রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার দোয়াপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চই মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম এবং বাংলা নিয়ত জানতে পারবেন।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
মুসলিম ব্যাক্তিদের জন্য নামাজ হলো একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। আর এই শ্রেষ্ঠ ইবাদতের আল্লাহর কাছে সবথেকে জনপ্রিয় নামাজ হলো ফরজ নামাজ। আর এই ফরজ নামাজের পরেই তাহাজ্জুদ নামাজ সৃষ্টিকর্তার নিকট অনেক জনপ্রিয়।

পেজ সূচিপত্রঃ

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম এবং বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানেনে না। আমাদের এমন অনেক মা-বোনেরা রয়েছেন যিনারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান। কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম না জানার কারণে তিনারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে ব্যর্থ হন। আজকের এই পাঠে আমরা আপনাকে জানাবো মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ কোন নিয়ম অনুযায়ী পড়তে হবে। চলুন তাহলে এখন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেটি লক্ষ্য করা উচিত সেটি হল তাহাজ্জুদ নামাজের সময়। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা হয় সাধারণত এর সেহেরির পূর্ব অবস্থায় অথবা সেহরির সময়। যেটাকে অনেকে শেষ রাত্রি বলে থাকেন। এই সময়টুকু শেষ হওয়ার পূর্বেই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উচিত।

তার জন্য প্রথমে ঘুম থেকে উঠে ভালো হবে অজু করে নিতে হবে তারপরে নিয়ম অনুযায়ী তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নিয়ে যায় নামাজে বসে জিকির করতে হবে। জিকির করে আপনি দুই রাকাত দুই রাকাত করে যত রাকাত পর্যন্ত আপনার পক্ষে সম্ভব হয় এই পর্যন্ত আদায় করতে পারবেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে আপনি যে কোন সূরা পড়তে পারবেন। তবে আমাদের প্রিয় নবী (সা) অনেক লম্বা কেরাত দিয়ে নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাত সহকারে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। তাহলে চলুন দেখে নেই এখন কোন নিয়ম অনুযায়ী তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে।

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য প্রথমে আপনাকে নফল নামাজের নিয়ত করতে হবে। যেহেতু তাহাজ্জত নামাজ হলো একটি নফল নামাজ, তাই আপনাকে নফল নামাজের নিয়ত করতে হবে। আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত না জেনে থাকেন তাহলে বাংলাতে "আমি কেবলামুখী হইয়া দুই রাকাত তাহাজ্জত নামাজের নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবার" এভাবে নিয়ত করতে পারবেন।

আর আপনি যদি আরবিতে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে চান তাহলে এভাবে নিয়ত করবেন نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر বাংলা উচ্চারণঃ "নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি আল্লাহু আকবার"। বলে নামাজের নিয়ম বেধে ফেলবেন। এরপরে প্রমাণ নয় নামাজের নিয়ম অনুযায়ী তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন। এভাবে আপনার তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারীর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। তবে এই নামাজে দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট আট রাকাত যদি আপনি নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে সেটা আপনার জন্য অনেক ভালো। তবে যদি সময় সংক্ষেপণের কারণে আপনি নামাজ না আদায় করতে পারেন ৮ রাকাত পর্যন্ত, তাহলে আপনি দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেই হবে।

তার জন্য আমার আদায় করতে হয় কমপক্ষে দুই রাকাত। উর্ধ্বে আপনি যতদূর পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে পারেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কমপক্ষে ৮ রাকাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। আপনি যদি ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য অনেক ভালো।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম। আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তাহলে অবশ্যই সেক্ষেত্রে আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জানা জরুরী। এর প্রধান কারণ হলো তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার সময়সূচী অন্য সকল নামাজ থেকে আদায় করার ভিন্ন নিয়ম। তাহলে চলুন এই পর্যায়ে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই রাকাত দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তিনি সর্বমোট দুই রাকাত দুই রাকাত করে ৮ রাকাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাই এক্ষেত্রে তাহাজ্জুদ নামাজ আট রাকাত পর্যন্ত আদায় করা আমাদের জন্য। উত্তর তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে ভিন্ন কোন সূরা নেই।

আপনি কোরআন শরীফ থেকে যেকোনো সূরা দিয়ে এই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় সম্পন্ন করতে পারেন। তাহলে চলুন এখন কোন নিয়ম অনুযায়ী আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন সেটা জেনে নেওয়া যাক।

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য প্রথমে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নিম্নক্ত দোয়াটি পড়বেন

আরবিঃ اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

বাংলা উচ্চারণঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।

এরপরে আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে হবে। তারপরে নামাজ আদায় শুরু করতে হবে। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নিয়তটি হলো

আরবিঃ نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر

বাংলা উচ্চারণঃ "নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি আল্লাহু আকবার"।

এই নিয়ত করার পরে আপনাকে অন্যসকল নামাজের ন্যায় "সানা" পড়তে হবে। আর সানার পরে আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্‌ সহ সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়তে হবে। এবং অন্যান্য নামাজের মতো করেই রুকু এবং সিজদা দিতে হবে। এভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। অন্যান্য সকল নামাজের মতোই দুই রাকাত নামাজে গিয়ে বসতে হবে।

শেষ বৈঠকে বসে তাশাহুদ, দরুদ এবং দোয়া মাসুরা পড়তে হবে। তার পরে প্রথমে ডানে তারপরে বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ আদায় শেষ করতে হবে। আর এভাবেই আপনার তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় শেষ হবে।

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জানার পাশাপাশি এর নিয়ত জানাটা জরুরি একটি বিষয়। আপনারা অনেকেই জানতে চান তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত সম্পর্কে। আমরা অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত না জানার কারণে বাংলা নিয়ত জানতে চাই। তাই আপনিও যদি এমন তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বাংলা নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পাঠ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়তঃ نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر

তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়তের বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছোয়াল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাতাই ছলাতিত তাহাজ্জুদী সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়তঃ আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলা মুখি হইয়া তাহাজ্জুদের দু-রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত করিলাম, আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজের তাৎপর্য

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম এবং বাংলা নিয়ত সম্পর্কে আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা) উল্লেখ করেছেন, রাসুল (সা) বলেছেন যে ''ফরজ নামাজের পর সকল নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।" (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ) যার অর্থ এই দাঁড়ায় যে সকল প্রকার ফরজ নামাজের পরপরই নফল নামাজের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। আর এই নফল নামাজের পরবর্তীতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তাহাজ্জুদ নামাজকে।
তাহাজ্জুদ নামাজের তাৎপর্য
এর প্রধান কারণ হলো সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য আমাদের সকলকে বলেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কে রাতের বেলা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য সব থেকে বেশি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আল্লাহতালা বলেন- "হে চাদর আবৃত, রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।" (সুরা মুজাম্মিল এর আয়াত ১-২)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য তাগিদ দিয়েছিলেন তাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনিও আমাদেরকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার ব্যাপারে বলেছেন। তাই আমরা এখান থেকে বুঝতে পারছি তার জন্য নামাজের গুরুত্ব কতটুকু।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম যদি মহিলারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে তাহলে এর বেশ কিছু ফজিলত রয়েছে। আপনি কি জানেন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত কি? আপনি যদি না জেনে থাকেন অথবা এই সম্পর্কে যদি আপনার জানার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে এই অংশটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ এই অংশের মধ্যে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজের সকল ফজিলত গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত গুলো জেনে নেওয়া যাক।

আল্লাহ তা'আলা আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য তাগিদ দিয়েছিলেন। তাই এই নামাজ তিনার উপর ফরজ ছিল। তারপরে তিনি তাদের উম্মতের বলেছেন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ব্যাপারে। তবে তার উম্মতের ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ ফরজ করা না হলেও সকল সুন্নত নামাজের মধ্যে এটি অন্যতম উত্তম করা হয়েছে।

তাহাজ্জুদ অর্থ হলো ঘুম থেকে জাগা। আরে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার সঠিক সময় হল এশার নামাজ শেষ করে কিছুটা ঘুমিয়ে নিয়ে অর্ধেক রাতে উঠে নামাজ আদায় করা। অথবা অনেকে এমন বলে থাকেন সেহেরির সময়ে অথবা তার পূর্বে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের জানা উচিত তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত থাকে।

এই নামাজ গভীর রাতে শখের ঘুম ত্যাগ করে পড়তে হয় বলে এই নামাজের সওয়াব অনেক বেশি পাওয়া যায়। পবিত্র মক্কা ভূমিতে ও মদিনায় তাহাজ্জুদ নামাজের সালাত আদায় করার জন্য আজান দেওয়া হয়। তার থেকে বড় কথা হলো এখানে তাহাজ্জুদ নামাজ অনেক গুরুত্ব সহকারে আদায় করা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা এই বিষয় সম্পর্কে বলেছেন

"যারা শেষ রাতে ইবাদত ও প্রার্থনা করেন তাদের প্রশংসাস্বরূপ কিয়ামত দিবসে বলবেন, তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে আর রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।" (সুরা: আযযারিয়াত ১৭-১৮)।

আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন রাতে সাত আসমানের সব থেকে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ করেন। যখন রাতের তৃতীয় ভাগের শেষভাগ অবশিষ্ট থেকে থাকে তখন তিনি উচ্চস্বরে বলতে থাকেন তোমাদের মধ্যে কে আছো যে আমায় ডাকবে। আর যে ডাকবে আমি এখন তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছো তোমরা আমার কাছে যা কিছু চাইবে আমি তাকে এখন তাই দান করব।

এমন কে আছো পাপী যে তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তোমাকে ক্ষমা দান করব। (বুখারি ও মুসলিম)

তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত ও নিয়ত?
উত্তরঃ তাহাজ্জুদ নামাজ ২ রাকাত ২ রাকাত করে ৮ রাকাত পর্যন্ত পড়া উত্তম। কারণ এই নিয়মে ৮ রাকাত করে আমাদের প্রিয় নবি (সা) আদায় করতেন।

প্রশ্নঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত কি?
উত্তরঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত হলো "নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি আল্লাহু আকবার"।

প্রশ্নঃ রাতের শেষ তৃতীয়াংশ কখন?
উত্তরঃ রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বলা যায় ফজরের নিকটবর্তী সময়কে। অর্থাৎ রাতের শেষভাগ।

প্রশ্নঃ তাহাজ্জুদ নামাজ কি নফল না সুন্নত?
উত্তরঃ তাহাজ্জুদ নামাজ আলেমগণের মতে সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল।

লেখকের মন্তব্য

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম এবং বাংলা নিয়ত সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো। এছাড়াও আরো কিছু বিষয় নিয়ে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এমন আরো আর্টিকেল ফ্রীতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post