অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়েপ্রিয় পাঠক, আজকে আমরা অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা সকলেই এখন প্রায় অবগত রয়েছি অনলাইন থেকে এখন ঘরে বসে থেকেই অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে আপনি কোন কোন কাজ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন সেই সম্পর্কে ২০ টির ও অধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে আজকে।
অনলাইন ইনকাম করার উপায়
আপনার কাছে যদি ইন্টারনেট কানেকশান থেকে থাকে আর আপনার যদি অনলাইনে কাজ করার অনেক আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই কিছু স্কিল শিখার মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে যেহেতু পৃথিবী ইন্টারনেট কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে, আর হাতের নাগালেই যখন ইন্টারনেট সেবা তখন আপনি এই ইন্টারনেটের ভালো ব্যাবহার করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজেই। এখন আমরা প্রায় সকলেই "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" এই ব্যাপারটার সাথে অনেক পরিচিত। তাই আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু স্কিল থাকতে হবে।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি কোন কোন কাজের বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। কোন কোন কাজ করে আপনি খুব সহজেই অনেক টাকা ঘরে বসে থেকেই ইনকাম করতে পারবেন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন বন্ধুগন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত কন্সেপ্ট এ যাওয়া যাক।

কিভাবে আপনি অনলাইনে ইনকাম করবেন?

বাংলাদেশের সকলের কাছে অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিষয়টি অনেক নতুন হিসেবে মনে হলেও এই কাজটি কিন্তু এখন থেকে অনেক আগে সারা পৃথিবীজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি আপনাদের একটি সত্য ধারণা দিতে যাই তাহলে ঘরে বসে থেকে স্বাধীনভাবে নিজের একটি স্বাধীন ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ খুব কম পরিমাণ পেশাতেই রয়েছে।

আরো একটি কথা আপনাদেরকে না বললেই নয় যে আপনি ঘরে বসে থেকে শুধু আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়েই আপনি নিজে থেকেই অনেক দক্ষ হয়ে যেতে পারবেন কাজের প্রতি। আর সঠিকভাবে আপনি যদি কাজের প্রতি দক্ষ হয়ে ওঠেন আর সঠিকভাবে নিয়মিত কাজ করতে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি কোন কাজই করেন না কেনো আপনার কাজের পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকাম করার মাধ্যমে খুব ভালো পরিমাণের ইনকাম করতে পারবেন। তার পাশাপাশি আপনি যদি শিক্ষার্থী হন তাহলে আপনি এই কাজের মাধ্যমে নিজের পড়ালেখার খরচটি নিজেই চালাতে পারবেন।

একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন কি আপনি তো সারাদিন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক এই সকল সোসাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করে থাকি। আর আপনি যদি এই সময়গুলো নষ্ট না করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনি অনেক ভালো পরিমাণের উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি যদি এখন এই কাজের মধ্যে ঢুকতে চান তাহলে তেমন কোন ইনভেস্ট ই প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট কানেকশান এর। যেটা আশা করছি এখন আপনি ব্যাবহার করছেন। আর এই ডিভাইস ব্যাবহার করেই নিজের একটি স্মার্ট ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। এখন অনলাইনে কোন কোন কাজ করবেন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো।

১। ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং থেকে আয় করা সবথেকে সহজ এবং অনেক পুরাতন কার্যকরি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আপনি যদি কাজ করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রতি মাসে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্লগিং এর কাজটি হলো একটি ডিজিটালি নিউজ পেপার তৈরির একটি কাজ। তাহলে আশা করছি বুঝতে পারছেন এটি হলো লেখা লেখি করার কাজ।

লেখালেখি করার প্রতি যদি আপনার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আশা করছি আপনি এই সেক্টরটি থেকে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম জেনারেট করতে সক্ষম হবেন। আপনার যেই যেই বিষয়ে অনেক পরিমাণে আগ্রহ রয়েছে, কিছু পরিমাণে জ্ঞান অথবা অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বিষয় নিয়েই আপনি চাইলে ব্লগিং করতে পারেন।

তাই আপনি যদি কোন বিষয়ে কিছুটা পরিমাণে পারদর্শি থেকে থাকেন তাহলে সেই "নিশটি" সিলেক্ট করে নিয়েই কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এখানে নিশ হলো কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়। যেমন আপনার যদি খেলাধুলা ভালোবাসেন তাহলে সেটিই হলো আপনার নিশ। আবার যদি আপনি কবিতা অথবা ব্যাবসা নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে সেটিই হলো আপনার নিশ।

এতো সকল বিষয় জানার পরে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আপনি কোথায় তাহলে এই বিষয় নিয়ে কাজ করবেন। কোথাই এই বিষয় নিয়ে লিখা লেখি নিয়ে আয় করবেন। এই বিষয়ে যদি বলতে যাই তাহলে এই ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হয় আপনি যদি নিজেই একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিয়ে কাজ করেন।

আপনি খুব সহজেই অনলাইন ব্যাবহার করে ফ্রীতেই একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। তবে একটি কথা না বললেই নয় বর্তমান সময়ে ফ্রী সাইটগুলোকে মানুষ অনেক কম পরিমাণে বিশ্বাস করে। তাই আমাদের সাজেশন থাকবে আপনি যদি একটি ডটকম ডোমেন এবং এক জিবির একটি হোস্টিং কিনে নিয়ে একটি একটি ব্লগ সাইট দার করান। আর যদি থিমের কথা বলি তাহলে আপনি অনলাইনে অনেক ফ্রী থিম পেয়ে যাবেন।

সেইখান থেকে আপনি থিম নিয়ে ব্যাবহার করতে পারবেন। এইভাবে যদি আপনি সামান্য কিছু পরিমাণে টাকা খরচ করে একটি ব্লগ সাইট দার করান তাহলে আপনার ব্রান্ডিং টা অনেক ভালো হবে। আর যার ক্ষেত্রে আপনার অনেক ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম হবে। যদি আপনার ওয়েব সাইটটি অনেক ভালো পরিমাণে র‍্যাংক করে যায় তাহলে সেই ওয়েবসাইটটি আপনি লাক্ষ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারবেন।

এই কাজটি আপনি মোবাইল থেকে অথবা কম্পিউটার ব্যাবহার করে খুব সহজেই করতে পারবেন। তাই আপনারা যারা মোবাইল থেকে ইনকাম করতে চান তাদের জন্যও এটি অনেক ভালো একটি সুযোগ। এর পাশাপাশি আপনার যদি কিছুটা ডিজিটাল মার্কেটিং এ ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই অনেক ভালো পরিমাণে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে।

২। ফ্রিলান্সিং করে আয়

বর্তমান সময়ে সকলেই সবথেকে যেই পদ্ধতিতে বেশি পরিমাণে ইনকাম করছে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। ফ্রিলান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা। এইখানে আপনার কাজের জন্য কেউ কোন প্রেসার দিবে না। আপনি যদি কোন কম্পানিতে কাজ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার কাজের কোন ভুল হয় তাহলে আপনার বসকে তার জন্য জবাবদিহিতা করতে হয়।

আর এই পেশায় যদি আপনি নিযুক্ত হন তাহলে আপনার কাজের ক্ষেত্রে কোন বস থাকবে না। আপনি নিজেই হবেন নিজের বস। আপনি যেই টাকা ইনকাম করবেন সবগুলো টাকাই আপনার। আপনার এই কাজের টাকার ভাগ কাউকেই দিতে হবে না। আপনি যদি প্রতিদিন সঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে লাক্ষ টাকা বা তার ওপরেও অনকাম করতে পারবেন।

আপনারা সকলেই অবগত রয়েছেন বাংলাদেশে বেকারত্ত্বের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর এই সমস্যার সমাধানে এই খাতটি অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করছে। আর তাছাড়াও এখন অনেক দক্ষ মানুষজনই এই পেশায় নিযুক্ত হচ্ছেন। আর তারা আমাদের এই দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছেন। পুরো পৃথিবীর কাছে আমাদের দেশকে অনেকভালো ভাবে তুলে ধরছে।

আসলে পৃথিবীর অনেক মানুষজনই জানেন না যে বাংলাদেশ নামে কোন একটি দেশ বিশ্বের মানচিত্রে রয়েছে। এই সকল মানুষজনের কাছে বর্তমানে বাংলাদেশের সকল ফ্রিল্যান্সারগণ বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরছেন। আর যার কারণে পূরো বিশ্বের ভেতরে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তার পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল ফ্রিল্যান্সারগণ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের রেমিটেন্স নিয়ে আসতেছে।

তাই আপনি যদি এই পেশায় নিযুক্ত হন তাহলে তো আপনি অনেক টাকা যায় করতে পারবেনই তার পাশাপাশি দেশের গৌরবেরও অংশীদার হয়ে যেতে পারবেন। এতক্ষণ আমরা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং এর পেশা সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানবো কিভাবে আপনি এই কাজ শুরু করবেন। তাহলে চলুন এখন আমরা এই সম্পর্কে জেনে নেই।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে বলতে বোঝায় আপনি এমন একটি কাজ জানেন যেটা অন্য জন জানেন না। তাই তিনি সেই কাজ আপনার কাছে থেকে করিয়ে নিতে চান। আর তাই আপনার সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে কিছু পরিমাণে পারিশ্রমিক নিয়ে তাদের কাছে সেই সার্ভিসটি আপনি বিক্রি করবেন।

এই কাজটি করার জন্য সবার প্রথমে আপনার যেটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো আপনার দক্ষতা। বর্তমানে এখন মার্কেটপ্লেসে যেই সকল কাজের চাহিদা রয়েছে সেই সকল কাজের দক্ষতা অর্জন করবেন প্রথমে। সেই সকল কাজগুলো হলো
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
  • ফটো এডিটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • ওয়েব ডিজাইনিং
  • ওয়েব সাইট মেকিং
  • টি শার্ট ডিজানিং
  • কপি রাইটিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • লোগো ডিজাইন ইত্যাদি।
এই সকল কাজের দক্ষতা অর্জন করার পরেই আপনাকে প্রথমে যেতে যেই জায়গাতে এই সকল কাজগুলো নেওয়ার জন্য মানুষজন আসে। সেই সকল মার্কেটপ্লেসে গিয়ে একাউন্ট করে নিয়ে সেখানে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। তারপরে যাদের আপনার সার্ভিসটি প্রয়োজন হবে তারা আপনার কাছে থেকে সেই সার্ভিসটি ক্রয় করবে। মার্কেটপ্লেসগুলির নাম হলো
  • Freelancer
  • Upwork
  • Fiver
  • Truelancer
  • PeoplePerHour
উপরে উল্লিখিত এই সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে প্রথমে একটি একাউন্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপরে আপনি সেখানের কাজের জন্য আবেদন করবেন। এরপরে যাদের প্রয়োজন হবে আপনার সার্ভিসের তারা এসে আপনাকে নক করে সার্ভিসটি নিবে।

৩। ইউটিউবিং করে আয়

বর্তমানে আমরা সকলে জানি জনপ্রিয় একটি সাইট। যেখানে অনেকেই অনেক ইউটিউব ভিডিও আপলোড করে। বাংলাদেশের এমন অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছেন। জিনাদের প্রতি মাসে ইনকাম প্রায় 40 লক্ষ থেকে 50 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনিও যদি চান তাহলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে আপনার ইনকামের যাত্রা শুরু করতে পারেন।

আপনি যদি এই ভিডিও বানাতে চান তাহলে আপনার কোন ভালো ক্যামেরা দরকার হবে না। আপনি শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও বিভিন্নভাবে এডিটিং করে আপলোড করতে পারেন। আপনি যদি বাংলাদেশের বড় বড় ইউটিউবারদের দিকে নজর দেন তাহলে তো এনারা দেখবেন প্রথমে ছোট গেজেট দিয়ে শুরু করছিল।

পরে যখন তারা আস্তে আস্তে সফল হওয়া শুরু করে তখন তারা ভালো মানের ক্যামেরা এবং বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করেন। যদি আপনার ক্যামেরা কোয়ালিটি কন্টেন্ট কোয়ালিটি অনেক ভালো থাকে। আর আপনার যদি প্রতিদিনের প্রয়োজন ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অনেক তাড়াতাড়ি আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করতে পারবেন। আর একবার চ্যানেল মনিটাইজ হয়ে গেলে আপনি লাইফ টাইম এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এ বিষয়ে আপনাদেরকে একটি ছোট টিপস জানাই, আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে youtube এ কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভিডিও এডিটিং এর উপর অনেক ভালোভাবে নজর দিতে হবে। এরপরে যদি আপনার সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে যায় আর যদি সেখানে উল্লেখিত ভিউ টাইম পূরণ হয়ে যায় তাহলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর দেওয়ার মাধ্যমে সেই সকল কোম্পানি থেকে কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। এখন অনেক কোম্পানি রয়েছে তাদের কোম্পানির নামে আপনাকে স্পন্সর ভিডিও তৈরি করতে বলে। এই স্পন্সর ভিডিও বানানোর মাধ্যমে আপনি তাদের কাছ থেকে হিউজ পরিমাণ ইনকাম করে নিতে পারবেন।

৪। ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম

ভিডিও দেখে ইনকাম করা যায় এই বিষয়ে আপনারা হয়তো অনেকেই অবগত নন। কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন অনলাইনে বর্তমান এখন এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে থেকে আপনি ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করে নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে এখানে মনে রাখতে হবে যে, অনলাইনে ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করা যায় এমন অনেক ভোয়া বা ইসলাম সাইডে রয়েছে।

যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখিয়ে নিয়ে তাদের টার্গেট পূরণ করে নেবে কিন্তু পরবর্তীতে আপনাকে পেমেন্ট নাও করতে পারে। এই সকল প্রতারণার হাতে পড়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সকল বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণত এই সকল ইসলাম করা ওয়েবসাইট গুলো চাইবে আপনাকে ভালো মানের একটা এড দেখিয়ে নিয়ে আপনাকে তাদের ফাঁদে পা দেওয়ার জন্য।

তবে এখানে একটি কথা আপনাদের না জানালেই নয় অনলাইনে এখন পর্যন্ত এমন কোন ওয়েবসাইট আসেনি যেখান থেকে ভিডিও দেখে অনেক বেশি পরিমাণে পেমেন্ট করবে। যখন আপনার সামনে দেখতে পাবেন কোন কোম্পানি এসে আপনাকে অতিরিক্ত মাত্রায় পেমেন্ট করার কথা বলছে তখন বুঝে নেবেন এই কোম্পানিটি আসলে একটি ভুয়া কোম্পানি। তারা আপনাকে তাদের ফাঁদে পা দেওয়ার চেষ্টা করাচ্ছে। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

৫। ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়

আপনারা হয়তো ইতিপূর্বে জেনে গেছেন আপনার কাছে যদি একটি ভালো মনের ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটের দাম বর্তমানে লাখ টাকার উপরে। আপনি যদি চান তাহলে এমন একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। আর সেই ওয়েবসাইটটি সজল করে রেঙ্কে নিয়ে এসে সেই ওয়েবসাইটটি ভালো দামে আপনার বায়ারদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইট বানানো আর একটি ফেসবুক একাউন্ট খোলা প্রায় একই কথা। কারণ এই কাজটি খুব সহজে করা যায়। যে কেউ যদি চায় তাহলে একটি ওয়েবসাইট বসে থেকে নিমিষেই বানিয়ে ফেলতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, যে ওয়েবসাইট গুলো আপনি খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারবেন সে ওয়েবসাইটের দাম তেমন একটা থাকে না।

তবে একটি বিষয় অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ওয়েবসাইট যত সহজেই বানান না কেন সে ওয়েবসাইটে যদি পরিমিত পরিমানে ট্রাফিক থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই ক্ষেত্রে আপনি অনেক ভালো পরিমাণের দাম পাবেন। আর যে ওয়েবসাইটগুলো অনেক ভালো পরিমাণে বাজারে বিক্রি হয় সেই ওয়েবসাইট গুলো বাড়ানোর জন্য প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার দরকার হয়। তারাই মূলত সেই ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করে থাকে।

আপনি যদি একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার হন অথবা আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। তারপরে সে ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে সজল করে নিয়ে খুব ভালো দামে মার্কেটপ্লেস এ বিক্রি করে দিতে পারবেন।

আপনার যদি অনেক ভালো পরিমাণে ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি কোন প্রকার কোর্স না করেই অনলাইন থেকে ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে ফ্রিতে শিখে নিতে পারেন। আবার আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি যে কোন ওয়েব ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে যান তখন চারিদিক থেকে আপনার ক্লায়েন্ট আসা শুরু করবে।

তখন আপনি চাইলে প্রতি ৭ দিনে একটি করে ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়ে সেটি অনেক ভালো পরিমাণে টাকা বিক্রি করে দিতে পারবেন। তার পাশাপাশি আপনি যদি অনেক দক্ষ হন তাহলে আপনি অন্য কারো ওয়েবসাইটে বানিয়ে দিতে পারবেন। এর জন্য আপনি অবশ্যই আপনার পারিশ্রমিকের অর্থ নিয়ে নেবেন।

৬। ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

ড্রপশিপিং এখন অনলাইন ব্যবসার জগতে একটি অনেক সহজ কাজ যে কাজটি থেকে আপনি অনেক টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই এই ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে কিভাবে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ধরুন আপনার এলাকায় এমন একজন ব্যক্তি রয়েছে যিনি এক ধরনের পণ্য তৈরি করে সেই পণ্যটি বাজারে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এখন আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারলেন সেই পণ্যটির দাম শহরের বাজারে অথবা বড় বড় কোন মার্কেটপ্লেসে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। তখন আপনি কি করলেন এই পণ্যটি যার তাকে বললেন ভাই আমি আপনার কাছে থেকে এই পণ্যটি ১৫০০ টাকায় ক্রয় করতে ইচ্ছুক।

তখন আপনার এই ১৫০০ টাকার পণ্য আপনি অনেকগুলো কিনে নিয়ে অনলাইনের এমন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে পণ্যটি 3000 টাকায় বিক্রি হচ্ছে আপনি সেখানে গিয়ে বিজ্ঞাপন দিলেন। আর সেখানে উল্লেখ করলেন এই পণ্যটির দাম আপনি মাত্র ২৮০০ টাকায় বিক্রি করবেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার পণ্যটি কিনে নিয়ে অন্য জনের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভ হচ্ছে একটি পণ্যের জন্য ১৩০০ টাকা।

আর এই ব্যবসাটিকে মূলত ড্রপ শিপিং ব্যবসা বলা হয়। এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন যদি ১০০ টি করে অথবা তারও কম পরিমাণে পণ্যটি বিক্রি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই প্রতি মাসে আপনার অনেক ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম হবে। আশা করছি আপনাদের এখন এই বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার করতে পেরেছি। এরপরও যদি প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে মন্তব্য করার মাধ্যমে জানাবেন।

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

বর্তমান সময়ে মার্কেটিং জগতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনেক লোক অনেক টাকা ইনকাম করছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশেও এই আপেলের মার্কেটের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কাজটি অনেক সহযোগী করা যায়। তবে এই বিষয়ে অনেকের কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। তাই এই কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে না। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই এফিলিয়েট মার্কেটিং কি আর এই কাজটি কিভাবে করা হয়।

আমরা সকলেই জানি বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বে হাজার হাজার কি কমার্স বিজনেস সাইট রয়েছে। এদের মধ্যে আবার এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যিনারা সারা বিশ্বেই পণ্য ডেলিভারি করে থাকে। আপনি যদি এই সকল ই-কমার্স এর বিজনেস সাইটে ঢুকেন তাহলে সেখানে দেখতে পারবেন প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের একটি অ্যাফিলিয়েট নামে সেকশন রয়েছে।

আপনি প্রথমে সেখানে গিয়ে একটি অ্যাফিলিয়েটের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলবেন। একাউন্ট খোলার পরে প্রথমে আপনার কাজ হবে একটি গ্রুপ তৈরি করা যেখানে আপনার অনেক বন্ধু-বান্ধব থাকবে। আর এরকম গ্রুপ সচরাচর সকলেরই রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এখন আপনার কাজ হবে কোম্পানি আপনাকে যে পণ্যটি বিক্রির জন্য লিঙ্ক দিবে সে পণ্যটির লিঙ্ক নিয়ে অন্য সকলের কাছে আপনাকে গিয়ে মার্কেটিং করতে হবে।

আপনার লিঙ্কে থেকে ক্লিক করে যদি কেউ সেই পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য পণ্যের দাম আলাদা করে বৃদ্ধি করা হবে না। পণ্যটির আসল যে দাম থাকবে সেই দামেই মানুষজন ক্রয় করতে পারবে আপনার পাঠানোর লিংক থেকে। তবে আপনি যদি এই সকল কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েড মার্কেটিং কাজের পাশাপাশি সামান্য পরিমাণে হলেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধারণা থাকতে হবে।

হবে আর আপনি এভাবে প্রায় ভালো পরিবারে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি একটি ভাল কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। আবার আপনি এই সকল পণ্যের লিংক সকলকে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানোর মাধ্যমে পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন। এটাকে বলা হয় ইমেইল মার্কেটিং। এজন্য অবশ্যই আপনাকে একটি ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে হবে।

৮। ছবি বিক্রি (Sell Photos Online) করে আয়

বর্ধমান জেনারেশনের সকলের দিকে যদি তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে সকলের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। তেমনি আপনার হাতেও রয়েছে। আবার এমন অনেক রয়েছেন জিনাদের কাছে অনেক ভালো পরিমাণে ক্যামেরা রয়েছে। আপনি যদি চান তাহলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে নিয়ে সেই ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে হ্যাঁ এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মানুষজনকে আকর্ষণ করে এমন ছবি তুলতে হবে। এই কাজটি আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা করতে পারবেন আবার আপনার কাছে যদি ভালো মানের ক্যামেরা থাকে তাহলে সেটি ব্যবহার করে করতে পারবেন। ছবি যখন তোলা হয়ে যাবে তারপর আপনি যদি চান তাহলে এই ছবি এডিট করে আরো আকর্ষণীয় করে অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে প্রতিটি ছবির জন্য আপনি সর্বনিম্ন ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি যদি সামান্য পরিমাণে এডিটিং জানেন তাহলে এই ছবিগুলো এডিটিং করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমন
  • Shutterstock
  • 500px
  • Envato ইত্যাদি
ওপরে উল্লিখিত এই সকল ওয়েবসাইট গুলো ছবি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয়। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার হাতের তোলা ছবি বিক্রি করতে পারবেন।

৯।ফেসবুক থেকে অনলাইন ইনকাম

এখন যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাদের সকলের একটি করে ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে। আর এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য আমরা সকলে সচরাচর দূরে শব্দের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সেগুলো হল
  • সরাসরি ফেসবুক থেকে আয়
  • ফেসবুকের মাধ্যমে হয়
যখন কোন ব্যক্তি ফেসবুক তার ব্যবহারকারীকে অর্ধ উপার্জন করার জন্য সুযোগ করে দেয় অথবা একটা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থেকে আয় করার জন্য সুযোগ করে দেয় তখন তাকে ফেসবুক থেকে সরাসরি বলা হয়। আর ফেসবুকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে ফেসবুক যখন একজন মানুষকে হায় করার সুযোগ দেওয়া তখন তাকে বলে ফেসবুকের মাধ্যমে।

ফেসবুকের সব থেকে জনপ্রিয় তিনটি ফিচার রয়েছে। এই তিনটি ফিচার ব্যবহার করার মাধ্যমে একজন মানুষ বাড়িতে বসে থেকে প্রতিমাসের লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবে। আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন যে সামাজিক মিডিয়াতে ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করা অনেক সহজ। ফেসবুকের আয়ের প্রথম বিচার হলো ইন-স্ট্রীম এড। এটি হল একটি বিজ্ঞাপন ভিত্তিক ইনকাম।

এই ইনকাম টি অনেকটা গুগল এডসেন্স এর মত অথবা ইউটিউবের এড সেন্সের মাত। আপনি যখন ফেসবুকে ভিডিও দেখছেন তখন হয়তো আপনি অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকবেন যে আপনার ভিডিওর মাঝখানে অথবা ভিডিওর শেষে একটি করে অ্যাড দেখানো হয়। আর এই এড কি বলা হয় ইন-স্ট্রীম বিজ্ঞাপন।

এছাড়াও আপনি ফেসবুকে ইউটিউবে মতো পেজ খুলে নিয়ে সেখানে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে চ্যানেলের মনিটাইজেশন করিয়ে নিয়ে সেখান থেকে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। youtube এ যেটা খোলা হয় সেটা হল চ্যানেল। আর ফেসবুকে যেটা খোলা হয় সেটা হল পেজ। দুটোর কাজ প্রায় সমান সমান একই।

১০। ইন্সটাগ্রাম থেকে অনলাইন ইনকাম

ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম অনেক জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া। যার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে ইনস্টাগ্রাম সকলকে রেল আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখানেও আপনি youtube এর মত চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে পারবেন। আর চ্যানেল মনিটাইজেশন হয়ে গেলে সেখানে থেকে আপনি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

তবে এখানে আপনার অনেক ফলোয়ার লাগবে। এখানে যদি আপনার ফলোয়ার ১০ হাজার এর বেশি হয় তাহলে আপনি বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সাথে চুক্তি করে নিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এখান থেকে আপনি প্রতি বছর ৫০০০ ডলার থেকে ছয় হাজার ডলার পর্যন্ত মাথা ব্যাথা আরো অধিক ইনকাম করতে পারবেন।

১১। ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকাম

ডাটা এন্ট্রি হলো মূলত একটি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ। এই কাজগুলো বাইরের দেশের মানুষদের কাছ থেকে নিতে হয়। তারা প্রতিটি অর্ডারের জন্য সর্বনিম্ন ২৫ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করে। শুরুর দিকে সকলে এই ডাটা এন্টি কাজ করত। বর্তমান সময়ে এই কাজটিও একটি সহজ একটি কাজ। এই বিষয়ে আপনি ইউটিউবে শত শত ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনি খুব সহজেই এই কাজটি শিখে নিতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো সাধারণত বড় বড় কোম্পানি দিয়ে থাকে। আর এই কাজগুলো খুব কম পরিমাণ খরচে দ্বারা করিয়ে নিতে পারে আমাদের মত ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে। ডাটা এন্ট্রি কাজের আবার বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। কাজের এই সকল ধরনের উল্লেখ করা হলো। ডাটা এন্ট্রি কাজের ধরন গুলো হল
  • ওয়ার্ড প্রসেসিং
  • ডাটা ক্লিনিং
  • ডাটা মাইনিং
  • ক্যাটালগ ডাটা
  • মেডিকেল কোডিং
  • ফরম পূরণ
  • কপি পেস্ট এর কাজ
  • মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং
  • ইমেজ থেকে টেক্সটে কনভার্ট
  • ইমেজ থেকে পিডিএফ
  • ডাটাবেস আপডেট
  • অডিও থেকে টেক্সট

১২। ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইন ইনকাম

শুধুমাত্র ডোমেইন ট্রেডিং করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ডোমেইন ট্রেডিং সম্পর্কে। বর্তমানে বাজারে কোন ডোমেইনের চাহিদা আছে আর ভবিষ্যতে কোন ধরণের ডোমেইন এর চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে সেই সম্পর্কে আপনাকে আগে ভালো করা খুজে বের করতে হবে।

এইক্ষেত্রে আপনাকে NameBio ওয়েবসাইটটি অনেক সাহায্য করবে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি যদি প্রবেশ করেন তাহলে সেখানে কি দেখতে পারবেন বর্তমানে কোন ডোমেনের দাম কেমন। আপনি সেটা বলেন ক্রয় করার পরে সে ডোমেটি ব্যবহার করবেন না ফেলে রাখবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর।

আপনি এই ডোমেইন টি যদি ব্যবহার ও করেন অথবা যদি ফেলেও রাখেন তাও ভবিষ্যতের টোয়েন্টি রিসেলিং করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ফেলবে না। তবে আপনি যদি চান এই ডোমেইন এর ব্যাকলিংকের পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন তাহলে অবশ্যই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে এই ডোমেইন ব্যাবহার করা।

আপনি যে শুধুমাত্র ফেসবুকেই ডোমেইন কেনা বেচা করতে পারবেন এমন নয়। এছাড়াও অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেটি ব্যাবহার করে আপনি আপনার স্টককৃত ডোমেইন বিক্রি করতে পারবেন। যেমন Sedo, Flippa এছাড়াও আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেটি আপনি ডোমেইন বিক্রি করতে চান তাহলে সেগুলো ব্যাবহার করতে পারেন।

ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা অনেক সুবিধা জনক এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হবে। আপনাকে বাজারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও নজর রাখতে হবে। সকল কিছু বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। শুধুমাত্র একটি ডোমেইন যদি আপনি ট্রেডিং করেন তাহলে সেটি ব্যবহার করে আপনি হাজার হাজার ডলার উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ অনলাইনে কাজ শিখবো কিভাবে?
উত্তরঃ আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন বিষয়ের ভালো ভালো ভিডিও পেয়ে যাবেন সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের কাজ শিখে নিতে পারবেন।

প্রশ্নঃ Upwork কি ছাত্রদের জন্য ভালো?
উত্তরঃ বর্তমান সময়ে Upwork ও অনেক ভালো। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই অনেক ক্লায়েন্ট পেয়ে যাবেন।

প্রশ্নঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি?
উত্তরঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। সেগুলো হলো
  • ব্লগিং করে আয়
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার মাধ্যমে আয়
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • আর্টিকেল রাইটার
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইউটিউব ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ 16 বছর বয়সে কি আপওয়ার্কে কাজ করা যায়?
উত্তরঃ না। একজন ব্যাক্তির আপওয়ার্কে কাজ করার জন্য নূন্যতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি আপনি ১০ টির ও অধিক অনলাইন থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই সম্পর্কে পরবর্তি আপডেট পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post