জন্ম নিবন্ধন সংশোধন অনলাইন আবেদনপ্রিয় পাঠক, আপনি কি পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই
আর্টিকেলে আমরা প্রতিটি ধাপে ধাপে একদম সঠিক নিয়মে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন
করার নিয়মগুলো বিস্তারিত আকারে জানাবো। তাই এই সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
যদি আপনি আজকে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে জন্ম
নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য কি কি প্রয়োজন, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখতে
কেমন, জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকলে করণীয় কি হবে এবং সবশেষ অনলাইন জন্ম
নিবন্ধন যাচাই কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য কি কি প্রয়োজন
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে সেই সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
কেননা আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য
আবেদন করবেন তার পূর্বে অবশ্যই সেই সকল ডকুমেন্টসগুলো গুছিয়ে নিয়ে তারপরে বসতে
হবে। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা জেনে নেই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য
কি কি প্রয়োজন হয়।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে গেলে দুটি ভাগে কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। সেই দুটি
ভাগে বিভক্ত বয়স অনুসারে কোন কোন কাগজ পত্রগুলোর প্রয়োজন সেগুলো নিম্নে উল্লেখ
করা হলো।
যদি বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে তাহলে নিম্নের উল্লিখিত
কাগজপত্রগুলোর প্রয়োজন হবে।
- হাসপাতালের সীল এবং মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত এমবিবিএস অথবা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী ডাক্তারের প্রত্যায়ন পত্র/ বাচ্চার টিকা কার্ড।
- বাচ্চার পিতা মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- বাচ্চার পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড এর কপি।
- বর্তমান বছরের আপনার কর পরিশোধের হোল্ডিং এবং ট্যাক্সের রসিদ।
- যদি বাচ্চা কোন স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের একটি প্রত্যায়নপত্র।
- বাচ্চার অভিভাবকের একটি সচল ফোন/মোবাইল নাম্বার।
আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি
বয়স যদি ৫ বছরের বেশি হয়ে থাকে তাহলে তাহলে নিম্নের উল্লিখিত কাগজপত্রগুলোর
প্রয়োজন হবে।
- মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত এমবিবিএস অথবা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী ডাক্তারের একটি প্রত্যায়ন পত্র।
- যদি থেকে থাকে তাহলে PSC/ JSC/ SSC অথবা তার সমমান পরীক্ষার সার্টিফিকেট।
- বাচ্চার পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড এর কপি।
- বাচ্চার পিতা মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- বর্তমান বছরের জমির কর পরিশোধের জন্য হালনাগাদ রশিদ।
- আবেদনকারীর একটি সচল ফোন নাম্বার।
যখন আপনি একজন ব্যাক্তির পুরাতন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে যাবেন
তখন উপরের উল্লিখিত কাগজপত্র/ তথ্যগুলোর প্রয়োজন হবে। এই সকল কাগজপত্রের সাথে
যেকোন একটি অথবা দুটি প্রমাণপত্র অথবা তার অধিক সংযুক্ত করলেই হবে।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
আমরা সকলেই জানি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার কাজ কতটা জটিল। তবে আপনি পুরাতন জন্ম
নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম জেনে নিজেই বাড়িতে জন্মনিবন্ধনের অনলাইন করার কাজ
বাড়িতে বসেই করে নিতে পারবেন। এতে করে আপনার ঝামেলাটাও অনেকটাই কমে আসবে। যার ফলে
আপনাকে আর ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভায় দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। তাহলে চলুন এই পাঠে
থেকে আমরা সঠিক নিয়মটি জেনে নেই ধাপ অনুসারে।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার কাজটা একটু বেশ জটিল। আপনি যখন এই কাজটি বাড়িতে
বসে থকে নিজে নিজেই করবেন তখন অবশ্যই উপরের উল্লিখিত সকল কাগজপত্রগুলো হাতের
নাগালে নিয়ে বসবেন। যদি আপনি নিম্নের দেখানো সঠিক নিয়মে করেন তাহলে খুব সহজেই
আপনার আবেদন করার কাজটি সম্পন্ন হবে। আপনাদের সুবিধার্থে নিম্নে স্টেপ বাই স্টেপ
ছবি আকারে তুলে ধরা হলো। প্রতিটি স্টেপ মনোযোগ সহকারে পনুসরণ করুন।
স্টেপ-০১ঃ পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে
বাংলাদেশ সরকার কতৃক নির্ধারিত জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ
করতে হবে। এই ওয়েবসাইটের নাম হলো bdris এই
ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে।
স্টেপ-০২ঃ এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করার পরে আপনি নিচের দেখানো ছবির
মতো একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এখানে আসলে দেখতে পাবেন নিচের দিকে ৩টি অপশান।
প্রথমটি হলো জন্মস্থান দ্বিতীয় টি হলো স্থায়ী ঠিকানা এবং তৃতীয়টি হলো বর্তমান
ঠিকানা। এখান থেকে আপনাকে অবশ্যই একটি সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপরে আপনাকে
"পরবর্তি" বাটনে ক্লিক করতে হবে। নিচের দেখানো ছবির অনুসারে।
স্টেপ-০৩ঃ পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম এর এই ধাপে এসে আপনি এখন ফর্ম পাবেন। এখানে এসে আপনাকে সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ
করতে হবে। তবে এখানে এসে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনি যদি এখানে কোন ভূল
তথ্য দেন তাহলে সেটি সঠিক করার আর কোন উপায় নেই। এক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন
সনদ পত্রটি বাতিল করা হবে। তাই আপনাকে এখানে সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করা
জরুরি।
আপনার এখানে প্রদানকৃত তথ্যগুলো খুবই ভালোভাবে এবং সতর্কতার সহিত পূরণ করতে হবে।
তারপরে এই তথ্যগুলো দেওয়ার পরে আবার আপনার কাছে থেকে আপনার এই তথ্যগুলো সম্পর্কে
প্রমাণপত্র চাওয়া হবে। তাই অবশ্যই দেখে শুনে ভালোভাবে সঠিকভাবে তথ্যগুলো পূরণ
করবেন। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন অনেক গোছালোভাবে আপনার তথ্যগুলো পূরণ করার।
আরো পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
এখানে আপনি যখন আপনার আবেদন পত্রটি পূরণ করবেন তখন অবশ্যই একটি বিষয়ে মাথায়
রাখবেন এখানে যেই যেই অপশানগুলো লাল চিহ্ন দেওয়া রয়েছে সেগুলো কিন্তু আপনাকে
অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আর যেই সকল অপশানের পাশে লাল তারকা চিহ্নটি নেই সেটি আপনি
পূরণ না করলেও কোন অসুবিধা নেই। এখানে আপনি যখন এই ফর্মটি পূরণ করবেন সেই সময়ে
আপনার কাছে জন্ম তারিখ সংযোগন করার জন্য অপশান আসবে। নিচের ছবির মতো।
এখানে আপনার সিলেক্ট করা জন্ম তারিখ সঠিক কিনা সেটি যাচাই করার জন্য আপনার কাছে
প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস আছে কিনা সেটি জানতে চাইবে। সেক্ষেত্রে যদি আপনার কাছে সকল
ডকুমেন্টসগুলো থেকে থাকে তাহলে "আমার কাছে এই ডকুমেন্টগুলি আছে" এই অপশানে ক্লিক
করবেন। যার যদি না থেকে থাকে তাহলে পরবর্তি অপশানগুলো বেছে নিবেন।
স্টেপ-০৪ঃ পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম এই ধাপে আপনি যখন পূর্বে ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করবেন তারপরেই আপনার সামনে আরো
একটি ফর্ম চলে আসবে। এখানে এসে আপনাকে আপনার পিতা এবং মাতার সকল তথ্যগুলো দিতে
হবে। এখানে এসে যেই সকল তথ্যগুলো আপনার কাছে থেকে চেয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ
করে দিবেন।
এই ফর্মের প্রথম অংশটুকুতে আপনার বাবার সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। আর পরের অংশে
আপনার মায়ের সকল তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে। তাই অবশ্যই দুইজনের তথ্যই সঠিকভাবে পূরণ
করবেন। সকল তথ্যগুলো যদি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে "পরবর্তি" নামক
একটি বাটন পাবেন। সেখানে ক্লিক করবেন।
স্টেপ-০৫ঃ এই ধাপে আপনি যখন চলে আসবেন তখন আপনার কাছে থেকে জানতে চাওয়া
হবে আপনার স্থায়ি ঠিকানা সম্পর্কে। এখানে এসে আপনার সকল তথ্যগুলো সঠিভাবে পূরণ
করে দিয়ে "পরবর্তি" বাটনে ক্লিক করে পরবর্তি ধাপে চলে যাবেন।
স্টেপ-০৬ঃ পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম এরপরের ধাপে আপনি যখন আসবেন তখন আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে আপনি যেই ব্যাক্তির জন্ম
নিবন্ধনের জন্য অনলাইন অবেদন করছেন সেই ব্যাক্তিটা কি আপনি নিজেই নাকি অন্য কারো
জন্য আবেদন করছেন। যেহেতু এক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই এখানে কাজ করছি তাই আমরা "নিজ"
সিলেক্ট করে দিবো। এর পরবর্তিতে এখানে আপনাকে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং
ই-মেইল ঠিকনা দিতে হবে।
আপনি যদি এখানে আপনার সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো দিয়ে দেন তাহলে এতে করে আপনার জন্ম
নিবন্ধনের অনলাইনের সকল তথ্যগুলো আপনাকে মেসেজ করার মাধ্যমে তারা আপনাকে জানিয়ে
দিবে। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনি অন্যজনেরটার জন্য আবেদন করেন তাহলে তার সেই সকল
তথ্যের জন্য তার মোবাইল নাম্বার সহ অন্য যেই সকল তথ্যগুলো চাইবে সেগুলো দিয়ে দিতে
হবে।
স্টেপ-০৬ঃ এই ধাপে এসে আপনাকে আপনার জন্ম স্থান আপনার জন্ম তারিখ সকল
তথ্যগুলো দিতে হবে। সকল তথ্যগুলো এখানে আপনি সঠিকভাবে পূরণ করে দিবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
স্টেপ-০৭ঃ পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম এর এই ধাপে এসে আপনাকে আপনি এতক্ষণ যেই সকল তথ্যগুলো তাদেরকে জানিয়েছেন সেই সকল
তথ্যগুলোর স্ক্যানকপি তাদেরকে দিতে হবে। নিম্নের নিম্নের দেখাও ছবির মতো সংযোজন
করার জন্য ইন্টারফেস পাবেন।
এখানে এসে ছোটদের জন্য টিকা কার্ডের স্ক্যান কপি, এছাড়াও উপরের উল্লিখিত সকল
ধরণের তথ্যগুলো সংযোজন করতে হবে। সকল তথ্যগুলো দেওয়া হয়ে গেলে "পরবর্তি" বাটনে
কিক করবেন।
স্টেপ-০৮ঃ এই ধাপে এসে আপনাকে আপনার এতক্ষণের আপনার দেওয়া সকল ধরণের
তথ্যগুলো দেখানো হবে। এখানে আপনি আবার পুনরাই এই সকল তথ্যগুলো ভালো করে দেখে
নিবেন। এখানে যদি কোথাও কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে সেটা সঠিক করে দিবেন। যার যদি
সবগুলো তথ্য ঠিকঠাক থেকে থাকে তাহলে "সাবমিট" বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
স্টেপ-০৯ঃ এই ধাপটিই হলো সর্বশেষ ধাপ। এই ধাপে এসে আপনি যখন আবেদন পত্রটি
জমা দিবেন সেই সমমে আপনাকে একটি আবেদনপত্রের নম্বর দেওয়া হবে। আর এই নম্বর দিয়েই
আপনি পরবর্তিতে আপনা জন্মনিবন্ধনের কি অবস্থা সেটি যাচাই করতে পারবেন। সেই সাথে
সাথে অবশ্যই আপনাকে এই আবেদন পত্রটি এখান থেকে প্রিন্ট করার অপশান থেকে প্রিন্ট
করে নিতে হবে।
এখান থেকে আপনি যখন আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদন পত্রটি পাবেন সেটি পরবর্তী ১৫
দিনের মধ্যেই আপনাকে আপনার উপজেলা/ পৌরসভাতে জমা দিতে হবে। এটা ছিলো আবেদন করার
একটি ধাপ। আপনার জন্ম নিবন্ধনের পরবর্তি কার্যক্রমের জন্য অবশ্যই আপনাকে ইউনিয়ন
পরিশোধে যোগাযোগ করতে হবে। তারাই মূলত আপনার কাছে আপনার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন
অরিজিনাল কপিটি দিবেন।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম তো আমরা ইতিমধ্যে জানতে পারলাম। এখন
প্রশ্ন আসে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবো কিভাবে। কোন নিয়ম অনুসরণ করে যাচাই
করা যাবে। আপনি যদি এমন প্রশ্নের সম্মুক্ষণ হয়ে থাকেন তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে একটি সরকারি ওয়েবসাইট
everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এরপরে সেখানে গিয়ে প্রথমে
আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং পরবর্তিতে আপনার জন্ম তারিখ লিখে একটি ফরম পূরণ
করে দিতে হবে। এরপরে আপনার সামনে একটি ক্যাপচা আসবে সেটি পূরণ করে দিয়ে আপনি যদি
সার্চ বাটনে ক্লিক করেন তাহলেই আপনার যাচাইকৃত জন্ম নিবন্ধন দেখতে পাবেন।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
এছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে নিচের দেখানো ফর্মটি পূরণ করার মাধ্যমেও এটি যাচাই
করতে পারেন। এখানে এসে আপনাকে প্রথমে "জন্ম নিবন্ধন নম্বর" এই ঘরে আপনাকে আপনার
জন্ম নিবন্ধনের যেই নাম্বারটি রয়েছে সেটি লিখতে হবে। তারপরের ঘরে আপনাকে আপনার
জন্ম তারিখ লিখে দিতে হবে।
সেটি লিখতে হবে YYYY-MM-DD ফরমেটে। এরপরে সকল তথ্যগুলো পূরণ করা হয়ে গেলে আপনি
যখন যাচাই বাটোনে ক্লিক করবেন তারপরে আপনার সামনে একটি ক্যাপচা বক্স আসবে। সেটি
পূরণ করে দিলেই এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনের যাচাইকৃত কপিটি
দেখতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে সরকারি ওয়েবসাইটের সহায়তা নিয়েও আপনার জন্ম নিবন্ধন
যাচাই করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে
হবে। এরপরে সেখানে গিয়ে প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার তারপরে জন্ম তারিখ এবং
তারপরে ক্যাপচাটি পূরণ করে দিয়েই আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকলে করণীয়
আশা করছি আমরা সকলেই এখন পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে জানি।
কিভাবে আবেদন করতে হবে সেই বিষয়েও আমরা ক্লিয়ার একটা ধারণা পেয়েছি। তাহলে আসুন
এখন এই পার্টের মধ্যে থেকে আমরা জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকলে করণীয় কি সেই
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকার প্রথম যেই কারণটি রয়েছে সেটি হলো জন্ম
নিবন্ধন নাম্বার ১৩ ডিজিটের অথবা ১৬ ডিজিটের হওয়া। যদি এমনটি আপনার হয়ে থাকে
তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটি ১৭ ডিজিটের করে নিতে হবে। আর এই কাজটি কিভাবে করবেন
কিভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য বাড়িতে বসে থেকেই অনলাইনে আবেদন করবেন সেই সম্পর্কে
আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি।
এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন অনলাইন না থাকার কারণ হলো আপনার জন্ম নিবন্ধনের নম্বরটি ভূল
দেওয়া। আপনি যখন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে খুজবেন সেই সময়ে যদি আপনি আপনার জন্ম
নিবন্ধনের নাম্বারটি ভূল দিয়ে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন তাহলে সেটি কখনোই খুঁজে পাবেন
না। আর এজন্য অবশ্যই আপনাকে পুনরায় আবার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বারটি সঠিকভাবে দিয়ে
আবার খুজতে হবে।]
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না পাওয়ার কারণ হলো জন্ম নিবন্ধন যদি অনলাইনে
নিবন্ধিত না হয়। এখন যদি আপনি দেখেন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে নিবন্ধন করা নেই
তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য আবেদন করতে
হবে। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি আপনার ইউনিয়ন পরিষধ
থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। আশা করছি এই বিষয়ে আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি করতে হবে?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য আপনাকে bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটে
গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো
অনুসরণ করলেই আপনার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করা যায়?
উত্তরঃ everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইট ব্যাবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই
বাড়িতে বসে থেকেই জন্ম নিবন্ধন চেক করা যায়।
প্রশ্নঃ কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করা যায়?
উত্তরঃ https://everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করে
প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি খুঁজে বের করুন। যখন খুঁজে পাবেন তখন দেখবেন সেখানে
ডাউনলোড করার অপশান রয়েছে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।
প্রশ্নঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা চেক করব কিভাবে?
উত্তরঃ everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে আপনার জন্ম
নিবন্ধটি অনলাই রয়েছে কিনা সেটি চেক করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
প্রশ্নঃ জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজ লাগে ২০২৪?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। সেগুলো
নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- টিকা কার্ড
- বাড়ির ট্যাক্স বা কর পরিশোধের রশিদ
- পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- অভিভাবকের একটি সচল মোবাইল নাম্বার
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়মগুলো স্টেপ বাই
স্টেপ বিস্তারিত আকারে ছবি সহ দেখেছি। আশা করছি আপনি এখান থেকে এই সম্পর্কে সকল
বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমনই আরো তথ্যবহুল এবং
ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment