মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকামছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান? পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসে থেকেই কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রিরা সহজেই ইনকাম করবে সেই সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম
অনলাইন ব্যাবহার করে পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসে থেকেই সকল ছাত্র ছাত্রীরা ইনকাম করতে পারবে সহজেই। আর এই ইনকামের মাধ্যমে সে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে সহজেই স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবে।

পেজ সূচিপত্রঃ

ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার উপায়

বর্তমান সময়ে অনলাইন এমন একটি হাতিয়ার যেটি ব্যাবহার করে আপনি অফুরন্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সারাজীবণ। ইন্টারনেটে কাজ করার জন্য অনেক কাজ রয়েছে। আর এটি ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার একটি বেস্ট প্লার্টফর্ম। আর তার জন্য আপনাকে আপনার জন্য সঠিক কাজটি খুঁজে বের করে নিতে হবে। আর কাজটি খুঁজে বের করে নিয়েই বসে না থেকে ঝটপট কাজে লেগে পড়তে হবে।

ছাএ ছাএীরা অনলাইনের এই কাজগুলো তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়টাতে কাজ করে অনেক ভালো পড়িমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবে। আর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অনলাইনে ইনকামের প্লার্টফর্ম একটি অনেক ভালো প্লার্টফর্ম। কেননা আপনি যদি অফলাইনে কাজ করতে যান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি সময় লেগে যাবে। আর এই কাজের জন্য আপনাকে অনেক বেশি সময় ও ব্যয় করতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনের কোন একটি ভালো কাজ খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এখান থেকেই আপনি ভবিষ্যতেও অনেক ভালো পরিমাণে টাকা আয় করে নিতে পারবেন। তবে কোন সকল কাজগুলো ছাত্র ছাত্রী থাকা অবস্থায় আপনার জন্য ভালো হবে চলুন জেনে নেই।
  • ব্লগিং করে ইনকাম
  • ইউটিউবের মাধ্যমে ইনকাম
  • ড্রপ শিপিং থেকে ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
  • ই-বুক লিখে ইনকাম
  • অনলাইনে ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম
  • ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
  • গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকাম
  • ই-কমার্স থেকে ইনকাম
  • সার্ভে কাজ করে ইনকাম
  • অনলাইন টিউটরিং করে ইনকাম
  • Google থেকে ইনকাম
উপরের উল্লিখিত এই সকল কাজ থেকে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ি যেকোন একটি কাজকে বেছে নিয়ে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয়ে কিছু স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। এই সকল বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।

১. ব্লগিং করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে সবথেকে লাভজনক এবং অনলাইন থেকে ইনকাম করার সহজ মাধ্যম হলো ব্লগিং করে ইনকাম। আর এটি ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ইনকাম করার সবথেকে ভালো মাধ্যম। আপনাদের যাদের লেখালেখি করতে অনেকটাই ভালো লাগে এবং লেখালেখি করার উপর আগে থেকে কিছুটা অভ্যাস রয়েছে তবে আপনি অনলাইন থেকে ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।

বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা ব্লগিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসের লাখ লাখ টাকা আয় করে নিচ্ছেন। আর এই মাধ্যম থেকে ইনকাম করার জন্য সবার প্রথমে আপনার দরকার হবে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট। আর এটি আপনি ফ্রিতে তৈরি করে নিতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্লক লেখার মাধ্যমে অনেক মানুষ যখন পড়তে আসবে তখন গুগল থেকে এড দেখিয়ে এখান থেকে ইনকাম করে নিতে পারবেন।
  • তবে আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটের জন্য ব্লগ এডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর নজরদারি রাখতে হবে। চলুন তাহলে এবার সেই সকল বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগের জন্য সবথেকে ইউনিট এবং সম্পূর্ণ কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল লিখতে হবে।
  • এমন ধরনের আর্টিকেল লিখবেন যেটি অন্য সকল মানুষ পড়ে উপকৃত হয়।
  • প্রতিটা আর্টিকেল এসিও ফ্রেন্ডলি লিখার চেষ্টা করবেন
  • প্রতিটা আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য হতে হবে সর্বনিম্ন ১০০০ (এক হাজার) শব্দের। আর সর্বোচ্চ আপনি যত লিখতে পারবেন ততই ভালো। ওয়েবসাইটে আর্টিকেলের শব্দের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে গিয়ে এমন কোন কথাবার্তা লিখবেন না যেটি অপ্রাসঙ্গিক।
আপনি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে নেওয়ার পরে সেখানে প্রতিদিন ইউনিক এবং কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল প্রতিদিন লিখে পাবলিশ করতে থাকুন। এভাবে যখন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিদিন ১০০ জন করে ভিজিটর আসছে তখন গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করে রাখুন।

গুগল যখন এটি যাচাই বাছাই করে দেখবে যে আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ১০০ জন করে ভিজিটর আসছে তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আবেদন অ্যাপ্রুভাল দিয়ে দিবে। এছাড়াও যখন আপনার ওয়েবসাইটটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে তখন আপনি সেই ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট করার মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।

২. ইউটিউবের মাধ্যমে ইনকাম

বর্তমান ডিজিটাল যুগের কারণে পুরো বিশ্বের সকল মানুষজন ইউটিউব নামক অ্যাপ্লিকেশনের সাথে পরিচিত। আর এই Youtube এ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ভিডিও অনেক মানুষজন আপলোড করে থাকে। সেগুলো হতে পারে যেমন গেমিং ভিডিও, বিভিন্ন পর্যটনের ভিডিও, বিনোদনমূলক ভিডিও। এই সকল ভিডিও গুলো পুরো বিশ্বের বিভিন্ন মানুষজন আপলোড করে যাচ্ছে।

আর মানুষজন তাদের ইচ্ছামত যখন যেমন ভিডিও প্রয়োজন হবে তখন তেমন ভিডিও ইউটিউবে পেয়ে যায়। আর মূলত এই সকল কারণেই মানুষের কাছে ইউটিউব অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনিও যদি চান তাহলে আপনিও ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করে নিয়ে সেখানে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই আয় করতে পারবেন। আর এর জন্য আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল ফ্রিতে তৈরি করে নিতে পারবেন।
ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম
ইউটিউবের একটি ভেরিফাইড চ্যানেল তৈরি করে নেওয়ার পরে সেখানে কাজ হবে আপনার প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করা। আর এই ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে। কোন সকল বিষয়ের উপর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে চলুন সে সকল বিষয় বলে এখন আমরা জেনে নেই।
  • আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে নিজের তৈরি ভিডিও আপলোড দিতে হবে। অন্য কারো ভিডিও অথবা মিউজিক নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা যাবে না।
  • এমন বিষয়ের উপর আপনাকে ভিডিও বানাতে হবে যেগুলো বর্তমান সময়ের মানুষজন দেখার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী। আর যেই সকল ভিডিওর ভবিষ্যৎ বাজার চাহিদা ও অনেক রয়েছে।
  • এমন বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে হবে যেই ভিডিওর উপর আপনার আগ্রহ কাজ করে এবং সেই বিষয়টা মানুষ জানার জন্য আগ্রহী। নিজের ওপর জোর দিয়ে কোন ভিডিও না তৈরি করাই ভালো।
  • যখন কোন একটি ভিডিও তৈরি করবেন তখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হলো উপস্থাপনা। আপনি যদি যেকোন বিষয়ে ভালোভাবে উপস্থাপনা করতে পারেন তাহলে সে বিষয়ে মানুষজন দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
  • আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন বিষয়ের ভিডিও বানাতে পারে। যেমন বিনোদনমূলক ভিডিও, গেমিং ভিডিও, ছবি আঁকার ভিডিও, নিচে কোন বিষয়ের উপর শিক্ষনীয় ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
এরপর যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিটা ভিডিওতে অনেক বেশি পরিমাণে ভিউ আসবে এরপর সেই ইউটিউব চ্যানেলটিতে গুগল এডসেন্সের এড বসিয়ে নিয়ে সেখান থেকে আজীবন ধরে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর যখন আপনার চ্যানেলটি মোটামুটি ভাবে জনপ্রিয় হয়ে যাবে তখন সেখান থেকে আপনি আপেলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।

৩. ড্রপ শিপিং থেকে ইনকাম

ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার উপায়ের মধ্যে আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ড্রপ শিপিং থেকে ইনকাম। আরে মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনার কোন প্রকার নিজের পণ্যের প্রয়োজন হবে না। ড্রপ শিপিং বলতে এমন কাজকে বোঝায় আপনি অন্য কোথাও ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে পণ্য নিয়ে সেই পণ্যগুলো আপনার নিজের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

আর এভাবে আয় করার জন্য আপনার কোন প্রকার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না। তবে এই কাজ করে ইনকাম করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এই কাজটি কিভাবে করতে হয় চলুন এখন আমরা সহজ ভাবে বুঝিয়ে নেই। যাতে করে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারেন সেই বিষয়ে সেই ভাবে আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

অ্যামাজন, আলিবাবা এই সকল অনলাইন ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠানের নাম তো আপনারা শুনেছেন। আর এরকম একটি জনপ্রিয় আমাদের বাংলাদেশের ওয়েবসাইট হলো দারাজ। এই সকল ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করলে সেখানে আপনি হাজার হাজার ধরনের পণ্য দেখতে পাবেন। এখন আপনার কাজ হবে এই সকল ওয়েবসাইটের পণ্যগুলো যে দামে ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে সেই একই পণ্য ঐ সকল ওয়েবসাইটের থেকে কিছুটা বেশি দামে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে বিক্রয় করতে হবে।

এখন এই সকল পণ্যগুলোর ছবি আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে। বিভিন্ন মানুষজন যখন এসে ওই সকল ওয়েবসাইটের পণ্যের দামের থেকে যখন বেশি দামে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করবেন, আর যতটুকু বেশি দামে আপনার ওয়েবসাইট করবে সেটি হবে আপনার মুনাফা। আর এখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।

৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

আপনারা যারা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত রয়েছেন কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনেন নাই এমন ধরণের মানুষ অনেক কমই পাওয়া যাবে। আমরা যারা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত রয়েছি তারা অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই নামটা অনেক জায়গায় শুনেছি। আর এটির সাথে অনেকেই মুটামুটি পরিচিত।

বর্তমান সময়ে ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার জন্য অনেক জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে মূলত বুঝায় অন্য যেসকল ই-কমার্স এর ওয়েবসাইট রয়েছে, সেই সকল ওয়েবসাইটের থেকে পণ্য নিয়ে সেটি অন্য মানুষের কাছে প্রমোট করার মাধ্যমে বিক্রি করে ইনকাম করা।

এর অর্থ হলো এখানে আপনার কাজ হলো অনলাইনের ই-কমার্স সাইটের পণ্যগুলোকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রমোট করে ওই পণ্যকে বিক্রি করা। আর এই কাজের জন্য ওইসকল ওয়েবসাইট আপনাকে কমিশন দিবে। আর পণ্য বিক্রির জন্য যেই কমিশন আপনি পাবেন সেটিই হলো আপনার ইনকাম।

আপনি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। আর এই কাজের জন্য আপনি আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে যেমন ইউটিউব, ফেসবুক এই সকল মাধ্যমে পণ্যের লিংক শেয়ার করবেন। আর সেই লিংকে যদি কেউ ক্লিক করে পণ্য ক্রয় করে তাহলে আপনি সেই পণ্য বিক্রয়ের জন্য কিছু টাকা কমিশন পাবেন।

মূলত এই সকল ভাবেই অনলাইন থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আয় করা যায়। আর এই কাজ এখন বর্তমানে বাংলাদেশের সকল ছাত্র ছাত্রীরাই করছে। আর এই কাজের বিপরীতে তারা প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে অনায়াসেই।

৫. ই-বুক লিখে ইনকাম

ই-বুক হলো একটি শর্ট ফর্ম। আর এটির বর্ধিত রূপ হলো ইলেকট্রনিক বুক। ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার সবথেকে সেরা উপায় হতে পারে এটি। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন আর আপনার যদি লিখা লেখি করতে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি এই সহজ ই-বুক লিখার মাধ্যমে ইনকাম করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

আপনি যেকোন বিষয়ে ই-বুক লিখে ইনকাম করে নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে এমন বিষয়ের ওপর লিখতে হবে যেগুলো মানুষের পড়ার জন্য অনেক আগ্রহ রয়েছে। আর সেই সকল বিষয়ে লিখতে হবে সেগুলো বিষয়ে পড়ার জন্য মানুষ জনের অনেক আগ্রহ কাজ করে। তবে আপনি যেই বিষয়েই লিখেন না কেনো সেই সকল বিষয়ে লিখার পূর্বে আপনাকে সেই সকল বিষয়ে ভালোভাবে অনুসন্ধান করে নিতে হবে।

সকল তথ্যগুলো অনুসন্ধান করে তথ্যগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার পরে আপনাকে সেই বিষয়ে লিখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনার লিখা যত সুন্দর এবং আকর্ষণিয় হবে ততই আপনার পাঠক অনেক বেশি হবে। আর যত পাঠক হবে তত তার সাথে পাল্লা দিয়ে আপনার ইনকামও বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

বর্তমান সময়ে ই-বুকের জন্য অনেক অনেক জনপ্রীয় ওয়েবসাইট রয়েছে। সেগুলোতে আপনার লিখে ই-বুক গুলো পাবলিশ করার মাধ্যমে ইনকাম করে নিতে পারবেন। এমনই একটি ওয়েবসাইটের নাম হলো "অ্যামাজন কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং ই-বুক"। এখানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা ই-বুক লিখে পাবলিশ করার মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে।

৬. অনলাইনে ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম

আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবেসে থাকেন, এবং অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেন তাহলে সেই সকল ছবিগুলো আপনার ফোনের মধ্য়ে বন্ধি না রেখে সেগুলোকে বিক্রি করার মাধ্যমেও ইনকাম করে নিতে পারবে। আর আপনারা যারা শিক্ষার্থি রয়েছেন তাদের জন্য এটি হবে অনেক সহজ ইনকাম করার মাধ্যম। কেননা এক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র অনেক ভালো ধরণের HD quality এর ছবিগুলো তুলতে হবে।

আর সেই সকল ছবি অনলাইনের বিভিন্ন প্লার্টফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। প্রকৃতির যদি বিভিন্ন অসাধারণ ছবি তোলার কৌশলা আপনার জানা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই কৌশল ব্যাবহার করে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে নিতে পারেন। আর সেই সকল ধরণের ছবিগুলো আপনাকে তুলতে হবে যেগুলো মানুষজনের কাছে অনেক বেশি পছন্দ হয়।

আপনি যদি চান তাহলে এই কাজটি আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যাবহার করে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার স্মার্ট ফোনের ক্যামেরার কোয়ালিটি ভালো হতে হবে। আর তার সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে ছবি তোলার বিভিন্ন কৌশল এবং নিয়মগুলো জানা থকতে হবে।

আপনার কৌশলকে কাজে লাগিয়ে আপনার যখন ছবিগুলো তোলা হয়ে যাবে তখন আপনাকে সেই সকল ছবিগুলো বিক্রি করতে হবে। আর এই সকল ছবি বিক্রি করার জন্য যেই সকল ওয়েবসাইট রয়েছে সেই সকল ওয়েবসাইটকে একত্রে Stock Image Website বলা হয়ে থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করার জন্য কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমন
  • Shutterstock
  • Adobe Stock
  • Getty Images
  • Alamy
  • 500px
  • Foap
এছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক ধরণের ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট রয়েছে। তবে উপরের উল্লিখিত এই সকল ওয়েবসাইটগুলো বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রীয়। তবে অনলাইনের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে সেই সকল ছবি তুলার জন্য কিছু কৌশলের প্রয়োজন হবে। চলুন এই পর্যায়ে দেখে নেই আপনার কোন কোন কৌশলের প্রয়োজন হবে সেগুলো।
  • মোবাইল ফোন অথবা ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম এবং সঠিক কৌশল জানা থাকতে হবে।
  • ইউনিক ছবি তোলার কৌশল জানতে হবে
  • হাই কোয়ালিটির ছবি তুলতে হবে
  • ছবি বিক্রি করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একাধিক ওয়েবসাইটের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

৭. ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম

বর্তমান সময়ে যারা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত রয়েছেন তারা ফ্রিল্যান্সিং নামক শব্দটির সাথে পরিচিত। আর এই ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য অনলাইনে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। আর এই সকল ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো ব্যক্তি নিজের পছন্দমত কাজগুলোকে খুঁজে বের করে নিয়ে সেই সকল কাজগুলো সঠিকভাবে করার মাধ্যমে ইনকাম করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

যদি আপনি একজন ছাত্র অথবা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের সব থেকে সেরা উপায় হবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। যখনই আপনি অনলাইন ব্যবহার করে ইনকাম করার কথা চিন্তাভাবনা করবেন, তখনই সবার প্রথমে যেটি আসবে সেটি হলো ফ্রিল্যান্সিং। এই ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করার জন্য এই সাইডে বিভিন্ন ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন। যেমনঃ
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ডাটা মাইনিং
  • প্রোগ্রামিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • ইউটিউব এসইও
  • ইউটিউব প্রমোশন
এছাড়াও আরো কত শত ধরনের কাজ এখানে পেয়ে যাবেন। এখান থেকে আপনার পছন্দমত যেকোনো ধরনের কাজ করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে ইনকাম করে নিতে পারবেন। এই সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে একটি নিজের একাউন্ট তৈরি কর নিয়ে সেখানে ভালোভাবে নিজের পরিচয় এবং একটি একাউন্ট দাঁড় করিয়ে রাখলে সেখান থেকে আপনি কাজ পাবেন। বর্তমান সময়ে কিছু সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • Fiverr
  • Freelancer
  • Truelancer
  • Upwork
  • Guru
এই সকল ওয়েবসাইট ছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ওয়েবসাইট রয়েছে। এই সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন নিলে তারপরে আস্তে আস্তে আপনি সেখান থেকে ভালো পরিমাণে কাজ পাওয়া শুরু করবেন। আর এই সকল কাজগুলো কমপ্লিট করার মাধ্যমে আপনি সেখান থেকে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।

৮. গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে অনলাইন জগতের সবথেকে জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে একটি হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। অনলাইন জগত থেকে ঘরে বসেই অনেক মোটা অংকের টাকা ইনকাম করার একটি মাধ্যম হলো গ্রাফিক ডিজাইন। আর এই সকল কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন কাজের উপর স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। আর বিভিন্ন ডিজাইনের উপর আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।

আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইন জগতের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে গিয়ে নিজের ডিজাইন করা গ্রাফিক্স গুলো বিক্রয় করার মাধ্যমে ইনকাম করে নিতে পারবেন। আর এই কাজ করার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট Upwork, Fiverr, Freelancer এছাড়াও আরো অনেক অনলাইনে জনপ্রিয় গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ওয়েবসাইট রয়েছে।
ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম
তবে এই কাজটি শিখার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে একটি ভালো মানের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে হবে। যারা এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখিয়ে থাকে। তবে ভালো মানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ায় আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। আপনি এক্ষেত্রে এই কাজটি ইউটিউবের বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখার মাধ্যমে শিখে নিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার কোন টাকা পয়সা খরচ হবে না। তবে এই কাজের জন্য আপনার প্রতিদিন নিয়মিত কাজের ক্ষেত্রে অনুশীলন করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এবং অনেক ধৈর্য সহকারে এই কাজের প্রতি লেগে থাকতে হবে। যদি আপনি কাজের প্রতি ভালোবেসে ধৈর্য ধরে অনেক দিন যাবত লেগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই কাজের ক্ষেত্রে সক্ষম হবেন।

৯. ই-কমার্স থেকে ইনকাম

ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার সবথেকে একটি লাভজনক উপায়ের মধ্যে হলো এই কমার্স বিজনেস। এখানে ই বলতে বোঝায় ইলেকট্রনিক এবং কমার্স বলতে বোঝায় ব্যবসা বা বিজনেস। যার পূর্ণ অর্থ এভাবে দাঁড়ায় ইলেকট্রনিক বিজনেস। এর অর্থটি হলো অনলাইনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভর করার মাধ্যমে বিজনেস করাকে বোঝায়।

অনলাইন ভিত্তিক পণ্য বা সার্ভিস গুলো ক্রয় বিক্রয় করাকে ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক বিজনেস বলা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষজন ঘরে বসে থেকে পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে। আর এই সুযোগটাকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। আপনার টার্গেটেড ক্রেতারা পণ্য ক্রয় করে এমন পণ্য আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে।

তারপরে সেই সকল পণ্যগুলো অনলাইনে যে সকল সাইট রয়েছে সেখানে রাখতে হবে। যেখানে অনেক ক্রেতারা প্রতিদিন যায়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাবসাতে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো
  • প্রথমে আপনাকে অবশ্যই এমন ধরণের পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে যেগুলো ক্রেতারা ক্রয় করার জন্য আগ্রহি।
  • ভালোমানের পণ্যগুলো ক্রতাকে সরবরাহ করতে হবে। ক্রেতাদের সাথে কোনভাবেই ঠকানো যাবে না। এতে করে ক্রেতারা আপনার প্রতি আস্থা পাবে। আর ফলে পরবর্তিতেও আপয়ানার থেকেই তারা পণ্য ক্রয়ের চিন্তা ভাবনা করবে।
  • প্রথম অবস্থায় অনলাইন জগতে টিকে থাকার জন্য আপনাকে মার্কেটে দেখতে হবে অন্যসকল কম্পানিগুলো কেমন মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে। আপনাকে তার থেকে কিছুটা সুলভমূল্যে বিক্রির চিন্তাভাবনা করতে হবে।

১০. সার্ভে কাজ করে ইনকাম

ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো সার্ভে কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করা। সার্ভে বলতে বুঝায় মূলত মতামত প্রদান করা। যাকে বাংলাতে জরিপ করাও বলা হয়ে থাকে। এই কাজগুলো বিভিন্ন কম্পানি দিয়ে থাকে। কম্পানিগুলো তাদের সকল ধরণের পণ্য সম্পর্কে জনসাধারণের মতামত নিতে এই সকল সার্ভে কাজগুলো করে থাকে। আর এই কাজটিই বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে দেওয়া হয়ে থাকে।

সার্ভে কাজ করে ইনকাম করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট রয়েছে। এখানে প্রবেশ করে আপনার কাজ হলো সেই সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিয়ে আপনাকে সেখানে সার্ভে কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর সবথেকে মজার বিষয় হলো আপনি এই সকল সার্ভের কাজগুলো ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করার মাধ্যমেই করে ফেলতে পারবেন।

এই কাজের জন্য প্রতিটিতে আপনি কত টাকা করে পাবেন সেটি আপনাকে কাজের শুরুতেই বলে দেওয়া হবে। আর এই কাজটি খুব সকটা কঠিন কাজ নয়। আর এই সার্ভে কাজের জন্য আপনাকে বিশেষ কোন কাজের ওপরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে না। এখানে খুবই সাধারণ এবং সহজ ধরণের কাজ সার্ভে করতে দেওয়া হয়। যেটি আপনি এক নিমিশেই সেরে নিতে পারবেন।

১১. অনলাইন টিউটরিং করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের ক্ষেত্রে বাসায় বাড়িয়ে পড়ানোর মাধ্যমে ইনকাম করা একমাত্র উপায়। তবে এখনকার মানুষজন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তাই তারা যেকন বিষয়ে জানার জন্য হলেও অনলাইনের সাহায্য নেয়। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সকল উন্নত দেশগুলো অনলাইনে শিক্ষাকতাকে অনেক জনপ্রিয় করে তুলেছে। তবে বাংলাদেশও এতে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের মধ্যেও এর এখন বিস্তার লাভ করেছে অনেক।

তাই আপনি যদি শিক্ষকতা পেশাকে ভালোবেসে এই কাজ করতে চান তাহলে আপনি এই কাজ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেও করে নিতে পারবেন। ঘরে বসে নিজের অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্মার্ট ইনকাম শুরু করে নিতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনার কোন বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই বিষয়ের ওপর কোর্স তৈরি করে নিয়ে বিক্রি করতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয়ের ওপর নজর রাখতে হবে। সেটি হলো আপনাকে এমন এক বিষয়ের ওপর কোর্স তৈরি করতে হবে যেটি সকল মানুষের অনেক উপকারে আসে। এবং এমনভাবে আপনাকে কোর্স তৈরি করতে হবে যেনো সে সহজেই সেই বিষয়টিতে বুঝে উঠতে সক্ষম হয়। অনলাইনে টিউটর হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু দক্ষতার অধিকারি হতে হবে। যেমনঃ
  • ল্যাপটপ ব্যাবহার এবং ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয় ব্যাবহার সম্পর্কে জানতে হবে।
  • কোন একটি বিষয়ে বিশেষ ধরণের দক্ষতা থাকতে হবে।
  • অন্যদেরকে শিক্ষা দেওয়ার মতো আবেগ এবং রুচি দুটোই থাকতে হবে।
আপনি যদি চান তাহলে আপনি Tutors.com এর মতো আরো যেসকল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে অনলাইনে টিউটরস জব খুঁজে নিতেও পারেন। তবে এখানে জবের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা জানতে হবে।

১২. Google থেকে ইনকাম

Google ব্যাবহার করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে নানান ধরণের উপায় রয়েছে। যে সকল উপায়গুলো অনেক বিস্বস্ত। আর এই সকল উপায়গুলো ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ছাএ ছাএীদের জন্য ইনকাম করার কিছু উপায়গুলো হলো
  • Blogger.com
  • YouTube
  • Google AdSense
  • AdMob
  • PlayStore
এই সকল গুগলের প্লার্ট ফর্ম থেকে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। তবে এই সকল জায়গা থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অনেকটা সময়ের এবং স্মার্ট ওয়ার্কের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যেহেতু একজন শিক্ষার্থি সেক্ষেত্রে এখান থেকে যেকোন একটি সিলেক্ট করে নিয়ে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি কাজগুলো করে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করে নিতে পারবেন।

এখন অনেক ছাত্র ছাত্রীরা Google-এর blogger.com ব্যাবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়ে সেখানে গুগলের এড দেখিয়ে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করছে। গুগল থেকে ইনকাম করার জন্য কিছু লাভ এবং তার পাশাপাশি কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো
  • গুগল অনেক ট্রাস্টেড, তাই ইনকামের টাকা হারানোর কোন ভয় থাকে না।
  • অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা সম্ভব
  • এই সকল কাজগুলো পার্ট টাইম হিসেবেও করা যায়
  • এটি সকল ছাএ ছাএীদের জন্য একটি ইনকাম করার সেরা উপায়

লেখকের মন্তব্য

ছাএ ছাএীরা কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সেই বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উপকৃত হয়েছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমন আরো আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post