মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়মআজকের এই পাঠে জানুন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সঠিক ও সহজ পদ্ধতি। দূর পাল্লার পথে ট্রেনে ভ্রমন করতে আমরা সকলেই স্বাচ্ছন্দবোধ করি। আর ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই ট্রেনের টিকেট কাটার প্রয়োজন হয়। আর সেই টিকেট আপনি ঘরে বসে থেকেই কেটে নিতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথেই আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। আর যে কারণে আমরা ঘরে বসেই যেকোনো কাজ করে ফেলতে সম্ভব হচ্ছি। তেমনি ভাবে কিভাবে আপনি ঘরে বসেই যেকোন টেনের জন্য টিকিট কাটতে পারবেন সে সম্পর্কে জানব আমরা।

পেজ সূচিপত্রঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সঠিক ও সহজ পদ্ধতি

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম রয়েছে দুটি। যেটির মধ্যে থেকে যেকোন একটি মাধ্যম ব্যবহার করেই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কেটে নিতে পারবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য যুদ্ধ করা হয়েছে বিকাশকে। তাই বলা যায় বর্তমান সময়ে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করার জন্য মাধ্যম হলো ৩টি। সেগুলো হলো
  • "Rail Sheba" অ্যাপের মাধ্যমে
  • ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
  • বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে
আপনি যদি অনলাইন থেকে কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটতে হয় সেই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেই এই তিনটি মাধ্যম ব্যাবহার করে কিভাবে অনলাইন থেকে সহজেই ট্রেনের টিকেট ক্রয় করবেন।

"Rail Sheba" অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট ক্রয়

এই অ্যাপ্লিকেশন থেকে ট্রেনের টিকিট কয় করার জন্য প্রথমে গুগলে গিয়ে "Rail Sheba" লিখে সার্চ করতে হবে। সার্চ দিয়ে প্রথমে যেই অ্যাপটি পাবেন সেটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন।

যখন এটি ইন্সটল করা হয়ে যাবে তখন "Sign Up" বাটন নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে প্রথম ইমেইল এড্রেস তারপরে একটি ফোন নাম্বার, আপনার নাম, এবং একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।

যখন এই অ্যাপের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে যাবেন, করতে গিয়ে যেই ইমেইল আপনি সেখানে দিবেন এই ইমেইলের মাধ্যমে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠানো হবে। ইমেইলটি ওপেন করে নিয়ে ওই লিংকে ক্লিক করে অ্যাকাউন্টটি সচল করে নিতে হবে।

যখন একাউন্টে সচল হয়ে যাবে তখন একাউন্টে গিয়ে আপনার নিজের প্রোফাইল সম্পূর্ণভাবে সেট করে নিতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন হবে আপনার জন্ম তারিখ, আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার, অথবা যদি ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার না থেকে তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়েও প্রোফাইল সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

যখন আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে তখন অ্যাপের মধ্যে গিয়ে লগইন করে নিতে হবে।

অ্যাপের মধ্যে লগইন করে নিয়ে যখন আপনি ট্রেনের টিকিট কাটতে যাবেন তখন আপনাকে "Purchase" লেখার উপরে ক্লিক করতে হবে। যখন আপনি এখানে ক্লিক করবেন তখন আপনার ট্রেন কখন যাত্রা করবে কোন সময় গিয়ে পৌঁছাবে, কত তারিখে ট্রেন, ট্রেন এখন পর্যন্ত কোন সিট ফাঁকা আছে কিনা সেই সকল বিস্তারিত তথ্য আপনি দেখতে পারবেন। এমনকি এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের সিট অনুযায়ী ট্রেনের টিকেটও ক্রয় করতে পারবেন।

একজন ব্যক্তি প্রতি সাপ্তাহে সর্বোচ্চ চারটি করে টিকিট কিনতে পারবেন। আর তাই চারটি সেটের বেশি কখনো নির্বাচন করা উচিত হবে না। এছাড়াও একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতি সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি টিকিট কোন ভাবে ক্রয় করতে পারবেন না।

যখন আপনার ট্রেনের সিট নির্বাচন করা হয়ে যাবে তখন এখান থেকে আপনাকে "Continue" এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন আপনার সেই ট্রেনের ভাড়া সহ সকল তথ্য।

আপনার যদি সেই ভাড়া অনুযায়ী পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে সেই সিটটি কনফার্ম করার জন্য "pay now" এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি এখানে অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল এ পেমেন্ট করা সকল ধরনের সুবিধা দেখতে পাবেন।

ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য এখান থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন একটি মাধ্যম নির্বাচন করে নিয়ে আপনার একাউন্টের নাম্বার এবং পিন নাম্বার দিলেই একখান কোড আপনার সেই মোবাইল নাম্বারে পাঠানো হবে। যখন এই কোডটি আপনি বসাবেন তখনই আপনার ট্রেনের একাউন্ট কিনার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

যখন আপনি ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য তাদেরকে পেমেন্ট করবেন তারা আপনাকে পরবর্তী 30 মিনিটের মধ্যে একটি মেইল করার মাধ্যমে সেখানে আপনার ট্রেনের টিকিট পাঠিয়ে দিবেন। এছাড়াও আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে থেকেই "History" তে গিয়ে আপনার ট্রেনের টিকিট চেক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট ক্রয়

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম এর মধ্যে এ নিয়মটিও হলো আরো একটি নিয়ম। যেখান থেকে আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কিনতে পারবেন।

তার জন্য প্রথমে আপনাকে esheba.cnsbd.com এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।

সেখানে গিয়ে প্রথমে আপনাকে আপনার নাম, আপনার একটি ব্যক্তিগত ইমেইল এড্রেস, একটি মোবাইল নাম্বার এবং একটি পাসওয়ার্ড বসানোর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।

যখন আপনার রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর এবং ছবি দিয়ে প্রোফাইলটি সম্পূর্ণ করে নিতে হবে।

যখন আপনি রেজিস্ট্রেশন করে একাউন্টের কাজ সম্পূর্ণ করে নেবেন তখনই একাউন্টে চালু হয়ে যাবে পরবর্তীতে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য।

এখান থেকে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য esheba.cnsbd.com এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করে প্রথমে যাত্রার স্থান অর্থাৎ যেখান থেকে আপনি যাত্রা শুরু করতে চান এবং আপনি যেখানে যেতে চান সেটি নির্বাচন করতে হবে।

কত তারিখে আপনি যাত্রা করবেন সেটি এখান থেকে দেখে সেই তারিখে কতগুলো ট্রেন আছে এবং কতগুলো সিট ফাঁকা রয়েছে সে সম্পর্কে ডিটেলস জানতে পারবেন।

এক্ষেত্রে ট্রেন নির্বাচন করার জন্য অবশ্যই "Details" এই ক্লিক করতে হবে। তার পরবর্তীতে "Availability" নির্বাচন করতে হবে। এটি নির্বাচন করলেই দেখতে পাবেন কতগুলো ট্রেনের টিকিট ফাঁকা রয়েছে। এবং সেই ট্রেনের টিকিটের মূল্য কত টাকা।

সকল কিছু দেখে যদি আপনার পছন্দ হয়ে যায় তাহলে আপনি ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য "Purchase" অপশনে ক্লিক করবেন।

এখানে ক্লিক করার পরে ডিজিটাল মাধ্যমে অনলাইনেই পেমেন্ট করে দিলে 30 মিনিটের মধ্যে তারা আপনাকে মেইল ঠিকানায় আপনার ট্রেনের টিকিট পাঠিয়ে দিবেন।

আপনার এই মেইল ঠিকানায় থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করার পূর্বে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে নিয়ে সেটি প্রিন্ট করে নেবেন. অথবা যদি আপনি চান তাহলে ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকেই এই টিকিট দেখিয়ে এই টিকিটের প্রিন্ট করা কপি আপনি তাদের কাছে থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে পারেন।

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয়

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম এর মধ্যে এটি হলো আরেকটি অন্যতম নিয়ম। যেখান থেকে আপনি ডিজিটাল লেনদেনের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম বিকাশের মাধ্যমেই ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।

বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট করার জন্য প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপের মধ্যে প্রবেশ করে সেখানের অনেকগুলো আইকন থেকে ট্রেনের আইকন সিলেক্ট করে নিতে হবে।

এটি সিলেট করার পরেই আপনি সেখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইনে যে ট্রেনের টিকিট করার সার্ভিসটি রয়েছে তার স্কিন দেখতে পাবেন।

এখান থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য প্রথমে যাত্রার স্থান, এবং যেখানে আপনি যেতে চান সেটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে যাত্রার তারিখ এবং আপনি কতগুলো টিকিট কিনতে চান সেটির নির্বাচন করতে হবে।

এরপরে আপনার ট্রেনের টিকেট ক্রয় করার জন্য "purchase" অপশনে যেতে হবে।

এখানে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের যে আপনার একাউন্ট ছিল সেই একাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিতে হবে।

যখন আপনার সকল কিছু সিলেক্ট করার হয়ে যাবে তখন এর পরে দেখতে পাবেন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ভাড়া দেওয়ার মাধ্যম।

এখান থেকে আপনার বিকাশের নাম্বার এবং বিকাশের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলে একটি ওটিপি কোড আসবে। সেটি যদি বসিয়ে দেন তাহলেই আপনার ট্রেনের টিকেট ক্রয় করা সম্পন্ন হয়ে যাবে।

ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা হয়ে গেলে পরবর্তীতে ৩০ মিনিটের ভিতরেই আপনার মেইল ঠিকানায় সেই ট্রেনের টিকিট পেয়ে যাবেন। তারপরে এই টিকিটের নাম্বার বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটের একাউন্টে গিয়ে দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে নিবন্ধন করা ট্রেনের টিকিটটা আপনি সংগ্রহ করে তারপরে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস ২০২৪

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রেলের ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য শুধুমাত্র একটিই ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস চালু রয়েছে। সেই অ্যাপসটির নাম হলো Rail Sheba app যেটি আপনি গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করলে প্রথমেই পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি এখানে ক্লিক করেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ডাউনলোড করার জন্য নিচের ডাউনলোড করুন বাটনে ক্লিক করুন।

কাউন্টারে ট্রেনের টিকেট কাটার সময়

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানার পরে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট না কিনে কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে চান। আর তার জন্য তারা জানতে চান কাউন্টারে ট্রেনের টিকেট কাটার সময় সম্পর্কে। আপনিও যদি এমন না জেনে থাকেন কাউন্টারে গিয়ে আপনি কোন সময়ে ট্রেনের টিকেট কাটবেন চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
কাউন্টারে ট্রেনের টিকেট কাটার সময়
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনি প্রতি ৭ দিনের ২৪ ঘন্টাই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। আবার যদি আপনি কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনি ২৪ ঘন্টাই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। তবে সরকারি সকল ছুটি ছাড়া এবং শুক্রবার দিনের ছুটি ছাড়া আপনি বাকি ৬ দিনের ২৪ ঘন্টায় ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবেন।

তবে অফলাইনের মাধ্যমে কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা কে বর্তমান সময়ের সোনার হরিণ বলা হয়। এখানে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা লম্বা লাইন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এমনও অনেকে আছেন জিনারা এখান থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা লম্বা লাইন ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য দাঁড়িয়ে থাকার পরও শেষমেষ টিকিট পান না। বিশেষ করে সব থেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় এদের সময়টাতে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজ হওয়ার কারণে এখন আপনি ঘরে বসেই বাংলাদেশ রেলওয়ের মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এই কাজটি আপনি ঘরে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমেই খুব সহজে করে নিতে পারবেন। যেটি সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনাকে সকল বিষয় বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

যেভাবে ট্রেনের টিকিট চেক করবেন

বাংলাদেশের রেলওয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জেনে সঠিক পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকিট যদি আপনি কিনে থাকেন তাহলে সেটি আপনাকে আর চেক করার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু এছাড়া যদি আপনি অন্য কোন মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে টেনে ভ্রমণ করার পূর্বে সেই টিকেট যাচাই করে চেক করে দেখা।

এই অবস্থাতে আপনাকে ট্রেনের টিকিট চেক করার ক্ষেত্রে আপনাকে নতুন করে আর এই ওয়েবসাইটের মধ্যে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার হবে না। আপনি সরাসরি ওয়েব সাইটের মধ্যে প্রবেশ করে সেখান থেকে আপনার ট্রেনের টিকিট চেক করে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে ভিজিট করতে হবে।

এখানে ভিজিট করার পর ওয়েবসাইটের মধ্যেই ডান পাশে "Verify Ticket" নামে একটু অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আপনাকে এখানে যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ট্রেনের টিকিট কিনেছেন সেই আপনার মোবাইল নাম্বার এবং টেনের টিকিটের উপরের অংশে যে "PNR Number" লেখা আছে সেটি লিখে দিতে হবে এই দুই ঘরে। তারপরে আপনাকে "Verify Ticket" অপশনে ক্লিক করতে হবে। নিম্নের দেখানো ছবি অনুসরণ করুন।
   
    
  
 

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ট্রেনের টিকিট কেটে কি ভাবে চেক করব?
উত্তরঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার পরে সে ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য আপনি "Rail sheba" মোবাইল অ্যাপস অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। সেখান থেকে আপনি খুব সহজে চেক করে নিতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ট্রেনের টিকেট কনফার্ম হলে কিভাবে বুঝবো?
উত্তরঃ ট্রেনের টিকিট কনফার্ম হলে বোঝার সবথেকে বড় উপায় হলো আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটবেন তার থেকে প্রায় 30 মিনিটের মধ্যেই আপনার কাছে একটি ইমেইল আসবে। সেই ইমেইলে আপনার ট্রেনের টিকিটের সকল যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা থাকবে। যখন আপনার কাছে এই ইমেইল আসবে তখন আপনি বুঝে নেবেন আপনার ট্রেনের টিকিট কনফার্ম করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ কত দিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়?
উত্তরঃ আগে অগ্রিম টিকিট কাটার সময়সীমা করা ছিল ১০ দিন। অর্থাৎ আপনি কোথাও ভ্রমণের ১০ দিন পূর্বে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটা পরিবর্তন করে করা হয়েছে পাঁচ দিন। অর্থাৎ আপনি কোথাও ভ্রমণ করার পাঁচ দিন পূর্বেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।

প্রশ্নঃ পিএনআর কি?
উত্তরঃ পিএনআর এর অর্থ হলো ট্রেনে ভ্রমণকৃত জাতির নামে সকল রেকর্ড। এখানে যেসকল যাত্রী ভ্রমণ করছে তাদের সকল রেকর্ড সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

প্রশ্নঃ কত বছর বয়স হলে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে?
উত্তরঃ যাদের বয়স ১২ বছরের ঊর্ধ্বে তাদেরকে অবশ্যই ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। তবে আপাতত দৃষ্টিতে পাশ থেকে ১১ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য ট্রেনের টিকিটের অর্ধেক মূল্য পরিশোধ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ ট্রেনের টিকেট বুকিং কতদিন আগে?
উত্তরঃ আপনি আপনার ভ্রমণের ট্রেনের টিকিট ভ্রমণ করার ৫ দিন পূর্বে থেকে বুকিং দিতে পারবেন।

শেষ কথা

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনার আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post