খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়মপ্রিয় পাঠক, আপনি কি ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?
কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার
জন্যই। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ড্রাগন ফল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল হওয়ায় আমাদের দেশে এই ফলের অনেক পরিমাণে চাষ করা
হয়। যেইটা খেতে অনে সুস্বাদু হয়। চলুন তাহলে এখন ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই পাঠে আমরা বিস্তারিত জানবো।
ড্রাগন ফলের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল Hylicereus Undatus । এই ড্রাগন ফল একটি বিদেশি
ফল হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশেই এখন এই ফলের কম বেশি ভালোই পরিমাণে চাষ করা হয়। এই
ফল দেখতে যেমন অনেক চমৎকার তেমনি রয়েছে এর অনেক বৈশিষ্ঠ্য ও গুণাগুন।
আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে ড্রাগন ফলের
উপকারিতা ও অপকারিতা ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ড্রাগন
ফলের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন বিস্তারিতভাবে জেনে
নেওয়া যাক।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এই পর্বের মধ্যে আমরা সবার প্রথমে ড্রাগন ফলের
উপকারিতা
সম্পর্কে জানবো। ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাওয়ার সবথেকে বড় কারণ হলো
আমরা যেই জিনিসই খাই না কেন সেই ফল সম্পর্কেই জানতে চাই এই ফল খেলে কি কি
উপকারিতা পাব। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পরেন তাহলে ড্রাগন
ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
আমারা সকলেই জানি ড্রাগন ফল হলো মূলত একটি বিদেশি ফল। এই ফল বিদেশি হওয়ার কারণেও
আমাদের দেশে এর চাহিদা অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং আমাদের দেশেও এই ফলের চাষ
করা হচ্ছে। ড্রাগন ফলের গাছকে মূলত ‘ক্যাকটাস’ জাতীয় গাছ বলা হয়। এই গাছের গায়ে
তেমন পাতা দেখা যায় না। তবে প্রচুর পরিমাণে কাটাতে ভরপুর থাকে গাছ। ড্রাগন ফলে কম
পরিমাণে ক্যালরি থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
এছাড়াও ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এবং এর পাশাপাশি অনেক পরিমাণে
খনিজ ও পাওয়া যায়। যেইটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। আমরা যে ড্রাগন ফল খাই তার উপকারিতাগুলো কি কি সেগুলো চলুন এখন জেনে নেওয়া
যাক।
ওজন কমায়ঃ ড্রাগন ফলে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই এতে ফ্যাটের
পরিমাণ নেই বললেই চলে। আর আমাদের শরিরে ফ্যাট না জমলে শরীরের ওজনের পরিমাণ বৃদ্ধি
পাবে না। তাই বলা যায় আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে ড্রাগন ফল আপনার
জন্য একটি আদর্শ খাবার হবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ ড্রাগন ফলে ফাইবার রয়েছে অনেক। যা আমাদের
শরীরের পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়ার কাজ করতে অনেক সহায়তা করে। আর তার সাথে সাথে
পাকস্থলী পরিষ্কার করতেও অনেক সাহায়তা করে থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ড্রাগন ফলে রয়েছে অনেক পরিমণে ফাইবার।
যা আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা কমায় ও চিনির মাত্রার পরিমাণ ঠিক রাখে।
ক্যান্সারের প্রতিশেধকঃ ড্রাগন ফল আমাদের ক্যান্সারের প্রতিশেধক
হিসেবে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রায় ৯০% অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
থাকে। আর এই ড্রাগন ফলের বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের কোষগুলিকে
ধ্বংস করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়াও ড্রাগন ফলের উপকারিতা রয়েছে অনেক।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যেইটা আপনি নিয়োমিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে।
রক্তশুন্যতা হ্রাস করেঃ আমাদ্র দেশে প্রাপ্ত রঙিন ড্রাগন ফল আয়রনের
এক চমৎকার উৎস। আপনার যদি রক্তশুন্যতা থেকে থাকে তাহলে আপনার উচিত প্রতিদিন এই
উপকারি ড্রাগন ফল খাওয়া।
হার্টের উপকারিঃ ড্রাগন ফল কাটলে তাতে যে বিদ্যমান ছোট ছোট বীজ দেখতে
পাওয়া যায় তাতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সকল উপাদান
আমাদের হার্টের জন্য অনেক উপকারী।
চোখের দৃষ্টিশক্তি ও চোখের স্বাস্থ্যঃ একটি বেগুলি ড্রাগন ফলে প্রচুর
পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা আমাদের
চোখের দৃষ্টিশক্তি ও চোখের স্বাস্থ্যের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে। এই
উপাদান গাজরেও পাওয়া যায়। আপনি যদি গাজর খেতে না ভালোবেসে থাকেন তাহলে এই ড্রাগন
ফল খেতে পারেন।
এছারাও ড্রাগন ফলের উপকারিতা রয়েছে অনেক। যেমন মুখে ব্রণের দাগ দূর করে, চুল পরা
রোধ করে, শরীরের হাড় গঠনে ও শক্ত করতে সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
ইত্যাদি রকমের ড্রাগন ফলের উপকারিতা রয়েছে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এর পর্বের মধ্যে আমরা এখন ড্রাগন ফলের অপকারিতা
সম্পর্কে জানবো। ড্রাগন ফলের উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু অপকারিতাও। যেগুলো
সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ধারণা রাখা উচিত। ড্রাগন ফলের উপকারিতার দিকগুলো বিবেচনায়
নিয়ে যদি আমরা সেটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করে ফেলি তাহলে কিছু সাইড এফেক্ট দেখা
দিতে পারে। তহলে চলুন এখন আমরা সকলেই জেনে নেই ড্রাগন ফলের অপকারিতা গুলো
সম্পর্কে।
অ্যালার্জিঃ অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল গ্রহণ করার ফলে তাতে
অ্যালার্জি হতে। আবার এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের ড্রাগন ফলে অ্যালার্জি রয়েছে।
আর এই অ্যালার্জির ফলে হতে পারে আমবাত, চুলকানি দেখা দিতে পারে।
ডায়রিয়াঃ অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল গ্রহণ করার ফলে তাতে
ডায়রিয়া ও হতে পারে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই একসাথে অনেক
পরিমাণে করলে ডায়রিয়ে হয়ে যেতে পারে।
তাই এই সকল কথা মাথায় রেখে আমাদের ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। আর তা না হলে ড্রাগন
ফলের উপকারিতা আমরা উপভোগ করতে পারব না। তাই খুব সচেতনভাবে খাওয়া উচিত। আশা করছি
আপনি এখন ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
আমরা তো সকলেই ইতিপূর্বে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম।
তবে আপনি জানেনকি ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি। কোন সময়টাতে ড্রাগন ফল খেতে
হবে? প্রতিদিন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল খাওয়া উচিত। কারণ এই ফল আমাদের পেট
ভরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের অনেক যত্ন নেয়। যেইটা আমাদের সুস্বাস্থ্য গঠনের জন্য
অনেক দরকারি। কথায় আছে, খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল।
কিন্তু খালি পেটে পানি খেতে হবে আর ভরা পেটে ফল খেতে হবে এমন কথার কোন যোক্তিকতা
নেই। এই তথ্যটি সম্পূর্ণ সঠিক নয় আবার সম্পূর্ণ ভুল ও নয়। আমরা যেই ফল খাই সেই ফল
কখন খেলে আমাদের জন্য অনেক উপকারি হবে সেইটা আমাদের সকলেরই জানা উচিত। তাহলে চলুন
এখন আমরা জেনে নেই ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি।
ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত। কারণ আমরা সকলেই ফল খেতে
ভালবাসি। তাই ইচ্ছামতো যতগুলি ইচ্ছা হয় খেয়ে নেই। কিন্তু এমনটা করা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ি, খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে ফল খাওয়া উচিত। আর
যদি রাতে ফল খেতে চান তাহলে আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তার প্রায় ৩-৪ ঘন্টা পুর্বে ফল
ফাওয়া উচিত।
তার কারণ ফলে যেসকল উপাদান থাকে তা অনেক তারাতারি আমাদের শরিরে হজম হয়ে যায়। আর
এই ফলের পুষ্টিগুল সেগুলি থাকে তা আমাদের শরীরে অনেক দ্রুত প্রবেশ করে। আর তার
প্রতিশ্রুতিতে আমাদের প্রয়োজনীয় খাবারের পুষ্টিগুন শরীরে প্রবেশ হতে পারে না।
ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হিসেবে বিশেষজ্ঞেদের পরারমর্শ অনুযায়ি, ফল থেকে আপনার
শরীরে পুষ্টি পেতে চাইলে আপনি যদি ফল ব্রেকফাস্টের সময় খান তাহলে আপনি বেশি উপকার
পাবেন। আবার যদি আপনি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন তাহলে আপনি ব্যায়ামের আগে অথবা পরে
ফল খেতে পারেন। আবার যদি আপনি মনে করেন আপনি রাতে ফল খাওয়ার জন্য উপযুক্ত, তাহলে
আপনি রাতেও ফল খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
এতক্ষণ আমরা ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এখন
আমরা জানবো ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম অন্যসকল
সাধারণ ফলের মতোই। কিন্তু আমরা ড্রাগন ফলের উপরের অংশ দেখে হতবম্ভ হয়ে যাই, যে এই
ফল কিভাবে খাবো। চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
- প্রথমে একটি পাকা ড্রাগন ফল নির্বাচন করতে হবে।
- তারপর ফলটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- এখন ড্রাগন ফলের উপরের এবং নিচের অংশ ভালো নিন।
- তারপর ধারালো কোন কাচি দিয়ে মাঝ বরাবর কেটে/চিরে নিন।
- এখন ফলের উপর থেকে খোসাগুলি হাতের আঙ্গুলি দিয়ে আলতো করে সরিয়ে ফেলুন।
- এবার আপনার পছন্দ অনুযায়ি ফলটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন।
- এরপর আপনি আপনার ইচ্ছা মতো পরিবেশন করুন।
- আপনি বেলেন্ডার করে জুস বানিয়ে নিয়ে ও খেতে পারেন। অথবা নানান রেসিপি করে খেতে পারেন কিংবা শুধু ফলটিকে অন্য সকলের মতোই শুধু শুধুই খেতে পারেন।
ড্রাগন ফলের দাম
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পরে অনেকেই এই ড্রাগন ফল কিনে
খেতে চান। আর তাই তারার জিজ্ঞেস করে থাকে ড্রাগন ফলের দাম কত? ড্রাগন ফল আমরা
সকলেই কিনে খেতে চাই। কিন্তু বাজারে গেলে এর দাম নিয়ে আমাদের সকলকেই প্রায়
ঝামেলায় পরতে হয়। ড্রাগন ফলের একেক দোকানে গেলে একেক রকমের চেয়ে বসেন। আসলে
বাজারে ড্রাগন ফল একেক দোকানি একেক রকমের নিয়ে আসেন।
কোন দোকানি নিয়ে আসেন কাচা ড্রাগন ফল। আবার কোন দোকানি নিয়া আসেন আধা কাঁচা, আবার
কোন দোকানি নিয়ে আসেন পাকা ড্রাগন ফল। তাই প্রকৃতিভেদে এর দামের একটু তো তারতম্য
হবেই। আপনি ও যদি বাজার থেকে ড্রাগন ফল কিনে খেতে চান আর আপনি যদি এর দাম না
জানেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে। চলুন আমরা এই
পর্যায়ে জেনে নেই ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে।
একটি ভালোমানের পাকা ড্রাগন ফল আপনি কিনতে গেলে অবশ্যই আপনাকে গুলতে হবে ৫০০ থেকে
৮০০ টাকা পর্যন্ত। আর আপনি যদি ভালোমানের পাঁকা ড্রাগন ফল নিতে চান তাহলে প্রতি
কেজির দাম ৬৫০ টাকা অথবা তার বেশি ও পরতে পারে। তাই আপনি যখন ড্রাগন ফল কিনবেন
তখন অবশ্যই দেখে শুনে ভাল মানের ড্রাগন ফল কিনার চেষ্টা করবেন।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পরে অনেকেই আবার জানতে চান
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা কি। হ্যা বন্ধুগন এখন আমরা এই সম্পর্কে জানতে চলেছি।
আমরা ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় এর খোসা ফেলে দেই। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না এই খোসার
উপকারিতা রয়েছে অনেক। যা আপনার জীবঙ্কে পাল্টে দিতে পারে। তাই যেকোন ফল বা সবজীর
খোসা ফেলে দেওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের ভাবা উচিত আগুলি আমাদের জন্য কি কি কাজে আসতা
পারে।
আর সেগুলি ব্যাবহারের মাধ্যমে আমাদের কি কি উপকার হতে পারে। তো তাহলে চলুন এখন
আমরা এই পর্যায়ে জেনে নেই ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফলের
খোসার উপকারিতা জানার জন্য আপনাকে এটি প্রক্রিয়া করে কিভাবে ব্যাবহার করতে হয়
সেইটা আপনাকে জানতে হবে। আপনি যদি না জানেন ড্রাগন ফলের খোসা প্রক্রিয়াজাত করে
কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় তাহলে চলুন এখনই জেনে নেই।
- প্রথমে ড্রাগনের খোসা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে তা ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে।
- এরপর ২৫০ গ্রাম ফুটন্ত পানিতে এই খোসা গুলি ছেরে দিতে হবে।
- এই পানি ৭ মিনিট জাল করার পরে দেখতে পারবেন পানি লালবর্ণ ধারণ করেছে।
- এরপরে পানিগুলি ছেকে একটি পরিষ্কার গ্লাসে ঢেলে নিবেন। এখন এটি আপনি দেখতে পারবেন জুসের মতো লাগতেছে।
- এরপর এই জুস খাওয়ার জন্য এটাতে টেস্ট আনার জন্য এতে আপনি হিমালয় লবণ যুক্ত করতে পারেন কিংবা সাধারণ লবণ যুক্ত করে ও খেতে পারেন।
- এটাতে অর্ধেক লেবু যুক্ত করে খেয়ে নিবেন।
ড্রাগন ফলের খোসার জুস তৈরি করা হয়ে গেলে এটি আপনি খাবেন। এভাবে যদি আপনি নিয়োমিত
খান তাহলে অনেক উপকার লক্ষ্য করতে পারবেন। এইভাবে খেলে আপনি যেসকল উপকার দেখতে
পারবেন সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
- ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে সেইটা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
- হার্টের সমস্যা যদি আপনার থাকে তাহলে তা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
- আপনার মুখের উজ্জ্বলতা অনেকগুনে বৃদ্ধি করবে।
- নিয়োমিত ৭ দিন খেলে আপনার চুল পরা কমে যাবে।
ড্রাগন ফল সম্পর্কে সাধারণ জিঙ্গাসা
প্রশ্নঃ ড্রাগনে কি ভিটামিন আছে?
উত্তরঃ ড্রাগন ফলে ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো নানান ধরণের
উপাদান রয়েছে।
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফল কি সুপারফুড?
উত্তরঃ ড্রাগন ফল একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হতে পারে কারণ এতে
ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকে কিন্তু এর পাশাপাশি অনেক ভিটামিন স্বাস্থ্যকর
উপাদান থাকে। যেমনঃ ফাইবার, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, প্রোবায়োটিক, ভিটামিন, খনিজ
ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ কোন ড্রাগন ফলের স্বাদ সবচেয়ে ভালো?
উত্তরঃ হলুদ ড্রাগন ফ্রুট (হাইলোসেরিয়াস মেগালান্থাস) হলুদ
পিটাহায়া নামে পরিচিত ড্রাগন ফলের স্বাদ সবথেকে ভালো। এই ড্রাগন ফল সবথেকে
মিষ্টি হয়।
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
উত্তরঃ সকালকে ফল খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফলের রং কি?
উত্তরঃ ড্রাগন ফল বিভিন্ন ধরণের হয়। যেমন সাদা, গোলাপী, হলুদ, কমলা
চামড়া যুক্ত হয়। এছারাও বিভিন্ন গোলাপী বা গভীর বেগুনি ও হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। ড্রাগন ফল একটি সুন্দর ও লাল বর্ণের ফল। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক
উপকারি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। এই রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য নিয়োমিত আমাদের
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
এই আর্টিকেলটি আপনার যদি ভালো লাগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। এতে করে আপনার বন্ধুরাও এই সম্পর্কে জেনে উপকৃত হবে। এতক্ষণ
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Post a Comment