ এর নামগুলো এখন আমরা জানবো। এমন অনেকেই রয়েছে যদি বাচ্চাদের আমাকে হয় তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় কোন ঔষধ খাওয়াবেন সেই সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেন না। তাই আপনাদের সাথে এখন আমরা শেয়ার করব যদি আপনার বাচ্চার আমাকে হয়ে থাকে তাহলে সে আমাকে নিরাময় করার জন্য কোন ঔষধ গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
ছোট বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম
ফিলমেটঃ যদি আপনার বাচ্চার প্রাথমিক অবস্থায় আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার বাচ্চাকে এই ফিল্মেট 400 mg এর ওষুধটি খাওয়াতে পারেন। এই ওষুধ যদি খাওয়ানো হয় তাহলে আমাদের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায়।

এ্যামোডিস (Amodis): পাতলা পায়খানার সমস্যা জনিত রোগের সমাধানের জন্য এই এ্যামোডিস (Amodis) ঔষধটি অনেকটাই কার্যকরী একটি ঔষধ। এটি হলো মূলত একটি ওরাল সাসপেনশন ঔষধ। যেটির বাজার মূল্য ৬০ মিলির দাম ৩৫ টাকা। এই ঔষধটি বাচ্চাদের আমাশয় রোগের সমস্যার সমাধান করার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এছাড়াও আরো অনেক রোগের জন্য ডাক্তারগন এই ওষুধ সেবন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

জক্স (Zox): স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির আমাশয় রোধের জন্য একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকরী ঔষধের নাম হলো জক্স (Zox)। এই ঔষধের ৩০ মিলি এর দাম হল ৪০ টাকা। এছাড়াও এই ওষুধটি আপনি বাজারে ট্যাবলেট আকারে পেয়ে যাবেন। যার প্রতিদিনের মূল্য ১০.০৭ টাকা এবং স্ট্রিপ প্রাইস ৬০.৪২ টাকা।
যদি দেখেন যে আপনার বাচ্চার অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা অথবা রক্ত আমাশয় হয়েছে তাহলে আপনি আপনার বাচ্চার জন্য এই ওষুধটি একদম নির্দ্বিধায় খাওয়াতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে এই ওষুধের সেবন বিধি ও মাথাটা ঠিক রেখে খেতে হবে। এই ঔষধের সেবনবিধি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • যে সকল বাচ্চাদের বয়স এক বছর থেকে দুই বছর তারা দিনে এক চামচ বা পাঁচ মিলি পরিমান করে প্রতি বার ঘণ্টা অন্তর অন্তর খেতে পারবে।
  • যে সকল বাচ্চাদের বয়স 11 বছর থেকে দেশে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হলো দুই চামচ বা ১০ মিলি পরিমাণ। এভাবে তারা 12 ঘন্টা অন্তর অন্তর তিনবার খেতে পারবে।
  • আর যে সকল বাচ্চাদের বয়স ১২ বছরের উর্ধ্বে তারা দিনে 5 চামচ পরিমাণ খেতে পারবে। অথবা যদি সে ট্যাবলেট খেতে পারে তাহলে ১২ ঘন্টায় একটি করে ট্যাবলেট খেতে পারবে। এভাবে সর্বোচ্চ তিন দিন ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
তবে যেহেতু এটি শিশুদের জন্য একটি ঔষধ তাই অবশ্যই যখন একটি শিশুকে এই ওষুধটি সেবন করানো হবে তারপর অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করানো উচিত। তাহলে তিনি আপনাকে পরামর্শ দিবেন সেই ঔষধ কতটুকু পরিমাণ করে আপনার শিশু বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে।

সিপ্রোসিনঃ বাচ্চাদের আমাশয় রোগের প্রতিকারের জন্য আপনি সিপ্রোসিন ঔষধটি খাওয়াতে পারেন। আমরা প্রায় এখন সকলেই জানি যে সিপ্রোসিন হলো এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ। যেহেতু এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ তাই এই ওষুধটি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপরে খাওয়া উচিত হবে। তবে এই ওষুধ খেলে আমাশয়ের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায়।

উপরের উল্লেখিত ঔষধ ছাড়াও আমাশয় রোগের জন্য আরও বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে। তবে আপনি যখন এই ঔষধ গুলো খাওয়াবেন তারপর অবশ্যই আপনার একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত হবে। কেননা নিম্নের উল্লেখিত এই সকল ঔষধ গুলো হলো একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। তাই বাচ্চাকে ওষুধ সেবন করানোর পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)
  • মেসিলিনাম
  • সেফট্রিয়াক্সোন
  • Ziflu Syrup (10mg/5ml)
  • Ziflu ট্যাবলেট

বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নামগুলো আমরা সকলেই ইতিপূর্বে জেনেছি। এখন এই পাঠের মধ্যে আমরা সকলেই জানবো বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে। যদি একজন বাচ্চার আমাশয় রোগ হয়ে থাকে সেই সময়ে বাচ্চার মা-বাবাদের আরো অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত খাবারের ব্যাপারে। কেননা এই সময় খুব বেশি চিন্তিত না হয়ে সঠিক খাবারগুলো বাচ্চাকে দিলেই বাচ্চা আস্তে আস্তে সুস্থ হতে শুরু করবে।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
যদি আপনি বাচ্চাকে সঠিক খাবার না দেন অন্যথায় বাড়িতে খাবার গুলো খেতে যান তাহলে আমার সাথে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে একজন বাচ্চার ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্রই মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তা না হলে বাচ্চার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না। তাই আমাদের সকল মা-বাবাদের এই বিষয়ে একটু সতর্ক হওয়া উচিত।

একজন বাচ্চার যখন আমাশয় হবে সেই সময়ে খাবার-দাবারের ব্যাপারে সব থেকে বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। এই সময়ে বেশিরভাগ কিছু বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন বাচ্চাদের ব্র্যাট ডায়েট খাওয়ানোর জন্য। ব্র্যাট ডায়েট হলো মূলত ব্লান্ড-ফুড ডায়েট বা কলা, চাল, আপেল সস এবং টোস্ট। এই খাবারগুলো খুব সহজেই হজম হয়ে যায় এবং বাচ্চা খুব দ্রুত আমাশয় রোগের সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করে।

আপেলঃ এখন একজন বাচ্চার আমাশয় হয় তখন তার শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খলিল লবণ বের হয়ে জেগে থাকে। তাই এই ঘাটতি পূরণের জন্য একজন বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ানো উচিত। তাহলেই এই লবনের ঘাটতি গুলো খুব দ্রুত পূরণ হয়ে যাবে। এমন খনিজ লবণ সমৃদ্ধ একটি খাবারের নাম হলো আপেল। জাতীয় পর্যাপ্ত পরিমাণে মিনারেল, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ রয়েছে।
কলাঃ কলাতে আমরা সকলে জানি অত্যধিক পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং আয়রন পাওয়া যায়। যার জন্য বাচ্চার আমাশয়ের কালে একটি অথবা দুটি কলা খাওয়ানো যেতে পারে।

টোস্টঃ বাচ্চার আমাশয়ের সময়ে তাকে টোস্ট খাওয়ানো যেতে পারে। এই টোস্ট হলো একধরণের বাইন্ডিং জাতীয় খাবার। যেটি আমাদের শরীরের মলকে শক্ত করার জন্য সহায়তা করে। যখন একজন বাচ্চার দেখতে পাবেন আমাশয়ের মত সমস্যা হয়েছে কখন অবশ্যই সেই বাচ্চাকে কিছুটা পরিমাণ দই এর সাথে টোস্ট খেতে দিন।

সিদ্ধ আলুঃ আমাশয়ের সময়ে একজন শিশুর জন্য উপযুক্ত একটি খাবারের নাম হলো সিদ্ধ আলু। যেটি খেলে সহজেই খাবার হজম হতে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করার যোগান দিতে সক্ষম।

জাউ ভাতঃ নরম যাওয়ার যদি একজন বাচ্চাদের খাওয়ানো হয় তাহলে সেই জাউ ভাত খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। এর পাশাপাশি এটি একজন বাচ্চা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। ফলে একজন শিশু আমাশয়ের সময়েও খুব বেশি একটা দুর্বল হয় না।

ডাবের পানিঃ আমরা সকলেই জানি যে ডাবের পানিগুলো আমাদের শরীরের জন্য এক ধরনের ন্যাচারাল খাবার স্যালাইন। এর কারণ হলো ডাবের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, গ্লুকোজ এবং সোডিয়াম রয়েছে। যেই সকল উপাদান গুলো ডায়রিয়ার সমস্যা এবং আমাশয়ের সমস্যা থেকে আমাদেরকে মুক্ত করতে সক্ষম। তাই আমাশয় রোগীকে অবশ্যই ডাবের পানি পান করানো উচিত।

তরল খাবারঃ বাচ্চার আমাশয় হলে যেহেতু শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় আর তাই এই সময়ে পানির শূন্যতা দেখার যেতে পারে। তাই পর্যন্ত পরিমাণে একজন বাচ্চাদের তরল খাবার খাওয়ানো উচিত। সেই সকল তরল খাবারের মধ্যে হতে পারে ডাবের পানি, লেবুর শরবত অথবা খাবার স্যালাইন। যেগুলো একজন বাচ্চা শরীরের পানি শূন্যতা রোধ করে থাকে।

বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত নয়

ইতিপূর্বে আমরা তো সকলেই বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম এবং কোন কোন খাবার খাওয়াতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন এই পাঠের মধ্যে আমরা সকলেই জানবো বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত নয়। যদি আমরা এই সম্পর্কে জেনে থাকি তাহলে বাচ্চার আমাশয়ের সময়ে আমরা অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবো। তাই চলুন এখন আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

ফাস্টফুড জাতীয় খাবারঃ একটি বাচ্চার যখন আমাশয়ের সমস্যা হবে তখন তাকে অবশ্যই কোন প্রকারের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে দেওয়া উচিত হবে না। কারণ এই সকল খাবারগুলো ফেলে আমাদের সমস্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই প্রথমেই উচিত হবে সকল ধরনের ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা।

অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারঃ আমাশয়ের অবস্থাতে কোনভাবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। এছাড়া যদি আপনার সন্তান আমাশয়ের সমস্যাটি আপনার দুধ পান করে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত ঝাল এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে আপনার বাচ্চার আমাশয়ের সমস্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে।
চানাচুর চিপসঃ যদিও চানাচুর ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের মধ্যেই পরে তারপরও আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি এই চানাচুরে অনেক বেশি পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়। যার কারণে এই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারের পাশাপাশি চানাচুর জাতীয় খাবার গুলো আপনাকে ত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আপনার বাচ্চার আমাশয় আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে।

বাসি খাবারঃ বাচ্চার আমাশয়ের সমস্যা থাকলে কোন ভাবে বাসি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। যতটা সম্ভব আপনাকে এই সকল খাবার গুলো পরিত্যাগ করতে হবে। তা না হলে বাচ্চার আমাশয়ের সমস্যা আরো দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম জেনে যদি সেই সকল ঔষধগুলো কাজে আসতে দেরি করে তাহলে অবশ্যই বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাগুলো কাজে লাগানো উচিত। নাহলে এটি আরো অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই চলুন এখন আমরা সকলেই বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আদা ও শুঠের গুড়াঃ আমার সাথে রোগের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে আদা এবং শুঠের গুড়া অনেকটাই কার্যকরী একটি উপাদান। যার জন্য এতে যদি আপনি পানিতে মিশিয়ে সকাল সকাল খান তাহলে আপনার আমাশয় রোগের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। এবং আপনি এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন খুব সহজেই।

ডালিমের খোসাঃ আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ডালিমের খোসা যদি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সিদ্ধ করে খাওয়া যায় তাহলে এটি আমাশয় রোগ নিরাময় করার জন্য অনেক বেশি উপকারী। এছাড়াও আপনি ডালিমের খোসা কাঁচা অথবা কিছুটা সিদ্ধ করে নিয়ে গুরু করে নিয়ে দুধের সাথে অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও যদি ডালিম গাছের ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে বুড়ো করে খাওয়া যায় তাহলে এটিও আমার সাথে রোগ নিরাময় করতে অনেক বেশি উপকারি।

থানকুনি পাতাঃ আপনি হয়তো জেনে থাকবেন গ্রামের মুরুব্বীরা যদি আমাশয়ের সমস্যা হয় তাহলে থানকুনি পাতার রস খেতে বলেন। কেননা এটি আমাশয় রোগের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এর জন্য আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কিছুটা পরিমাণে থানকুনি পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে মধু অথবা চিনি যোগ করে নিয়ে খেতে পারেন।
বেলের শরবতঃ আমরা সকলেই হয়তো জানি বেল হলো আমাদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। তাই আমাশয়ের সমস্যা এড়াতে পাকা বেলের শরবত খাওয়া উচিত। তাহলে খুব সহজেই আমাশয়ের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

শিশুদের আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম

শিশুদের আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নামগুলো জানবো আমরা এখন। যদি আপনি বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম জেনে থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশেই ফার্মেসিতে একটু খোঁজ করলেই সেই ঔষধগুলো হাতের নাগালেই পেয়ে যাবেন। আর তাই আপনি সেখান থেকে খুব সহজেই কিনে নিয়ে এসে আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন। তাই চলুন আমরা এবার শিশুদের আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নামগুলো জেনে নেই।

ঔষধের নাম

কোম্পানি নাম

একক প্রতি মূল্য (টাকা)

Alexid

Aristopharma

15 tk

Bacilex

Pharmadesh

18 tk

Lexipen 200

Techno Drug

12 tk

Pinam

Kemiko

12 tk

Pivicil

General

13 tk

Pivcilin

Rangs Pharma

12 taka

Relexid

Renata

13 tk

উপরের উল্লেখিত এই সকল ওষুধগুলো প্রতিদিন তিন বেলা ১টি করে দিনে ৩টি খাওয়া যাবে। তবে এর সাথে সাথে অনেক বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাবেন। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে যদি আপনি এই সকল ঔষধ গুলো সেবন করতে চান তাহলে তার বলবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ঔষধ সেবন করা কোনভাবেই উচিত হবে না।

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি ঔষধ খেতে হবে?
উত্তরঃ যদি বাচ্চাদের আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে তাকে মেট্রোনিডাজল (৪০০ মি. গ্রা.) ১টা করে দিনে ৩ বার খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এর পাশাপাশি তাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে।

প্রশ্নঃ আমাশয় রোগের ঔষধের নাম কি?
উত্তরঃ আমাশয় রোগের জন্য প্রায় অনেক ধরণের ঔষধ রয়েছে। তবে সেই সকল ঔষধগুলোর মধ্য থেকে নরফ্লক্স টি জেড ট্যাবলেট (Norflox Tz Tablet) অনেকটাই ভালো কাজ করে থাকে। আপনি যদি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই ঔষধটি সেবন করতে পারেন।

প্রশ্নঃ বাচ্চাদের আমাশয়ের লক্ষণ?
উত্তরঃ বাচ্চাদের আমাশয় হলে সেটি বুঝার জন্য বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেই সকল লক্ষণগুলো হলো
জ্বরের মাধ্যমে অসুস্থতা শুরু হয়
  • বমি হয়
  • পেটে ব্যাথা
  • ডায়রিয়া
প্রশ্নঃ আমাশয় রোগে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না?
উত্তরঃ আমাশয় রোগে সবার প্রথমে কোনপ্রকারে ফাস্টফুড খাওয়া যাবে না। এছাড়াও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার কোন ভাবেই খাওয়া যাবে। বাশি খাবার খাওয়া ঠিক হবে না নাহলে এই সমস্যা আরো দ্বিগুন হতে পারে।

প্রশ্নঃ বাচ্চাদের আমাশয়ের জন্য কোন ঔষধ ভালো?
উত্তরঃ বাচ্চাদের আমাশয়ের জন্য সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধটি অনেকটাই ভালো কাজ করে থাকে। তবে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে বাচ্চাকে ঔষধ খাওয়ানো উচিত।

শেষ কথা। বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নামগুলো সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post