ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণপ্রিয় পাঠক, আপনি কি টনসিল ফোলা কমানোর উপায় ও টনসিল এর ঔষধ সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলজুড়ে
আমরা টনসিল ফোলা কমানোর উপায় ও টনসিল এর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
তাই জানার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনি টনসিল ফোলা কমানোর উপায় ও টনসিল এর ঔষধ, টনসিল
হলে কি কি খাওয়া যাবে না, টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ, টনসিল চেনার উপায় এবং
বাচ্চাদের টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
টনসিল চেনার উপায়
টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদেরকে টনসিল চেনার উপায়
সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আমরা যদি না বুঝি আমাদের টনসিল হয়েছে কিনা তাহলে এটি
নিরাময় করতে পারবো না। তাই কোন রোগ নিরাময় করার পূর্বে অবশ্যই আমাদের সেই রোগের
লক্ষণ জেনে সেই রোগকে চিহ্নিত করে নিয়ে তারপরে নিরাময় করতে হবে। চলুন তাহলে এখন
জেনে নেই কিভাবে আপনি টনসিল চিনতে পারবেন।
টনসিল চেনার সবথেকে প্রথম যেটি উপায় বা লক্ষণ রয়েছে সেটি হলো গলা ফুলে যাওয়া। আর
এই গলা ফুলে যাওয়ার কারণে গলাতে ব্যাথা করবে। তার জন্য আপনার কোন কিছু খেতেও
অসুবিধা হবে। এমনটি এটি গলার দুদিকেও ব্যাথা করতে পারে। এছাড়াও আরো বেশি কিছু
টনসিলের লক্ষণ রয়েছে। যেগুলো দেখে আপনি টনসিলকে চিহ্নিত করতে পারবেন। সেগুলো
নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- গলা ব্যাথা করা
- খাবার খেতে অসুবিধা হওয়া
- খাবারে অরুচি হওয়া
- খাবার খেতে গেলে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- শরীরে ক্লান্তিভাব আসা
- গায়ের জ্বর থাকবে ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত
- ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ দিয়ে লালা ঝরতে পারে
- মুখে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়া
- টনসিল হওয়ার ফলে কানেও তীব্র ব্যাথা অনুভুত হতে পারে। কারণ কানের সাথেই গলার সম্পর্ক রয়েছে।
- খারাপ সময়ে কান দিয়ে পুঁজ পর্যন্ত ঝরতে পারে
উপরের উল্লিখিত এই সকল লক্ষণগুলো যদি আপনার মাঝে দেখা দেয় এবং তার সাথে সাথে
আপনার গলা ফুলে যায় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার টনসিল হয়েছে। তবে শুধু গলা ফুলা দেখেই
ধরে নিবেন না যে আপনার টনসিল হয়েছে। এক্ষেত্রে উপরের দেওয়া লক্ষণগুলো মিলিয়ে
নিবেন। যদি এমন সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহণ করবেন। যত দ্রুত সম্ভব এটিকে নিরাময় করার চেষ্টা করবেন।
টনসিল ফোলা কমানোর উপায়
আশা করছি আপনারা এখন সকলেই টনসিল চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরে গিয়েছেন। এই
পর্যায়ে আমরা জানবো টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে। টনসিলকে যদি চিনে থাকেন
তাহলে আপনি প্রথমেই ডাক্তারের চিকিৎসা না নিয়ে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যাবহার করেই এটি
কমাতে পারেন। যদি তারপরেও দেখেন যে এটি কমছে না তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন কোন ঘরোয়া উপায়ে আপনি টনসিল ফোলা কমাবেন।
লেবু, মধু এবং লবণঃ আমরা সকলেই জানি লেবু আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর
যোগান দেয়। তার পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরের টক্সিন দূর করার জন্য খুবই উপকারী।
তাই আপনার যদি টনসিলের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এটি খেতে পারেন। খাওয়ার জন্য আপনি
প্রথমে কিছুটা হালকা গরম পানি করে নেবেন। সেই গরম পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর
রস তার সাথে এক চা চামচ পরিমাণ মধু এবং সামান্য কিছুটা লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন।
লবণ আপনার শরীরে অ্যান্টি সেপটিক হিসেবে কাজ করবে। তাই আপনি যখন টনসিল কমানোর
জন্য লেবুর রস খাবেন সেই সময় অবশ্যই তার সাথে কিছুটা পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নেই।
এটি আমাদের শরীরের ভেতরে খুব ভালো কার্যকর হয়। আপনি যদি টনসিলের সমস্যায় ভুগে
থাকেন তাহলে অবশ্যই এই মিশ্র সে মনে করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই খুব সহজেই এই
সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দুধ এবং হলুদঃ হলুদ আমাদের বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই হলুদ
ব্যবহার করেই আপনি টনসিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। হলুদ খেলে পারে এটি
আমাদের দেহের টিসুগুলোর প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। তাই ঘরোয়া উপায়ে টনসিল কমানোর
জন্য অবশ্যই হলুদ ব্যবহার করুন। এটি খাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে নিতে হবে এক কাপ
দুধ। তার সাথে সামান্য কিছুটা পরিমাণ হলুদ মেশাতে হবে।
এরপর সেই দুধ গরম করে ফোটাতে হবে। এমন ভাবে ফুটাতে হবে যেন হলুদ এবং দুধ
সম্পূর্ণভাবে মিশে গিয়ে একটি গাঢ় বর্ণ ধারণ করে। এরপর এটি খেতে পারেন। যদি
আপনার টনসিলের সমস্যা অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে দিনে কিছুক্ষণ পর পর খেতে
পারেন। এটি গলার ব্যাথা দূর করার জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
আরো পড়ুনঃ আমাশয় হলে করণীয় কি
লবণ পানিঃ শুধুমাত্র লবণ পানি খাওয়ার ফলেও আপনার টনসিলের সমস্যা দূর করা
যেতে পারে। এর জন্য এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি নিতে হবে। এরপর তাকে কিছুটা
পরিমাণ লবণ দিয়ে মিশ্রণ করে নিতে হবে। পানি এবং লবণের মিশ্রণের ভাপ যদি আপনার
টনসিলের খোলা অংশে লাগান তাহলে এটি টনসিলের ব্যথা উপশম করবে। তবে অবশ্যই মনে
রাখবেন যখন আপনি এই লবণ পানির ভাব নিবেন তখন কানমাথা জড়িয়ে রাখতে হবে। তার
পাশাপাশি আপনাকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে পাখা অথবা ঠান্ডা বাতাস থেকে দূরে
থাকার।
গ্রিন টি, দুধ এবং মধুঃ টনসিলের সমস্যা দূর করার জন্য অনেকটাই কার্যকর
ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। এটি খাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি কাপের কিছুটা পরিমাণ
গ্রিন টি নিতে হবে। এরপর তাতে চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি
মিশ্রণ করে ভালোভাবে ফুটাতে হবে। এরপর এটি খেতে পারেন।
আমরা সকলেই জানি মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। আর এই উপাদান যখন
গ্রিন টি এর উপাদানের সাথে মিশ্রণ হয়ে যায় তখন এটি হয়ে ওঠে আরো বেশি ফলদায়ক।
যেটি টনসিলের সমস্যা থেকে আরাম দেয় খুব সহজেই। এটি খাওয়ার হলে ঠান্ডা লাগার
সমস্যাও কমে যায়। ঘরোয়া উপায় টনসিল দূর করার জন্য গ্রিন টি কার্যকর ভূমিকা
পালন করে।
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
ইতিপূর্বে তো আমরা সকলেই জানলাম টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে। এই পর্বের
মধ্যে আমরা জানবো টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না। যখন একজন ব্যক্তির টনসিলের
সমস্যা হবে তখন অবশ্যই তার উচিত কিছু খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর এই খাবার
নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনার টনসিলের ব্যথা অনেকটাই কমানো সম্ভব। যদি এটি
নিয়ন্ত্রণে না রাখেন এই সমস্যা যদি আপনার শরীরে বেশি হয়ে যায় তাহলে এটি আপনাকে
নিয়ে যেতে পারে অস্ত্রপাচার অব্দি।
টনসেলে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কিছু খাবার খাওয়াতে একদম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আবার কিছু খাবারকে নিষিদ্ধ না করা হলেও এগুলো কম পরিমাণে খেতে নির্দেশ করা
হয়েছে। চলুন তাহলে এই পর্যায়ে আমরা জেনে নেই কোন সকল খাবার টনসিল সমস্যাতে
আপনার খাওয়া উচিত নয়।
- কোন প্রকারের জাঙ্ক ফ্রুট জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে
- অতিরিক্ত পরিমাণে তেল দেওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- টোস্ট বিস্কিট খাওয়ার পরিবর্তে যথা সম্ভব পাউরুটি খেতে হবে
- চকলেট, আইসক্রিম অথবা ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকবেন
- কোন প্রকারের শক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়
- টক জাতীয় খাবার খাবেন না
- দুধ জাতীয় খাবার খাবেন না (দই, চিজ, পনির, টক দই ইত্যাদি)
- পাকা কলা খাওয়া যাবে না
- ফুলকপি, বাঁধাকপি এই সকল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- চিনা বাদাম, মিষ্টি আলু এই সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন
- শালগম, পুঁইশাক এই সকল ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন
টনসিল এর ঔষধ
টনসিল ফোলা কমানোর উপায় অবলম্বন করার পরেও যদি আপনার টনসিলের সমস্যা দূর না হয়
তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টনসিল এর ঔষধ সেবন করতে হবে।
কারণ যদি আপনার টনসিলের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায় তাহলে এটি আপনার জন্য আরো বড়
বিপদ ডেকে নিয়ে আসতে পারে। টনসিল ফোলা কমানোর জন্য কোন কোন ঔষধ খাবেন চলুন জেনে
নেওয়া যাক।
- Amoxicillin tablets
- Biodin mouth wash
- Cetirizine tablets
- Deslor Tallet
- Dexilend 30 capsules
- E Fix 100mg
- HXR tablets
- Lebac 500mg
- Moxacil capsules
- Cephradine 500mg
- Raficlub 250 tablets
- Vifus tablets
উপরের উল্লিখিত এই সকল ঔষধগুলোই টনসিল এর ঔষধ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। আপনার যদি
সম্ভব না হয় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার। তাহলে আপনি যেকোন ফার্মেসি থেকে উপরের
উল্লিখিত এই সকল টনসিল এর ঔষধগুলো খেতে পারেন। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি
অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তারপরে তিনি যেই সকল ঔষধ খাওয়ার কথা
বলবেন সেগুলো খাবেন। তাহলে সেটি আরো বেশি কার্যকর হবে।
টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ
টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণগুলো জেনে যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে আপনি টনসিল ফোলা
কমানোর উপায় যেগুলো রয়েছে সেগুলো ব্যাবহার করে এটি কমাতে পারবেন। তবে কিভাবে
বুঝবেন কোন লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন যে আপনার টনসিলের ইনফেকশান হয়েছে সেগুলো
সম্পর্কে পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম
টনসিলে সাধারণত সেই সকল কিশোরেরাই আক্রান্ত হয় যাদের বয়স ৬ বছর অথবা যারা মধ্য
বয়সে রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে যেসকল টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো
- খাবার গিলতে অসুবিধা
- খাবার খেতে অস্বস্তি
- র্যাস্পি অথবা স্ক্র্যাচি ভয়েস
- মাথা অতিরিক্ত ব্যাথা করা
- ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর
- পেটে ব্যাথা করা
- ঘাড় ফুলে বড় হয়ে যাওয়া। যেটা খুবই বেদনাদায়ক
- শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট বা কম হওয়া
- টনসিলের জন্য গলা ফুলে গিয়ে সাদা অথবা হলুদ জমা দাগ পরা
উপরের উল্লিখিত এই সকল লক্ষণগুলো হলো যেসকল কিশোরের বয়স ৬ বছর অথবা মধ্য বয়স। তবে
এর থেকে ছোট বাচ্চারাও টনসিলে আক্রান্ত হয়। আর তারা যখন টনসিলে আক্রান্ত হয় তখন
কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- পেট ফুলে যাওয়া অথবা অস্বস্থিকর পেট
- পেট অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যাথা করা
- বমি বমি ভাব হওয়া অথবা বমি হওয়া
- লালা ঝরা
- পেটে গ্যাস করা
- খাবার খেতে অনিচ্ছা
- খাবার গিলতে অসুবিধা
বাচ্চাদের টনসিল ফোলা কমানোর উপায়
বাচ্চাদের টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এর মধ্যে প্রথমেই যেটিকে সামনে নিয়ে আসতে হয়
সেটি হলো ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ। আর তারপরে তিনি যদি বলে এন্টিবায়োটিক খেতে
তাহলে তাই করতে হবে। অথবা বাচ্চার টনসিল যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে সবার
প্রথমে আপনার উচিত হবে বাচ্চাকে ঠান্ডা স্থান অথবা ঠান্ডা কোন খাবার পরিহার করতে
হবে।
তার পাশাপাশি বাচ্চার প্রতিদিনের দাঁত এবং মুখের সঠিক চর্চা করতে হবে। এমন জায়গায়
আপনাকে বসবাস করতে হবে যেটি একজন বাচ্চার জন্য স্বাস্থ্যকর। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
বসবাস করলে বাচ্চার শরীর খারাপ করবে বাচ্চার রোগাক্রান্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।
এছাড়াও বাচ্চার যদি কোন প্রকারের রোগ অথবা কোনকিছু যদি দেখা দেয় তাহলে আপনাকে
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
বাচ্চার প্রাথমিক অবস্থাতে কোন প্রকারের ঠান্ডা কিছু খাওয়াবেন না। বাচ্চাকে হালকা
কুসুম গরম পানি ব্যাবহার করে কুলি করাতে হবে। এর পাশাপাশি বাচ্চাকে লবণ পানি
খাওয়াতে হবে। যদি সঠিক সময়ে বাচ্চার পরিচর্যা না করা হয় তাহলে এটি বাচ্চার অনেক
বড় অসুবিধার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। এমনকি বাচ্চার অপারেশন পর্যন্ত করানো লাগতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে
যদি দেখতে পান আপনার বাচ্চার বছরে ৭ বারের বেশি পরিমাণ টনসিল হচ্ছে আর যদি এটা
পরপর ৩ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে তাহলেও আপনাকে এর জন্য অপারেশন করানো লাগতে পারে।
এছাড়াও আরো বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো যদি একটি বাচ্চার টনসিলের সমস্যার কারণে
হয়ে থাকে তাহলে সেই বাচ্চার অপারেশন করাতে হতে পারে। সেই সকল লক্ষণগুলো নিম্নে
তুলে ধরা হলো।
- যদি দেখতে পান বাচ্চা টনসিলের আশেপাশে পুঁজ হয়েছে
- অনিমিতভাবে যদি বাচ্চার গলা ব্যাথা করে
- বাচ্চার যদি টনসিলের কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
- যদি দেখতে পান বাচ্চার সব সময়ে মুখে দুর্গন্ধ করছে
যদি আপনি আপনার বাচ্চার সঠিক পরিচর্যা না করেন তাহলে এই টনসিলের কারণে আপনার
বাচ্চাকে অপারেশন করানো লাগতে পারে। এটি করতে সাধারণত ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে।
আর অপারেশনের মাধ্যমে একটি বাচ্চার মুখে টনসিলকে কেটে একেবারে বের করে দেওয়া হয়।
তবে অপারেশনের পরে অবশ্যই সঠিক পরিচর্যা মেনে চলা উচিত। তবে হ্যা, যদি আপনার
বাচ্চার টনসিল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে একজন ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহণ করা।
টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ টনসিল হলে কি কি ঔষধ খেতে হবে?
উত্তরঃ টনসিল হলে আপনি কিছু ঔষধ খেতে পারেন। সেগুলো হলো
- Dexilend 30 capsules
- E Fix 100mg
- Lebac 500mg
- Cephradine 500mg
- Raficlub 250 tablets
প্রশ্নঃ টনসিল হলে কি চিকিৎসা নিতে হবে?
উত্তরঃ টনসিলের সমস্য হলে আপনি প্রথমে ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যাবহার করুন।
তারপরে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অথবা আপনি E Fix 100 MG Tablet খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ টনসিল হলে শরীরে কি কি সমস্যা হয়?
উত্তরঃ টনসিল হলে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা হয়। সেগুলো হলো
- গলা ব্যাথা করা
- গলা ফুলে যাওয়া
- খাবার খেতে অসুবিধা
- জ্বর ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত
প্রশ্নঃ টনসিল হলে দুধ খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ টনসিলের ব্যাথা কমানোর জন্য আপনি দুধ খেতে পারেন। তবে এর সাথে
কিছুটা সামান্য পরিমাণে হলুদ এবং মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ টনসিলাইটিসে কি ডাবের পানি খাওয়া যায়?
উত্তরঃ হ্যা খাওয়া যায়। ডাবের পানি খেলে টনসিলের ব্যাথা হওয়ার কোন
সম্ভাবনা নেই।
প্রশ্নঃ টনসিলাইটিস গলা ব্যাথা কতদিন থাকে?
উত্তরঃ টনসিলাইটিস গলা ব্যাথা ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
শেষ কথা
আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা টনসিল ফোলা কমানোর উপায় ও টনসিল এর ঔষধ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এই
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার তথ্যগুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন। এমন আরো
তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment