দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই এই বিষয়ে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করার উপায়, দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়, দাঁত ফাঁকা দূর করার চিকিৎসা খরচ কত টাকা ও দাঁতের ব্রেস এর খরচ কত এবং সামনের দাঁত ফাঁকা থাকলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। দাঁত ফাঁকা কেনো হয়

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে এই পাঠে আমরা নিম্নে বিস্তারিত আকারে তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনি এখান থেকে সকল কারণগুলো সম্পর্কে এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন। দাঁত ফাঁকা হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আর সেই সকল কারণগুলোর কারণেই দাঁত সাধারণত ফাঁকা হয়ে যায়। আবার এই সকল কারণগুলোর আবার প্রতিকার ব্যাবস্থা ও রয়েছে। নিম্নে সেগুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

জেনেটিক কারণঃ দাঁত ফাঁকা হওয়ার জন্য সবার প্রথমে যে কারণটিকে দায়ী করা হয় সেটি হল জেনেটিক কারণ। আর এটি হতে পারে বংশ পরম্পরায়। যদি আপনার পিতা-মাতা অথবা কোন পূর্বপুরুষের হতে তাদের দাঁত ফাঁকা থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের দাঁত ফাঁকা হতে পারে।

আকৃতিগত দিকঃ আমরা সকলেই জানি প্রতিটি জিনিসের একটি নির্দিষ্ট আকৃতি রয়েছে। তেমনি যদি আপনার দাঁত সাধারণ আকৃতির তুলনায় কম হয় অর্থাৎ ছোট হয় তাহলে আপনার দাঁত ফাঁকা হতে পারে। কেননা আমাদের দাঁতের মাড়ি অনেকটাই বড়। আরে দাঁতের মাড়ি পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের এবং পর্যাপ্ত আকারের দাঁতের প্রয়োজন। তাই যদি তুলনামূলকভাবে আপনার দাঁত ছোট হয় তাহলে আপনার দাঁত ফাঁকা হতে পারে।

মুখের চোয়াল বড় আকৃতিরঃ এমন অনেকে রয়েছেন যাদের মুখের চোয়াল সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশ কিছুটা বড় হয়। আরে বেশ কিছু বড় হওয়ার কারণে দাঁত ফাঁকা হতে পারে। যদি আপনার মুখের চোয়াল স্বাভাবিকের তুলনায় তুলনামূলক একটু বেশি বড় আকৃতির হয় তাহলে এটি আপনার মুখের দাঁত ফাঁকা হওয়ার হতে পারে একটি অন্যতম কারণ।

দাঁত কম গজালেঃ মুখের মাড়িতে দাঁত সুসজ্জিত আকারে হওয়ার কারণে মুখের দাঁত ভালো দেখতে লাগে এবং সম্পূর্ণভাবে ফিলাপ হয়ে যায়। যদি এক্ষেত্রে আপনার মুখের দাঁত পরিমাণের থেকে কম পরিমাণে গজায় সে ক্ষেত্রে আপনার মুখের দাঁত ফাঁকা হতে পারে। আর এটা হতে পারে দাঁত ফাঁকা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

দাঁত উপরিয়ে ফেলাঃ অনেকে রয়েছেন যাদের দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে অনেক সময় দাঁত উপড়িয়ে ফেলতে হয়। আর এ কারণেও আপনার দাঁত ফাঁকা হতে পারে।

রোগের কারণঃ দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এর মধ্যে এটি হলো একটি অন্যতম কারণ। বিভিন্ন রোগে যদি দাতা আক্রান্ত হয়ে যায় অথবা দাঁত ক্ষয় হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে দাঁত পড়ে গিয়ে সেই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। অথবা আপনার মুখের চলে যদি কোন আকস্মিক আঘাত পায়, তাহলে সেখানের আপনার দাঁত পড়ে গিয়ে সেই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।

দাঁত খিলাল করাঃ আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন খাবার খাওয়ার পরে আমরা যে দাঁতকে খিলাল করি, আর এই খেয়াল করার কারণে আমাদের দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে শুরু করে। আর এর প্রধান কারণ হলো এটি আমাদের দুই দতের মধ্যেকার জায়গাকে আসতে আসতে ফাঁকা করতে শুরু করে দেয়।

দীর্ঘ সময় ধরে ব্রাশ করাঃ আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন জিনারা দীর্ঘ সময় ধরে ব্রাশ করতে পছন্দ করেন। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন এই অতিরিক্ত সময় জুড়ে আপনি যদি ব্রাশ করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই আপনার উচিত হবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় ধরে ব্রাশ না করে কম সময়ে ব্রাশ করা।

অল্পপুষ্টিঃ আমরা প্রতিদিন নিয়মিত যে সকল খাবার খাই এ সকল খাবারের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পুষ্টি থাকে। যেটি আমাদের শরীরের সকল কার্যক্রম করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যদি আপনি এমন ধরনের খাবার খান যে সকল খাবারে পুষ্টির পরিমাণ কম, তাহলে সেই সকল খাবারের পুষ্টিগুণ দাতে যদি না পৌঁছায় তাহলে এটি আমাদের দাঁত কে ফাঁকা করতে সক্ষম।
দাঁত সঠিক পুষ্টি না পাওয়ার ফলে দাঁতের আস্তে আস্তে শক্তি কমে যায়। আর এর ফলেই আমাদের দাঁত ফাঁকা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। যদি আপনি এমন ধরনের খাবার গ্রহণ করেন যে সকল খাবারে পোষ্টের পরিমাণ কম তাহলে এই সকল খাবার আপনাকে অবশ্যই পরিহার করা উচিত।

অতিরিক্ত শক্ত কিছু কামড়ানোঃ আপনি যদি প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত শক্ত কিছু কামরান তাহলে এটি আপনার দাঁত কে ফাঁকা করতে পারে। আর এটি আমাদের দাঁত কে ফাঁকা করার জন্য অন্যতম একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়।

খাবারের অপব্যবহারঃ আপনি যদি খাবারের অপব্যবহার করেন যেমন চিনি, চকলেট অথবা অন্য কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে এটি আপনার দাঁতের ফাঁকা হয়ে যাওয়ার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ এই সকল খাবার গুলো আপনার দাঁতের মাঝে ক্যারিএস-অক্সাইড গ্যাসের তৈরি করে। আর এর ফলেই দাঁতের সামরিক গতি কমে যায়।

উপরের উল্লিখিত এই সকল কারণগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে সেগুলোর ফলে দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। সেই সকল কারণগুলো হলোঃ
  • দাঁত ক্ষয় প্রাপ্ত হওয়া
  • দাঁতের মধ্যে ক্যারিজ এর আক্রমণ
  • মৌখিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার
  • দাঁত তুলে ফেলা

দাঁত ফাঁকা ঠিক করার উপায়। দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

আমরা সকলেই ইতিপূর্বে দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এর মধ্যে কোন কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যায় সেগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই পাঠের মধ্যে আমরা জানবো আপনার ফাঁকা দাঁত কিভাব এঠিক করবেন সেই সম্পর্কে। নিম্নে উল্লিখিত উপায়গুলো ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ফাঁকা দাঁতের সমস্যা দূর করতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেই কোন কারণগুলো অনুসরণ করবেন।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বর্তমান সময়ে আধুনিক চিকিৎসায় ফাঁকা দাঁত কে ঠিক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। তবে আপনার দাঁত কোন অবস্থানে রয়েছে এবং কেমন পরিমাণে রয়েছে সেই সকল দিকগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে একেকজনের ক্ষেত্রে দাঁত ফাকা দূর করার চিকিৎসা এক এক ধরনের হতে পারে। কিছু চিকিৎসা অবলম্বন করার মাধ্যমে দাঁত ফাঁকা দূর করা হয়। সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।

বন্ডিংঃ দাঁত ফাকা দূর করার জন্য বন্ডিং নামে এই চিকিৎসাটি অনেক জনপ্রিয় একটি চিকিৎসা। এই চিকিৎসা টি ব্যবহার করে খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকা স্থান বন্ধ করা যায়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার পূর্বে প্রথমের দাঁত কে ভালোভাবে স্ক্যান করা হয়। তার পরবর্তীতে সকল দাঁতগুলোর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা হয়। আর এর সাথে এটাও দেখে নেয়া হয় দাঁতের গোড়ায় কোন প্রকারের পুঁজ জমেছে কিনা

যদি স্ক্যান করার মাধ্যমে এমন কোন ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা খুঁজে না পাওয়া যায় এবং দাঁতের ফাঁকা অংশের স্থান যদি চার মিলিমিটারের বেশি না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ডেন্টাল ফিলিং ব্যবহার করার মাধ্যমে দাঁতের রং এর সাথে রং মিলিয়ে দাঁতের ফাঁকা স্থানটুকু ফিলিং করে দেওয়া হয়। আর এর ফলে দাঁতের যে ফাঁকা স্থান রয়েছে সেটি বোঝাই যায় না।

অর্থডনটিক চিকিৎসাঃ এই চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতের মধ্যে থাকা উঁচু নিচু স্থানকে ঠিক করে দেওয়া হয়। যদি আপনার দাঁতের এমন অবস্থা হয়ে থাকে যে আপনার দাঁতের কিছু স্থান উঁচুতে রয়েছে এবং কিছু স্থান নিচুতে রয়েছে তাহলে সে ক্ষেত্রে এই চিকিৎসাটি ব্যবহার করা হয়। আরে চিকিৎসা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার দাঁতের ফাঁকা স্থানের সমস্যা দূর করতে পারবেন।

পার্সেল ইন ক্রাউনঃ আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে দাঁতের এই চিকিৎসাটি হল দাঁত কে এক ধরনের ক্যাপ পরানো। যদি দেখতে পাওয়া যায় আপনার দাঁতের ফাঁকার স্থানের পরিমাণ চার মিলিমিটারের বেশি হয়েছে তাহলে এই চিকিৎসাটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার দাঁতের ফাঁকা স্থানটুকু বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আপনার দাঁতের ফাঁকার সমস্যা হলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে সবার প্রথমে একজন ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া।

উপরের উল্লেখিত দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকারগুলোর মধ্যে ডাক্তারি চিকিৎসা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে এমন কিছু ধরনের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হলো যেগুলো আপনি বাড়িতে বসে থেকেই করতে পারবেন। আর যদি আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে যেন এই সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

নিয়মিত ব্রাশ করাঃ দাঁতের কোনায় খাবার আটকে গিয়ে খাবারের পচন ধরে সেখানে ইনফেকশনের সৃষ্টি করে। এর ফলে আস্তে আস্তে দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে শুরু করে। তবে আপনি যদি নিয়মিত খাবার খাওয়ার পরে ব্রাশ করেন তাহলে এই খাবারের কণাগুলো দাঁতের ফাঁক থেকে বের হয়ে আসবে। যার ফলে আপনার মুখ থাকবে দুর্গন্ধমুক্ত এবং আপনার দাঁতের ফাকার সমস্যা দূর হবে।
উপযুক্ত খাদ্য গ্রাহণঃ দাঁতের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমাদের উচিত প্রতিদিন নিয়মিত এবং উপযুক্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা। সে ক্ষেত্রে আপনি যে সকল খাবার খান সে সকল খাবারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে মিষ্টি জাতীয় খাবারে। আর এই সকল মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো আপনাকে পরিণত পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়াও সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান সেই সকল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

দাঁতের চিকিৎসাঃ যদি আপনি দেখতে পান আপনার দাঁত আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করেছে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে নিয়মিত তাদের চিকিৎসা করানো। এমন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যিনি দাঁত সম্পর্কে অনেক ভালো বোঝেন।

উপরের উল্লেখিত এই সকল চিকিৎসা গুলো যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন এবং সঠিক নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনার দাঁতের ফাঁকার সমস্যা থাকবে না। আর এর ফলে আপনার দাঁতের চিকিৎসাও করাতে হবে না। আশা করছি আপনি এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।

সামনের দাঁত ফাঁকা থাকলে কি হয়

আমরা তো সকলেই জানতে পারলাম দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। এই বিষয়ে জানার পরে আবার অনেকেই জানতে চান যে সামনের দাঁত ফাঁকা থাকলে কি হয়। আপনার ও যদি এমন সামনের দাঁত ফাঁকা থেকে থাকে তাহলে আসুন এখন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
সামনের দাঁত ফাঁকা থাকলে কি হয়
সামনের দাঁত ফাঁকা থাকার ক্ষেত্রে দুই ধরনের মতামত উঠে এসেছে। প্রথমটি হল পজিটিভলি মতামত এবং দ্বিতীয়টি হল নেগেটিভ মতামত। সামনের দাঁত থাকা থাকার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যে সমস্যাটি হয় সেটি হল হাসি দিতে আত্মবিশ্বাসের অভাব। অনেকেই আমরা জনসম্মুখে আড্ডা দেই বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেই। আর সেই সময় অনেক হাসাহাসি করি।

অনেকের ক্ষেত্রে এমন একটি লক্ষ্য করা গিয়েছে যখন তারা বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডায় মেতে থাকে তখন তারা দাঁত ফাঁকা থাকার ক্ষেত্রে হাসি দিতে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। তবে অনেকে এমনটি মনে করেন যে দাঁতের গঠনের ওপরে তার ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পুরাতন নথি ঘাটাঘাটির মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদেরকেও সেই সকল তথ্যগুলো জেনে রাখা উচিত। চলুন তাহলে আমরা এখন জেনে নেই।
  • বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন যাদের সামনের দাঁত ফাঁকা থাকে তারা হয়ে ওঠে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী।
  • ঢাকা দাঁতের মানুষগুলো খুব দ্রুত যাদের কর্মজীবনে সফল হন।
  • তারা যে কোন কাজের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করেন। যে কাজগুলো বাকিরা পারবে না সেগুলো তারা নিমিষেই করে ফেলেন।
  • ফাঁকা দাঁতের অধিকারী মানুষগুলো আত্মবিশ্বাসের কারণে তারা কোন প্রকার চিন্তাভাবনা ছাড়াই হুট করে যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
  • এমন ধরনের দাঁতের অধিকারী মানুষগুলো কথা বলার ক্ষেত্রে খুব বেশি ভালোবাসেন। তাই তারা বন্ধু-বান্ধব সহ বিভিন্ন ধরনের লোকজনের মাঝে মেলামেশা করেন এবং কথা বলতে ভালোবাসেন।
  • যে সকল কাজের ক্ষেত্রে বিপদজনক মনে হয় সেই সকল কাজগুলো তারা নিমিষে করার চেষ্টা করেন।
  • তারা সকল কাজগুলো গুছিয়ে করতে পছন্দ করে থাকেন।
  • তাদের টাকা কিভাবে খরচ করতে হয় সেটা খুব ভালোভাবেই তারা জানেন। তাই ব্যক্তির জীবনে তারা কখনো আর্থিক সংকটে পড়েন না।

সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করার উপায়

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার পরে অনেকেই জানতে চান সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করার উপায় সম্পর্কে। সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করার উপায় জেনে আপনি আপনার হাসিকে করে তুলতে পারেন আরো আকর্ষণীয়। যেটা সহজেই একজন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চলুন তাহলে এখন জেনে নেই কিভাবে আপনি আপনার সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করবেন তার উপায় সম্পর্কে।

লাইট কিউর ফিলিং বা কম্পোজিট ভিনিয়ার

এই চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার সামনের ফাঁকা দাঁতের সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারবেন। এই চিকিৎসাটি নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত দাতকে কাটার প্রয়োজন পরে না। এমনি এই চিকিৎসায় ক্যাপের ও কোন প্রকারের প্রয়োজন পরে না।
যদি আপনি ফাঁকা দাঁতের জন্য এই চিকিৎসা করান তাহলে কেউ সহজে বুঝতেই পারবে না আপনি যে আপনার দাঁতের চিকিৎ করিয়েছেন। কারণ দাঁতের কালারের সাথে কালার ম্যাচিং করে কাজ করা হয়। তবে এই চিকিৎসা সবথে বড় যেই সুবিধা রয়েছে সেটি হলো অন্য সকল দাঁতের চিকিৎসাএ থেকে এই চিকিৎসার খরচ কম। এমনকি এই চিকিৎসা করাতে সর্বোচ্চ ১-২ ঘন্টা সময় লাগে। অথবা তার কম সময়েও হয়ে যায়।

পোরসেলিন ক্যাপ

ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসার জন্য এটি একটি স্থায়ী পদ্ধতির চিকিৎসা। এই পদ্ধতি চিকিৎসা নেওয়ার ফলে দাঁত ভেঙে যাওয়া অথবা খুলে পড়ে যাওয়ার কোন প্রকার ভয় থাকে না। তবে এক্ষেত্রে একটি অসুবিধা হলো এই চিকিৎসাটি অনেকটাই ব্যয়বহুল। আর ব্যয়বহুল হওয়ার প্রধান কারণ হলো এই চিকিৎসাটি একটি স্থায়ী পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা।

এই চিকিৎসা করার জন্য প্রথমে দাঁতকে রোড আকারে চ্যানেল করে কিছুটা অংশ কেটে ছোট করে নেওয়া হয়। তারপরে কৃত্রিমভাবে তৈরিকৃত পোরসেলিন ক্যাপ দাঁতের উপরে পড়িয়ে দেওয়া হয়। একবার এই ক্যাপটি পরিয়ে দিলে পরবর্তীতে খোলা যায় না। তাই এটি একটি স্থায়ী ধরনের পদ্ধতি। তবে আপনার দাঁতের কালারের সাথে মিল রেখে এই ক্যাপের কালার তৈরি করা হয়।

দাঁত ফাঁকা দূর করার চিকিৎসা খরচ

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার পরে আবার অনেকেই দাঁত ফাঁকা দূর করার চিকিৎসা খরচ সম্পর্কে জানতে চান। এর কারণ হলো দাঁত ফাঁকা হয়ে গেলে তা দেখতে খারাপ দেখায়। তাই এর চিকিৎসা যত দ্রুত সম্ভব করানো উচিত। তাই চলুন আজকের এই পাঠের মধ্যে আমরা জানবো দাঁতের কোন চিকিৎসায় কেমন খরচ হয়।
দাঁত ফাঁকা দূর করার চিকিৎসা খরচ
বর্তমান সময়ে আধুনিক চিকিৎসায় দাঁত ফাঁকা দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। আর এই সকল কার্যকরী চিকিৎসার ক্ষেত্রে একেক ধরনের চিকিৎসা একেক ধরনের খরচ হয়ে থাকে। তবে আপনারা যেহেতু দাঁতের চিকিৎসা করাতে চাচ্ছেন তাই আপনাদের সকল ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেমন খরচ এগুলো জেনে রাখা উচিত। প্রথমে আমরা জেনে নেই তাদের কোন কোন চিকিৎসা করানো হয়।
  • বন্ডিং
  • পার্সেল ইন ক্রাউন
  • ব্রেসেস পদ্ধতির দাঁতের চিকিৎসা
  • কম্পোজিট ভিনিয়ার পদ্ধতি
দাঁতের চিকিৎসার ক্ষেত্রে দুটি চিকিৎসাই বর্তমানে অনেক বেশি জনপ্রিয়। আর জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ এটি রয়েছে সেটি হল চিকিৎসার স্থায়িত্ব। একবার চিকিৎসা করালে আপনার এই দাঁতের চিকিৎসা অনেক দিনের স্থায়িত্ব হবে। চলুন তাহলে এবার সেই দুটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচ কেমন সেগুলো জেনে নেই।

ব্রেসেস পদ্ধতির দাঁতের চিকিৎসাঃ এই চিকিৎসার মাধ্যমে যে শুধুমাত্র ফাকা দাঁতের চিকিৎসাই করা হয় বিষয়টি এমন নয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে আঁকাবাঁকা দাঁতের ও চিকিৎসা করা হয়। আর সে জন্যই এই চিকিৎসার খরচ তুলনামূলক কিছুটা বেশি। থাকা তাদের চিকিৎসা করার জন্য এই পদ্ধতিতে খরচ হয়ে থাকে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এটি বেশিরভাগ নির্ভর করে চিকিৎসকের সময় এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যয়ের উপর।

কম্পোজিট ভিনিয়ার পদ্ধতিঃ যারা কম খরচের মাধ্যমে দাঁতের ভালোমানের চিকিৎসা করাতে চান তাদের জন্য এই পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয়। আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব অল্প সময়েই চিকিৎসা করা হয়। এই পদ্ধতিতে ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসার খরচ তুলনামূলক অনেকটাই কম। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে যারা ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করাতে চান তাদের ক্ষেত্রে খরচ হবে ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা থেকে ৭,০০০ (সাত হাজার) টাকা পর্যন্ত।

দাঁতের ব্রেস এর খরচ

দাঁত ফাঁকা কেন হয় এই সম্পর্কে আমরা জানলাম। তার পাশাপাশি আমরা দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কেও জানতে পেরেছি। তবে অনেকেই যারা দাঁতে ব্রেস ব্যবহার করতে চান তারা দাঁতের ব্রেস এর খরচ সম্পর্কে জানতে চান। আপনি যদি আপনার দাঁতে ব্রেস ব্যবহার করতে চান তাহলে চলুন এর খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দাঁতের ব্রেস ব্যবহার করা হয় সাধারণত যাদের দাঁত অতিরিক্ত ফাঁকা এবং আঁকাবাঁকা রয়েছে। আর এই আঁকাবাঁকা দাঁত সোজা করার জন্য এই পদ্ধতিটি অনেক জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে মুখের আঁকাবাঁকা দাঁত কে সম্পূর্ণরূপে সোজা করা সম্ভব। যাদের মুখে দাত আকাবাকা রয়েছে তাদের দাঁত সোজা করার জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি।

দাঁতের ব্রেস লাগানোর খরচ সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে উল্লেখ্য যে এই খরচের পরিমাণ নির্ভর করে মুখের দাঁতের সাইজের ওপরে। এমনও লক্ষ্য করা গিয়েছে যাদের দাঁত অনেক বেশি পরিমাণে আকাবাকা তদের ক্ষেত্রে ছয় মাস, এক বছর অথবা ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। যাদের দাঁতের সাইজ যেমন রয়েছে এই খরচ তার উপরেই নির্ভর করে। আশা করছি আপনাকে এই বিষয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ফাঁকা দাঁত কিভাবে ঠিক করা যায়?
উত্তরঃ সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে খুব সহজেই দাঁতের ফাঁকা স্থান ঠিক করা যায়। ফাঁকা দাঁতের জন্য যেই সকল চিকিৎসা দেওয়া হয় সেগুলো হলো
  • বন্ডিং
  • পার্সেল ইন ক্রাউন
  • ব্রেসেস পদ্ধতির দাঁতের চিকিৎসা
  • কম্পোজিট ভিনিয়ার পদ্ধতি
প্রশ্নঃ সামনের দাঁতে ফাঁক থাকলে কি সৌভাগ্য হয়?
উত্তরঃ শাস্ত্র অনুযায়ি জানা যায় যাদের দাঁত সামনের অংশে ফাঁকা রয়েছে তারা সৌভাগ্যবান এবং বাকপটু হন।

প্রশ্নঃ কিভাবে দাঁতের ফাঁক সাময়িকভাবে আড়াল করা যায়?
উত্তরঃ দাঁতের ফাঁকা স্থানগুলি সাময়িকভাবে আড়াল করার জন্য আপনি দাঁতের রঙের যৌগিক বন্ধন ব্যবহার ব্যাবহার করতে পারেন। এতে করে সহজেই কেউ বুঝে উঠতে পারবে না।

প্রশ্নঃ দাঁত ফাঁক হওয়ার কারণ?
উত্তরঃ দাঁত ফাঁক হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো
  • অতিরিক্ত সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করা
  • দাঁত খিলাল করা
  • দাঁত উপরিয়ে ফেলা
  • শক্ত কিছু বেশি সময় নিয়ে কামড়ালে
  • মুখের চোয়ালের সাথে দাঁত খাপ খাইয়ে না নিতে পারলে
  • কম পরিমাণে দাঁত গজালে
প্রশ্নঃ দাঁতের ফাঁক বন্ধ হতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ দাঁতের ফাঁক বন্ধ হতে কয়েক মাস হতে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ দাঁত লাগাতে খরচ কত?
উত্তরঃ দাঁতের অবস্থান অনুযায়ি দাঁত লাগাতে খরচ আলাদা ধরণের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে খরচ ১ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে ২ হাজার টাকা। এমনকি ক্ষেত্রভেদে ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ দাঁতের ব্রেস এর দাম কত?
উত্তরঃ দাঁতের ব্রেস এর দাম সাধারণত ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০হাজার টাকার মধ্যে মেটাল ব্রেসের খরচ হয়ে থাকে।

শেষ কথা

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post