গোলাপ জল মুখে কিভাবে ব্যবহার করবপ্রিয় পাঠক, নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় আপনি কি এই সম্পর্কে জানার
জন্য আগ্রহি? কিন্তু কোথাও খুঁজে কি তথ্য পাচ্ছেন না? তাহলে আপনি এখন সঠিক
জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করতে চলেছি নিম পাতা ও কাঁচা
হলুদ মুখে দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, নিম পাতা মুখে
দিলে কি হয়, ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করবেন কিভাবে, মুখে কাঁচা হলুদের
উপকারিতা এবং চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে। তাই এই সকল বিষয়ে জানার জন্য
অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় এই পাঠের মাধ্যমে আমরা তা বিস্তারিত
জানবো। আমরা সকলেই কমবেশি জানি যে আমাদের ত্বকের জন্য নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ
অনেকটাই উপকারি। তবে আপনি যদি নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে এর উপকারিতাগুলো বলে শেষ করা যাবে না। তবে আপনি যদি নিম পাতা ও হলুদ
মুখে দেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের বেশ কিছু উপকার করবে।
সেই প্রাচীন কাল থেকেই নিম পাতার ব্যাবহার ত্বকের উন্নতির জন্য করা হয়ে আসছে। যদি
আপনি নিম পাতা আপনার ত্বকে ব্যাবহার করেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরণের
প্রতিশেধক হিসেবে কাজ করবে। তার মধ্যে রয়েছে ব্রণ, ঘামাচি, এলার্জির সমস্যা সহ
আরো অনেক ধরণের সমস্যার সমাধান করবে। নিম পাতা হলো একটি প্রাকৃতিক শক্তিশালী
জীবণুনাশক।
অন্যদিকে আপনি যদি মুখে কাঁচা হলুদ ব্যাবহার করেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের ডিটক্স
হিসেবে কাজ করবে। আপনারা হয়ত জানেন না ডিটক্স কি? ডিটক্স হলো এমন এক ধরণের
পদার্থ, যা আমদের ত্বকের থেকে জৈব টক্সিন গুলো বের করে দেয়। এটি আমাদের দেহে
প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও ত্বকে নিম পাতার সাথে হলুদ
ব্যাবহারে বেশ কিছু উপকার হয়। কি সেগুলো চলুন জেনে নেই।
- মুখের ব্রণ ও ব্রণের দাগকে দূর করে
- রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সক্ষম
- বয়সের ছাপ দূর করে
- ত্বককে করে তোলে ভেতর থেকে উজ্জ্বল
- স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে
- ত্বকের সকল ধরণের ময়লা বের করে দিয়ে ত্বককে করে নরম এবং আকর্ষণিয়
- ত্বকের বলি রেখাগুলো দূর করে
- ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে
- বার্ধক্য জনিত সমস্যাকে প্রতিহত করে
- ত্বকের এলার্জির সমস্যা দূর করে
- ত্বকের চুলকানি দূর করে
- ফুসকুড়ির সমস্যা প্রতিহত করে
- নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ যদি খাওয়া হয় তাহলে এটি আমাদের শরীরের পরিপাক তন্ত্রকে সচল রাখে।
- ত্বকের এন্টি এজিং হিসেবেও কাজ করে। যেটা আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সক্ষম।
এগুলো ছিলো নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যাবহারের কার্যকরি উপকার। এছাড়াও নিম পাতা ও
কাঁচা হলুদ ব্যাবহারের ফলে আরো অনেক ধরণের উপকার হয়। তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো
শীতের সময়ে আমাদের ত্বককে কুচকে যাওয়ার সমস্যার সমাধান এনে দেয় কোন প্রকারের
পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। এছাড়াও এর রয়েছে বেশ কিছু উদ্ভাবনি শক্তি।
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
অনেকেই নিম পাতার ব্যাবহার করে রুপ চর্চার জন্য। আর তাই তারা নিম পাতা ও কাঁচা
হলুদ মুখে দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানতে চান। আশা করছি আপনি এই বিষয়ে এখন
পুরোপুরিভাবে জানতে পেরে গিয়েছেন। এখন আমরা সকলেই জানবো নিম পাতা দিয়ে ফর্সা
হওয়ার উপায় কি সেই সম্পর্কে। আপনিও যদি নিম পাতা ব্যাবহার করে ফর্সা হতে চান
তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়ে জানা উচিত হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
নিম পাতা, কাঁচা হলুদ এবং পানি
নিম পাতার সাথে কিছুটা পরিমাণ কাঁচা হলুদ নিয়ে তার সাথে কিছুটা পানি ব্যাবহার করে
এটি পিষে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করলে ব্যাবহার করলেই খুব সহজেই ফর্সা হওয়া যায়। এর
জন্য আপনাকে এই তিনটি উপাদান একত্রে করে নিয়ে ভালো করে পিষে নিতে হবে। তারপরে এটি
মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পরে যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন এটি ঠান্ডা পানি
ব্যাবহার করে ধুয়ে নিতে হবে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ এবং মধু
পরিমাণ মতো কিছুটা নিম পাতা এবং কিছুটা কাঁচা হলুদ নিয়ে একসাথে পিষে নিতে হবে।
তার পরে এর সাথে ১ চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিবেন। এরপরে এটি ব্যাবহার করবেন।
এটি আপনি মুখে, গলায় এবং ঘাড়েও লাগাতে পারেন। এভাবে আপনি ২ সাপ্তাহ ব্যাবহার
করলেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।
নিম পাতা, কাঁচা হলুদ, মুলতানি মাটি এবং লেবুর রস
এই তিনটি উপাদান প্রথমে আপনাকে সংগ্রহ করে নিতে হবে। তারপরে নিম পাতা এবং কাঁচা
হলুদ একসাথে নিয়ে পিষে নিতে হবে। তারপরে গুড়ো মুলতানি মাটি এবং কিছুটা সামান্য
লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
তারপরে এটি মুখে ব্যাবহার করতে হবে। মুখে ব্যাবহার করার ৩০ মিনিট পরে যখন এটি
হালকা শুকিয়ে আসবে তখন ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যাবহারের ফলেই ত্বকের
উজ্জ্বলতা অনুভব করতে পারবেন।
নিম পাতা, কাঁচা হলুদ ও চন্দন গুঁড়া
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়? নিম পাতা পিষে নিয়ে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ
নিম পাতা, তার সাথে ১/২ চামচ পরিমাণ
চন্দন গুড়ো এবং ২
চা চামচ পরিমাণ হলুদ বাটা একসাথে করে নিয়ে মিশিয়ে নিন। এটি একটি পেষ্ট তৈরি হবে।
এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে পরিষ্কার পানি ব্যাবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে
প্রতি সাপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহার করুন। আশানুরূপ ফল পাবেন।
নিম পাতা, কাঁচা হলুদ এবং অ্যালোভেরা জেল
১ টেবিল চামচ পরিমাণ নিমপাতা বাটা, সমপরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা নিন। তার সাথে
কিছুটা এলোভেরা জেল ব্যাবহার করুন। যদি পারেন তাহলে এর সাথে মধু ও গোলাপ জল
মিশিয়েও ব্যাবহার করতে পারেন। এটি ব্যাবহারে আপনার ত্বকের পোড়া স্থানগুলোকে
নিরাময় করবে। তারপাশাপাশি আপনার ত্বককে করে তুলবে নমনীয় ও উজ্জ্বল।
নিমপাতা, কাঁচা হলুদ, দুধ এবং গোলাপ জল
এক টেবিল চামচ পরিমাণ নিম পাতা বাটা নিন। তার সাথে ২ চা চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ
বাটা এবং পরিমাণ মতো দুধ এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপরে
এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পরে হালকা গরম পানি ব্যাবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এটি
ব্যাবহারে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার ত্বককে ফর্সা করবে।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
অনেকের মুখেই ব্রণের সমস্যা রয়েছে। তাই তারা নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি
হয় সেই সম্পর্কে জানার পাশাপাশি ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কেও জানতে
চান। কারণ অনেকেই জানেন না কিভাবে ব্রণের সমস্যা নিরাময়ের জন্য নিম পাতার
ব্যাবহার করতে হবে। তেমনি আপনিও যদি এমন ব্রণের সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে
চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করবেন কিভাবে।
ব্রণের সমস্যার সমাধানের জন্য আপনাকে শুধু নিমের পাতা ব্যাবহার করলেই চলবে না।
তার পাশাপাশি আপনাকে নিমের পাতার সাথে আরো কিছু প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে নিয়ে
একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিয়ে ব্যাবহার করতে হবে। তবে কোন সকল ফেসপ্যাক বানিয়ে নিয়ে
আপনি ব্যাবহার করবেন সেই সম্পর্কেই জানাবো এখন আপনাদেরকে।
নিম পাতা ও হলুদের প্যাকঃ নিম পাতা আমাদের বাড়ির আশে পাশেই পাওয়া যায়। আর
এর গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা এখন প্রায় সকলেই জানি। তাই আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যার
সমাধান করার জন্য আপনাকে নিমের পাতার সাথে হলুদ মিশিয়ে নিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে
নিতে হবে। এর জন্য ২ চা চামচ পরিমাণ নিম পাতার গুড়ো অথবা নিম পাতা পেষা নিন। যদি
সম্ভব হয় তাহলে কাঁচা হলুদ নিন কিছুটা।
আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে আপনি গুড়ো হলুদ ও ব্যাবহার করতে পারেন। এর সাথে ১ চামচ
হুইপ ক্রিম মিশিয়ে নিন। যদি আপনার প্রয়োজন হয় তাহলে কিছুটা পানিও মিশিয়ে নিতে
পারেন। তাহলেই এটি একটি পেস্ট তৈরি হবে। তারপরে এটি আপনার ত্বকে ভালো করে লাগান।
মুখে লাগানোর ১০ থেকে ২০ মিনিট পরে যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন ধুয়ে ফেলুন।
নিম ও তুলসিঃ নিম পাতার সাথে তুলসির ব্যাবহার ব্রণের সমস্যা সমাধানে বিশেষ
কার্যকরি। নিমে এবং তুলসি পাতাতে রয়েছে এন্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য। তা ত্বকের ব্রণের
সমস্যার জন্য প্রতিকারের প্রমাণিত। এই প্যাকটি ব্যাবহারে ত্বকের কালো দাগ এবং
ব্রণের সমস্যা দূর করে খুব সহজেই।
নিম ও পেঁপের প্যাকঃ নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় এটি জানার
পরে আপনি যদি আপনার ত্বককে তাৎক্ষণিকভাবে চাঙ্গা করতে চান তাহলে নিম আর পেঁপের
প্যাক ব্যাবহার করুন। এই প্যাকটি ব্যাবহারের ফলে আপনার নিস্তেজ হয়ে যাওয়া ত্বককে
খুব দ্রুত এবং চকচকে করে তুলবে। তার পাশাপাশি এটি আপনার ত্বকের সতেজতাও নিয়ে
আসবে।
এই প্যাকটি তৈরি করে ব্যাবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমে ২ চামচ পরিমাণ নিমের পাতা
পেষা নিতে হবে। এরপরে ২ চামচ পরিমাণ পাকা পেঁপে নিতে হবে। তারপরে এই দুই উপাদান
একসাথে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপরে এটি আলতো হাতে আপনার মুখে
লাগান। যখন দেখবেন এটি শুকিয়ে এসেছে তখন মুখ ধুয়ে ফেলুন।
নিম, বেসন ও হলুদঃ আমাদের ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হয় তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।
তবে আপনি যদি এই তিনিটি উপাদান একসাথে ব্যাবহার করেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের
তৈলাক্ততা দূর করবে। তার জন্য এই তিনটি উপাদান একসাথে নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
প্রয়োজন মতো পানি ব্যাবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি বানিয়ে নিয়ে মুখে ব্যাবহার
করার ১০ থেকে ২০ মিনিট পরে যখন শুকিয়ে আসবে তখন ধুয়ে নিতে হবে।
নিম ও চন্দনের ফেসপ্যাকঃ চন্দন আমাদের ত্বকের পুষ্টি যোগায়। যার জন্য
নিমের সাথে যদি চন্দন ব্যাবহার করা হয় তাহলে এটি আমাদের ত্বকের র্যাসের সমস্যা
এবং জ্বালার সমস্যার সমাধান করে। এই প্যাকটি তৈরির জন্য ২ চামচ পরিমাণ নিম পাতা
পেষা এবং ১ টেবিল চামচ পরিমাণ চন্দন গুড়ো নিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেলুন।
যদি সম্ভব হয় তাহলে এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিতে পারেন এরপরে এটি ত্বকে ব্যাবহার
করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি
সাপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহার করুন। কিছুদিন ব্যাবহার করলেই আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন।
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় আপনি এই সম্পর্কে জানেন? আমরা হাতের কাছেই নিম পাতা
পাই জন্য আমরা একে অবহেলিত মনে করি। তবে আপনি যদি এটি সঠিকভাবে ব্যাবহার করেন
তাহলে এটি আপনার ত্বকের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপয়ান্র ত্বকের অনেক ধরণের
সমস্যার সমাধান করবে। আজকে এই পাঠে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নিম পাতা মুখে
দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানলে আপনি আসলেই অবাক
হবেন। এটি যেমন আমাদের ত্বকের ওপরে কোন প্রভাব ফেলে না। তেমনি এর রয়েছে উপকারি
গুণ। সেই সকল উপকারি গুণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
- ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল
- ব্রণের সমস্যা দূর করে
- বয়সের ছাপ দূর করে
- ত্বকের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে
- ত্বক মশ্চারাইজ করে
- ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে বাধা দেয়
- প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে
- ত্বকের বলি রেখাগুলো দূর করে
- ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে
- বার্ধক্য জনিত সমস্যাকে প্রতিহত করে
এছাড়াও আরো অনেক উপকারি গুণ রয়েছে নিম পাতার। যার উপকারি গুণগুলো বলে শেষ করা
সম্ভব হবে না। তবে আশা করছি আপনি এখান থেকে নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় সেই
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার করবেন যেভাবে
আমরা সকলেই জানি চর্মরোগ হলো একটি মারাত্মক রোগ। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে
কি হয় এই পাঠের মধ্য হতে আমরা এখন জানতে চলেছি চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার করবেন
কিভাবে সেই সম্পর্কে। তথা কথিত আছে যে বর্ষার মৌসুমে চর্মরোগ অনেক বেশি
সংক্রণাত্বক হয়ে উঠে। আর এই কারণেই এই সময়ে চর্মরোগ বেশি ছড়ায়।
তবে আপনার ত্বকের চর্ম রোগের সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনি নিমের ব্যাবহার করতে
পারেন। আর এটিই ত্বকের চর্মরোগের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা। আমরা সকলেই এখন কমবেশি
জানি যে নিমের পাতাতে রয়েছে হরেক রকমের ঔষধি গুণাগুণ। এই গাছে শেকড় থেকে পাতা
পর্যন্ত সকল কিছুতে এতো পরিমাণে ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে যেগুলো দিয়ে চিকিৎসা করা
সম্ভব। আর এর প্রধান কারণ হলো এই নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য।
এটি ব্যাবহারের জন্য ১০ গ্রাম পর্যন্ত নিমের ছাল অথবা নিমের পাতা পাটাতনে ভালো
করে পিষে নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপরে এটি আপনার ত্বকের যেখানে যেখানে
যেখানে চর্মরোগের সমস্যা রয়েছে সেখানে হালকা করে লাগান। এটি ব্যাবহারে আপনি
তাৎক্ষণিকভাবে স্বস্তি অনুভব করবেন। আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যার সমাধানেও এটি এই
ভাবে ব্যাবহার করতে পারেন।
যদি আপনার একজিমার সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও নিমের রস ব্যাবহার করে ব্যান্ডেজ করে
নিলে খুব সহজেই উপকার পাবেন। আপনার যদি দাদ এবং ক্ষত থাকে তাহলে সেটি নিরাময় করার
জন্য প্রথমে ১০ থেকে ১৪ টি পাতা নিন। তারপরে এটি ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন।
এরপরে এটি ভালো করে লাগান। এভাবে ২ থেকে ৩ বার ব্যাবহার করলেই আপনি অনেকটাই আরাম
অনুভব করবেন।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ কাচা নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়?
উত্তরঃ কাঁচা নিম পাতা মুখে দিলে এটি আমাদের ত্বকের সকল প্রকারের
ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধের প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গরে তোলে যার ফলে আমাদের
ত্বকের ব্রণ অথবা অন্য সকল ধরণের সমস্যা হয় না।
প্রশ্নঃ নিম পাতা কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়?
উত্তরঃ খালি পেটে নিম এবং হলুদ খাওয়ার ফলে এটিয়া আমাদের দেহের শক্তি
বাড়াতে বিস্ময়কর কাজ করে।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু নিম পাতা খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ আপনি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ টি নিম পাতা খেতে পারেন। আর স্বাস্থ্যের
জন্যই এটিই নিরাপদ।
প্রশ্নঃ নিম পাতা বাটা চুলে দিলে কি হয়?
উত্তরঃ নিম পাতা বাটা চুলে দিলে চুলের বৃদ্ধি করে এবং মাথার খুশকির
সমস্যার সমাধান করে।
প্রশ্নঃ ব্রণের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তরঃ হ্যা, ব্রণের সমস্যা দূর করতে নিম পাতা ব্যাবহার অধিক কার্যকরি।
তাই এটি ব্যাবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
শেষ কথা
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে আজকে আমরা এই পাঠে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এই
বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে
থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল
প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment