অনলাইনে ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সঠিক তথ্য জানতে পারছেন না? তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরবো। তাই জানার জন্য শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে
ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। এই সকল কাজ করা হয় বাহিরের দেশের মানুষের সাথে। এই কাজ করার জন্য অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয় তার পাশাপাশি প্রয়োজন হয় একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের জন্য। তবে কোন ল্যাপটপ আপনি কিনবেন সেই সম্পর্কে জানবো।

পেজ সূচিপত্রঃ

ফ্রিল্যান্সিং কি? কি কাজ করতে হয়?

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে সেই সম্পর্কে জানার পূর্বে আপনাদের জানা উচিত হবে ফ্রিল্যান্সিং কি? আর তার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন কোন কাজ করা হয়। যদি আপনি এই দুটি বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে আপনি বুঝে উঠতে পারবেন না কোন কাজ করতে হবে আপনাকে। আর তার জন্য আপনার কেমন মানের ল্যাপটপ প্রয়োজন। চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

ফ্রিল্যান্সিং হলো একধরণের মুক্ত পেশা। এই পেশায় আপনি নিজের ইচ্ছা মতো এবং নিজের সময় অনুযায়ী দেশের ভেতরে এবং দেশের বাহিরের মানুষের সাথে কাজ করতে পারবেন। তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনি তাদের কোম্পানির যেকোনো কাজ করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাহিরের কোম্পানির যে কাজের প্রয়োজন হবে সেই কাজের জন্যই আপনাকে হায়ার করবে।

আর আপনি সেই কাজ করে দিয়ে তাদের কাছে থেকে অনেক ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। সেই সকল কাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কাজ রয়েছে। যেমন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • ফটো এডিটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ফেসবুক এসইও
  • ইউটিউব মার্কেটিং
  • ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ইউটিউব এসইও
এছাড়াও আরো অনেক হাজারো ধরণের কাজ করে আপনি কাজ করতে পারবেন। এই সকল কাজ করার জন্য আপনি যদি একটু ভারি ধরণের কাজ করতে চান (যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং ,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন) এই সকল কাজের জন্য একটু ভালো মানের ল্যাপটপের প্রয়োজন হবে। আর অন্যসকল কাজের জন্য একটু হালকা ল্যাপটপ হলেও চলবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে কি কোনভাবেই বুঝে উঠতে পারছেন না? অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কি আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারেননি? তাহলে আর্টিকেলের আজকের এই অংশ থেকে আপনি সম্পূর্ণ জানতে এবং বুঝতে পারবেন। কারণ এই পাঠের মধ্যে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং অথবা আউটসোর্সিং সকলের কাছে একটি জনপ্রিয় এবং আধুনিক পেশা হিসেবে হয়ে উঠেছে ব্যাপক পরিচিত। এখন প্রায় সকলের কাছেই এ ফ্রিল্যান্সিং নামের পেশাটি সমানভাবে সমাদ্রিত। এমন অনেকেই রয়েছেন যিনারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছোটখাটো কাজ করছেন এবং নিজের হাত খরচ নিজেই চালাচ্ছেন। আবার অনেকেও কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন ঘরে বসেই।

আবার এমন অনেকেই রয়েছেন তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি অথবা তার দৈনন্দিন সফল কাজের পাশাপাশি ল্যাপটপ নিয়ে বসে যে কোন ধরনের ছোটখাটো ফ্রান্সের কাজ করছে। এখানে মোট কথা হল ফ্রিল্যান্সিং কম বেশি সকলেই, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে করতে পারবেন। সকল ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করার মাধ্যমে কাজ করা যায়।

তবে কাজের ধরনের ভিত্তিতে ডিভাইসের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। এই কাজের মধ্যে ছোট বড় এবং বিভিন্ন ধরনের জটিল কাজে রয়েছে। যে সকল কাজগুলো আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন না। এই সকল কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের সহায়তা নিতে হবে।

আর তাই ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে অবশ্যই জানা উচিত। কারণ বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররাই সব সময় ভ্রমণরত অবস্থায় থাকেন। যেমন অনেকে রয়েছেন ব্লগার আবার এমন অনেকে রয়েছেন জিনারা রাইটার অথবা ফটোগ্রাফির কাজ করেন। আর তাই তারা ল্যাপটপকে সবসময়ই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাহলে চলুন এই পাঠের মধ্যে আমরা জেনে নেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য কোন মানের ল্যাপটপ ভালো হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সাধারণ মানের ল্যাপটপ

যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য খুব ছোটখাটো কাজ করে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানের ল্যাপটপ আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরপরই রয়েছেন সকলের ল্যাপটপের প্রতি আকর্ষণ। এই ল্যাপটপ অনেকে ব্যবহার করেন গেমিং করার জন্য। আবার অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন অফিসের বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে এমনকি প্রেজেন্টেশন তৈরি ক্ষেত্রে।
কাজ করার ক্ষেত্রে একেক ধরনের ল্যাপটপ একেক ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনি যদি এমন ধরনের কাজ করেন যে কাজ হালকা এবং কম লোডের তাহলে আপনি যেকোন ধরনের ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো ধরনের সাধারণ মানের ল্যাপটপ ব্যবহার করেই আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। সেই সকল কাজগুলোর নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • ব্লগিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ডাটা মাইনিং
  • এসইও
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • এছাড়াও আরো অসংখ্য ধরণের ছোট বড় কাজ।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য উন্নত মানের ল্যাপটপ

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এটি মূলত নির্ভর করে আপনার কাজের উপর। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে। এই সেক্টরে আপনি প্রায় এক হাজারের উপরে ক্যাটাগরের কাজ পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে যেমন অনেক সহজ কাজ রয়েছে তেমনি এমন উন্নত মানের এবং ভারী এক্সপেন্সিভ কাজে রয়েছে। সেই সকল কাজগুলো করার ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতার সহিত কাজ করতে হয়।

আপনি যদি এমন ভারি ধরনের কাজ করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকেও একটু উন্নত মানের ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে। যদি একটু ভারী এবং বড় মানের কাজ করে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে হাই কনফিগারেশন যুক্ত অ্যাডভান্স লেভেলের ল্যাপটপ ব্যবহার করে কাজ করতে হবে। আর এই সকল ভারী কাজের জন্য একটু ভালো মানের ল্যাপটপ দরকার হয়।

এই সকল হাই কনফিগারেশনযুক্ত ল্যাপটপ ব্যাবহার করে আপনি যেসকল ভালো মানের কাজ করতে পারবেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট
  • গেমিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • লগো ডিজাইন
  • ওয়ার্ডপ্রেস ওয়ার্কিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • এছাড়াও আরো অনেক বড় ধরণের জটিল কাজ

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ এর বাজেট

আমরা তো সকলেই ইতিপূর্বে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে সেই সম্পর্কে জানতে পারলাম। এই পাঠের মধ্যে আমরা জানবো আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ এর বাজেট বাজেট কেমন হবে। কেননা আপনি যদি ল্যাপটম কিনতে চান তার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে একটা বাজেট ঠিক করে নিতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ এর বাজেট
আপনি যদি নরমাল অথবা স্ট্যান্ডার্ড লেভেলের কোন ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার খুব বেশি বাজেট প্রয়োজন হবে না। এজন্য আপনি ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যেই অনেক ভালো মানের একটি ল্যাপটপ কিনে নিতে পারবেন। তো আপনারা যারা এমন দামের ভিতরে ল্যাপটপ কেনার জন্য আগ্রহী তারা নিম্নের দেওয়া ল্যাপটপের তালিকা গুলো দেখতে পারেন।
  • Asus X540YA
  • Asus Vivo Book 15 K513EA Core i5 11th Gen 15
  • Acer Aspire ES1-533
  • Dell Inspiron 14-3473 N4000
  • Dell xps 15
  • HP EliteBook 840 G5 Core i5 8th Gen 8GB RAM 256GB SSD
  • Lenovo Thinkpad E14 20TAS0XF00
  • HP 15-db0000au
  • Lenovo Ideapad G4135
যাদের ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে সীমিত পর্যায়ের বাজেট তারা উপরের দেখানোর ল্যাপটপের মডেল গুলো দেখতে পারেন। আবার অনেকে আছেন যারা জটিল এবং এক্সপেন্সিভ কাজ করার ক্ষেত্রে পছন্দ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হবে উন্নত মানের ল্যাপটপ ক্রয় করে ব্যবহার করা। তবে একটু উন্নত মানের ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটু বেশি মনের বাজেট রাখতে হবে।

কারণ যত ভালো মানের জিনিস নিতে যাবেন তত আপনাকে একটু বেশি দাম খরচ করতে হবে। কারণ যেই জিনিস যত ভালো সেই জিনিসের দামও ততটাই বেশি। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বাজেট রাখতে হবে 70 হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে। আপনারা যারা ভাল দামের এবং ভাল মানের ল্যাপটপ কিনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে চান তারা নিম্নের দেওয়া ল্যাপটপ গুলো দেখতে পারেন।
  • Asus Vivo Book 15 K513EA Core i5 11th Gen 15
  • Dell XPS 15
  • Dell XPS 13 7390 Core i7 10th Gen Touch Screen Laptop
  • Gigabyte Aero 15
  • HP Elite Dragonfly
  • Dell XPS 13 7390 Core i7 10th Gen Touchscreen Laptop
  • HP Elitebook
  • Lenovo Chromebook
  • Lenovo ThinkPad X1 Carbon Core i5 7th Gen Laptop
  • Razer Blade Pro 17
  • MacBook Pro
  • Razer Blade Pro 17

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কেন ব্যবহার করবেন

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে আপনার জন্য এটি আপনার কাজের সময়ে আপনি নিজেই নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। কেননা আপনি যেই কাজ করবেন সেই কাজের জন্য কোনটি আপনার জন্য ভালো সুবিধা হচ্ছে সেটি বুঝেই আপনি সেই ডিভাইস কিনে ব্যাবহার করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সাররা রয়েছেন। জিনারা বেশিরভাগ লোকজনই ল্যাপটপ ব্যবহার করে কাজ করেন। আবার এদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যিনারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপগুলো সবথেকে সহজ তবে একটি মাধ্যম। আর সেজন্যই সকলেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে ল্যাপটপের কথা ভাবেন।
বর্তমান বাজারে ল্যাপটপ কিনতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভালো মানের ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ দেখতে পাবেন। যে সকল ল্যাপটপগুলো আপনি কোন প্রকার অসুবিধা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কিছুদিন কাজ করার পরে আপনি নিজেই আপনার নিজের জন্য ল্যাপটপ নির্ধারণ করতে পারবেন। কোনটি ব্যবহার করে আপনি ভালো সুবিধা ভোগ করতে পারছেন সেটিই আপনার জন্য ভালো হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপে কি কি থাকা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে সেটি মূলত নির্ভর করে সেই ল্যাপটপের ভেতরের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রয়েছে কিনা। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ হতে হবে সুসজ্জিত। তার পাশাপাশি ল্যাপটপে সকল প্রকার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপাতি গুলো থাকতে হবে। আর সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো থাকার কারণেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ করার ক্ষেত্রে সক্ষম এবং কার্যকর হবেন।

নিম্নের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপের জন্য কোন কোন বিষয়ে বা বৈশিষ্ট্য গুলো থাকা প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন দেখে নেই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপে কি কি থাকা প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপে কি কি থাকা প্রয়োজন
পাওয়ারফুল প্রসেসরঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য একটি ল্যাপটপে সবার প্রথমেই প্রয়োজন একটি পাওয়ারফুল প্রসেসর। যেটি আপনার কেজের গতিকে আরো বৃদ্ধি করবে। যেমন Intel Core i5 অথবা তার উপরের ভার্সনগুলো ব্যাবহার করতে পারেন।

গ্রাফিক্স কার্ডঃ প্রসেসরের পরেই আপনার ল্যাপটপের জন্য সবথেকে ভালো অপশান হতে পারে একটি গ্রাফিক্স কার্ড। যদি আপনি ছোটখাটো সকল ধরনের কাজ করেন তাহলে আপনি এটাকে অপশনাল (Optional) হিসেবে রেখে দিতে পারেন। তবে যদি গেমিং এর কাজ করেন অথবা গ্রাফিক্সের সকল ধরনের কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ল্যাপটপের প্রয়োজন হবে একটি গ্রাফিক্স কার্ডের।

র‍্যামঃ সকল ধরণের জটিল কাজ করার ক্ষেত্রে আপনের ল্যাপটপে সাধারণভাবে ৮ জিবি অথবা ১৬ জিবি র‍্যাম আপনার জন্য একটি ভালো অপশান হতে পারে।

স্টোরেজঃ ল্যাপটপে র‍্যামের পাশাপাশি প্রয়োজন স্টোরেজেরও। তার জন্য আপনার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হতে পারে SSD (Solid State Drive) আর এটিই আপনার জন্য অনেক সুবিধাজনক। কারণ এটি ল্যাপটপকে খুব দ্রুত বুস্ট করতে সক্ষম। এটি সকল কাজ সম্পাদনা করে এবং খুব সহজেই ফাইল স্টোর করে।

পোর্ট ও সংযোগঃ একটি ল্যাপটপ ক্রয় করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দেখে নিতে হবে এতে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় পোর্ট রয়েছে কিনা। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো USB পোর্ট এবং HDMI পোর্ট। তবে এটি আপনার প্রকল্প অনুযায়ী নির্দিষ্ট আকৃতির হতে পারে।

ব্যাটারি ব্যাকআপঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার সময় অনেক সময় আমাদের বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়ির বাইরে থাকলে অথবা বিদ্যুৎ সবসময় না থাকার জন্য ল্যাপটপের ব্যাকআপ বেশিক্ষণ থাকা উচিত। সে ক্ষেত্রে তিন ঘন্টার উপরে থাকলে সেই ল্যাপটপে আপনার জন্য নেওয়া উচিত।

ল্যাপটপের গতিঃ বর্তমান সময়ে মর্ডান এবং আপডেট চমৎকার ডিজাইনের ল্যাপটপ আপনার পছন্দ অনুযায়ী হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি একটি নির্বাচন করে ল্যাপটপ কেনার কথা চিন্তা ভাবনা করবেন।

প্রাথমিক দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য উপরের উল্লেখিত জিনিসগুলো বিশ্লেষণ করে তারপরে একটু ল্যাপটপ কিনবেন। এই সকল স্পেসিফিকেশন যদি একটি ল্যাপটপের ভেতরে থাকে আর সেই ল্যাপটপ যদি আপনার বাজেট অনুযায়ী হয় তাহলে সেটি আপনার ক্ষেত্রে নিয়ে নেওয়া উচিত হবে। আশা করছি আপনাকে এই সকল বিষয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কত টাকার কম্পিউটার লাগবে?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার ক্ষেত্রে কত টাকার ল্যাপটপ আপনার জন্য প্রয়োজন হবে সেটি নির্ধারণ করা হয় আপনি মূলত কেমন ধরনের কাজ করছেন। যদি আপনি একটু ভারী ধরনের কাজ করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটু ভালো মানের ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে। যদি নরমাল ধরনের কাজ করেন তাহলে নরমাল ল্যাপটপ ৪০ হাজার টাকার ভেতরে আপনি পেয়ে যাবেন।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী Intel i5, i7 এবং i9 বেছে নিয়ে কাজ করা উচিত। আর এটিই ভালো হবে।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে কতটুকু র্যাম লাগে?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সর্বনিম্ন 8 GB থেকে 16 GB যার্ম হলে কাজ করা যায়।

প্রশ্নঃ একটি ভালো ল্যাপটপ এর দাম কত?
উত্তরঃ একটি ভালো ল্যাপটপ এর দাম সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা এমনকি তার উপরেও হতে পারে।

প্রশ্নঃ প্রথম ল্যাপটপ কবে আবিষ্কৃত হয়?
উত্তরঃ পৃথিবীর বুকে প্রথম ল্যাপটপ আবিষ্কৃত হয় ১লা এপ্রিল 1981 সালে।

প্রশ্নঃ প্রথম ল্যাপটপ এর নাম কি?
উত্তরঃ প্রথম ল্যাপটপ এর নাম হলো অসবর্ণ - ১ (Osborne - 1)

শেষ কথা

আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরও তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post