সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়মখুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে আমরা খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ কোনটি খাবেন পুরাতন কাশি দূর করার উপায় রাতে কাশি কমানোর উপায় কি এবং অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনারা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে জারা দীর্ঘ সময় ধরে এই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমান সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শরীর আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে না পাড়ার কারণে এই ঠান্ডা বা অতিরিক্ত ফুসফুসে কাশির সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেকের এলার্জির সমস্যা ও দেখা দেয়। আর এই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির সমস্যা আপনি ঘরে বসে থেকে ঘরোয়া ভাবেই দূর করতে পারবেন।

কাশিকে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তবে এটি যদি দীর্ঘ সময় ধরে আপনার শরীরে বাসা বেধে বসে তাহলে এটি আপনার অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে। খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এটিকে ঘরোয়া ভাবে সমাধান করা উচিত। কোন সকল ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে আপনার এই খুসখুসে কাশি অপসারণ করতে পারবেন সেটি চলুন জেনে নেওয়া যাক।

মধুঃ খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার জন্য আপনি প্রতিদিন এক চামচ করে মধু গ্রহণ করুন। তাহলে আপনি দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার এই কাজের সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। তবে সেই মধুটি হতে হবে অবশ্যই একটি বিশুদ্ধ এবং অরিজিনাল এর মধু। আর এই বিশুদ্ধ মধুতে রয়েছে এমন এক ধরনের এনজাইম যেটি খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার জন্য অনেক ভালো অর্গানিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

তুলসী পাতাঃ খুসখুসে কাশি দূর করার প্রধান ঘরোয়া উপাদান হিসেবে তুলসী পাতার রসকে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এটি গ্রামাঞ্চলের মানুষজন অনেকটাই বেশি ব্যবহার করে থাকে। কারণ এর রস খেলে কাশের সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যায়। এর রস খাওয়ার জন্য প্রথমে কিছুটা তুলসির পাতা নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে তারপরে সেটি থেতো করে নিয়ে রস বের করে নিতে হবে। আপনি যদি শুধু এর রস খেতে পারেন তাহলে অনেক ভালো। অথবা আপনি এর রসের সাথে কিছুটা পরিমাণ মধু যোগ করে নিয়ে খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি যদি আপনি দিনে দুই থেকে তিন বার খান তাহলে আপনার খুশখুসে কাশির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

রসুনঃ রসুনকে যে প্রাকৃতিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল বলা হয় সেই সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অবগত রয়েছে। এটি আপনার খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করবে। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে দুটি অথবা তিনটি রসুন নিতে হবে। তারপর সেই রসুন একটি পাতিলে নিয়ে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটানো পানি যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন তার সাথে মধু মিশিয়ে নিন। তারপরে এটি পান করুন। এটি আপনার খুসখুসে কাশি খুব সহজেই উপশম করবে।

বাসক পাতার রসঃ খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় হিসেবে বাসক পাতার রস অনেকটাই উপকারী। এর জন্য প্রথমে আপনাকে কিছুটা বাসক পাতা সংগ্রহ করে নিতে হবে। তারপরে আপনি যদি চান তাহলে এর রস বের করে সাথে সাথে খেতে পারেন। অথবা পানিতে সেদ্ধ করে নিয়ে সেই পানি থেকে নিয়ে কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় খেতে পারেন। তবে সব থেকে বেশি উপকার হয় যদি আপনি এই বাসক পাতার রস প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় খান। বাসক পাতার রস দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার ফলেই আপনার খুসখুসে কাশির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

কালো মরিচঃ মধুর পরেই কালো মরিচকে খুসখুসে কাশির সমাধানে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কালো মরিচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন। খুসখুসে কাশির থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এ কালো মরিচ প্রথমে আপনাকে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপরে সেই মরিচেরগুলো ঘি এর সাথে মেশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে ভাজতে হবে। তারপর সেটি আপনি গ্রহণ করুন। তাহলে দেখবেন আপনি কিছুদিনের মধ্যেই এই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি থেকে পরিত্রাণ পেয়ে গিয়েছেন।

আদাঃ আদা সাধারণত আমাদের সকলের বাসাতেই আছে। এটি তরকারির মসলা হিসেবে বাসা বাড়িতে ব্যবহার করা হয়। যদি আপনার এই কাশির সমস্যা অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে কিছুটা পরিমাণ আদা থেকে তার রস বের করে নিয়ে খেতে পারেন। অথবা আপনি এই আদা সকালের চায়ের সাথে অথবা পানির সাথে ফুটিয়ে নিয়ে মধুর সাথে পান করতে পারেন। এটি আপনার খুসখুসে কাশি দূর করার জন্য অনেকটাই সহায়তা করবে।

হলুদঃ আদার মতো হলুদ ও আমাদের বাসা বাড়িতে তরকারির মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন এর অনেক আয়ুর্বেদিক রয়েছে। যেটি আপনার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে খুসখুসে কাশি দূর করবে। এটি ব্যবহার করে কাশি কমানোর জন্য প্রথমে এক কাপ পরিমাণ জল ফুটিয়ে নিন তাতে এক চা চামচ পরিমাণ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ পরিমাণ কালো মরিচ মিশিয়ে নিন। যদি আপনি চান তাহলে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি ধীরে ধীরে আপনাকে পান করতে হবে। তাহলে কিছুদিনের মধ্যে আপনার এই কাশির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

গরম জলঃ আপনি যখন লক্ষ্য করবেন আপনার প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে খুসখুসে বিরক্তি কর কাশি হচ্ছে তখন আপনি প্রতিদিন এক চা চামচ লবণ এক গ্লাস গরম জলের ভেতর মিশিয়ে নিয়ে সকালে এবং সন্ধ্যায় গড়গড়া কুলি সহ পানি খেতে পারেন। তাহলে এটি আপনার খুসখুসে কাশির সমস্যা সমাধানে ভালো কাজ করবে। তার পাশাপাশি এটি আপনার গলার ব্যথাও দূর করবে।

লেবুঃ খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় হিসেবে লেবুর ব্যবহার অন্যতম। এটি খাওয়ার জন্য এক চা চামচ সমপরিমাণ মধুতে ২ চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এই রস আপনাকে প্রতিদিন তিন থেকে চার বার গ্রহণ করতে হবে। এটি গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার গলার ব্যাথার সমস্যা এবং খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করবে।

মেন্থল ক্যান্ডিঃ মেন্থল দিয়ে তৈরি ক্যান্ডি অথবা চকলেট খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির জন্য অনেকটাই উপকারী। আপনি যদি এই ক্যান্ডি খান তাহলে এটি আপনার গলার ভেতরে জমে থাকা অফ কে বের করে দিবে এবং কাশির সমস্যা কমানোর জন্য সাহায্য করবে।

উপরের উল্লেখিত এই সকল উপায় গুলো অবলম্বন করলেই আপনি ঘরোয়া ভাবেই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করতে পারবেন। আপনি যদি উপরের দেখানো এই সকল ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করেন তাহলে আপনার আর কাশির সমস্যায় বিরক্ত বোধ হতে হবে না। এছাড়াও এটি ব্যবহারের সবথেকে যেটি উপকারী দিক হলো এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে এরপরেও আপনার কাশির সমস্যা যদি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় জানার পরেও অনেকেই এটি গ্রহণ করেন না। তাদের জন্য অবশ্যই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তবে কোন সিরাপ আপনার কাশির জন্য ভালো হবে সেটি একমাত্র বলতে পারেন ডাক্তার। এই কাশির সমস্যা এখন আমাদের কাছে অনেকটাই বিরক্তিকর হয়ে গিয়েছে। তার জন্য আপনি কোন সকল কাশি দূর করার সিরাপ ব্যাবহার করবেন চলুন জেনে নেই।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ হিসেবে আপনি তুসকা বা এই সিরিজের ঔষুধ খেতে পারেন। এছাড়াও বাজারে এখন প্রায় অনেক ধরণে কাশির সিরাপ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু সিরাপের নামগুলো হলো তুলসী, অফকফ, ডেস্কট্রিম পিউরিসাল সিরাপ, তুসকা প্লাস ইত্যাদি। এছাড়াও বাজারে যেই সকল কাশি দূর করার সিরাপ পাওয়া যায় সেগুলোর নাম নিম্নে তুলে ধরা হলো।
  • এডোভাস সিরাপ
  • টমিফেন সিরাপ
  • এবেক্স
  • অকঅফ
  • মধভাস
  • নেক্টার
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ হিসেবে বাজারে এখন এই সকল উল্লেখযোগ্য কাশির সিরাপ পাওয়া যায়। আপনি এর মধ্য হতে যেকোন একটি সিরাপ ব্যাবহার করতে পারেন আপনার কাশির সমস্যার সমাধানের জন্য। তবে সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করার পরে কাশির সিরাপ খান। তাহলে সেটি আপনার কাশির সমস্যার জন্য অনেক ফলদায়ক হবে।

পুরাতন কাশি দূর করার উপায়

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় জানার পরে যাদের দীর্ঘ সময় ধরে কাশির সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই পুরাতন কাশি দূর করার উপায় এই সম্পর্কে জানা উচিত। আপনারও যদি এমন দীর্ঘ সময়ের পুরোনো কাশি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এই পাঠটি মনোযোগ সহকারে পড়ূন। আশা করছি আপনার পুরাতন কাশির সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবেন।

দীর্ঘ সময় ধরে কাশির সমস্যার জন্য যেটিকে প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয় সেটি হলো অতিরিক্ত পরিমাণে ধুমপান করা। এছাড়াও আরো অনেক ধরণের সমস্যা রয়েছে। যেমন হাপানি, এলার্জিক রাইনাটিস, সাইনাসের সমস্যা, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ অথবা বিভিন্ন ধরণের ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও এটি হতে পারে। তবে প্রধান অন্যতম কারণ হলো অতিরিক্ত পরিমাণে ধুমপান।

এই কাশির সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে সবার প্রথমেই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে সব সময়ে তরল ধরণের খাবার গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে আপনার কাশির জন্য শরীরের পানি শুন্যতা না হয়। এছাড়াও মধু খেতে হবে। তাহলে আপনার কাশির পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে। আপনি সকালে সন্ধ্যায় চা এর সাথে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন।

তবে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে পুরাতন কাশি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করা উচিত। তারপরেও যদি দেখতে পান আপনার কাশির সমস্যা দূর হচ্ছে না, তখন অবশ্যই আপনার উচিত হবে এখন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা। তারপরে তিনি যেই সকল ঔষধ এবং নিয়ম মেনে চলতে বলেন সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আপনার পুরাতন কাশির সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় জানার পরেও যদি আপনার কাশি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে অবশ্যই আপনার জানা উচিত অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব। বাজারে বিভিন্ন ধরণে কাশির ঔষধ পাওয়া যায়। তার মধ্যে কোন সকল কাশির ঔষধ আপনি খাবেন সেই সম্পর্কে এখন জানাবো। আশা করছি আপনার অনেকটাই উপকার হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব
কাশির চিকিৎসার জন্য এখন ডাক্তারেরা এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে নিষেধ করেন। তারা এখন সকলেই এই বিষয়ে একমত পেষণ করেন সেটা হলো খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার জন্য এন্টিবায়োটিক এর পরিবর্তে ঘরোয়া চিকিৎসা অনেক বেশি কার্যকর। আর এর কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া না থাকায় সকল ডাক্তার এই ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যাবহার করতে বলেন। এই ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু নমুনা নিচে দেওয়া হলো।

কিছুটা লবণ, লেবুর রস, আদার রস এবং মধুর মিশ্রণে হালকা গরম পানি করে নিন। তারপরে সেটি প্রতিদিন সকালে খান। অথবা আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে তুলসি পাতার রস এবং বাসক পাতার রস খেতে পারেন। এই দুটি উপাদান অনেক বেশি কার্যকরি খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার জন্য। তবে এন্টাইবায়োটিক জাতীয় ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

তারপরেও যদি দেখেন আপনার কাশি কমছে না, তাহলে আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত কাশি হলে কোন সকল ঔষধ খাবেন সেই সম্পর্কে চলুন জেনে নেই।
  • অ্যাক্সোডিন 180 mg
  • কেটো এ 100 mg
  • ক্লারিক্স
  • সেন্ডো 5 মিলিগ্রাম
  • ব্রোলাইট 3 মিলিগ্রাম
  • ফেক্সো 120 mg (Fexo 120mg)
  • Ambrox 75SR
  • Encilor 10mg
  • Askorel SR 50mg
উপরের উল্লিখিত এই সকল ঔষধগুলো সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তবে যখন আপনি ঔষধ ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই ভালোভাবে দেখে শুনে আসল ঔষধ কিনবেন।

রাতে কাশি কমানোর উপায়

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে তো আমরা অবগত হয়েছি। এখন অনেকেরই রাতে ঘুমাতে গেলে কাশির সমস্যা হয়। তাই অনেকেই রাতে কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই পাঠে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত জানতে চলেছি। আশা করছি এখান থেকে সহজেই জানতে পেরে যাবেন কিভাবে আপনার রাতের কাশি দূর করবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞরা জানার যদি আপনি কিছু সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাহলেই আপনার রাতের কাশির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তার জন্য আপনাকে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে তার সাথে সকল প্রকার তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে এবং একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে সঠিক এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ খেতে হবে।

যেটিকে রাতের কাশির সমস্যার জন্য প্রথম দায়ি করা হয় তা হলো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বা গ্রাভিটি। রাতে আমরা যখন ঘুমানোর জনু শুয়ে থাকেই তখন অটোমেটিক আমদের গলাতে শ্লেষ্মা জমতে থাকে। আর তার জন্য আমাদের অত্যাধিক কাশি হয়। আর এই কাশির সমস্যাকে সমাধান করার জন্য আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যাবেন তখন শরীরের ওপরের অংশকে কিছুটা উপরে তুলে ঘুমাতে পারেন।

আর এই কাজের ফলে আপনার গলাতে আর শ্লেষ্মা জমতে পারবে না। তার ফলে আপনার কাশের সমস্যাও কমে যাবে। যদি দেখেন রাতে আপনার কাশির সমস্যা অনেকটাই বেশি হচ্ছে তাহলে আপনি থ্রোট লজেন্স মুখে নিয়ে চুশতে পারেন। অথবা যেকোন ধরণের হার্ড ক্যান্ডি চুষতে পারেন। এতে করে আপয়ান্র কাশের সমস্যা সহজেই সমাধান হবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে তার পরে ঘুমাতে যান। এর পাশাপাশি কিছুটা খাটি মধু খান। তার পাশাপাশি যখন আপনি চা খাবেন তখন অবশ্যই আদা চা খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে করে আপনার আপনার কাশে সমস্যা কমে যাবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে শুধু তুলশি পাতার রস খান। অথবা তুলশি পাতার রসের সাথে কিছুটা মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ খুব বেশি কাশি হলে করণীয় কি?
উত্তরঃ আপনার যদি অতিরিক্ত কাশির সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যাবহার করা। তার জন্য আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন। শরীরকে সবসময় উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খান। লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে সকালে সন্ধ্যায় গড়গড়া কুলি করুন।

প্রশ্নঃ শুকনো কাশির ঔষধ এর নাম কি?
উত্তরঃ শুকনো কাশির ঔষধ হিসেবে Prenoxid 200Mg Tablet অনেকটাই ভালো কাজ করে। এটি শুধুমাত্র কাশির সমস্যা সমাধান করার জন্যই কাজ করে থাকে।

প্রশ্নঃ কাশির জন্য সবচেয়ে ভালো ওষুধ কোনটি?
উত্তরঃ কাশির জন্য সবচেয়ে ভালো ওষুধ অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট (Alkof Cofgel Tablet) যা কাশির কারণে ব্যবহৃত হয় যা হাঁপানি ,ধূমপান এবং এমফিসেমা দ্বারা সৃষ্টি।

প্রশ্নঃ শিশুর শুকনো কাশির জন্য কোন সিরাপ ভালো?
উত্তরঃ শিশুর শুকনো কাশির জন্য BENYLIN সিরাপ অনেকটাই ভালো কাজ করে। এই সিরাপটি অত্যাধির দুর্দান্ত স্বাদযুক্ত সিরাপ। যেটা খেতে শিশুদের কোন প্রকার সমস্যা হয় না।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কাশির জন্য কোন সিরাপ ভালো?
উত্তরঃ বাংলাদেশে কাশির জন্য Adovas সিরাপ ভালো। এই সিরাপটি একদম চিনিমুক্ত এবং অ-শমক ভেষজ কাশির সিরাপ। এই সিরাপটি কাফকে তরল করে এবং সমস্ত ধরণের সর্দি কাশির সমস্যা দূর করে।

প্রশ্নঃ কাশি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
উত্তরঃ কাশি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হলো ঘরোয়া চিকিৎসা। এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। এছাড়াও আরো যেই সকল ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে সেগুলো ব্যাবহার করতে হবে।

শেষ কথা। খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকের আমাদের এই পাঠের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি এখন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার বন্ধুর এমন কাশির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তার প্রতিকারের উপায় জানতে তার সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন নিয়মিতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post