স্কয়ার কোম্পানির ঘুমের ঔষধের নাম ও দামপ্রিয় পাঠক, জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম আপনি নিশ্চই জানতে চাচ্ছেন। তাইতো খুজে এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা সকল জ্বর সর্দি এবং কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধগুলোর নাম তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
জ্বর, সর্দি এবং কাশি এই তিনটি রোগ আমাদের প্রায় সকলেরই মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এর এন্টিবায়োটিক ঔষধগুলোর নাম জেনে থাকেন তাহলে সেই সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

জ্বর সর্দি কাশি এগুলো হলো আমাদের সকলের অনেক কমন সমস্যা। যেটি পায় সারা বছর আমাদের সকলের লেগেই থাকে। তাই এই সমস্যার যখন হবে তখন যদি আপনি এর অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান তাহলে খুব সহজে আপনি এ থেকে নিস্তার পেতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন আমরা দেখি নাই জ্বর সর্দি কাশি হলে কোন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করবেন।

জিম্যাক্স 500 ট্যাবলেটঃ এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধটি বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কয়ার কোম্পানির তৈরি একটি ঔষধ। এই ওষুধটি মানব দেহের ভাইরাসের সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করে। যার জন্য আপনার যদি জ্বর, সর্দি অথবা কাশি হয় তাহলে এই ঔষধটি সেবন করতে পারেন। এই ওষুধটি আবার শিশুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সিরাপ আকারে বাজারে পাওয়া যায়।

সিপ্রোসিন ৫০০ ক্যাপসুলঃ এই ওষুধটিও বাংলাদেশের স্বনামধন্য ঔষধ কোম্পানি স্কয়ার কোম্পানির দ্বারা তৈরি। যারা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন তারা প্রতিদিন দুটি করে এই সিপ্রোসিন ৫০০ ক্যাপসুল খেতে পারেন। জ্বর ঠান্ডা কাশির জন্য এভাবে সাত দিন সেবন করা উচিত। আর যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ২৫০ ক্যাপসুল পাওয়া যায়। এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন।

তবে হ্যাঁ একটি বিষয়ে আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে ঔষধটি যেন খালি পেটে খাওয়া না হয়। অবশ্যই ভরা পেটে খাবেন। তবে বিভিন্ন রোগ বেঁধে সেবন বিধি এরকম থাকে যে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরে ওষুধ সেবন করা উচিত। আর যে সকল মেয়েরা গর্ভবতী অবস্থায় রয়েছে অথবা মেয়েদের স্তনদান কালে এই ঔষধ সেবন করা যাবে না। শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ঔষধ বাজারে সিরাপ আকারে পাওয়া যায়। সেটি খাওয়াতে পারেন।

উপরের উল্লেখিত এই দুটি ঔষধ ছাড়াও আরো কিছু জ্বর, সর্দি এবং কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ রয়েছে। তবে উপরের ঔষধ দুটি সর্বাধিক ব্যবহার হওয়ার ফলে নামটি উল্লেখ করা হলো। এই ওষুধ ছাড়া আরও যে সকল ঔষধ জ্বরের জন্য কাশির জন্য অথবা সর্দির জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। চলনা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

জ্বরের ট্যাবলেট এর নামগুলো হলো
  • Paracetamol (প্যারাসিটামল)
  • Napa Extra (নাপা এক্সট্রা)
  • Aspirin (অ্যাসপিরিন)
  • Amoxicillin (অ্যামোক্সিসিলিন)
  • Napa Extend (নাপা এক্সটেন্ড)
  • Azithromycin (এজিথ্রোমাইসিন)
  • Cefixime (সেফিক্সিম)
  • Erythromycin (এরিথ্রোমাইসিন)
  • Ecosprin (ইকোস্প্রিন)
  • Doxycycline (ডক্সিসাইক্লিন)
  • Calpol (ক্যালপোল)
  • Pyregsic
  • Admol
  • Ace plus
  • Ace
জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
  • Cyprosin 500 (সিপ্রোসিন ৫০০)
  • Zimax 500 (জিম্যাক্স ৫০০)
  • AZ 250 mg
  • AZ 500 mg
  • Azin 250 mg
  • Azin 500 mg
  • Adiz 250 mg
  • Adiz 500 mg
কাশির ট্যাবলেটের নামগুলো হল
  • Ambrox 75SR
  • Encilor 10mg
  • Keto A 100 (কেটো এ ১০০)
  • Fexo 60 (ফেক্সো ৬০)
  • Fexo 120 (ফেক্সো ১২০)
  • Monas 10 (মোনাস ১০)
  • Purisal 2 (পুরিসাল ২)
  • Sendo 5mg (সেন্ডো ৫)
  • Ace plus (এসিই প্লাস)
  • Flamex 400 (ফ্লামেক্স ৪০০)
  • Metryl 400 (মেট্রিল ৪০০)
  • Zimax 500 (জিম্যাক্স ৫০০)
  • Tussilon Tablet (টুসিলন ট্যাবলেট)
  • Histacin Tablet (হিস্টাসিন ট্যাবলেট)
  • Neocilor Tablet (নিওসিলর ট্যাবলেট)
  • Histalex Tablet (হিস্ট্যালেক্স ট্যাবলেট)
  • Tofen Tablet (টোফেন ট্যাবলেট)

বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

বাচ্চাদের অনেক ক্ষেত্রে ঘনঘন কাশি দেখা দেয়। যেটাকে আমরা ঠান্ডা লাগা বলি। আর এই সংক্রমণ সৃষ্টি হয় ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে। যেহেতু বাচ্চাদের ইমিউনিটি সিস্টেম অনেকটাই দুর্বল হয় সম্পূর্ণভাবে না হয় তার জন্য বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণ অথবা ব্যাকটের আক্রমণের কারণে কাশির সম্ভাবনা দেখা দেয়। সেটা যদি প্রতিদিন অত্যাধিক পরিমাণে হয় তাহলে বাচ্চাদের প্রচণ্ড পরিমাণে গলা ব্যথা হতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার শিশু বাচ্চাকে এন্টিবায়োটিক সিরাপ খাওয়ানোর মাধ্যমে আপনার শিশু বাচ্চাদের খুব সহজে এবং দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারবেন। আপনার বাচ্চাদের গাছের ক্ষেত্রে কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়াবেন তার নামগুলো জেনে নেই চলুন। নিম্নে কিছু প্যারাসিটামল ধর্মিয় জাতের সিরাপের নাম তুলে ধরা হলো
  • Napa (নাপা) 50 ml
  • Napa (নাপা) 60ml
  • Napa (নাপা) 100 ml
  • Fast (ফাস্ট) 60 ml
  • Xcel (এক্সচেল) 60ml
  • xcel (এক্সচেল) 100 ml
  • Xcel (এক্সচেল) 120 ml
  • Ace (এচিই) 60 ml
  • Ace (এচিই) 100 ml
বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
  • Okof (ওকফ)
  • Tushka Plus (তুশকা প্লাস)
  • Nectar (নেকটার)
  • Boxall (বোক্সল)
  • Remokoff (রেমোকফ)
  • Ambrox (এমব্রক্স)
  • Edovus (এডোভাস)
  • Madhuvas (মধুভাস)
উপরের উল্লেখিত সকল ঔষধ গুলো আপনি বাচ্চাদেরকে কাশি হলে খাওয়াতে পারবেন। এই সকল প্যারাসিটামল ওষুধগুলো খাওয়ানোর মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে খুব তাড়াতাড়িই কাশি থেকে সুস্থ করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এই ওষুধগুলো খাওয়ানোর পূর্বে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এতে করে আপনি আরো অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম

যদি আপনার বাচ্চার জ্বর সর্দি অথবা কাশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে প্রথমে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তারপর আমার অনুযায়ী বাচ্চাকে পাওয়া চিকিৎসা এবং ওষুধ সেবন করাবেন। তবে আমরা চাইলে হাতের নাগালে ডাক্তার না থাকলে প্রাথমিক অবস্থায় বাচ্চাকে কিছু পরিমাণে ঔষধ সেবন করাতে পারি। সেই সকল ঔষধ গুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো। যেগুলো শুধুমাত্র বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
  • Adolef (এডোলেফ)
  • Adovas (এডোভাস)
  • Abex (এবেক্স)
  • Ambrox (এমব্রক্স)
  • Madhuvas (মধুভাস)
  • Remocof (রেমোকফ)
  • Tusca plus (তুসকা প্লাস)
  • E- cof (ই- কফ)
উপরে উল্লেখিত এই সকল ঔষধ গুলো বাচ্চাদের সর্দি কাশির ক্ষেত্রে সেবন করাতে পারেন। এমনি এই সকল ঔষধ গুলো সকল গুনাগুন এবং এই সকল ওষুধের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

Adolef (এডোলেফ): এই ওষুধটি একটি হারবাল জাতীয় সিরাপ। এই ওষুধ অপশনিন হারবাল ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড। এই সিরাপ বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের বুকের ভেতরে জমে থাকা কফ অথবা সর্দি কাশি দূর করে খুব সহজেই। এই সিরাপটি বাজারে দু ধরনের বোতলে পাওয়া যায়। সেগুলোর মূল্য হল
  • ১০০ ML এর মূল্য ৬৫ টাকা
  • ২০০ ML এর মূল্য ১০৫ টাকা
Adovas (এডোভাস): এই সিরাপটি বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি, কাশি নিরাময় করার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এই ওষুধ লিখিত কোম্পানির নাম হল স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড। এই ওষুধ বাজারে ২ ধরনের বোতলে পাওয়া যায়। সেগুলোর মূল্য তালিকা হল
  • ১০০ ML এর মূল্য ৭০ টাকা
  • ২০০ ML এর মূল্য ১১৫ টাকা
Abex (এবেক্স): এই ওষুধটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি ঔষধ. এই ঔষধ তৈরিতে কোম্পানির নাম হলো ইবনে সিনহা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এই ঔষধ সেবনের ফলে অতিরিক্ত মাত্রার জ্বর, অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে থাকা এবং কাশি জাতীয় রোগ খুব সহজেই উপশময় করে। এই সিরাপ যেটি ১০০ মিলিগ্রামের মূল্য হল ৩৫ টাকা।

Ambrox (এমব্রক্স): এই ঔষধটি তৈরিকৃত কম্পানির নাম হলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.। এই সিরাপের বর্তমান বাজার মূল্য ১০০ মিলিগ্রামের দাম ৫০ টাকা।

Madhuvas (মধুভাস): এটি ও বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় একটি সিরাপ। যেটি তৈরিকৃত কম্পানি হলো ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লি. কোম্পানি। এই সিরাপের ১০০ মিলিগ্রাম ঔষধের মূল্য হল ১০০ টাকা। এই ঔষধ সেবন করার ফলে শুকনো কাশি, ব্রংকাইটিস, জ্বর, মাথাব্যাথা এই সকলের কাজ করবে।

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

আমরা ইতিপূর্বে সকলে জানতে পেরেছি সর্দি সাধারণত আমাদের শরীরে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে হয়। আবার যদি আমাদের শরীরে তাপমাত্রা ও তাদের পরিমাণে বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটা আমাদের জোর। অথবা আমাদের কাশি হয় গলার মধ্যে ভাইরাস জাতীয় কিছু আক্রমণ করার কারণে। তবে এই সকল রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে আপনি বাজারে কিছু এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট পেয়ে যাবেন। সেই সকল জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেটের নাম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • Azin 250 mg
  • AZ 250 mg
  • AZ 500 mg
  • Adiz 500 mg
  • Adiz 250 mg
  • Azin 500mg
  • Zimex 250 mg
  • Zimex 500 mg
উপরের উল্লেখিত এই সকল এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলোর দাম সাধারণত সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৩৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সকল ঔষধ গুলো বাজারে সাধারণত ক্যাপসুল অথবা ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু ঔষধের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ইনজেকশন গুলো পেয়ে যাবেন।

যেগুলোর দামের ভিন্নতা রয়েছে। ইঞ্জেকশন গুলোর দাম 180 টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাজার মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে আরো দাম।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

আমরা কম বেশি প্রায় সকলেই জ্বরে ভুগে থাকি। কিন্তু আপনারা জানেন কি এই জ্বর কেন হয়। জ্বর হয় সাধারণত শরীরের যখন অ্যান্টিবডি দুর্বল হয়ে যায় তখন। যেটা অনেকের ক্ষেত্রে অল্প সময় ধরে থাকে এবং অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় হয়। জ্বর হওয়ার ফলে এমন অনেকের রয়েছেন যাদের খাবার রুচি অনেকটা কমে যায়। জ্বর হলে আমরা এমন অনেকে রয়েছি যারা ইছা খুশির মতো ঔষধ সেবন করেন। যেটি মোটেও ঠিক নয়।

আপনার উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা। এছাড়া আপনি শুধু ঔষধ সেবন করা ছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে জ্বরকে প্রতিরোধ করতে পারবেন। কোন ঘরোয়া উপায় পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজে আপনার শরীরে থাকা দলকে প্রতিহত করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পানিপট্টি দেওয়াঃ জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। যার ফলে শরীর অনেক গরম থাকে। এজন্য মাথায় আপনি পানিপত্তি দিয়ে নিতে পারেন। তাতে করে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমানো যাবে। এক্ষেত্রে এক টুকরো কাপড় প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটি কিছুক্ষণ পর পর তুলে আপনার মাথায় দিয়ে রাখুন। তবে বারবার ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার শরীরের তাপমাত্রার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।

মধু এবং লেবুর মিশ্রণঃ এই মিশ্রণটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের জ্বরের অনেক উপকারিতা ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে এক চা চামচ মধু নিন। আর তাতেও অর্ধেক পরিমাণে লেবুর রস নেই। এরপর এক গ্লাস হালকা কুসুম কুসুম গরম পানিতে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি পান করুন। এটি আপনার শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করার জন্য অনেক ভালো কাজ করবে।

তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতার রস আমাদের মধ্যে সকলেই প্রায় জ্বর হলে খেয়ে থাকি। হ্যাঁ বন্ধুগন তুলসী পাতার রস জ্বর কমানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশ কার্যকরী। এজন্য প্রথমে তুলসী পাতা ধুয়ে নিয়ে পানি কিছুটা গরম করে নিয়ে তাতে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর অনেকক্ষণ সময় নিয়ে পানি ফোটাতে হবে। সেই ফুটানো পানি\ আপনি যদি পারেন প্রতিদিন সকালে পান করুন।

আদা এবং মধুঃ এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে এক কাপ গরম পানির সাথে মধু নিতে হবে তারপর তাতে কিছুটা আদা বাটা নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি রেখে রেখে আপনি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে পারবেন। যদি আপনি সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে চান তাহলে এর সাথে মধু মিশ্রণ করলে আরো অনেক ভালো হয়।

রসুন পানিঃ এই ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে গরম পানি নিতে হবে। তাতে কিছুটা পরিমাণ রসুন কুচি কুচি করে কেটে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরে যখন পানি ঠান্ডা হয়ে যাবে আস্তে আস্তে পান করতে হবে। আপনি যদি এই বাণী খেতে না পারেন তাহলে তার সাথে মধু যোগ করতে পারেন। যার ফলে আরো অনেক ভালো ফলাফল পাবেন আশা করা যায়।

উপরের উল্লেখিত এই সকল ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে আপনি আপনার শরীরের তাপমাত্রা অর্থাৎ জ্বরকে প্রতিহত করতে পারবেন। আশা করছি সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করার মাধ্যমে জানাবেন।

জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ কাশির সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?
উত্তরঃ কাশির সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো ডেক্সট্রোমেথরফান।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কাশির জন্য কোন ঔষধ ভালো?
উত্তরঃ বাংলাদেশে কাশির জন্য Adovas ঔষধ ভালো।

প্রশ্নঃ শুকনো কাশি হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ পরিবেশ দূষণ, ধুলাবালি, যক্ষ্মা, হাঁপানি, ফুসফুস এর সংক্রমণ এই সকল কারণে শুকনো কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রশ্নঃ ডিভাস সিরাপ এর দাম কত?
উত্তরঃ ডিভাস সিরাপ এর দাম প্রতি ১০০ মিলিগ্রামের দাম ৭৫ টাকা।

প্রশ্নঃ শুকনো কাশির ঔষধ এর নাম কি?
উত্তরঃ শুকনো কাশির মহৌঔষধ বলা হয় আদাকে। আপনার যদি শুকনো কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে কিছুটা পরিমাণ আদা খেতে পারেন।

প্রশ্নঃ দ্রুত গলার কফ দূর করার উপায়?
উত্তরঃ প্রতিদিন লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা খুব দ্রুতই গলার কফ দূর হয়ে যায়।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমরা জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম সম্পর্কে জানলাম। তবে আমাদের পরামর্শ হবে আপনি যদি একজন বিশষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করেন তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post