মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করার ক্রিম ও ফেসওয়াস নামপ্রিয় পাঠক, আপনি কি চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ আমাদের মধ্যে প্রায় এখন অনেকেই এই মেছতা
সমস্যায় ভুগে থাকি। তাই কিভাবে আপনি সবথেকে ভালো ৫টি কার্যকরি উপায়ে মেছতা দূর
করবেন সেটি আজকে আপনাদেরকে জানবো।
তাই আপনি যদি চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের
সাথেই থাকুন। কারণ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম
মেছতা দূর করার ঔষধ মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
আজকাল আমরা সকলের প্রায় ত্বক নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। আর তার জন্য আমরা একটি
সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে থাকি। আর এই সকল কার্যক্রমের
জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন সময় ত্বকের র্যাস, ব্রণ, মেছতা এই সকল কঠিন সমস্যার
সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে যদি আমাদের ত্বকে কখনো মিস্টার দাগ পড়ে যায় তাহলে
সেটা তো মেনে নেওয়ার মতো কোনো কথাই নয়।
আর এই সমস্যাটি শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে অনেক বেশি দেখা যায়। এর কারণটি হল শুষ্ক
ত্বকের ক্ষেত্রে ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটাই কম থাকে। আর এই শুষ্ক আদ্রতার জন্য
আমাদের মুখমন্ডলের উপরে কালকে ধরনের ছাপ পড়ে যায়। আর এই কাল যে ধরনের মেছতার
ছাপকে সরানোর জন্য সব সময় দামি এবং প্রসাধনী সামগ্রী কাজ করে না।
আবার যদি আপনি এই সমস্যার সমাধানের জন্য ঠিকমতো যত্ন না করেন তাহলেও এই সমস্যা
আরো বেড়ে যাবে। তাই আপনি যদি মেছতার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই
কার্যকরি ৭টি চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় জানুন। চলুন তাহলে সেই সকল মেছতা দূর
করার কার্যকতি উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১। আলুর রস
আলুতে রয়েছে স্টার্চ। যেটি আমাদের ত্বকের ভেতরের মৃত সকল ধরনের কোষ কে সরিয়ে
ফেলে। এবং তার পাশাপাশি এটি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বয়ে নিয়ে আসে। আর এটি
ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে এতে ভালো করে গ্রেট
করে নিতে হবে। তারপরে একটি ছাকুনি ব্যবহার করে এর মধ্যে থাকা রস বের করে নিতে
হবে।
তারপরে সেটি মুখে লাগিয়ে নিয়ে 30 মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যখন এটি
হালকা শুকিয়ে যাবে তখন হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে এটি ধুয়ে ফেলতে
হবে। এভাবে যদি আপনি একদিন পরপর ব্যবহার করেন তাহলে তিন দিনের ভেতরে অনেক ভালো
ফলাফল পাবেন।
২। মধু এবং লেবুর রস
আমরা সকলেই কম বেশি জানি যে লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি নামক উপাদান। আর এই
ভিটামিন সি যুক্ত লেবুর রসের সাথে যদি মধু মেশানো হয় তাহলে এর ভেতরে থাকা
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এর গুনাগুন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যায়। আর এটি ব্যবহার করে
খুব সহজে আপনার মুখে থাকা মেছতা দূর করে নিতে পারবেন।
আর এর জন্য প্রথমে আপনাকে লেবুর রসের সাথে কিছুটা মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরে
সেটাই মুখের যে সকল জায়গায় মেছতার দাগ রয়েছে সেই সকল মানুষের কিছুক্ষণ লাগিয়ে
রাখতে হবে। যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন এটাকে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলতে হবে। আর এভাবে যদি আপনি কয়েকদিন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই অনেক ভালো
ফলাফল পাবেন।
৩। এলোভেরা জেল
চিরতরে মেছতা দূর করার করার জন্য সব থেকে যে কার্যকরী উপাদানটি রয়েছে সেটি হলো
এই এলোভেরা। ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে এলোভেরা থেকে এর জেল সংগ্রহ করতে
হবে। তারপরে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এবং রাতে আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তার পূর্বে
এই জেল মুখের মেছতার দাগের অংশ লাগিয়ে নেবেন।
মুখে লাগানোর পরে যখন দেখবেন এটি শুকিয়ে এসেছে তখন এটি পরিষ্কার হালকা গরম পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে যদি আপনি কয়েকদিন ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে
আপনার মুখের মেছতার দাগ দূর হয়ে যাবে। এভাবে ব্যবহারের ৭ দিনের মধ্যে আপনি অনেক
ভাল ফলাফল পাবেন।
৪। টক দই এবং মধু
টক দইয়ের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করে মুখের মেছতার দাগ দূর করার জন্য এটি খুবই
কার্যকরী একটি উপাদান। আর এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে টক দই সংগ্রহ করতে
হবে। তারপরে সেই টক দের সাথে কিছুটা পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরে এই দুটি
উপাদান একসাথে মিক্স করতে হবে।
এখন এই উপাদানটি আপনার মুখের মেছতার দাগের উপর লাগাতে হবে। লাগিয়ে নিয়ে ১৫ থেকে
২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। যখন এটি শুকিয়ে আসবে তারপরে এটি হালকা কুসুম গরম পানি
দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এভাবে যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের
মেছতার দাগ সহজেই দূর হয়ে যাবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং নমনীয়।
৫। অ্যাপল সিডার ভিনিগার
এই অ্যাপল সিডার ভিনিগার কিন্তু সরাসরি মুখে লাগানো যাবে না। এটি ব্যবহার করার
জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। পানির সাথে মিশিয়ে
নেওয়ার পরে আপনার মুখের যে সকল জায়গায় দাগ রয়েছে শুধুমাত্র সেই সকল জায়গায়
মাখতে হবে। এই উপাদান মুখে মাখার পরে পাঁচ মিনিট ধরে রাখলেই হবে। তারপরে এটি
পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৬। মুলতানি মাটি
এই মুলতানি মাটিকে অনেকেই ফেসিয়াল প্যাক বলেও চিনে থাকে। কারণ আপনি যদি মুলতানি
মাটি ব্যবহার করেন ফেসিয়াল হিসেবে তাহলে এটি আপনার ত্বকের ভেতরের থাকা সকল
ময়লাগুলো বের করে নিয়ে আসবে। এবং আপনার ত্বককে পরিষ্কার করার জন্য অনেক সাহায্য
করবে। এটি ব্যবহার করে আপনার ত্বকের মেছতার দাগ দূর করার জন্য দেখানোর নিয়ম গুলো
অনুসরণ করুন।
প্রথমে আপনি এক চা চামচ মুলতানি মাটির সাথে কিছুটা পরিমাণ মধু এবং পরিমাণ মতো
গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এরপরে এটি আপনার মুখের ওপর লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট
পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যখন দেখবেন এটি শুকিয়ে গিয়ে আপনার ত্বকের উপর হালকা টান
টান অনুভব করেছেন তখন এটি ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এই মুলতানি মাটি প্রতি সপ্তাহে তিন
দিন ব্যবহার করুন। তাহলে চিরতরে মেছতার দাগ আপনার তরফ থেকে সরে যাবে।
৭। আর্মান্ড ওয়েল
এই উপাদানকে অনেকেই বাদামের তেল হিসেবে চিনে থাকে। এতে উপকারী উপাদান হিসেবে
রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই। আমাদের মুখের মেছতার দাগ চিরতে দূর করার
জন্য এই আর্মান্ড ওয়েল অনেকটাই কার্যকরী উপাদান। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে
এই তেলটিকে হালকা কুসুম গরম করে নিতে হবে। তারপর এটি মেছতার দাগের উপর লাগান। এটি
ব্যবহারের ফলে কিছুদিনের মধ্যে আপনার মুখের মেছতার দাগ দূর হয়ে যাবে।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তরঃ-
মেছতা কী?
যখন মেলানিন বেশি প্রডিউস হয়ে যায় আর মুখে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়, তখন এই দাগকে
মেলাসমা বা মেসতা বলে।
মেছতা কি ভাবে দূর করা যায়?
ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই মেছতার দাগ দূর করা সম্ভব। তার জন্য আপনি ব্যাবহার করতে
পারেন আর্মান্ড ওয়েল, মুলতানি মাটি, টক দই এর সাথে মধু, এলোভেরা জেল, মধুর সাথে
লেবুর রস। এই সকল উপাদানগুলো ব্যাবহার করেই আপনি খুব সহজেই মেছতার দাগ দূর করতে
পারবেন।
দ্রুত শরীরের কালো দাগ দূর করার উপায়?
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHAs) এবং বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (BHAs) পিগমেন্টেশন,
ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা কমাতে, অতিরিক্ত সিবাম, ময়লা এবং মৃত ত্বকের কোষ দূর করতে
সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন সি ত্বকের পিগমেন্টেশন কমাতে এবং ত্বকের পুষ্টি যোগান
দিতে সাহায্য করে।
মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম
চিরতরে যদি মেছতা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এর উপায়গুলোর মধ্যে মেছতা দূর
করার ক্রিমের নামগুলো জানতে হবে। অথবা যদি জেনেও থাকেন তাহলেও চিরতরে মেছতা দূর
করতে কোন ক্রিমটি সবথেকে ভালো সেটিও জানতে হবে। যদি আপনি এই বিষয়ে জানার জন্য
আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
যখন আমরা বাহিরে বের হই আর রোদের সংস্পর্শে আসি তখন শরীরে আমাদের মেলানিন নামক এক
পদার্থে প্রডিউস হয়। এটি আমাদের অনেকটা ছাতার মতো কাজ করে। যেটি আমাদের রোদের
উজ্জ্বল রশ্মির কারণে আমাদের বডির ত্বকের ড্যামেজের ক্ষেত্রে মেলানিন সেল ঐ
সময়টেতে অনেক বেশি প্রক্রিয়াধীন হয়। কিন্তু যখন এটি বেশি পরিমাণে প্রোডিউজ
হয়ে আমাদের মুখে ছোপ ছোপ কালো রঙের দাগের সৃষ্টি করে তখন এটিকে মেস্তা বলে।
এটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই হতে পারে। তাই এই সমস্যা নিয়ে খুব একটা ঘাবড়ে না
গিয়ে ধৈর্য ধারণ করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। অথবা যদি আপনি ডাক্তারের
পরামর্শ গ্রহণ করতে না চান তাহলে নিম্নের দেখানো ক্রিমগুলো ব্যবহার করে দেখতে
পারেন। চলুন তাহলে চিরতরে মেছতা দূর করার জন্য কোন সকল ক্রিম ব্যবহার করবেন তার
নামগুলো জেনে নেই।
Betavet-N ক্রিমঃ চিরতরে মেছতা দূর করতে গেলে সবার প্রথমে ক্রিম ব্যবহারের
কথা উঠে আসলেই এই Betavet-N ক্রিমটির কথা সবার আগে উঠে আসবে। কারণ এটি হলো অনেক
কার্যকরী একটি ক্রিম। যাদের মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে মেছতার সমস্যা রয়েছে তারা
প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে এই Betavet-N ক্রিমটি ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল
পাবেন।
তবে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যে সকল ছেলে মেয়েদের বয়স ১৬ বছরের উপরে তাদেরকে
ব্যবহার করতে হবে। এর কম বয়সীদের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে ভালো
হওয়ার থেকে আরো অনেক বেশি খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
Mela care ক্রিমঃ চিরতরে মেছতার সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে সবথেকে
জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই ক্রিমটি। এটি একটি ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট। এই
প্রোডাক্টটি আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন মার্কেটে খুব সহজে পাওয়া যায়। তবে এই
ক্রিমটির দাম বর্তমানে তুলনামূলক একটু বেশি হয়েছে। তাই এর মূল্য ২৫০ টাকা থেকে
৩০০ টাকার মধ্যে নিতে পারে। অন্যান্য সকল ক্রিমের মতোই আপনি এই ক্রিমটি রাতে
ব্যবহার করতে পারবেন।
Hydroo 2% ক্রিমঃ চিরতরে মেছতার সমস্যা দূর করার জন্য আরো একটি কার্যকরী
ওষুধ হলো এই Hydroo 2% ক্রিমটি। তবে এই ক্রিমটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তারপর উনি যেই প্রেসক্রিপশন দিবেন সেই পে
প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ফার্মেসি থেকে এই ক্রিমটি কিনতে হবে। যখন থেকে আপনি এই
ক্রিমটি ব্যবহার শুরু করবেন সেই সময় থেকে ৫ অথবা ৭ দিনের মধ্যে আপনি অনেক ভালো
ফলাফল পাবেন।
উপরের উল্লেখিত এই সকল ক্রিম থেকে আপনি যেকোনো একটি ক্রিম ক্রয় করে নিয়ে আপনার
মেছতার দাগের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সবথেকে ভালো
ফলাফল পেতে হলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
মেছতা দূর করার ঔষধ
চিরতরে মেছতা সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে একটি উপায় হলো মেছতা দূর করার ঔষধ। আপনি
যদি মেস্তারে ক্রিম ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন তাহলে ম্যাচটা দূর করার
জন্য আপনি এর ঔষধ ব্যবহার করে নিতে পারেন। চলুন এই পর্বের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই
কোন কোন ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার শরীরের মেছতার সমস্যা দূর করবেন।
যদি আপনাকে মেছতার সমস্যা দূর করার জন্য ঔষধের কথা বলি তাহলে এক্ষেত্রে আপনার
উচিত হবে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা। কারণ এটি আমাদের মতে অনেক ভাল একটি পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া হীন পদ্ধতি। এই ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে যেমন আপনি ব্যবহার করতে পারেন
হলুদ, আলু, মধু, লেবু এবং অ্যালোভেরা এই সকল জাতীয় উপাদান।
এই সকল ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও যদি আপনি জানতে চান মেছতা দূর করার ঔষধ
এর নাম সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানাবো চলুন। তবে যখন আপনি এই ওষুধগুলো
ক্রয় করবেন আর যে দোকান থেকে কল করবেন তাদের সাথে কথা বলে তারপরে নেবেন। চিরতরে
মেছতার সমস্যা করার জন্য কিছু ঔষধের নাম নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- MELANYC Cream
- Hydroo 2% ক্রিম
- Hydroquinone Cream
- Betavet-N ক্রিম
- Mela care Cream
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তরঃ
মুখের কালো দাগের জন্য কি ক্রিম ব্যবহার করব?
আপনার মুখের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি একজন বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে। অথবা আপনি এই Betavet-N ক্রিমটি ব্যবহার করতে
পারেন। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার মুখে সকল প্রকার দাগ দূর হয়ে যাবে।
কালো দাগ দূর করার জন্য কোন ক্রিম ভালো?
আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে নিউট্রোজেনা র্যাপিড টোন মেরামত রেটিনল
+ ভিটামিন সি ডার্ক স্পট সংশোধনকারী ব্যবহার করে নিতে পারবেন। আর এটি হলো আমাদের
একটি শীর্ষ বাছাই করা পণ্য।
কালো ত্বকের জন্য কোন পামার ভালো?
কালো ত্বকের সমস্যার জন্য পামার স্কিন সাকসেস অ্যান্টি-ডার্ক স্পট ফেড ক্রিম এই
পামারটি অনেক ভালো হয়।
মেলানিক ক্রিম এর দাম কত?
এখন বর্তমান সময়ে মেলানিক ক্রিম এর দাম ৯৫০০ টাকা।
মেছতা দূর করার হোমিও ঔষধ
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় এর মধ্যে আরো একটি উপায় হলো মেছতা দূর করার হোমিও
ঔষধ ব্যাবহার। তবে এই সকল হোমিও ঔষধ গুলো রোগীর শরীরে মেছতার অবস্থা নির্বাচন করে
তারপরে তার ওপর নির্ধারণ করে এই সকল হোমিও ঔষধ গুলো দেওয়া হয়। তাহলে চলুন আপনার
যদি মেছতার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি কোন সকল হোমিও ঔষধ গুলো ব্যবহার করবেন
সেগুলো জেনে নেই।
চিরতরে মেছতা সমস্যা দূর করার উপায় এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হোমিও ঔষধ গুলো নিম্নে
তুলে ধরা হলো।
- Thuja (থুজা)
- Sulphur (সালফার)
- Arnica (আর্নিকা)
- Siphia (সিফিয়া)
- Arsenic (আর্সেনিক)
- Syphilinum (সিফিলিনাম)
- Lactis decoctum (ল্যাকেটিস ডিকোক্টাম)
- Berberis acopulium (বার্বারিস একোপুলিয়াম)
উপরের উল্লেখিত এই সকল হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলো ত্বকের চিরতরে মেছতার দাগের সমস্যা
দূর করার জন্য অনেক ভালোভাবে ব্যবহার করা হয়। এই সকল হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহারের
ফলে ত্বকের জ্বালা করা, বিশেষ ধরনের ব্রণ, চুলকানির সমস্যা, মেছতার দাগের
সমস্যাগুলোর খুব সহজেই সমাধান হয়ে যায়।
তবে এই সকল হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে
হবে। আর এই সকল নিয়ম গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন
- অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে যাওয়া যাবে না
- সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে
- অতিরিক্ত পরিমাণে মেকআপ করা যাবে না
- ত্বক নমনীয় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তরঃ
হোমিও ঔষধ কি ব্রণের জন্য ভালো?
আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যা সহজে মোকাবেলা করার জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো হবে
আপনার জন্য সর্বোত্তম। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরে হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলো ব্রণের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
হোমিওপ্যাথি করতে কতদিন লাগে?
সকল হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো যেহেতু এলোপ্যাথিক ঔষধ থেকে কাজ করতে বেশি সময় লাগে
তাই এই ওষুধের সঠিক ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ১৫ দিন এবং সর্বোচ্চ
কয়েক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে। অন্যের মানের নির্ধারণের ভিত্তিতে এই
সময় কম বেশি হয়ে থাকে।
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়
এলোভেরা ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে আপনার ত্বকের মেছতার সমস্যা দূর করে নিতে
পারবেন। তবে এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
কিভাবে এবং এলোভেরা আপনি কোন উপায়ে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের মেছতার সমস্যা দূর
করতে পারবেন সেই সম্পর্কে এখন জানাবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
চিরতরে মেছতা সমস্যা দূর করার উপায় হিসেবে এলোভেরা অনেক ভালো কাজ করে। এর জন্য
প্রথমে এলোভেরা অথবা ঘৃতকুমারীর পাতা থেকে প্রথমে আপনাকে জেল সংগ্রহ করে নিতে
হবে। তারপরে এই জেল আপনার হাতের আঙ্গুলের ডগার সাহায্যে ধীরে ধীরে ঘষে ঘষে আপনার
ত্বকে লাগাতে হবে। এই এলোভেরার জেলে রয়েছে আমাদের ত্বকের সকল ধরনের সমস্যা দূর
করার ক্ষমতা।
উপরের দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী হাতের আঙ্গুলের ডগার সাহায্যে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত
ব্যবহার করুন। তাহলে আশানুরূপ আপনি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়াও আপনি এই
অ্যালোভেরার জেলের সাথে ভিটামিন ই অথবা প্রিমরোজ অয়েল মেশিয়ে নিয়ে এক সপ্তাহ
পর্যন্ত লাগাতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
শেষ কথা - চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কিভাবে চিরতরে মেছতার সমস্যা দূর করবেন
তার ৭টি উপায় সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই
আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো তথ্যবহুল নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার
জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। আপনার বন্ধুদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করার মাধ্যমে
তাদেরকেও এই সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে
ধন্যবাদ।
Post a Comment