মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নামপ্রিয় পাঠক, দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনি নিশ্চই জানতে
চাচ্ছেন। তাই তো আপনি এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই
রয়েছেন। কারণ এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে আমরা দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
দাঁত মানুষের একটি অমূল্য সম্পদ। এটা একজন মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। আজকে আমরা
আপনাদের দাঁত ফাকা দূর করার জন্য কোন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন সেই সম্পর্কে
জানাবো।
পেজ সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত। দাঁত হলো
একজন মানুষের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি মানুষের জন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর
আপনার যদি এই দাঁত ফাকা হয় তাহলে আমরা হাসি ম্লান হয়ে যায়। যার ফলে শিশু
কিশোরিদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এতে তাদের প্রতিভা বিকাশ ক্ষুন্ন হয়। যার
ফলে তারা মানসিকভাবে মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়ে পরে।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি সামনের ফাঁকা
দাঁত ঠিক করার উপায়, দাঁত ফাঁকা দূর করার চিকিৎসা খরচ, ফাঁকা দাঁত সমান করার
উপায়, দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সহ আরো অনেক কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় বন্ধুগণ আপনি যদি দাঁতের ফাঁকা স্থান দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। এর মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ এই
পর্বের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানাবো কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে আপনি তাদের ফাঁকা
স্থান দূর করবেন। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফাঁকা
স্থান দূর করবেন তার উপায় সম্পর্কে।
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় রয়েছে অনেক। তবে আমাদের আগে জানতে হবে দাত
ফাঁকা হয় কেনো। দাঁতের ফাঁকা হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যে কারণটিকে উল্লেখ করা হয়
সেটি হল দাঁতের ভেতরে খাবার আটকে গিয়ে সেই খাবার আস্তে আস্তে পচে গিয়ে সেখানে
এসিডের তৈরি করে। আরে এসিডের কারণে আস্তে আস্তে দাঁতের মাঝখান দিয়ে ফাঁকা হতে
শুরু করে। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করা।
খাবার খাওয়ার পরে খার জাতীয় পেপসোডেন্ট অথবা পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা
উচিত। এই ক্ষার জাতীয় টুথপেস্ট ব্যবহারের ফলে তাদের মধ্যে লেগে থাকা খাবারের
কণাগুলো বেরিয়ে যায়। আর এক্ষেত্রে সেখানে জায়গাগুলো পরিষ্কার থাকার কারণে
দাদির ফাঁকা হওয়ার সমস্যা আস্তে আস্তে কমে যায়।
আপনার যদি দাত ফাঁকা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আপনি ডেন্টাল ফ্লোস ব্যবহার করতে
পারবেন। এই ডেন্টাল ফ্লোস হলো প্লাস্টিকের এক ধরনের সাদা সুতো। আপনি যদি খাবার
খাওয়ার পরে এই ডেন্টাল ফ্লোস ব্যবহার করে দাঁতে লেগে থাকা খাবারের কণাগুলো
পরিষ্কার করে ফেলেন তাহলে আপনার দাঁত ফাঁকা হওয়া থেকে মুক্তি পাবে।
আবার আপনি ঘরোয়া উপায় হিসেবে দাঁতের ফাঁকা দূর করার জন্য রাবারের ব্যবহার
করতে পারেন। তার জন্য প্লাস্টিকের রাবার দুটিকে দুই তাদের সাথে সংযুক্ত করে
প্রতিদিন রাতে নিয়মিত ভাবে বেঁধে রাখতে হবে। যার ফলে খুব সহজেই আপনার দাঁতের
ফাঁকা স্থানগুলো দূর হয়ে যাবে।
দাঁত ফাঁকা কেন হয়
আপনি কি জানেন আপনার দাঁত কোন কারণে আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। যদি আপনি
কারণ গুলো অনুসন্ধান করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের
ফাঁকা স্থান পূরণ করে নিতে পারবেন। তার পাশাপাশি আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে
পারবেন। এখন দাঁত কেন ফাঁকা হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি
আপনি সম্পূর্ণ বিষয় বুঝতে পারবেন।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার জন্য বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আর তাই দাঁত ফাঁকা দূর করার
ঘরোয়া উপায় ও রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান যে কারণটা হলো সেটা হল জেনেটিক কারণ অথবা
বংশগত কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষের জন্য
সামনের দাঁত ফাঁকা হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামনের দাঁত ফাঁকা হওয়ার প্রধান
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বংশগত কারণ। শুধুমাত্র বংশগত কারণেই যে দাঁত ফাঁকা
হয় এমনটি নয়।
বংশগত কারণ ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারনে দাঁত থাকা হয়ে যেতে পারে। যেমন তাদের
অতিরিক্ত ক্ষয় হয়ে যাওয়া এবং ক্ষয় রোধ না হওয়ার ফলে দাগ ফাঁকা হয়ে যেতে
পারে। আবার অনেক চিকিৎসাবিদ বলে থাকেন আপনি যদি মারির দাঁত তুলে ফেলেন তাহলে
আপনার দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।
এই সকল কারণ ছাড়াও আরো একটু অভ্যাস রয়েছে যার কারণে আপনার দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে
পারে। সেটি হলো খাবার খাওয়ার পরে দাঁত খোঁজানো বা দাঁতে কাঠি দেওয়া। এটা অনেকের
বদ অভ্যাস। এই কারণে আপনার দাঁতের মধ্যে দাঁতের মসলা হয় হয়ে গিয়ে প্রতিটি
দাঁতের দূরত্ব বৃদ্ধি করে দেয়। যার ফলে আপনার দাঁত অনেক ফাঁকা হয়ে যায়।
সামনের দাঁত ফাঁকা থাকলে কি হয়
সামনের দাঁত ফাকা থাকার সম্পর্কে দুই ধরনের ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। প্রথমত হলো
পজিটিভলি চিন্তাভাবনা। আর দ্বিতীয়ত হলো নেগেটিভ চিন্তাভাবনা। আমরা প্রথমে দাঁত
ফাকা থাকলে এর নেগেটিভ দিকগুলো সম্পর্কে জানব। তারপরে আমরা সকলেই ফাঁকা থাকার ফলে
কি হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। উনাদের ভবিষ্যৎ কেমন সেই সম্পর্কে
জানব।
কোন ব্যক্তির যদি সামনের দাঁত অতিরিক্ত পরিমাণে ফাঁকা থাকে তাহলে উনি জনসম্মুক্ষে
হাসি দিতে বিব্রত বোধ করতে পারেন। যার ফলে তিনি নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে
তুলতে পারেন না। কথা বলার সময় দাঁত যদি আপনার সামনের অতিরিক্ত ফাঁকা থাকে তাহলে
কথা বলতে গিয়ে আপনার মুখ থেকে থুতু ছিঁড়াতে পারে। যার ফলে আপনার সামনের লোকটি
বিব্রত বোধ করতে পারে।
যে সকল ব্যক্তিদের সামনের দাঁত ফাঁকা রয়েছে উনাদের সম্পর্কে এখন কিছু পজিটিভ
চিন্তাভাবনা আপনাদেরকে জানাবো। আসলে এর কিছু ভবিষ্যৎ গুন রয়েছে। সেগুলো নিম্নে
উল্লেখ করা হলো।
- যে সকল ব্যক্তিদের সামনের দুটি দাঁত ফাঁকা রয়েছে সেই সকল ব্যক্তিরা ও তারিখ পরিমাণে সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী হন।
- এই সকল লোকগুলো তাদের সকল কাজগুলো গুছিয়ে করার জন্য অনেক পছন্দ বোধ করেন।
- তিনারা আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ফলে ভবিষ্যতের কর্মজীবনে সফল হন।
- যাদের সামনের দাঁত ফাঁকা রয়েছে তিনারা অনেক বুদ্ধিমান হন। যার ফলে তিনারা অন্যান্য মানুষের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের।
- তিনারা যদি কোন কাজ একবার মাথার ভেতর নেন যে এই কাজটি তারা করবেন তাহলে তারা অবশ্যই সেই কাজটি সম্পন্ন করেন।
- এই সকল ব্যক্তিদের একটি পজেটিভ দিক হলো তারা যে কাজটি করার জন্য ভাবে সে বিষয়ে কোনো প্রকার চিন্তাভাবনা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করার উপায়
আপনার কি সামনের দাঁত ফাঁকা? আপনি কি এই সম্পর্কে উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে
আপনাকে বলছি আপনি এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ কোন উপায় গ্রহণ করার
মাধ্যমে আপনার সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করতে পারবেন সেই সম্পর্কে এখন আপনাদের
বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার পরে অনেকেই জানতে চান সামনের ফাঁকা দাঁত
ঠিক করার উপায় সম্পর্কে। সামনের ফাঁকা তো দূর করার জন্য আপনি বর্তমানে আধুনিক
দন্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি স্থায়ী একটি সমাধান পাবেন।
আধুনিকতন্ত্র চিকিৎসায় এই পদ্ধতির কাজটি তিনভাবে করা হয়। আধুনিক দন্ত চিকিৎসায়
ব্যবহৃত সামনের ফাঁকা দাঁত দূর করার পদ্ধতি গুলো হল
- অর্থোডন্টিক চিকিৎসা
- লাইট কিউর কম্পোজিট ফিলিং
- পোরসেলিন ক্যাপের মাধ্যমে
অর্থোডন্টিক চিকিৎসাঃ এই চিকিৎসার মাধ্যমে রিমুভেবল প্লেট বা ফিক্সড
ব্রেস প্রথমে দাঁতে পড়িয়ে নেওয়া হয়। তারপরে সেটা আস্তে আস্তে করে চাপ প্রয়োগ করা
হয়। যার মাধ্যমে দাঁতগুলো আস্তে আস্তে একত্রিত হয়ে যায়।
লাইট কিউর কম্পোজিট ফিলিংঃ এই পদ্ধতি ব্যাবহারের জন্য ফাকা
দাঁতগুলোকে সবার প্রথমে একধরণের অম্ল দ্বারা ১৫-২০ সেকেন্ড দাঁতের দাঁতে আলতো করে
ব্যাবহারে মাধ্যমে দাঁতের ভেতরে আণুবীক্ষণিক গর্ত তৈরি করা হয়। তারপরে দাঁতের রং
অনুযায়ি কম্পোজিড ফিলিং তৈরি করে নিয়ে দাঁতের সকল ফাঁকা স্থানগুলিতে লাগানো হয়।
তারপরে সেটি ব্যাবহার করে পরে পলিশার দিয়ে বাহিরের স্থানটিকে মসৃণ করা হয়।
পোরসেলিন ক্যাপের মাধ্যমেঃ দাঁতের ফাকা সমস্যা দূর করার জন্য এটি
একটি স্থায়ি পদ্ধতি হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যাবহার করলে দাঁত কোন
সময় ভেঙে অথবা দাঁত খুলে যাওয়ার ভয় থাকে না। এই পদ্ধতি একটু ব্যায়বহুল হলেও এটি
অনেক কার্যকরি স্থায়ী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রথমে দাঁতের রুট ক্যানেল তৈরি করা
হয়।
তারপরে দাঁতের চারিপাশে কাটা হয়। আর তারপরে কৃত্তিম একধরণের পোরসেলিন ক্যাপ পরানো
হয়। তবে এই ক্যাপটি একবার পড়ানো হয়ে গেলে সেটি আর কখনো খোলা যায় না। আপনার দাঁতের
যেই রং সেটির দিকে খেয়াল রেখেই এটি তৈরি করা হয়। তবে আপনি যদি এই পদ্ধতিতে দাঁতের
ফাকা সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ
করবেন।
দাঁত ফাঁকা দূর করার চিকিৎসা খরচ
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনেও অনেকেই দাতের ফাঁকা ঠিক করতে চিকিৎসা
করাতে চান। আর তাই তারা জানতে চান দাঁত ফাঁকা দূর করার চিকিৎসা খরচ কত। আমরা তো
সকলেই ইতিমধ্যে সামনের দাঁত ফাঁকা দূর করার সকল উপায় গুলো সম্পর্কে জানলাম। কোন
কোন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এ ফাঁকা স্থান দূর করা হয় সেই সম্পর্কেও জানলাম।
এখন আপনাদের মনে অনেকে প্রশ্ন থাকে যে ফাঁকা স্থান দূর করার চিকিৎসা খরচ কত টাকা
হবে। চলুন তাহলে এই বিষয়েও এখন জেনে নেওয়া যাক।
আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি দাঁতের ফাঁকা স্থান দূর করার জন্য তিনটি চিকিৎসার পদ্ধতি
ব্যবহার করা হয়। এই তিনটি চিকিৎসা পদ্ধতির সকল খরচ গুলো নিম্নে আমরা
বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করব। আশা করছি আপনি এখান থেকে দাঁতের ফাঁকা স্থান দূর করার
সকল চিকিৎসার খরচ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
অর্থোডন্টিক চিকিৎসাঃ বর্তমান সময়ে সবথেকে ব্যয় বহুল এবং অনেক
কার্যকরি চিকিৎসা হলো এটি। এই চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকা
স্থানগুলো দূর করা যায়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ দাঁত সোজা করার জন্য সময়
লাগে ৬ মাস অথবা কারো কারো ক্ষেত্রে ১ বছর পর্যন্তও সময় লাগতে পারে।
যাদের ক্ষেত্রে যেমন সময়ের প্রয়োজন হয় তাদের ক্ষেত্রে তেমন চিকিৎসা খরচ হয়। এই
চিকিৎসার জন্য খরচ সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে অনেক খরচ হলেও এটি স্থায়ি এবং কার্যকর পদ্ধতি।
লাইট কিউর কম্পোজিট ফিলিংঃ এই পদ্ধতি ব্যাবহার করে খুব সহজেই সামনের
দাঁত ফাকা ঠিক করা যায়। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিতে খুবই কম পরিমাণে খরচ হয়। আপনি
যদি এই পদ্ধতিটি নিতে চান তাহলে আপনার সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১ ঘন্টা পর্যন্ত। লাইট
কিউর কম্পোজিট ফিলিং এই চিকিৎসা খরচ সাধারণত ৩,০০০-৬,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
পোরসেলিন ক্যাপের মাধ্যমেঃ এই পদ্ধতিতে দাতের একটি ক্যাপ পড়ানোর জন্য
১,৫০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে আপনি যদি আরো উন্নতমানের ক্যাপ
লাগাতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা তো জানতে পেরেছিই। তবে আপনাকে
এটাও জানা উচিত দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আজকের এই পর্বের
মাধ্যমে আমরা আলোচনা করতে চলেছি দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ কি তার সাথে আপনি এটি
কিভাবে প্রতিকার করবেন সেই সম্পর্কে। আশা করছি এই পর্বটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
তাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন এখন আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
এই পর্বে আমরা সবার প্রথমে জানবো দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ কি সেই সম্পর্কে। দাঁত
থাকা হওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ নিচে তুলে ধরা হলো।
মুখে কম পরিমাণে দাঁত থাকাঃ আপনার মুখে যদি কম পরিমাণে দাঁত থাকে
তাহলে আপনার মুখের দাঁত ফাঁকা হতে পারে। কারণ মুখে যদি স্বাভাবিক মাত্রায় দাঁত
থাকে তাহলে সেটি সঠিক জায়গায় বসার কারণে মুখের কোন ফাঁকা থাকবে না। আবার আপনার
মুখে যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম পরিমাণে দাঁত গজায় তাহলেও দাঁত ফাঁকা
হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে এটি।
দাঁত তুলে ফেলাঃ আপনার দাঁতে যদি কোন প্রকার সমস্যা হয় তাহলে আপনি
নিশ্চই সেই দাঁতকেই উপরিয়ে ফেলেন। আর দাঁত তুলে ফেলার কারণে দাঁতের সেই স্থানটি
ফাঁকা হয়ে যায়। তাই মুখের দাগ ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করাঃ আপনি যদি প্রতিদিন অত্যাধিক পরিমাণে
সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন তাহলে এই অভ্যাসটি এখনই ত্যাগ করুন। আপনি যদি
প্রতিদিন পথিক সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁত ফাঁকা
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দাঁত খিলাল করাঃ আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যিনারা খাবার খাওয়ার
পরে দাঁত কাঠি ব্যবহার করে খিলাল করেন। আর এই বদ অভ্যাসটির কারণেই অপনার দাঁত
ফাকা হয়ে যাওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে।
ফাঁকা দাঁত সমান করার উপায়
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে আপনি আপনার ফাঁকা দাত সমান করতে পারেন।
ফাঁকা দাঁত সমান করার সকল উপায় গুলো সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করে ফেলেছি।
আশা করছি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে আপনি
যদি এই সম্পর্কে মনোযোগ সহকারে না পড়ে থাকেন তাহলে উপর থেকে আস্তে আস্তে পড়তে
থাকুন। তারপরেও এখানে আমরা বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা না করে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু
বর্ণনা করার চেষ্টা করবো।
আপনার দাঁত ফাঁকা হওয়ার জন্য আপনি প্রথমে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ
করবেন। তারপরে তিনি যে কথা বলেন সেই সম্পর্কে মেনে চলবেন। অথবা আপনি দাঁতের ফাঁকা
স্থান দূর করার জন্য যে সকল চিকিৎসা গুলো রয়েছে সেগুলো গ্রহণ করুন। আমরা সকলেই
ইতিপূর্বে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছি দাঁতের ফাঁকা স্থানগুলো দূর করার জন্য তিনটি
পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হল
- অর্থোডন্টিক চিকিৎসা
- লাইট কিউর কম্পোজিট ফিলিং
- পোরসেলিন ক্যাপের মাধ্যমে
উপরে উল্লেখিত এই সকল পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে আপনার দাঁতের ফাঁকা
স্থানগুলো দূর করতে পারবেন। আর যদি আপনার কোন বদ অভ্যাস থাকে যেমন অতিরিক্ত সময়
ধরে ব্রাশ করা, অথবা খাবার খাওয়া করে দাঁত খিলাল করা এই বদ অভ্যাসগুলো অবশ্যই
ত্যাগ করুন।
খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। আর না হলে খাবারের কণাগুলো দাঁতের
ফাঁকে লেগে থাকে সেখানে দুর্গন্ধ তো সৃষ্টি করবেই তার সাথে সাথে দাঁত ফাঁকা করার
জন্য অনেক ধরনের এসিড উৎপাদন করবে। আশা করছি আপনাদেরকে সকল বিষয়ে সম্পর্কে অবগত
করতে পেরেছি।
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ দাঁতের ফিলিং করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ দাঁতের ফিলিং করতে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০
হাজার টাকা লাগতে পারে। তবে সেটি নির্ভর করে আপনার দাঁতের ওপর। আর আপনি কোন
চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করছেন তার ওপর।
প্রশ্নঃ ফাঁকা দাঁত কিভাবে ঠিক করা যায়?
উত্তরঃ দাঁতের সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে আর সকল খারাপ অভ্যাস
গুলো ত্যাগ করার মাধ্যমে খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকা স্থানগুলো ঠিক করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ সামনের দাঁতের ছোট ফাঁক ঠিক করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ সামনের দাঁতের ছোট ফাঁক ঠিক করতে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা
লাগে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
প্রশ্নঃ দাঁতের মাঝে ফাঁক থাকলে কি হয়?
উত্তরঃ শাস্ত্র অনুযায়ি জানা যায় যদি কোন ব্যাক্তির দাঁতের মাঝে ফাঁক
থাকে তাহলে সেই ব্যাক্তি বাক পটু হন।
প্রশ্নঃ হঠাৎ দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ হঠাৎ করেই দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কিছু কারণ হলো
- দাঁত আকারে ছোট হওয়া
- চোয়ালের আকৃতি স্বাভাবিকের থেকে বড়
- দাঁত পরে যাওয়া
- কোন কারণ বশত দাঁত উপরে ফেলা
প্রশ্নঃ কোন রোগে দাঁত পড়ে যায়?
উত্তরঃ পিরিওডোনটাইটিস এই রোগের কারণে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। এটি হলো মাড়ির একটি রোগ।
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া
উপায় সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে
উক্ত সকল বিষয় সমর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এমন আরো আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে
পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment