আলকুশি পাউডার এর উপকারিতাপ্রিয় পাঠক, কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন?
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কি সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আপনি এখন স্কদম সঠিক
জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার
উপকারিতা সহ আরো অনেক টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই জানার জন্য শেষ
পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন
কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত, প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয় এবং কালোজিরা
খাওয়ার নিয়ম হাদিস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বেশ কিছু। কালোজিরা ঔষধি গুন সম্পূর্ণ
হওয়ার ফলে এটিকে চিবিয়েও খাওয়া যেতে পারে। আবার অনেকেই এই কালোজিরা ভর্তা করে
খান। আবার এমন অনেকে রয়েছেন যিনারা কালোজিরা কে শুকিয়ে নিয়ে ব্লেন্ডার করে
ভালোভাবে গুড়ো করে নেন। তারপর এটি চা, দুধ অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে খান। আবার এমন
অনেকে দেখতে পাওয়া যায় জেনারা শুধুমাত্র কালোজিরা নিয়ে তার সাথে সামান্য কিছু
পেঁয়াজ এবং রসুন যোগ করে ভর্তা করে খান।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এর উপকারিতা গুণ আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পায়। তবে আপনি
যেভাবে কালোজিরা খান না কেন এর ঔষধি গুন সহজে পরিবর্তন হয় না। আপনি যেভাবে ইচ্ছা
এটিকে প্রক্রিয়াজাত করে খেতে পারেন। চলুন তাহলে এই পাঠে আমরা এখন জেনে নেই
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে কোন কোন উপকারিতাগুলো হয়।
- ক্যান্সারের ঝুঁকে হ্রাস করে
- খাবারের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়
- ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখে
- স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে
- পেট ব্যথা থাকলে সেটা দূর হয়
- রক্তচাপ কে নিয়ন্ত্রণ করে
- শরীরের ব্যথা দূর করতে সক্ষম
- শরীরের ঠান্ডা জনিত সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে সক্ষম
- শরীরের অন্য সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ রাখার জন্য সাহায্য করে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমায়
- নারী এবং পুরুষ উভয়ের যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে
তবে কালোজিরা সম্পর্কে একটি কথা না বললেই নয় কালোজিরা হলো সকল রোগের মহৌষধ। আপনি
কালোজিরা কে যেভাবে খান না কেন এর উপকারী গুণ সহজে কমবে না। একে আপনি যেভাবে
ইচ্ছা সেভাবে খেতে পারেন। যদি আপনি কালোজিরা কে পানির সাথে অথবা মধুর সাথে ১-২.৫০
গ্রাম খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য আরো অনেক বেশি উপকার হবে।
সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা আপনি সবথেকে বেশি সে সময় পাবেন যখন আপনি
সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপরে কালোজিরা খাবেন। সকালে যদি
আপনি নিয়ম মেনে কালোজিরা খান তাহলে এটাই আপনার শরীরের জন্য আরো অনেক বেশি উপকার
হবে। তবে আপনি চাইলে কালোজিরা সকালে না খেয়ে দিনের যেকোনো সময়টাতেও খেতে পারেন।
তবে যদি সকালে খালি পেটে কালিজিরা খাওয়া হয় তাহলে এর উপকারিগুণ সবথেকে বেশি
পাওয়া যায়। কোন নিয়ম মেনে সকালে কালোজিরা খাবেন সেগুলো চলুন নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ পানি পান করার সঠিক নিয়ম
- সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে প্রথম যেই নিয়মটি রয়েছে সেটি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে কালোজিরার সাথে কিছু সামান্য পরিমাণ মধু যোগ করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে আপনার সম্পূর্ণ শরীর সারা দিন কর্মক্ষম থাকবে।
- কালোজিরার সাথে আপনি রসুন যোগ করে খেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে খুব বেশি একটা রসুন নেওয়া যাবে না। সর্বোচ্চ দুই কোষ রসুন নিতে পারেন। তারপরে এটিকে কালোজিরার সাথে মিশিয়ে কাঁচাই খেয়ে নিতে হবে।
- কালোজিরা সাথে আপনি তুলসী পাতা যোগ করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে যদি ঠান্ডা লেগে থাকে অথবা আপনার যদি সর্দি এবং কাশি লেগে থাকে সেগুলো দূর করার জন্য খুব ভালো কাজ করবে।
- কালোজিরার সাথে পেয়ারা পাতার রস মিশিয়ে খাওয়া এটি অনেক পুরাতন একটি পদ্ধতি। যে সকল ব্যক্তিদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি অনেক ভালো কাজ করবে। এভাবেও আপনি কালোজিরা খেতে পারেন।
- কিছুটা পরিমান কালোজিরার তেলের সাথে এক কাপ পরিমাণ পুদিনা পাতার রস এবং তার সাথে কিছুটা কমলার রস মিশিয়ে নিয়ে সামান্য পরিমাণ জিরার মিশ্রণ নিয়ে আপনি খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার প্রতিদিনের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে।
উপরের উল্লেখিত এই সকল নিয়মগুলো মেনে আপনি প্রতিদিন সকালে কালোজিরা অথবা
কালোজিরার তেল খেতে পারেন। যাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কালোজিরা খেতে সমস্যা হয়
তারা সে ক্ষেত্রে কালোজিরা না খেয়ে কালোজিরার তেল খেতে পারেন। এতে করে কালোজিরার
পুষ্টিগণ একই থাকার ফলে একই সমপরিমাণ কাজ করবে। আশা করছি আপনাদের এই বিষয়ে
বোঝাতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে প্রতিদিন কতটুকু
কালোজিরা খাওয়া উচিত এই বিষয়ে জানা উচিত। আপনি যদি এই বিষয়ে না জেনে সঠিক
পরিমাণে কালোজিরা খেতে না পারেন তাহলে আপনি সঠিকভাবে এর উপকারিতা উপভোগ করতে
পারবেন না। যদি আপনি জেনে না থাকেন প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাবেন চলুন তাহলে এই
বিষয়ে এখন জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সঠিক কোন উত্তর
পাওয়া যায়নি। আপনি যতটুকু পরিমাণে কালোজিরা গ্রহণ করেন না কেন এটি আপনার ওজন
বয়স এবং স্বাস্থ্যের বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করবে। তবে আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম
থেকে উঠে এক চিমটি পরিমাণে কালোজিরা খেতে পারেন। যার পরিমান হতে পারে প্রতিদিন ১
থেকে ২ গ্রাম। যেটা আপনি সর্বোচ্চ খেতে পারেন ৪ গ্রাম পর্যন্ত।
আপনার খাওয়ার পরিস্থিতি এবং আপনার স্বাস্থ্যের পরিচিতি অনুযায়ী প্রতিদিনের
প্রয়োজন অনুসারে আপনার কালোজিরা খাওয়া বৃদ্ধি করতে পারেন অথবা কমাতে পারেন।
আপনি যখন কালোজিরার উপকারিতার কথা ভেবে বেশি পরিমাণে খেতে চাইবেন তারপরে আপনার
অবশ্যই উচিত হবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা। আর এটি আপনার জন্য অনেক
নিরাপদ একটি ব্যবস্থা হবে।
তবে আপনি শুধু কালোজিরার উপকারী শুধুমাত্র কালোজিরা খেতে থাকবেন এটা আপনার জন্য
একেবারেই উচিত হবে না। কালোজিরার পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং
ফলমূল গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে আপনি শরীরকে সম্পূর্ণ পুষ্টির যোগান দিতে সক্ষম
হন। কালোজিরা খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরের সকল ধরনের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ
করবে। তাই এটিকে সুপার ফুড হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
আমরা তো সকলে ইতিপূর্বে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পারলাম। তবে আপনি যদি এর উপকারী গুণের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিদিন
অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি
ক্ষতি হয় সেই সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। আপনি যদি এই সম্পর্কে জেনে না থাকেন
তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য হানিকারক হতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই।
কালোজিরাতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলে একে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা
করা হয়। তবে আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণে কালোজিরা খান তাহলে এতে আপনার
কোন ধরনের সমস্যা হবে না। তবে আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে
কালোজিরা খান তাহলে এটি আপনার পেট খারাপ সহ বদহজমের সৃষ্টি করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম
সাধারণত কালোজিরা কে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে নিরাপদ হিসেবেই মনে করা হয় যদি
আপনি সেটাকে পরিমিত পরিমানে গ্রহণ করেন। তবে কালোজিরাকে গর্ভবতী মেয়েদের জন্য
অথবা যে সকল মায়েরা শিশুদের দুধ পান করেছেন এমন মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
আবার এমন অনেকে রয়েছেন যারা নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও
কালোজিরা খেতে সুপারিশ করা হয় না।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জানার পরে আবার অনেকে জানতে চান ইসলামী শারীয়া
মোতাবেক কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস সম্পর্কে। আপনি ও যদি এমন ইসলামী মতবাদ
অনুযায়ী এর হাদিস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন অবশ্যই জেনে নেওয়া যাক। আর এই
হাদিস সম্পর্কে কোন কোন উপকারি গুণের কথা কালোজিরা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে
সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সুদূর প্রাচীনকাল হতেই কালোজিরা মানব দেহের জন্য বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক এবং
প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে আসছে। এজন্যই কালোজিরা কে আবার অনেকে কালোহীরা বলেও
এখ্যা দিয়ে থাকেন। এই কালোজিরা শুধু যে একটিমাত্র মসলা তেমনটি নয়। এটিকে খাবারের
স্বাদ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
কালোজিরা বীজ থেকে এক ধরনের সুন্দর তেল তৈরি করা হয়। যেটি আমাদের শরীরের জন্য
অনেক বেশিই উপকারী।
এই কালোজিরার তেলে রয়েছে ফসফরাস, ফসফেট এবং আয়রন। এছাড়াও কালোজিরাতে থাকা
বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে রক্ষা করে। এই
বিষ্ময়কর জিনিসটির প্রশংসা করেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (সা.) বলতে শুনেছেন কালোজিরা হলে
সকল প্রকার রোগের উপশম। তবে ‘আস্সাম’ ব্যতীত। আর এটিকে বলা হয় মৃত্যু। (মুসলিম,
হাদিস : ৫৬৫৯)
তাই আপনি যেকোনো ধরনের রোগের ক্ষেত্রে রোগ নিরাময় করার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ গ্রহণের পাশাপাশি কালোজিরা সেবন করুন। এই কালোজিরা কে আয়ুর্বেদিক এবং
ইউনানী চিকিৎসায় ও অনেক ভালো পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। তাই যারা এইসব কল চিকিৎসা
নিয়ে গবেষণা করেন তাদের কাছে থেকেই সকল প্রকার রোগ অনুযায়ী কালোজিরার সঠিক
ব্যবহার বিধি সম্পর্কে জানতে পারা যাবে।
কারণ একেক ধরনের রোগের ক্ষেত্রে কালোজিরার ব্যবহারবিধেও আলাদা আলাদা ধরনের হয়ে
থাকে। যেমন ধরুন ব্যথার জন্য কালোজিরার তেল অনেক বেশি উপকারী। একটি প্রতিবেদনের
মাধ্যমে জানতে পারা যায় কালোজিরাতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরটিন। এছাড়াও
এটি আমাদের শরীরের সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধে এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে
অনেক ভালো কাজ করে।
আর এজন্যই হয়তো বা সাহাবায় কেরামগণ সব সময় কালোজিরা কে সঙ্গে রাখার পরামর্শ
দিতেন। বর্তমান সময়েও কালোজিরা নিয়ে অনেক ধরনের চর্চা করার ফলে দেশী এবং বিদেশি
বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটেও কালোজিরা সম্পর্কে বিভিন্ন উপকারিতার কথা জানতে পারা
যায়। তাই বলা যেতে পারে কালোজিরা হলো সকল রোগের মহৌষধ।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার পরে আবার অনেকের মনেই রাতে
কালোজিরা খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানার ইচ্ছে জাগে। তবে আপনি যদি এই সম্পর্কে
না জেনে থাকেন তাহলে ভুল ধারণার জন্য আপনি সঠি নিয়মে কালোজিরা খেতে পারবেন না।
যার জন্য আপনি এর উপকারিতাগুলোও উপোভোগ করতে পারবেন না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া
যাক।
কালোজিরা আপনি সকালে, দুপুরে অথবা রাত্রে যেকোনো সময় খেতে পারেন। এর ফলে আপনার
কোন সমস্যা হবে না। আমাদের মধ্যে এমন একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে রাতে যদি
কালোজিরা খাওয়া হয় তাহলে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। তবে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি এই
তথ্যটি একদম ভুয়া মিথ্যা এবং বানোয়াট।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি
যদি কালোজিরা খাওয়ার সঠিক সময় বলতে হয় তাহলে সকালে খালি পেটে খাওয়া এবং রাতে
ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ভয় পেটে খাওয়া। এদিকেই মূলত কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
এবং পদ্ধতি বলা যেতে পারে। এই নিয়মে খাওয়ার ফলে কালোজিরার কার্যকারিতা বেশি
পাওয়া যায় এবং উপকারিতা অনেক ভালো পাওয়া যায়।
আপনারা এমন অনেকে রয়েছেন শুধুমাত্র কালোজিরার রস খেতে চান। যার ফলে তেতো ভাব
অনুভব হয়। তবে আপনি যদি কালোজিরা রসের সাথে কিছুটা পরিমাণে মধু এবং দুধ মিশিয়ে
খেতে পারেন তাহলে এটি উপকারের দিক থেকে আরো অনেক বেশি হবে। তার পাশাপাশি আপনি এটি
খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রতিদিন ১ চিমটি পরিমাণ অথবা ২ থেকে ৪ গ্রাম পর্যন্ত সর্বোচ্চ
কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ প্রতিদিন সকালে যদি খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া হয় তাহলে এটি বেশ
কিছু উপকার করতে সক্ষম। যেমন
- বাতের ব্যাথা উপশম হয়
- সর্দি কাশি কমায়
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
প্রশ্নঃ কালোজিরা মধু কখন খেতে হয়?
উত্তরঃ কালোজিরা ও মধু যোগে আপনি সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে
খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ কালোজিরা কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা শরীরের ওজন
কমাতে সক্ষম।
প্রশ্নঃ কালোজিরার তেল কি কোলেস্টেরল কমায়?
উত্তরঃ হ্যা, কালোজিরার তেল কোলেস্টেরল এর মাত্রাকেও কমায়।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কত গ্রাম কালোজিরা খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রতিদিন ১ থেকে দুই গ্রাম এবং সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম পর্যন্ত কালোজিরা
খাওয়া যেতে পারে।
শেষ কথা
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি তথ্যগুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমনই আরো নিত্যনতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথেই
থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment