সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশিপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চই সৌদি আরবের কোম্পানি নামগুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
তাইতো আপনি আজকের এই আর্টিকেলে এসেছেন। তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গেতি রয়েছেন।
কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সৌদি আরবের কোম্পানি নাম ও তালিকা আপনাদের সাথে
শেয়ার করবো। তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সৌদি আরামকো
কোম্পানি, সৌদি আল ইয়ামামা কোম্পানি, সৌদি আল-মারাই কোম্পানি, নেসমা এন্ড
পার্টনারস কোম্পানি, সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত এবং সৌদি আরব বলদিয়া
কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম ও তালিকা
আজকের আর্টিকেলে আমরা সৌদি আরবের কোম্পানি নামগুলো জানবো। সৌদি আরবে অনেক ধরনের
কোম্পানি রয়েছে। তবে এই সকল কোম্পানিগুলো তাদেরকে ক্যাটাগরের ভিত্তিতে আলাদা
আলাদা হয়ে থাকে। তাই যারা সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে কাজে যেতে চাচ্ছেন
তাদেরকে অবশ্যই সবার প্রথমে সৌদি আরবের সকল কোম্পানিগুলোর নাম জেনে তারপরে কোন
সেক্টরে কাজে যেতে চাচ্ছেন সেই সম্পর্কে জানা উচিত।
তাই আপনি যদি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে কাজে যেতে চান তাহলে সবার প্রথমে
আপনি যার কাছে থেকে ভিসা নিচ্ছেন কার কাছে থেকে জেনে নেবেন কোন কোম্পানি। তাছাড়া
আপনি দালালের থেকে প্রতার শিকার হতে পারে। তাই চলুন আজকে আমরা সৌদি আরবের সকল
কোম্পানিগুলোর নাম জেনে নেই।
সৌদি আরবের জনপ্রিয় কিছু ঔষধ কোম্পানিগুলো হলো
- সৌদি অ্যাডভান্সড ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি
- সৌদি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি
- রিম ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি
- ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি
- আল-রাজি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি
- জাফার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি
- ইবনে সিনা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি
- ইউনাইটেড ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি
- তাবুক ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি
- আল-মোয়াজাহ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি
সৌদি আরবের কিছু জনপ্রিয় আইটি কোম্পানির নামগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো
- Abdullah Al Othaim Markets (আবদুল্লাহ আল ওথাইম মার্কেটস)
- Careem (কেরিম)
- কাবাস টেক
- অ্যাকুয়েটিভ
- Elm (এলম)
- আরকান ইন্টিগ্রেটেড সলিউশন
- Haraj (হারাজ)
- Mobily (মোবিলি)
- আরবি কম্পিউটার সিস্টেম
- Noon (নুন)
- STC Group (এসটিসি গ্রুপ)
- শাবাকাহ নেট
- Saudi Telecom Company (STC) (সৌদি টেলিকম কোম্পানি (এসটিসি))
- হাই টেক এলএলসি
- STC Solutions (এসটিসি সলুউশন)
- Zain KSA (জেইন কেএসএ)
আরো পড়ুনঃ পোল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন
উপরের উল্লিখিত এই সকল সৌদি আরবের কোম্পানি জনপ্রিয় আইটি প্রতিষ্টানে বিভিন্ন কাজ
করা হয়ে থাকে। সেই সকল কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- সাইবার সিকিউরিটি
- ক্লাউড কম্পিউটিং
- টেলিকমিউনিকেশন
- এছাড়াও আরো অনলাইন ভিত্তিক অনেক ধরণের কাজ করা হয়ে থাকে।
সৌদি আরবের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো হলো
- Al Sami Group
- Al Kholi Group
- Omar Kassem Alesayi Group
সৌদি আরবের স্টিল ও ফেব্রিক্স কোম্পানির নামগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো
- অ্যালুমিনিয়াম পণ্য কোম্পানি
- জুবাইল এনার্জি সার্ভিসেস কোম্পানি (জেসকো)
- জেপেলিন গাল্ফ কোম্পানি লিমিটেড
- অ্যারাবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি (AIC)
- মেটাল ফাস্টেনার
- আমাজেদ ইন্ডাস্ট্রিজ
- সৌদি ইস্পাত পাইপ
- ইনকান হোল্ডিং কোম্পানি
সৌদি আরবের কনস্ট্রাকশন ভিত্তিক কোম্পানির নামগুলো হলো
আল-রাজ্জি কোম্পানি
আরবিয়ান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি
- হাজি আবদুল্লাহ আলিরেজা এন্ড কোম্পানি লিমিটেড
- সৌদি ওজার লিমিটেড
- ন্যাশনাল কন্ট্রাক্টিং কোম্পানি
- আল-খোদারি গ্রুপ
- সৌদি বিনলাদিন গ্রুপ
- বিনলাদিন কন্ট্রাক্টিং গ্রুপ
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
সৌদি আরবের কিছু জনপ্রিয় তেল ও গ্যাস কোম্পানির নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো
- সৌদি আরামকো কোম্পানি
- Bass ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ
- SMH ইন্ডাস্ট্রিয়াল সার্ভিসেস
- ইয়ানবু অ্যারামকো সিনোপেক রিফাইনিং কোম্পানি
- সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন
- আবদুল্লাহ ফুয়াদ হোল্ডিং
- পেট্রো রাবিঘ
- আরবিয়ান পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি
- জ্যাকো গ্যাস কোম্পানি
- সৌদি আরামকো মবিল রিফাইনারি কোম্পানি
- আবদুল্লাহ এ আল বারাক অ্যান্ড সন্স কো
- লুবরেফ (Luberef)
- আরবিয়ান ড্রিলিং কোম্পানি
- গ্লোবাল সুহাইমি কোম্পানি
- রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
- সৌদি অ্যারামকো জিডি
- ফারাবি পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি
আপনি যদি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে সবার প্রথমে
উচিত হবে আপনার আপনাকে কোন কোম্পানির ভিসা দেওয়া হয়েছে তার নাম জানা। এর মধ্যে
যদি উপরে উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর ভিসা যদি আপনার কাজের ভিসা হয়ে থাকে তাহলে
আপনার জন্য আসলেই অনেক ভালো হবে। তাই সৌদি আরব যাওয়ার পূর্বে আপনার ভিসাটি
সম্পর্কে বিস্তারিত যাচাই করে নেবেন। তাহলে আসুন এখন আমরা নিম্নে কোম্পানিগুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
সৌদি আরামকো কোম্পানি
সৌদির তেল কোম্পানিগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের কোম্পানি নাম ও তালিকাতে সৌদি আরামকো
কোম্পানি সবার শীর্ষ রয়েছে। কারণ এই কোম্পানি সৌদি আরবের সবথেকে বড় এবং ধনী
কোম্পানি। যেই কোম্পানির কাজের জন্য তার শ্রমিককে অনেক ভালো করে মানে বেতন দেওয়া
হয়ে থাকে। এই কোম্পানির প্রধান কাজ হল সৌদি থেকে উত্তরলিত তেল শোধন করে বাজারে
বিক্রি করা।
সৌদি আরবের এই সৌদি আরামকো কোম্পানি ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে সেই সময়ে এই
কোম্পানির নাম ছিলো ক্যালিফোর্নিয়া-আরবিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। এবং
পরবর্তী সময়ে ১৯৮০ সালে সৌদি সরকার এই কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে সিদ্ধান্ত
নেন। তার পরবর্তীতে এই কোম্পানির নাম রাখা হয় আরামকো কোম্পানি। সৌদি আরবের এই
তেল শোধনকারী কোম্পানি বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেই সকল পদগুলোর নাম
নিম্নে উল্লেখ করা হলো
- ইঞ্জিনিয়ারিং
- ড্রিলিং
- গবেষণা
- তেল শোধনকারী শ্রমিক
এছাড়াও আরো অন্যান্য প্রশাসনিক ক্ষেত্রে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে সেখানে যেতে পারেন তাহলে এটি হতে পারে আপনার
ক্যারিয়ার গড়ার একটি অন্যতম মাধ্যম। আপনি যদি চান তাহলে আপনি এখানে গিয়ে
কোম্পানিতে অনায়াসে কাজ করতে পারেন। তবে এই কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ
লোকদের চাহিদা বেশি রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
তাই আপনি যদি কাজ করতে যান এবং আপনার কাছে যদি ৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে
আপনি এই কোম্পানিতে কাজ করার মাধ্যমে অনেক ভালো পরিমাণে টাকা বেতন হিসেবে নিতে
পারবেন। এখানে কাজের বেতন আপনি মাসিক ভিত্তিতে অথবা ঘন্টার ভিত্তিতেও নিতে
পারবেন। যার জন্য এই কোম্পানিতে ফুল টাইম কাজ করার পাশাপাশি আপনি চাইলে কিছু সময়
পার্ট টাইম কাজ করতে পারেন।
এছাড়াও এই কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে আরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তো রয়েছেই।
সেই সকল সুযোগ-সুবিধা গুলোর মধ্যে উল্লেখ্য একটি সুযোগ সুবিধা হল রমজান মাসের
বোনাস। যেখানে আপনি রমজান মাসে যদি কাজ করে থাকেন তাহলে রমজান মাসে আপনি মূল
বেতনের সাথে সমপরিমাণ বেতন বোনাস পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাতা এবং
সুযোগের ব্যবস্থা তো রয়েছেই।
সৌদি আল ইয়ামামা কোম্পানি
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম এর মধ্যে সৌদি আল ইয়ামামা কোম্পানি আরো একটি
কোম্পানি। যেটি সৌদি আরবে প্রতিষ্ঠিত আরো একটি জনপ্রিয় কোম্পানির নাম হলো সৌদি
আল ইয়ামামা কোম্পানি। যেই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে। তাহলে বুঝতেই
পারছেন এই কোম্পানি কত পুরাতন এবং বিশ্বস্ত। এই কোম্পানিটির সৌদি আরবে আরো একটি
বিশাল কোম্পানি। এই কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে। সেই সকল কাজের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হলো
- অবকাঠামোর কাজ
- রাস্তা ও সেতুর নির্মাণ কাজ
- ক্লিনার এর কাজ
- কনস্ট্রাকশনের কাজ
যেহেতু এই কোম্পানির সেন্টার অনেক বড় এবং সুবিস্তৃত তাই এই সেক্টরে অনেক মানুষ
কাজ করে থাকে। যারা এই কোম্পানির জন্য কাজ করে থাকে তাদের বেতন সর্বনিম্ন ৫৫০
রিয়াল থেকে শুরু হয়। এছাড়াও যারা এই কোম্পানির আন্ডারে ক্লিনারের কাজ করে তাদের
বেতন ৬০০ রিয়াল থেকে ৯০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাদের ডিউটির সর্বোচ্চ ৮
ঘন্টা থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত।
এই কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে সেই সকল লোকদের নিয়োগ করা হয় যাদের বয়স ২৩ থেকে
৩৮ বছর। যারা এই কোম্পানির লেবারের কাজ করে থাকে তাদের ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট করা
হয় ০৩ বছরের। এছাড়াও যারা টেকনিশিয়ানের কাজ করে থাকে তাদের সাথে কন্টাক্ট করা
হয় ২ বছরের। আর যারা ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করেন তাদের সাথে এক বছরের জন্য কন্টাক
করা হয়।
তবে এই কোম্পানির একটি অসুবিধার দিক রয়েছে। সেটি হল আপনাকে যে টাকা বেতন দেওয়া
হবে সেই টাকার ভেতরে আপনাকে খেতে হবে এবং সেই টাকার ভেতরে আপনাকে ভাড়া খরচ দিয়ে
থাকতে হবে। যেখানে থাকার খরচ খুব একটা কম হলেও খাওয়ার খরচ অনেকটাই বেশি হয়ে
যায়।
সৌদি আল-মারাই কোম্পানি
সৌদি আরবের যে সকল উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে এই সৌদি আল-মারাই
কোম্পানিও হলো একটি উল্লেখযোগ্য কোম্পানি। এই কোম্পানিটি সৌদি আরবের একটি
জনপ্রিয় কোম্পানি। যদি এটির বৃহত্তম কোম্পানির দিক দিয়ে তুলনা করা হয় তাহলে
এটি সৌদি আরবের পঞ্চম বৃহত্তম কোম্পানি। এই কোম্পানিতে আপনি কাজ করার পাশাপাশি
ওভারটাইম কাজ করতে পারবেন। যেখানে অনেক ভালো পরিমাণে বেতন আপনি নিতে পারবেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম ও তালিকার মধ্যে সৌদি আল-মারাই কোম্পানির সুবিধাভোগি
দিকগুলো হলোঃ
- ফুল টাইম কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম কাজ করার সুবিধা
- অনেক ভালো পরিমাণে বেতন দিয়ে থাকে। যেটা প্রাথমিক অবস্থায় ১৪৫০ রিয়াল।
- থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা এই কোম্পানি করে থাকে
- অসুস্থ অবস্থায় শ্রমিকের চিকিৎসা সেবার ভার এই কোম্পানি বহন করে।
- সৌদি আরবের পঞ্চম বৃহত্তম কোম্পানি
- এই কোম্পানির কাজ হলো ফাস্ট ফুড এবং ডেইরি ফার্ম জাতীয় খাবার গুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ করা।
নেসমা এন্ড পার্টনারস কোম্পানি
এই কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। যার পর থেকে বর্তমানে অনেক দ্রুত বিকাশ
লাভ করছে এবং দেশটির অর্থনীতির চাহিদা পূরণ করে আসছে। আপনি যদি এই নেসমা এন্ড
পার্টনারস কোম্পানিতে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য দুই বছরের আকামা এবং থাকা
খাওয়ার সম্পূর্ণ ফ্রি। এই কোম্পানির যারা কাজ করে থাকে তাদের কাজের ক্ষেত্রে
সর্বনিম্ন বেসিক বেতন হয়ে থাকে ৯৫০ রিয়াল পর্যন্ত।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন
তবে এই বেতন নির্ভর করে থাকে আপনার কাজের ধরনের ওপর। এবং আপনার কাজের চাহিদা ও
অভিজ্ঞতার উপর। আস্তে আস্তে আপনি যত কাজের প্রতি অভিজ্ঞ হবেন ততই আপনার বেতন
আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এই কোম্পানির কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে। সেগুলো
হলো
- ক্লিনিং এর কাজ
- পাইপ মিস্ত্রির কাজ
- টাইলস মিস্ত্রির কাজ
- ইলেকটেশিয়ানের কাজ
- এছাড়াও আরো অনেক ধরণের কাজ রয়েছে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
আমরা যারা সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে চাই তাদের সবার প্রথমে সৌদি
আরবের কোম্পানি নামগুলো জানা প্রয়োজন। তারপরেই আপনাকে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা
বেতন কত সেই সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। ভাই আপনি যদি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার
মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলের এই অংশটুকু আপনার জন্য। কারণ আজকের
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি সৌদি আরব যেতে চান কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে তাহলে আপনার বেতন কত হবে সেটা
নির্ভর করে আপনি কোম্পানিতে কোন ধরনের কাজ করছেন এবং আপনি কোন ধরনের কোম্পানিতে
কাজের জন্য যাচ্ছেন। আর এই দুইটি জিনিসের উপরে নির্ভর করে আপনার বেতন মূল্যায়ন
করা হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে
জেনে রাখুন সৌদি আরবের কোম্পানি ভীতার মাধ্যমে গেলে সর্বনিম্ন ৪৮ হাজার টাকা দেখে
আপনি সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ফুট এক লাখ টাকার ওপরে বেতন পেতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর সেজন্য আপনার জানা
প্রয়োজন
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি। তাহলে আপনি যদি সেই কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে সৌদি আরবে যান তাহলে আশা
করছি অনেক ভালো পরিমাণে বেতন পাবেন। এছাড়াও বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের সরকার
শ্রমিকের বেতন নির্ধারণ করে থাকে কাজের উপর।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
একজন শ্রমিকের কাজ যেই অনুযায়ী হয়ে থাকে সেই অনুযায়ী তার কাজের বেতন নির্ধারণ
করা হয়। এক্ষেত্রে আনুমানিক সর্বনিম্ন ১৮ রিয়াল থেকে ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন
দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া সৌদি আরবের কোম্পানির কাজের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের
কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। সেই সকল সুযোগ সুবিধা গুলোর মধ্যে একেক
ধরনের কোম্পানি রয়েছে যেগুলো কোম্পানি তার শ্রমিককে আকামা করে দিয়ে থাকে।
যার জন্য বাড়তি করে একজন শ্রমিকের আর অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয় না। এছাড়াও
আরো অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে যে সকল কোম্পানিগুলো সেখানে শ্রমিকের থাকা এবং
খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। যার জন্য অনেক টাকা একজন শ্রমিক খরচের হাত থেকে বেঁচে
যান।
সৌদি আরব বলদিয়া কোম্পানি
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম জানার পরে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা সৌদি আরবের কোম্পানি
ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে কাজে যাওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। তাহলে তাদেরকে
সকলেরই এই সৌদি আরব বলদিয়া কোম্পানির সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। এছাড়াও এই
কোম্পানির কাজ কি সেই সম্পর্কেও জানা উচিত। তাই আপনি যদি জেনে না থাকেন এই
বলদিয়া কোম্পানি সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এই বলদিয়া কোম্পানির ভিসায় যারা আসতে চান তাদের সকলের কাজ হয়ে থাকে ক্লিনারের
কাজ। যেগুলো হলো শহরের বিভিন্ন ধরনের রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ। এ ছাড়া অন্য কোন
কাজ এই কোম্পানিতে নাই। তাই আপনি যদি আসতে চান এই কোম্পানির কাজের জন্য তাহলে
অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে তারপরে আসবেন।
এই কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে ৭০০ সৌদি রিয়াল। যেখানে
আপনার কাজের সময় হবে ১২ ঘন্টা। এছাড়া আপনি এই কোম্পানিতে ক্লিনারের কাজ ছাড়া
অন্য কোন ধরনের কাজ পাবেন না। এছাড়াও এই কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে ওভারটাইম কাজ
করারও তেমন একটা সুযোগ নেই। তাই আপনারা যারা সৌদি আরব এই বলদিয়া কোম্পানিতে আসতে
চান তাদেরকে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে তারপরে আসা উচিত।
FAQ । সৌদি আরবের কোম্পানি নাম ও তালিকা
সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানির নাম কি?
সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানির নাম হলো সৌদি এরামকো কোম্পানি। এই কোম্পানির
কাজ হলো তেল শোধন করা। তবে এই কোম্পানিটি এরামকো নামে সবথেকে বেশি পরিচিত।
সৌদি আরব এর আয়তন কত?
সৌদি আরব এর আয়তন হলো ২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি।
সৌদি আরবের প্রথম বাদশা কে ছিলেন?
সৌদি আরবের প্রথম বাদশা ছিলেন আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ফয়সাল ইবনে
তুর্কি ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ আল সৌদ। তিনি সবথেকে বেশি পরিচিত ছিলেন
আবদুল আজিজ বা ইবনে সৌদ নামে। আর তিনিই হলেন আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্টাতা।
সৌদি আরবে বিজনেস ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
সৌদি আরবে বিজনেস ভিসা পেতে সর্বনিম্ন ২ কার্যদিবস থেকে ৩ কার্যদিবস সময় লাগে।
সৌদি কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
সৌদি কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৩ সাপ্তাহ থেকে ২ কার্যদিবস পর্যন্ত সময়
লেগে থাকে।
সৌদি আরবে চাকরির সর্বোচ্চ বয়স কত?
সৌদি আরবে বর্তমান আইন অনুযায়ী একজন ব্যাক্তি ১৮ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত
যেকোন চাকরি পাওয়ার যোগ্য। তবে তার জন্য তাকে অবশ্যই সুস্থ এবং স্বাভাবিক হতে
হবে।
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে সৌদি আরবের কোম্পানি নাম ও তালিকা উল্লেখ করেছি। আশা করছি
আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যেটা
আপনারা যারা সৌদি আরব কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন তাদের অনেকটাই বেশি উপকারে আসবে।
যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে
তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে
সেটি অবশ্যই আমাদের জানাতে ভুলবেন না। এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার
জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
কোম্পানির নাম জেনে অনেক উপকার হলাম। আমার কাজের জন্য অনেক হেল্প হবে। ধন্যবাদ স্যার
ReplyDeletePost a Comment