ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণপ্রিয় পাঠক, আপনি কি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?
কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য জানতে পারছেন না। তাহলে আপনার জন্য আজকের
এই আর্টিকেলটি। কারণ আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও
প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
প্রতিবছরই এই সময়ে ডেঙ্গু রোগের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই আমাদেরকে সেই বিষয়ে
সতর্ক থাকতে হবে অনেক। আর আমাদের জানা উচিত যে ডেঙ্গু রোগটি একটি
ভাইরাস জনিত রোগ।
পেজ সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর আসা। এর পাশা পাশি আরো অনেক লক্ষণ রয়েছে যেগুলো
সম্পর্কে আমরা পরবর্তি ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানতে পারবো। এই সময়ে আপনার শরীরের
জ্বরের পরিমাণ ৯৯ ডিগ্রি থেকে ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠতে পারে। এছাড়াও আরো
কিছু উপসর্গো দেখা দেয় যেমন, ঘারে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, চোখ ব্যাথা।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন
তাহলে আপনি ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং এর প্রতিকার, শিশুর
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায়
যাওয়া যাক।
ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর কি?
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে
ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর কি? ডেঙ্গু রোগটি ছরায় এডিস মশার আক্রমণের মাধ্যমে।। আর এই
মশার কামরের ফলে আমাদের শরীরের একধরণের ভাইরাসের নির্গত হয়। আর এই ভাইরাস আমাদের
শরীরে প্রবেশ করে আমাদের শরীরের রোগ সৃষ্টি করে। যেমন জ্বর, গলা ব্যাথা, চোখ
ব্যাথা ইত্যাদি। আর এই ডেঙ্গু এডিস মশার কামড়ের ফলে আমাদের শরীরে যেই জ্বরের
সৃষ্টি হয় তাকেই ডেঙ্গু জ্বর বলে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ সবথেকে বেশি যেসব অঞ্চলে দেখা যায় সেগুলো হলোঃ পশ্চিম প্রশান্ত
মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকা। ডেঙ্গু সংক্রমণের হার
আমাদের দেশে সবথেক বেশি থাকে এপ্রিল মাসে। মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই ডেঙ্গু
সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি থাকে।
জুন থেকে জুলাই মাসে ডেঙ্গু সংক্রমণের কমতে থাকে। প্রতিবছর সারা দেশে লক্ষ লক্ষ
মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর কিছু বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে এই ডেঙ্গু মহামারির
আকার ও ধাওরণ করে থাকে। তাই আমাদের সকলকেই এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবাইকেই
রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
এই অংশে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এর মধ্যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ আলোচনা
করবো। পরবর্তিতে আমরা জানবো এর প্রতিকার সম্পর্কে। ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ হলো
জ্বর। আর তাছাড়াও এর সামসাময়িক হলো গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা করা, শরীরের চামড়ার
উপরে লালচে দাগ, চোখের পেছনে ব্যাথা দেখা দেয়। এই রোগটি ডেঙ্গু মশার মাধ্যমে
ছড়ায়। আর এই জ্বর টি হলো সাধারণ ভেক্টর বাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ।
যেসকল ব্যাক্তিগণ প্রথমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোন লক্ষণ
বা উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু কমন উপসর্গ দেখা দেয়। এই সকল
উপসর্গ রোগটি সক্রমণের ৪ - ১০ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। ডেঙ্গু রোগের কিছু লক্ষণ
নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- প্রচন্ড জ্বর হওয়া। ( ৯৯ ডিগ্রি থেকে ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত )
- প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যাথা করা
- শরীর ব্যাথা করা
- চোখের পেছনের দিকে ব্যাথা করা।
- বমি বমি ভাব হওয়া
- অনেক পরিমাণে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভুত হওয়া।
- ত্বকের উপরে লালচে ভাব ( র্যাশ )
- ক্ষুধা কম লাগা।
- শরীরের রক্তচাপ কমে যাওয়া।
- মুখে স্বাদ অনুভুত না হওয়া।
উপরে উল্লেখিত উপসর্গগুলি সাধারণত ২ - ৭ দিন স্থায়ী হয়ে থাকে। আর কোন ব্যাক্তি
যদি দ্বিতীয়বার এই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন তাহলে তার রোগের ভয়াবহতা আরো অনেক
পরিমাণে বেড়ে যাবে। তাই আমাদের এই সময়টাতে অনেক পরিমাণে সতর্ক থাকতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
পূর্বের অংশে আমরা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার থেকে আমরা এর লক্ষণগুলো
সম্পর্কে জেনেছি। এই পাঠে আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে। আশা করছি
আপনি এই সম্পর্কে জেনে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন। আর এই ডাঙ্গু সম্পর্কে আমাদের
জানা অবশ্যই উচিত।
আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার করতে পারবেন। তার জন্য আপনার
শরীরে যদি এই রোগের উপসর্গগুলি দেখা দেয় তাহলে সর্বপ্রথম আপনি ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহণ করুন। তার পরামর্শ অনুযায়ি চিকিৎসা গ্রহণ করুন। ডেঙ্গু রোগের কোন
সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। ডেঙ্গু রোগের প্রতিকারের জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা
হলো।
- প্রথমেই আপনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে না পরে স্ট্রং থাকুন।
- শরীরের জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা নাপা এই জাতীয় ঔষধ সেবন করুন।
- জ্বরের মাত্রা অত্যাধিক হলে প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পরে পরে ঔষধ খান।
- জ্বর কমানোর জন্য বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথানাশক এনএসএআইডি গ্রুপের ঔষধ ব্যাবহার করবেন না। কারণ ডাক্তারগণ এই ঔষধ ব্যাবহার করতে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করে।
- শরীরের জ্বর কমানোর জন্য পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন।
- ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ দেখা দিলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কোন ভারি কাজ করবেন না। তবে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে হবে।
- আর এই সময়ে বাড়ির বাইরে না যাওয়াই ভালো।
- রাতে ঘুমানোর আগে মশারি ব্যাবহার করে ঘুমান।
ডেঙ্গু রোগের কারণ
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে তো আমরা জেনেছি। এই পাঠে আমরা জানবো
ডেঙ্গু রোগের কারণ কি? ডেঙ্গু রোগ সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। তবে সকল
এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গু হবে না বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছেন
যে, পরিবেশের কোন ভাইরাস যদি কোন একটি এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয় আর ওই মশা এসে
যদি আমাদের কে কামড় দেয় তাহলে এই মশার মাধ্যমেই কেবল ডেঙ্গু হতে পারে।
স্ত্রী এডিস মশা এই ডেঙ্গু রোগের প্রধান ভাইরাস বাহক। এই স্ত্রী এডিস মশা
সংক্রমিত মানুষ থেকে অন্য একজন সুস্থ্য মানুষের দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।
এই সংক্রমিত ভাইরাস আক্রান্ত মশা কোন ব্যাক্তিকে কামড়ালে তিনি ৪ - ৬ দিনের মধ্যে
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পরবেন।
আবার কোন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যদি কোন ভালো মশা ও কামড়ায় তাহলে সেই
মশার মাধ্যমেও ডেঙ্গু ছাড়াবে। কারণ সেই মশা ও সেই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করবে।
এইভাবে ক্রমান্বয়ে একজন ব্যাক্তি থেকে অন্য একজন ব্যাক্তিতে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়তে
থাকে।
তবে উল্লেখ্য যে, এই মশা দিনের আলোতেই কামড়িয়ে থাকে। এই মশা রাতের অন্ধকারে
কামড়ায় না। এরা সাধারণত দিনের ভাগে সকাল দিকে এবং সন্ধ্যার সময়ে অনেক তৎপর হয়ে
থাকে। তবে অনেক সময়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশেও কামড়িয়ে থাকে। এই মশা অন্য সাধারণ
মশার থেকে কিছুটা লম্বা ও ডোরা কাটা হয়ে থাকে।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
শিশুদের ও ডেঙ্গু নামক মারাত্মক রোগ হয়। তাই আমাদের শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও
প্রতিকার সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিত। বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে যারা আক্রান্ত
হচ্ছেন তারা সকলেই প্রায় অনুর্ধ ১৫ বছর বয়সের। তবে আমাদের দেশে বস্তি এলাকায় এই
রোগের অনেক বেশি প্রকোপ দেখা যায়। এই ডেঙ্গু রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয় ও বেশি আবার
তাদের জটিলতার হার ও অনেক বেশি। তাই সকল অভিভাবকদের এই সময়ে বিশেষভাবে সতর্ক হতে
হবে।
ডেঙ্গু রোগের কিছু লক্ষণ দেখা দেয় এই সময়ে শিশুদের মাঝে। সেই সকল সম্পর্কে নিম্নে
উল্লেখ করা হলো। এই সকল উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে
হবে। উপসর্গ গুলি হলোঃ
এই ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস শরীরে প্রবেশের মাত্র ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে এর উপসর্গগুলি
দেখা দিবে। সেগুলো হলোঃ
- প্রথম কিছু দিন ( ৫ দিন ) হঠাৎ উচ্চ মাত্রার জ্বর থাকবে যা প্রায় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত।
- বমি বমি ভাব হবে অথবা বমি হবে।
- শরীরের ত্বকে লালচেভাব হবে। অথবা হামের হতো কিছু একটা দেখা যাবে।
- শরীরের সকল হাড়ের গিটে গিটে ব্যাথা করবে।
- শরীরের মাংস পেশিতে ব্যাথা অনুভুত হবে।
এই সকল উপসর্গ গুলি কমন উপসর্গ। তবে কিছু উপসর্গ রয়েছে যেগুলো অনেক মারাত্মক।
আপনার এই সকল উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। উপসর্গ গুলি
হলোঃ
- প্রচন্ড পেট ব্যাথা করা।
- একটানা তিন দিন পাতলা পায়খানা হওয়া।
- একটানা তিন দিন বমি হওয়া।
- শরীর অস্থির হওয়া।
- নাক ও মুখ দিয়ে রক্তপাত হওয়া।
তবে আপনার বাচ্চার এই সকল উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুতই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহণ করতে হবে। আর কিছুক্ষেত্রে শিশু বাচ্চাদের অনেক গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন
বাচ্চার বয়স এক বছরের কম হলে, বাচ্চার রক্ত রোগ থাকলে এবং যেই সকল বাচ্চা
স্টেরয়েড বা রক্ত পাতলা করার জন্য ঔষধ খায়।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
শিশুদের মাঝে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই এর প্রতিকারের দিকে জন্য প্রয়োজনীয়
ব্যাবস্থা নিতে হবে। শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার অংশে আমরা এর
উপসর্গগুলো সম্পর্কে জেনেছি। তাহলে খুব অল্পতেই আপনার শিশু সুস্থ হয়ে যাবে। আর তা
হলে আপনাকে অনেক ঝামেলার মধ্য দিয়ে পার হতে হতে পারে। তাহলে চলুন এখন আমরা শিশুর
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেই।
- শিশুদের শরীরে জ্বর আসা মাত্রই অন্যান্য সময়ের মৌসুমু জ্বরের মতো মনে না করে ২৪ ঘন্টা মধ্যেই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। আর তা হলে অনেক মারাত্মক সমস্যার সম্মুখিন হবে আপনি।
- শিশুর শরীরের জ্বর এসে তা সেরে যাবার পরে আবার যদি শিশুর শরীরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্বর চলে আসে তাহলে প্রয়োজনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
- এই রোগ থেকে সেরে উঠলেও রোগ পরবর্তি জটিলতা দেখা যায় অনেক সময়। যেমন চুল পরে যাওয়া, ট্রান্সভার্স মাইলাইটিস, গিয়েন বারি এই রকম আরো রোগ জটিলতা লক্ষ্য করা যায়।
- এই প্রতিকুল পরিবেশে শিশুকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করার জন্য শিশুকে সবসময় ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট এবং মোজা পরানো উচিত। আর তাছাড়া দিনে যখন ঘুমাবেন তখন ও মশারি টানিয়ে ঘুমা পাড়া উচিত।
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
আমরা পূর্বেই জানতে পেরেছি যে, ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। আর রোগ বহন কারী
মশা কামড়ানোর প্রায় ৫ - ৭ দিনের মধ্যে জ্বর চলে আসে। আর এই জ্বর আসার পরে শরীরে
স্থায়ী হয় ৫ - ৭ দিন অথবা তারও বেশি সময় পর্যন্ত। এই সময়ে আমাদের উপরের সকল বিষয়ে
খেয়াল রাখতে হবে। আর ডাক্তারের প্রয়োজনীয় পরামর্শ চিকিৎসা নিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানার পাশাপাশি আমাদেরকে জানতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের
ঘরোয়া প্রতিকার কিভাবে করা যায়। আমরা সকলেই ইতিপূর্বে জানতে পেরেছি যে ডেঙ্গু
রোগটি এডিস নামক মশার মাধ্যমে ছড়ায়। আর এই এডিস মশা আমাদের বাড়ির আশে পাশের জমানো
পচা পানি বা ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে জন্মায়। তাই আমাদের সকলকে এই বিষয়ে অনেক
খেয়াল রাখতে হবে।
আর আমাদের যদি দূর্ঘটনা বশত ডেঙ্গু হয়েই যায় তাহলে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায়ে এটিকে
প্রতিকার করতে পারি। এখন আমরা সেই ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কেই জানতে
চলেছি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে।
বাড়ির আশে পাশে কোথাও কোন রকমের ময়লা বা পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
যেই সকল জায়গায় পানি জমে ( ফুলের টব, পরিত্যাক্ত গাড়ির টায়ার, ডাবের খোলস )
সেগুলো ফেলে দিবেন অন্য জায়গায়।
- লম্বা সার্ট, লম্বা প্যান্ট, মোজা পরিধান করুন।
- এই মশা সকালে এবং সন্ধ্যার সময় বেশি সক্রিয় থাকে। তাই এই সময়টাতে বেশি সতর্ক থাকুন।
- রাতে অথবা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি টানিয়ে ঘুমান।
- মশা নিরোধক ক্যামিক্যাল ( পারমেথ্রিন ) ব্যাবহার করুন।
ডেঙ্গু রোগের সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ডেঙ্গু জ্বর সারতে কত দিন লাগে?
উত্তরঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকদের সঠিক পরামর্শ নিলে ৫ থেকে ৭ দিনেই
সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাবার খেতে হবে?
উত্তরঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে সকল প্রকারের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে হবে। এছাড়া অন্যসকল খাবার খাওয়া যাবে।
প্রশ্নঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ছোঁয়াচে রোগ?
উত্তরঃ ডাঙ্গু কোন প্রকারের ছোঁয়াচে রোগ নয়। এই রোগটি এডিস
মশার মাধ্যমেই শুধু ছড়ায়। এটা মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।
প্রশ্নঃ ডেঙ্গু মশার নাম কি?
উত্তরঃ ডেঙ্গু মশার নাম হলো এডিস। আর এই একমাত্র এই এক প্রকারের
মশার মাধ্যমেই ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়।
প্রশ্নঃ ডেঙ্গু হলে কি এন্টিবায়োটিক খাওয়া যায়?
উত্তরঃ ডেঙ্গু হলে কোন প্রকারের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার দরকার
নেই। কারণ এটি হলো এক ধরণের ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগে এন্টিবায়োটিকের কোন
ভূমিকা নেই।
প্রশ্নঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কতদিন পর প্রকাশ পায়?
উত্তরঃ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ৪ থেকে ১৪ দিন পরে এর লক্ষণ
প্রকাশ পায়।
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও
প্রতিকার সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পরে উক্ত
বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এই রকম আরো তথ্যবহু আর্টিকেল প্রতিদিন
পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment