মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়মবাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন আমরা অনেকেই আছি যারা এই সম্পর্কে জানি না। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা এই বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন হাত পা কাপা কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এর পাশাপাশি কিভাবে এটি প্রতিকার করেবেন সেটি সম্পর্কেও জানাবো।
বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন
আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি পা কাপার কারণ কি, লেখার সময় হাত কাপে কেন, শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায়, হাত পা কাপার চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণত ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যা যদি ছোটবেলা থেকেই ভালোভাবে প্রকাশ পায় আর বোঝা যায় তাহলে সেটি অবশ্যই অনেক ভালো। কারণ তাহলে আপনি এই বিষয়ে সেই সময় থেকে সতর্ক হয়ে এর প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন। আর বাচ্চাদের হাত পা কাপা কাপির লক্ষণগুলো ছোটবেলা থেকেই অনেক ভালোভাবে বোঝা যায়। কোন লক্ষণগুলো আপনি বুঝতে পারলেই বুঝবেন হাত পা কাপছে চলুন এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করি।

শিশুদের পা কাপার যে লক্ষণগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান যেটি রয়েছে সেটি হলো পা যখন কাপে তখন শিশুরা অনেক করে কান্না করে। এই অবস্থাতে যখন শিশুরা ঘুমিয়ে থাকবে আর এই অবস্থাতে যদি তার পা কাপে তাহলে সে ঘুম থেকে বারবার জেগে উঠবে। আর যদি শিশুদের এমন কাপুনি রোগ থেকে থাকে তাহলে এমনিতেই তাদের পা নাড়াতে দেখা যায়।

এমন রোগে আক্রান্ত শিশু যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এজকন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তার প্রধান কারণ হলো এই পা কাপা আরো অন্য কোন বড় ধরণের রোগের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যাটি কোন সাধারণ সমস্যা নয়। এই অবস্থায় যদি সে অসুস্থ থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে হিপনিক জার্ক নামক এই সমস্যার ও সৃষ্টি হয়ে থাকে।

শিশুরা যখন মাতৃগর্ভে থাকে থাকে তখন যদি মা কোন প্রকার মানসিক চাপে থাকে তখন তার বাচ্চার ওপরও এই প্রভাব পরে। এটি সাধারণত কোন রোগ নয়। তবে এমন সমস্যায় হাত পা কাপলে বাচ্চারা ভয় পায়। আর তাই তারা অনেক বেশি কান্না করে। এছাড়াও শিশু জন্মগ্রহণের পরে যদি সে অনেক বেশি দুর্বল হয় তাহলে তার হাত পা কাপুনির মতো সমস্যার দেখা দিতে পারে।
যদি কোন নবজাতকের অল্প বয়স থেকে এমন কোন সমস্যার দেখা দেয় তাহলে খুব কম বয়স থেকেই চেষ্টা করতে হবে বিভিন্ন ধরণের ফিজিওথেরাপি দেওয়ার জন্য। এছাড়াও বাচ্চা যখন গর্ভাবস্থায় থাকবে তখন এই সমস্যা প্রতিরোধের জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড জাতীয় এই সকল পুষ্টি গ্রহন করতে হবে। ছোট থেকেই যদি বাচ্চার পায়ে এমন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে মালিশ করা অনেক জরুরি।

আর এই গুরুত্বপূর্ণ মালিশের কারণেই শিশুদের হাত পায়ের কম্পন একেবারেই সারিয়ে তোলা সম্ভব। তাই আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে শিশুটি যখন জন্মগ্রহণ করবে তারপরে থেকেই হাত পা মালিশ করতে হবে। এছাড়াও শিশুদের পা কাপার এমন ধরণের সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন শিশুকে হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যেতে পারে।

উপরে আমরা সকলেই কোন লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবো শিশুর হাত পা কাপার রোগ হয়েছে সেইস সম্পর্কে জেনেছি। এখন আসুন আমরা জেনে নেই কোন কারণে শিশুদের হাত পা কাঁপে।
  • যদি কোন কারণে শিশুটি ভয় পেয়ে থাকে তাহলে সেই জন্য শিশুর হাত পা কাপে। এছাড়াও আপনি একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন যে যদি কোন শিশু ভয় পায় তাহলে সেই শিশুর হাত পা কাপতে শুরু করে।
  • বাচ্চারা ভয় পাওয়ার কারণে তাদের হাত পা সবসময় কাপতে থাকে।
  • যদি কোন শিশু জন্মের পূর্বে তার মা কোন প্রকারের মানসিক চাপে থাকে তাহলে সেই প্রভাব শিশুর ওপরে পরার কারণে সেই শিশুর হাত পা কাপতে পারে।
  • শিশু বাচ্চা জন্ম যদি সেই বাচ্চা পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না পায় তাহলে তার জন্য শরীরে দূর্বলের কারণেও সেই বাচ্চার হাত পা কাপতে থাকে। আর এই রোগের জন্য ভালো করে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।
  • যদি শিশু জন্মের পরে কোন প্রকারের পায়ে সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও সেই কারণেও শিশুর হাত পা কাপতে থাকে।
  • সাধারণত দেখা যায় যদি কোন বাচ্চার শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম অথবা গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় তাহলে এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেক সময়ে বাচ্চার শরীরের মস্তিষ্কের জটিলতার জন্যেও হাত পা কাপার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
  • যদি দেখতে পান আপনার সন্তানের হাত পা কাপছে হটাৎ করেই, তাহলে সেই সময়ে তার হাতে পায়ে ভালো করে তেল মালিশ করুন। তাহলে এই চিকিৎসার জন্যেও তার হাত পা কাপা কমে যাবে।
  • এছাড়াও বাচ্চার হাত পা কাপা কমানোর জন্য নিয়মিত হালকা কুসুম গরম পানি পান করান। এবং কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যাবহার করে তাকে প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করান।
তাহলে আশা করছি আপনি বাচ্চাদের হাত-পা কাঁপে কেন সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি কখনো দেখতে পান আপনার বাচ্চার অতিরিক্ত পরিমাণে হাত পা কাপছে তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখান। তবে অনেকেরই এই সমস্যা ছোট বেলা থেকেই জন্মের পরে থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে এমনও প্রমাণ রয়েছে অনেকের ক্ষেত্রেও ছোটতে হাত পা কাপার সমস্যা থাকলেও বড় হওয়ার সাথে সাথে সেটি ঠিক হয়ে গিয়েছে।

তাই যদি আপনার বাচ্চার হাত পা কাপে তাহলে এই সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনই কারণ নেই। প্রাথমিক কিছু উপায় অবলম্বন করুন এবং একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

হাত পা কাপা কিসের লক্ষণ

বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন ? হাত পা কাপা কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন একটা জানি না। এই হাত-পা কাপা আমাদের অনেকের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে হয়ে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনার হাত পা যদি অতিরিক্ত কাপুনি দেয় তাহলে সেই বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আই সমস্যা যদি আপনার ক্ষেত্রে কিছুদিন ধরে ঘটে থাকে তাহলে সাধারণ বিষয় বলে ঘরে বসে থাকবেন না।
বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন
হ্যা বন্ধুগণ অকারণে হাত-পা কাপা কিন্তু মোটেও স্বাভাবিক বিষয় নয়। যদি আপনার বিনা কারণে হাত-পা কেপে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে এটি হতে পারে আপনার পারকিসন্স রোগের ইঙ্গিত বহন করে থাকে। এই পারকিসন্স রোগ নির্ণয় করার মতো কোন পরীক্ষা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নি। এই রোগটি নির্ণয় করা হয় রোগের পূর্বের ইতিহাস শুনে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি হাত পা কেপে থাকে অত্যাধিক পরিমাণে তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। কারণ এটি হতে পারে আপনার শিশুর অটিজমের লক্ষণ। আর এই রোগের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনেক সচেতন হওয়া উচিত। আর এই অটিজম রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের দেশে এই অটিজম নামক রোগের সচেতনতা নেই বললেই চলে। আবার যাই বা জানানো হয় তা বেশিরভাগই হলো ভুল তথ্য জানানো হয়। আজকে আমরা এখানেই কিছু অটিজম রোগের লক্ষণগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো। যাতে করে আপনারা জেনে উপকৃত হন। তার পাশাপাশি এটি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও হবে।

একটি শিশু জন্মগ্রহণ করার পরে থেকেই বোঝা যায় যে সে অটিজম সমস্যায় ভুগছে কিনা। যদি তাহকে তাহলে নিচের কিছু লক্ষঙুলোর মাধ্যমে তাদেরকে বিবেচনা করা যায়। যেমনঃ
  • সমবয়সী শিশুদের সাথে না মিশা। এর অর্থ হলো তার সমবয়সি শিশুদের সাথে না মিশে থেকে তার থেকে যারা ছোট রয়েছে তাদের থেকে বেশি মিশে চলা।
  • পুনরাবৃত্তিক মূলক আচরণ। যার অর্থ হলো একই আচরণ বারবার করা। আর এটাই হলো অটিজমের সবথেকে বড় লক্ষণ।
  • চোখে চোখ না রেখে কথা বলা। এটিও অটিজমের আরেকটি বড় লক্ষণ। এটাতে সে কোনভাবে তার সামনের মানুষের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে না। বরং তার থেকে মাথা নিচু করে কথা বলবে।
  • যখন কথা বলবে তখন কথাতে জড়তা এবং কথার ধৈর্য্য কম থাকে।
  • সামাজিকরণ অনুপস্থিক থাকে।
উপরের উল্লিখত এই সকল সমস্যাগুলি অটিজমের প্রধান কারণ। যদি এই সকল সমস্যা যদি কোন শিশুর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে সে অটিজমে আক্রান্ত। এই অবস্থায় তাকে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্গ গ্রহণ করতে হবে। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

শিশুর পা কাপার কারণ কি

বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন পা কাপার আসল কারণ কি এ সম্পর্কে আপনি হয়তো জানেন না। কিন্তু আপনার এই বিষয়ে আসলে জানা উচিত। তা না হলে আপনি সঠিক চিকিৎসা করাতে পারবেন না। যদি কারণই নির্ধারণ করতে না পারেন তাহলে সেই কারণে সমাধান করবেন কিভাবে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো হাত পা কাপার কারণ সম্পর্কে।

যদি আপনার পা অনিয়ন্ত্রিতভাবে নড়াচড়া করে তাহলে এটি হতে পারে অস্থির পায়ের সিনড্রোম হতে হাইপারথাইরয়েডিজম থেকে উদ্বেগ পর্যন্ত। আপনি যদি কোন উপকার অ্যালকোহল অথবা কোন উপকার উত্তেজক ঔষধ খান তাহলে সেই ওষুধের সাইড ইফেক্ট হিসেবে আপনার পা কাঁপতে পারে। যদি এমন সমস্যাটি দেখা যায় আপনার পা অতিরিক্ত ভাবে কাঁপছে তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে দেখা করতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে যদি আপনি সঠিক পরামর্শ গ্রহণ না করেন তাহলে পরবর্তীতে এই সমস্যা আরো জোরালো হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে পা কাপার বিষয়টি নিয়ে সচেতন হতে হবে। আশা করছি এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছি।

লেখার সময় হাত কাপে কেন

বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন? লেখার সময় হাত কাপা আমাদের বহুবিধ রোগের মধ্যে একটি। এটি হতে পারে আপনার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার জন্য অথবা উত্তেজনার জন্য অথবা কোন প্রকার ভয়ের কারণে। আবার এমনটি হতে পারে যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল অথবা এই জাতীয় পদার্থ কিংবা কফন করেন। আবার যদি আপনার শরীরে থাইরয়েড নামক হরমোনের আধিক্য বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে আপনার হাত কাঁপতে পারে।
লেখার সময় হাত কাপে কেন
এছাড়া যাদের ক্ষেত্রে হাঁপানি রয়েছে অথবা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সালবিউটামল ও থিওফাইলিন ওষুধ এবং ইনহেলার ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের খিঁচুনির ওষুধ এ এবং যারা মানসিক রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তাদের রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত লিথিয়াম ওষুধের কারণেও হাত কাঁপতে পারে। আবার মস্তিষ্কের সমস্যার ভেতরে এমন একটি রোগ রয়েছে সে লোকটির নাম হল পারকিনসন।

এই রোগে আক্রান্ত হয় যদি কোন ব্যক্তি তাহলে তার চলাফেরার সমস্যা সহ বিভিন্ন কাজকর্মের সময় হাত কাঁপতে পারে। এবং কাজের সময় তার জড়তা দেখা দেয়। আবার যদি আপনার মস্তিষ্কের সেরিবেলাম অংশের সমস্যা হয় তাহলে এ ক্ষেত্রেও হাত কাঁপতে পারে। আবার যদি আপনি অনেক দিন ধরে অ্যালকোহল অথবা এমন নেশা জাতীয় দ্রব্য আসক্ত থাকেন, আর তারপর যদি সেটি হঠাৎ করে ছেড়ে দেন তাহলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রি হিসেবে হাত কাঁপতে পারে।

যদি এমন দেখেন কোন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর হাত কাঁপা শুরু হয়েছে তাহলে তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তার রক্তে চিনির মাত্রা কমে গিয়েছে কিনা। যদি কমে গিয়ে থাকে তাহলে এমন সময়ে এক গ্লাস চিনির শরবত অথবা গ্লুকোজের দ্রবণ খেলে এই হাত কাঁপা ঠিক হয়ে যাবে। তাই হাত কাঁপার সমস্যা থেকে এড়িয়ে চলার জন্য কোন প্রকার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অথবা মাদকদ্রব্য এবং এলকোহল জাতীয় দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।

ঘুমের মধ্যে শরীর কাপে কেন

আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের জীবনযাত্রা চলাফেরার পথে দেখে থাকবো হাত অথবা পা অথবা শরীর কাঁপছে। আর এই সমস্যাটি কোন কোন সময় বাচ্চাদেরও হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি জানেন কি ঘুমের মধ্যে শরীর কাপে কেন? এই রোগটি আজকাল তাই অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। আর এই রোগটি সবথেকে বেশি দেখা দেয় যেদিন আপনি অত্যাধিক পরিমাণে পরিশ্রম করবেন কিন্তু যদি আপনার পর্যন্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তখনই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়।
  • যেহেতু আমরা কর্ম ব্যক্তি তাই আমাদের পরের দিন কাজে যেতে হবে, আর এই কাজে যাওয়ার জন্য মাথায় চিন্তা থাকার ফলে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে এনার্জি সঞ্চয় করা উচিত। আর এমন এনার্জি সঞ্জয় করার জন্য প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। তবে যদি ঘুমের মধ্যে আপনার শরীর কাঁপে তাহলে এটি খুবই অস্বস্তিকর একটা বিষয়। আর বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাটিকে বলা হয় হিপনিক জার্ক বা ঝাকুনির সমস্যা। এই সমস্যাটি আপনার শরীরে বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
  • আমাদের মস্তিষ্কে ভুল তথ্য সরবরাহ এর ফলে এমন সমস্যাটি হয়ে থাকে। মনে করুন আপনি ঘুমিয়ে আছেন। এমন সময় আপনার মস্তিষ্কে এমন একটি বার্তা পৌঁছালো যে আপনি পড়ে যাচ্ছেন। আর এ কারণে আপনি হুট করে ঘুম থেকে উঠলেন। এই সমস্যার জন্য আপনার হাত-পা ঝাঁকুনি দিয়ে উঠতে পারে।
  • রাতে ঘুমানোর পূর্বে অতিরিক্ত পরিমাণে টিভি অথবা মোবাইল পর্দার সামনে থাকার ফলে এমন সমস্যাটি দেখা যেতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় জানায় নার্কোলেস্পির সমস্যার কারণে রাতে ঘুমের মধ্যে এই সমস্যাটি দেখা দেয়।
  • ঘুমের মধ্যে আমাদের মন যদি শান্তনা থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় উত্তেজিত অবস্থায় থাকে তাহলেও এমন সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
  • স্ট্রেস থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন একজন ব্যক্তি যদি সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর তার শরীরের স্ট্রেস দূর না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায় তাহলে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।

শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায়

বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন আজকের এই পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায় সম্পর্কে। এই রোগ থেকে যদি আপনি মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রথমেই এই রোগ নির্ণয় করার কাজটি আপনাকে করতে হবে। কারণ এই সমস্যাটি আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে অন্য কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও। আপনাকে তাই নির্ণয় করতে হবে এই সমস্যাটি আপনার শরীরে দেখা দিয়েছে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে কিনা।
শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায়
যদি আপনার ঔষধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এমন সমস্যাটি দেখা দেয় তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে সেই ঔষধটি সেবন করা বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে সবার প্রথমে নিজেকে দুশ্চিন্ত মুক্ত রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে। আর এই সকল উপায় গুলোই হল আপনার শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায়।

হাত পা এবং মাথা কাঁপার সমস্যা কমানোর চিকিৎসার জন্য প্রোপানলল ঔষধটি ব্যবহার করা হয়। আর এটি এই রোগের জন্য অধিক কার্যকরী। এছাড়াও যদি আপনার এই সমস্যাটি হরমোনের রোগের কারণে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। আমরা ইতিপূর্বেই পারকিনসন্স রোগ সম্পর্কিত জানতে পেরেছি।

এই পারকিনসন্স রোগে যারা আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনাকে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে চিকিৎসার মাধ্যমে হাত-পা কাঁপা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তাই আপনার সমস্যা হলে আপনি যদি নির্ধারিত পরিমাণ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন তাহলে আপনার এমন সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

হাত পা কাপার চিকিৎসা

বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন? হাত পা কাপার চিকিৎসা আপনি যদি নিতে চান তাহলে সবার প্রথমে প্রয়োজন হবে এই রোগটি নির্ধারণ করা। কোন কারণে আপনার এমন সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে সেটি সবার আগে আপনাকে নির্ণয় করে খুঁজে বের করতে হবে। কেননা অনেক ধরনের ঔষধের সাইড ইফেক্ট এর কারণেও এই সমস্যাটি দেখা দেয়। যদি এমন সমস্যাটি হয়ে থাকে আপনার তাহলে সবার প্রথমে অবশ্যই আপনাকে সেই ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

তাহলে এই সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনাকে নিজের মন শান্ত রেখে দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। আপনি যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রতিদিন ৭ ঘন্টা থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমাতে হবে। আপনাকে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে। আর এটি হলো আপনার হাত-পা কাপার একটি অন্যতম চিকিৎসা।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে নির্ধারিত পরিমানে চিকিৎসা গ্রহণের ফলে এই সমস্যা থেকে অনেকেই মুক্তি পেয়েছে। আর এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি এক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের দেশের বর্তমান চিকিৎসা ডিবিএস নামক শাল্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এই পদ্ধতি হাত পা কাপার সমস্যার জন্য অনেক ভালো কার্যকরী। আশা করছি এই সম্পূর্ণ বিষয়ে আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

বাচ্চাদের হাত পা কাপা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ শিশু ঘুমের মধ্যে হাত কাঁপে কেন?
উত্তরঃ শিশু ঘুমের মধ্যে এই হাত কাঁপার সমস্যাকে বলা হয় মায়োক্লোনাস। এটির কারণেই মূলত শিশুর ঘুমের মধ্যে হাত কাঁপে।

প্রশ্নঃ হঠাৎ করে শরীর কাঁপে কেন?
উত্তরঃ রক্তচাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে দেহের অ্যাড্রিনালিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা হৃদস্পন্দনকে ত্বরান্বিত করে এবং পেশিতে কম্পন ও ঝাঁকুনি সৃষ্টি করে। আর এই কারণেই হঠাৎ করে শরীর কাঁপে।

প্রশ্নঃ কাঁপুনির সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?
উত্তরঃ কাঁপুনির সবচেয়ে ভালো ঔষধ হিসেবে এখন সবথেকে বেশি যেটি ব্যাবহৃত হচ্ছে সেটি হলো বিটা-অ্যাড্রেনার্জিক ব্লকার (বিটা ব্লকার)।

প্রশ্নঃ ঝাঁকুনি কি উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ?
উত্তরঃ হ্যা, ঝাকুনি হলো আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আরো সকল উপসর্গগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। না হলে আপনি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারবেন না।

প্রশ্নঃ হাত কাঁপা রোগের নাম কি?
উত্তরঃ বিশেষজ্ঞরা এই হাত কাঁপা রোগের নাম দিয়েছেন 'ট্রেমার' (Tremor)।

প্রশ্নঃ হাত কাঁপার সবচেয়ে বেশি কারণ কি?
উত্তরঃ হাত কাঁপার সবচেয়ে বেশি কারণ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

সবশেষ বক্তব্য। বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন

বাচ্চাদের হাত পা কাপে কেন এই বিষয়ে আপনাকে এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। এমন আরো নিত্যনতুন আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। আর হ্যাঁ যদি আর্টিকেলটি আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Post a Comment

Previous Post Next Post