দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটিপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চই কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাইতো আপনি আজকের এই আর্টিকেলটিতে পৌঁছেছেন। আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি কোমরের ব্যথা কেন হয়, কোমরের ব্যথা কমানোর উপায়, কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট, কোমরের ব্যথা কমানোর মলম, কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

কোমরের ব্যথা কেন হয়

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেটগুলোর নাম জানার পূর্বে আমাদের সকলকে জানতে হবে কোমরের ব্যথা কেন হয়। কারণ আপনি যদি এর কারণ চিহ্নিত করতে না পারেন তাহলে এর সমাধান করতে পারবেন না। তাই আমাদের সকলেরই আগে কোমরের ব্যাথার কারণগুলো জানা প্রয়োজন। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কোমরের ব্যথা হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান কিছু কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমাদের শরীরে লিগামেন্ট নামে একটি অংশ রয়েছে। যেটি হলো একধরণের সুতোর মতো টিস্যু। এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরণের হাড়ের এবং গিরার মধ্য দিয়ে একটির সাথে আরেকটির সংযোগ স্থাপন করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যখন এই লিগামেন্ট হঠাৎ করেই ঠান খায় অথবা অত্যাধিক চাপ খায় তখনই আমাদের কোমরের অতিরিক্ত ব্যাথা হয়।

আবার আমাদের শরীরের মেরুদন্ডের যে সকল হাড় রয়েছে এই সবগুলো হাড়ের মধ্যে বিশেষ ধরনের কিছু চাকতি অথবা ডিক্স রয়েছে। যখন এই ডিক্সগুলো সরে যায় ঠিক তারপর পরেই আমাদের কোমরে ব্যাথা অনুভুত হতে শুরু করে। এর পাশাপাশি আমাদের শরীর ঝিমঝিম করা শরীরে অত্যাধিক দুর্বলতা অনুভব করা সহ আরো অনেক ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়।

এটি ছিলো কোমর ব্যাথা হওয়ার প্রধান কারণ। আর পাশাপাশি আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে যার জন্য আমাদের কোমরে ব্যাথা হয়। সেই সকল কারণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
হুট করে ভাড়ি কোন জিনিস উঠানো
  • খেলাধুলা করার সময়ে পেশিতে টান পরে যাওয়া
  • হঠাৎ করেই একদিনে অতিরিক্ত পরিমাণ পরিশ্রম করা
  • অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হলে কোমর ব্যাথা হতে পারে
  • ঠিকভাবে না বসে থেকে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ব্যাবহার করা
  • মেরুদণ্ডে ফাটল ধরা অথবা জন্মগত কোন সমস্যা বা ইনফেকশান থাকা
  • কোমরে হাড়ে ক্যান্সার হওয়া
  • অনেক সময় নিয়ে একই স্থানে এবং একই রকমভাবে বসে থাকা
  • নরম বিছানায় ঘুমানো
  • কোমরের নার্ভের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া
  • শরীর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া
  • শরীরের জন্য অনুপযোগি স্থানে বসা
  • হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়া
  • উচু বালিশে ঘুমানো
  • নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম না করার জন্যও কোমর ব্যাথা হয়
উপরের উল্লিখিত কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে। আবার অনেক সময়ে কোন প্রকারের সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই কোমরে ব্যাথা হতে পারে। আবার এমনও দেখা গেছে যদি কোন ব্যাক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপে থাকে তাহলেও তার শরীরে এই ধরণের ব্যাথা হতে পারে।

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট রয়েছে বেশকিছু। এখান থেকে আপনি যেকোন একটি ট্যাবলেট কিনে নিয়ে খেতে পারেন। বর্তমান সময়ে বাজারে এখন কোমরের ব্যাথা কমানোর জন্য অনেক ভালো মানের এবং বিভিন্ন ধরণের কোম্পানির ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সেই সকল ট্যাবলেটগুলো খেলে আপনি অনেকটাই কোমরের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে এবং নিয়ম অনুসারে না খান তাহলে এটি নাও কমতে পারে।
কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
তবে আপনি যদি দেখতে পান আপনার কোমরে অত্যাধিক পরিমাণ ব্যাথা করছে তাহলে আপনি কোমর ব্যাথা কমানোর যেই সকল ট্যাবলেটগুলো রয়েছে সেগুলো খেয়ে এই সব ব্যাথা দূর করতে পারেন। তবে আপনি যদি আরো ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরে এই সকল ঔষধগুলো সেবন করা উচিত হবে। তো চলুন এবার আমরা কোমরের ব্যাথা কমানোর জন্য কোন ঔষধ আপনি খাবেন সেগুলোর নাম জেনে নেই।
  • ডিপ্রোক্সেন (Diproxen) 500mg
  • সোনাপ (Sonap) 500mg
  • নেপরো এ (Napro A) 500mg
  • নেপ্রিন (Napryn) 500mg
  • নেসপ্রো (Naspro) 500mg
  • নেপ্রক্স (Napro) 500mg
  • নেপ্রো (Diproxen) 500mg
  • জেনাপ্রো (Xenapro) 500mg
  • নিউপ্রাফেন (Nuprafen) 500mg
  • একলেস (Ecless) 500mg
  • Anaflex max 375mg
  • Myorel 5/10 mg
  • Napadol
কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য এই সকল ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন এই সকল ট্যাবলেটগুলো ব্যাবহার করার পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তাহলে তিনি আপনার কোমরের অবস্থা দেখে তারপরে আপনার জন্য কোন ট্যাবলেটটি ভালো হবে সেটি লিখে দিবেন। তারপরে আপনি সেই ট্যাবলেটগুলো খেতে পারেন।

কোমরের ব্যথা কমানোর উপায়

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেটগুলো সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে জানলাম। এখন এই পাঠের মধ্যে আমরা কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানবো। অর্থাৎ আপনি কোন উপায় অনুসরণ করে আপনার কোমরের ব্যাথা কমাবেন সেই সম্পর্কে জানবো। আপনি যদি এই বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি কোমরে গরম শেক নিতে পারেন। যদি আপনি দেখতে পান আপনার ব্যাথা অনেকদিনের তাহলে আপনি প্রতিদিন কিছুটা পরিমাণ গরম শেক নিন। তাহলে দেখতে পাবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার এই কোমরের ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার কোমরে বিভিন্ন ধরণের তেল মালিশ করতে পারেন। অথবা শরিষার তেলের সাথে কিছুটা কালোজিরা মিশিয়ে সেটি মালিশ করতে পারেন। আবার রসুনের তেল হালকা গরম করে নিয়েও মালিশ করতে পারেন। এছাড়াও যদি সম্ভব হয় তাহলে জাফরানের তেল মালিশ করতে পারেন। এরপরেও যদি আপনার কোমরের ব্যাথা অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে তাহলে খুব দ্রুত একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

আপনি যদি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে তিনি আপনাকে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা করার মাধ্যমে সঠিক রোগটি অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বলবেন। আপনি যদি সেই চিকিৎসা গ্রহণ করেন ঠিকঠাক, তাহলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। এছাড়াও আপনি বাড়িতে বসে থেকেই কোমরের ব্যাথা কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করতে পারেন। এর মাধ্যমেও কোমরের ব্যাথা অনেকটাই কমিয়ে নিয়ে আসা যায়।

কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট সেবন করার পাশাপাশি আপনার উচিত হবে কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে সেগুলো অনুসরণ করা। এর মাধ্যমে আপনার কোমরের ব্যাথা খুব দ্রুত কমে যাবে। অথবা আপনি যদি কোন প্রকারের ট্যাবলেট সেবন করতে না চান তাহলে পূর্বেই ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এতে করে যদি ব্যাথা কমে যায় তাহলে আর অতিরিক্ত ঔষধ সেবন করতে হবে না।
কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে সবার প্রথমেই যেটির কথা বলতে হয় সেটি হলো প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা। তাই আপনি যদি এই কোমরের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যায়াম করা উচিত হবে না। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তারপরে ব্যায়াম করুন।

কোমরে সেঁক নিনঃ যদি আপনার কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে আর আপনি যদি প্রাথমিক অবস্থায় সেঁক নেন তাহলে অনেকটাই ভালো ফল পাবেন। আর এজন্য আপনার কোমরের যেখানে ব্যথা রয়েছে সেখানে গরম সেঁক দিন। কিছুদিন ব্যবহারের ফলেই দেখবেন আপনার কোমরের ব্যথাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর এজন্য আপনি চাইলে হিট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।

ইউকেলিপটাসের তেলঃ আপনার কোমরের অতিরিক্ত ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই ইউকেলিপটাসের তেল। যদি আপনি এই তেলটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি খুব দ্রুতই আরামবোধ করবেন। এর কারণ হলো ইউকেলিপটাসের তেল সকল প্রকারের যন্ত্রনা এবং ব্যথা কমানোর জন্য অনেক বেশি উপকারী। এছাড়াও এই তেলটি ব্যবহার করার ফলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সরিষার তেল ও রসুনঃ এই কাজটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু পরিমাণ সরিষার তেল তার সাথে রসুন এবং কালোজিরা মেশিয়ে নিয়ে সেই তেলটি ফুটিয়ে দিতে হবে। এরপরে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। যখন এটির তাপমাত্রা কমে আসবে তখন এই তেল কোমরে মেসেজ করুন। এটি ব্যবহার করলে কোমরের ব্যথা হতে আপনি আরাম পাবেন।

হলুদঃ আপনি চাইলে প্রতিদিন দুধের সাথে কিছুটা পরিমাণ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে সেই দুধ খেতে পারেন। এটি খেলে পারে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কোমরের ব্যথা এবং গোটা শরীরের ব্যথা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন।

কোমরের ব্যথা কমানোর মলম

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট খাওয়ার পাশাপাশি আবার অনেকেই কোমরের ব্যথা কমানোর মলম ব্যাবহার করতে চান। কিন্তু বুঝে উঠতে পারেন না তারা এই ব্যথার নিরাময় করার জন্য কোন মলমটি ব্যবহার করবেন। আপনারও যদি কোমরে এমন ধরনের ব্যথা থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য কোন মলমটি কার্যকর হবে সেই সম্পর্কে চলুন এখন আমরা জেনে নেই।

কোমরের ব্যথা কমানোর মলম হিসেবে এখন সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয় Moov মলম বা স্প্রে। এটি আপনি বাজারে দুই ধরনের পেয়ে যাবেন। যদি আপনি মলম ব্যবহার করতে চান তাহলে এই মলম কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। আবার যদি আপনি চান না আমি মলম ব্যবহার করব না তাহলে আপনি চাইলে Moov এর স্প্রে নিয়ে ও ব্যবহার করতে পারেন। তবে স্প্রের থেকে মলম অনেক বেশি এবং ভালো কার্যকরী।

কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট হিসেবে আপনি ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট ও খেতে পারেন। বাজারে এখন বর্তমান সময়ে কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ধরনের ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সেখান থেকে আপনি যে কোন একটি ট্যাবলেট নিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া আমরা নিচে কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য সবথেকে ভালো দুটি ওষুধের নাম বলে দিব। আপনি চাইলে এই ওষুধটি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য সবথেকে ভালো যে দুটি ঔষধ রয়েছে সে দুটি ঔষধের নাম হলো
  • আইবুপ্রোফেন
  • ন্যপ্রক্সেন সোডিয়াম
এই দুটি ঔষধ আপনি বাজারের যেকোন ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে কিনে নিয়ে আপনি খেতে পারেন। এই দুটি ঔষধ শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। তবে আপনি সবথেকে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপরে ঔষধ কিনে সেবন করবেন।

ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এর পাশাপাশি এখন বাজারে অনেক ধরণের ব্যাথার ঔষধ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে আপনার শরীরের ব্যাথা কমানোর জন্য সেই ঔষধগুলো কিনে ব্যাবহার করতে পারেন। তবে শরীরের বিভিন্ন ধরণের ব্যাথার জন্য আলাদা আলাদা ধরণের ব্যাথার ঔষধ দেওয়া হয়ে থাকে। নিম্নে কিছু ব্যাথার ট্যাবলেটের নাম উল্লেখ করা হলো।
  • Naprox (500mg)
  • Napro (500mg)
  • Napryn ( 500mg)
  • Nuprafen (500mg)
  • Naspro (500mg)
  • Napro A (500mg)
  • Diproxen (500mg)
  • Sonap ( 500mg)
  • Ecless (500mg)
  • Xenapro (500mg)
উপরের উল্লিখিত এই ঔষধগুলো ব্যাথার ঔষধ। আপনার শরীরের ব্যাথার জন্য আপনি এই সকল ঔষধ ব্যাবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করেন তাহলে এটিই হবে আপনার জন্য সবথেকে ভালো। কারণ তিনি আপনার ব্যাথার স্থান দেখে আপনার জন্য কোন ঔষধটি কার্যকর হবে সেটিই নির্দিষ্ট করে ঔষধ দিবেন। আশা করছি আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ কোমর ব্যথা মানেই কি কিডনি রোগের লক্ষণ?
উত্তরঃ আমাদের অনেকেরই এই সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন কোমরের ব্যাথার যত সকল কারণ রয়েছে তার মধ্যে কিডনির সমস্যা খুবই বিরল একটি ঘটনা। তাই এমনটি ভাবা মোটেও উচিত নয়।

প্রশ্নঃ কোমর ব্যথার জন্য কি ঔষধ খাওয়া যায়?
উত্তরঃ আপনার কোমরের ব্যাথার জন্য আপনি ম্যাক্সরেল ট্যাবলেট, আইবুপ্রোফেন অথবা ন্যপ্রক্সেন সোডিয়াম ঔষধগুলো খেতে পারেন। এই ঔষধগুলো ব্যাথা কমানোর জন্য অনেক ভালো ঔষধ।

প্রশ্নঃ কোমর ব্যথা কমানোর উপায় কি?
উত্তরঃ কোমরের ব্যাথা কমানোর জন্য আপনি প্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যাবহার করুন। পরবর্তিতে যখন দখবেন এই ব্যাথা কমছে না তারপরে আপনি ঔষধ সেবন করতে পারেন। তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপরে ঔষধ সেবন করবেন।

প্রশ্নঃ পুরুষের পিঠে ব্যথার কারণ কি?
উত্তরঃ পুরুষের পিঠে ব্যথার কারণ অনেকগুলো হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে কোন ধরণের দুর্ঘটনার জন্য কোমরে আঘাত পাওয়া, মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া, ভারি কোনকিছু তোলা ইত্যাদি।

শেষ কথা

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এর নামগুলোর নাম আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি। এছাড়াও আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post