কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিকপ্রিয় পাঠক, খেজুরের গুড়ের দাম সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। অথবা আপনি কি
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহি। তাহলে আপনি একদম সঠিক
জায়গাতেই রয়েছেন। এই পোস্টটি পড়লে আপনি খেজুরের গুড়ের দাম এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন।
শীতকালিন মৌসুমে আমাদের সকলেরই অনেক পছন্দের খাবার হলো খেজুরের গুড়। এই গুড়
ব্যাবহার করার মাধ্যমে আমরা অনেক ধরণের পিঠা পুলি খেয়ে থাকি। আজকে আপনারা এই
গুড়ের সঠিক দাম সম্পর্কে জানতে চলেছেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ খেজুরের গুড়ের দাম ২০২৪ - খেজুরের গুড়ের উপকারিতা
ভূমিকা। খেজুরের গুড়ের দাম ২০২৪ - খেজুরের গুড়ের উপকারিতা
শীতের দিনে আমাদের সকলেরই পছন্দের একটি খাবার হল খেজুরের গুড়। আর এই গুড় আমরা
বিভিন্ন পিঠা পুলি তৈরিতে ব্যবহার করে থাকি। আর এখানে যদি আসল খাঁটি গুড় ছাড়া
ভেজাল গুড় দিয়ে পিঠা বানানো হয় তাহলে সেই পিঠার আসল স্বাদ উপভোগ করা যায় না।
আবার অনেকে বাজারে গিয়ে খেজুরের গুড় কেনার সময় দাম সম্পর্কে প্রতারিত হয়ে
থাকেন।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি
ঝোলা গুড় কি, খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায়, খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান,
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা সহ আরো অনেক ভিবিন্ন ধরণের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেওয়া যাক।
খেজুরের গুড়ের দাম ২০২৪
শীতের মৌসুমে আমাদের সকলের পছন্দের একটি খাবার হল খেজুরের রস। আর এই খেজুরের রস কে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে খেজুরের গুড়ের রূপ দেওয়া হয়। আর এই খেজুরের গুড় আমরা গ্রামাঞ্চলে অথবা শহর অঞ্চলে সব জায়গাতে পেয়ে থাকি। এই খেজুরের গুড় আমরা বিভিন্ন পিঠা পুলিতে ব্যবহার করে পিঠা পুলি তৈরি করে থাকি।
অনেক সময় আমরা বাজারে গিয়ে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হই এই খেজুরের গুড় কেনার সময়। কারণ আমরা যদি একটা নতুন লোক বাজারে গিয়ে থাকে খেজুরের গুড় কেনার জন্য তাহলে আমরা অনেক সময় বিপাকে পড়ি এই খেজুরের গুড়ের আসল দাম না জানার জন্য। আবার দাম একটু বেশি দিয়ে কিনলো আমরা সঠিক আসল খাঁটি গুড় পাই না। তাই এ সম্পর্কে আপনাদেরকে এখন আমরা বিস্তারিত জানাতে চলেছি।
বর্তমান বাজারে খেজুরের গুড়ের দাম ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। তবে আপনি যদি আসল খাঁটি গুড় নিতে চান তাহলে অবশ্যই বুঝে শুনে তারপরে ক্রয় করা উচিত হবে। আমাদের খেজুরের গুড় ক্রয় করার সময়ে এমন গুড় নির্বাচন করতে হবে যেই গুড় একজনের বাড়িতে নিজে হাতে তৈরি করা।। একটু পরে আপনারা কিভাবে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয় তার সকল ছবি দেখতে পাবেন।
ঝোলা গুড় কি
শীতের সকালের খেজুর গাছের থেকে নির্গত যে রস পাওয়া যায় এই রস থেকেই তৈরি হয়
খেজুরের গুড়। এই খেজুরের রস সংগ্রহ থেকে গুড় তৈরি করা শুরু হয় অঘ্রান মাসে
থেকে। আর শেষ হয়ে থাকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। প্রতিদিন রাতে খেজুর গাছের মাথা
কেটে সেখানে একটি হাড়ি ঝুলিয়ে রাখা হয় রস সংগ্রহের জন্য।
এই সারারাতের নিগ্রোত খেজুরের রস পরের দিন সকালে সংগ্রহ করা হয় খেজুরের গাছ
থেকে। এই রস সংগ্রহ করার পরে ভালো করে সুন্দর মত ছেকে নেওয়া হয় একটি অনেক সূক্ষ
পাতলা ছাকুনি দ্বারা। যাতে করে সেই রসের ভেতরে কোন প্রকার ময়লা না থাকে। এরপরে
এই রস হাড়িতে করে জাল করা হয়। তারপর এই রস আস্তে আস্তে লাল বর্ণ ধারণ করে
গুড়ের আকৃতিতে পরিণত হয়।
এই রস যখন লাল বর্ণ হয়ে ঘুরে রাখলে পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন হালকা অবস্থায় এটিকে
ঝোলা গুড় বলা হয়। আর এই ঝোলা গুড় ভালোভাবে সংগ্রহ করার পর সেটা যখন দানা হয়ে
যায় তখন তাকে ঝোলা দানা গুড় বলা হয়। আপনি এই খেজুরের ঝোলা গুড় অথবা দানাগুড়
আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন খুব সহজেই। আর এই গুড় গুনে ও মানে অনেক ভালো
হবে এটা নিশ্চিত। কারন আমরা এই গুড় নিজ হাতে তৈরি করে থাকি।
খেজুরের গুড় english
খেজুরের গুড়ের ইংলিশ কি এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই গুগলে খোঁজাখুঁজি করে থাকি।
আপনি যেহেতু আজকে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছেন তাই আপনাকে আর গুগলে
কষ্ট করে খোঁজাখুঁজি করতে হবে না। এখন আপনারা বোনাস হিসেবে এই খেজুরের গুড়ার
ইংলিশ টি জানতে পারবেন।
খেজুরের গুড়ের ইংলিশ হল Date molasses
খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায়
খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায়? এই নিয়ে আপনারা অনেকেই প্রায় প্রশ্নবিদ্ধ
হয়ে থাকেন। তারপরে যদি আমরা অনলাইন থেকে খেজুরের গুড় ক্রয় করেও থাকে তাহলে সেই
গুড় খাটি কিনা সেটা নিয়েও আমাদের অনেকের অনেক প্রশ্ন থেকে থাকে। আজকে আপনাদেরকে
আমরা এই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল ধারণাগুলো জানাবো।
আপনি খেজুরের গুড় বাংলাদেশের ভাইয়ের সব অঞ্চলেই পেয়ে যাবেন। আবার আপনি যদি
ভারতের কথা চিন্তা করেন তাহলে ভারতের কিছু কিছু অঞ্চলে খেজুরের গুড় পাওয়া যায়।
একসময় এই খেজুরের গুড় থেকে চিনি উৎপাদন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে চিনি উৎপাদন
করা হয় আখ থেকে।
আখ থেকে চিনি উৎপাদন করার কারণে এখন খেজুরের রস থেকে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়।
যেটা আমরা গ্রামাঞ্চল অথবা শহুরে অঞ্চলের প্রায় সকলেই অনেক পছন্দ করে থাকি। যার
ফলে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আরে ব্যাপক চাহিদার ফলে বাজারে অনেক অসাধু
ব্যবসায়ের আগমন ঘটেছে।
আপনি যদি একটি বাজারের কথা চিন্তা করেন তাহলে সেখানে কি আপনি কম দামে অথবা বেশি
দামে খেজুরের গুড় কিনে ফেলবেন ঠিকই কিন্তু, আপনার মনে সন্দেহ থেকেই যাবে এই
খেজুরের গুড়টি আসলেই খাটি গুড় কিনা। আবার অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আপনার থেকে অনেক
বেশি দাম দিয়ে আপনার কাছে গুড় বিক্রি করবে আর বলবে এটি খাঁটিগুড়।
তবে আসলেও এমনটা হয়ে থাকে না। সেই গুড়েও চিনি মিশানো থাকে। আর আপনি যদি খেজুরের
খাঁটি গুড়ের সন্ধান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝে শুনে তারপরে ক্রয় করবেন। কিভাবে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয় তার সকল প্রসেস নিচে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।
প্রথমে খেজুরের গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়।
পরের দিন সকালে সেই খেজুরের রস বাড়িতে নিয়ে আসা হয় খেজুরের গুড় তৈরি করার জন্য।
খেজুরের রস বাড়িতে নিয়ে আসার পরে সেই রস গুড় তৈরির জন্য জ্বাল করে প্রসেসিং করা
হয়।
এভাবেই সর্বেশষ খেজুরের গুড়ের আকৃতি প্রদান করা হয়। আরপরে সকলকে তাদের চাহিদা
অনুযায়ি প্রদান করা হয়। এই গুড় আপনি ঝোলা গুড় হিসেবে ও নিতে পারবেন। আবার আপনি
যদি চান তাহলে আপনি এই রকম আকার অনুযায়ি ও নিতে পারবেন। আশা করছি আপনাকে খেজুরের গুড় তৈরির সকল কার্যক্রম আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান কি কি
খেজুরের গুড়া বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আপনি এই খেজুরের গুড়ের সকল
ধরনের পোস্ট উপাদান সম্পর্কে জানলে নিজেই অবাক হবেন। নিম্নে প্রতি ১০০ গ্রাম
খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন
খেজুরের সকল প্রশ্ন উপাদান গুলো সম্পর্কে এখন জেনে নেই আমরা।
খেজুরের প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ের পুষ্টি উপাদানগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো
- শক্তির পরিমাণ রয়েছে ১৯০ ক্যালরি (১০% DV)
- কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ রয়েছে ৪৯ গ্রাম (১৭% DV)
- প্রোটিনের পরিমাণ রয়েছে ০.০৫ গ্রাম (০% DV)
- ক্যালসিয়াম রয়েছে ৪০ মিলিগ্রাম (৩% DV)
- আয়রনের পরিমাণ রয়েছে ২ মিলিগ্রাম (১১% DV)
- সোডিয়ামের পরিমাণ রয়েছে ২০ মিলিগ্রাম (১% DV)
- ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ রয়েছে ৬৪ মিলিগ্রাম (১৫% DV)
- ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই এবং কে এই সকল ভিটামিনে কোনটিই এখানে নেই।
- এতে জলের পরিমাণ রয়েছে ৫১%
- কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ রয়েছে ৪৯%
উপরে উল্লেখিত এই সকল পুষ্টি উপাদান খেজুরের গুড়ের মধ্যে রয়েছে। নিম্নে এই সকল
পুষ্ট উপাদান দিয়ে গঠিত খেজুরের গুড়ের সকল উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা
শীতকাল পড়েছে মানে খেজুরের গুড়ের ধুম। খেজুরের গুড় তার নিজস্ব গন্ধ স্বাদের
জন্য সবার নিকট অনেক পছন্দের একটি খাবার। এটি ব্যবহার করে শীতের সকল ধরনের পিঠা
পায়েস তৈরি করা হয়। এটি অনেক ক্ষেত্রে সুস্বাদু বলে প্রায় অনেক বেশি পরিমাণে
খাওয়া হয়। তবে খেতে খেতে আমাদেরকে এর উপকারিতা গুলো জানা উচিত। এর বিভিন্ন
ধরনের উপকারিতা গুলো নিম্নে আমরা জানতে পারবো।
আয়রনের ঘাটতি পূরণঃ আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে, খেজুরের গুড়ে প্রায়
পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যেটা গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি
পূরণ হয়। অনেক সময় দেখে থাকবেন এই আয়রনের ঘাটতির কারণে প্রায় অনেক ধরনের লোক
অসুস্থ হয়ে যায়। আপনি যদি এই খেজুরের গুড় গ্রহন করে থাকেন তাহলে আপনার থেকে
রক্ত শুন্যতা সহ আয়রন গঠিত বিভিন্ন ধরনের রোগ আপনার থেকে দূরে থাকবে।
হজম সমস্যা রোধঃ আপনাদের মধ্যে যে সকল ব্যক্তিগণ হজম সমস্যায় ভুগছেন, সে
সকল ব্যক্তিগণ প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খেজুরের গুড় গুণ করলে এই সমস্যা থেকে
মুক্তি পাবেন। এটি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, বদ হজমের
মতো শক্তিশালী রোগ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
ওজন হ্রাসঃ খেজুরের পুষ্টি উপাদান পাঠে আমরা জানতে পেরেছি খেজুরের মধ্যে
প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম। আর এ পটাশিয়ামে আমাদের শরীরে পানি ভাগ কমিয়ে
শরীরের ওজন হ্রাস করতে অনেক সাহায্য করে।
লিভার শক্তিশালি রাখেঃ আমরা সকলেই জানি বিভিন্ন খাবার রয়েছে যেগুলো
আমাদের লিভার কে অনেক শক্তিশালী রাখে। তবে এর মধ্যে খেজুরের গুড় হলো অন্যতম।
আমরা ইতিপূর্বে খেজুরের সকল ধরনের পোস্ট উপাদানের মধ্যে জানতে পেরেছি খেজুর এ
প্রচুর পরিমাণে ছুটিয়া এবং পটাশিয়াম থাকে। যেগুলো আমাদের লিভার অনেক শক্তিশালী
করার জন্য ভূমিকা রাখে।
শ্বাসকষ্ট কমায়ঃ যেহেতু গুড় আমাদের শরীরকে অনেক পরিমাণে ঠান্ডা রাখে
সেহেতু আপনি শ্বাসকষ্টের মতো রোগ থেকে নিস্তার পাবেন। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত
খেজুরের গুড় খান তাহলে অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিসের মতো বড় বড় অসুখ থেকে আপনি
নিস্তার পাবেন।
ত্বক ভালো রাখেঃ আপনারা হয়তো দেখেই অবাক হচ্ছেন যে খেজুরের গুড় কিভাবে
আমাদের ত্বক ভালো রাখে। এটি অবাক করার বিষয় হলেও সত্য, খেজুরের গুড় আসলে আমাদের
ত্বক ভালো রাখার জন্য অনেক বড় অবদান রাখে। এটা আপনার তো ওকে অনেক মসৃণ করবে। যার
ফলে আপনার চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না। এটি আমাদের মুখের ব্রণ এবং ফুস করে দূর
করার জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
খেজুরের গুড়ের অপকারিতা
আমরা সকলেই ইতিপূর্বে খেজুরের গুড়ের সকল উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম।
আমরা সকলে এটা জানে যে সকল জিনিসেরই অনেক উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা থাকে। তেমনি
খেজুরের গুড় ও তার ব্যতিক্রম নয়। এই পাঠে আমরা সকলে খেজুরের গুড়ের অপকারিতা
গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রতিটি জিনিসেরই কিছু অপকারিতা গুলো রয়েছে। তাই উপকারিতার কথা বিবেচনা করে খুব
বেশি পরিমাণে কোন জিনিস গ্রহণ করা উচিত নয়। এতে উপকারিতা থেকে অপকারিতা ও বেশি
হতে পারে। তাই আপনাকে খেয়াল রেখে খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাহলে চলুন বেশি পরিমাণে
গ্রহন করলে কি আমাদের ক্ষতি হতে পারে এ সম্পর্কে জেনে নেই।
ওজন বৃদ্ধিঃ যে সকল ব্যক্তিরা যাচ্ছেন তাদের শরীরের ওজন হ্রাস করার জন্য
তাদের জন্য খেজুরের উপর একদমই গ্রহণ করা উচিত নয়। তবে আপনি খুব বেশি গ্রহণ না
করে খুবই সামান্য পরিমাণ গ্রহণ করতে পারেন। কারণ প্রতি 100 গ্রাম খেজুরের গুড়ের
মধ্যে রয়েছে 385 ক্যালোরি। যেটা আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণের কারণে আপনার
শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধিঃ আমরা প্রায় সকলেই মানে চিনির তুলনায়
খেজুরের গুড় অনেকটাই স্বাস্থ্যকর। আর এটি স্বাস্থ্যকর হলেও যেহেতু মিষ্টি একটি
খাদ্য, তাই এটি যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীরের রক্তের
শর্করার মাত্রা অনেকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রতি ১০ গ্রাম গুড়ে ৯.৭ গ্রাম চিনি
উপস্থিত থাকে।
প্যারাসাইটিক ঝুঁকির সম্ভাবনা বৃদ্ধিঃ আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের
তৈরিকৃত গুড় খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ
করবে। আর এই সকল জীবাণু প্রবেশের কারণে আপনার প্যারাসাইটিক ঝুঁকির সম্ভাবনা
অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
খাবার হজমের সমস্যাঃ আপনি যদি সদ্য তৈরিকৃত গুড় খান তাহলে আপনার ডায়রিয়া
পর্যন্ত হতে পারে। অনেক জায়গায় এমন ও উদাহরণ রয়েছে যে সদ্য তৈরিকৃত গুড় থেকে
কোষ্ঠকাঠিন্যে রোগেও আক্রান্ত হয়েছেন।
খেজুরের গুড়ের দাম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ১০০ গ্রাম আখের গুড়ে কত ক্যালরি?
উত্তরঃ ১০০ গ্রাম আখের গুড়ে ৩৮৫ ক্যালরি পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ খেজুরের গুড় কত প্রকার?
উত্তরঃ গুড় প্রধানত ৩ প্রকার। যেমনঃ
- ঝোলাগুড়
- পাটালিগুড়
- চিটাগুড়
প্রশ্নঃ খেজুর গুড় এর ইংরেজি নাম কি?
উত্তরঃ খেজুর গুড় এর ইংরেজি নাম হলো Date molasses
প্রশ্নঃ গুড় খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ আপনি যদি প্রয়োজনের থেকে অতিরক্ত মাত্রায় গ্রহণ করেন তাহলে আপনার
শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
লেখকের মন্তব্য । খেজুরের গুড়ের দাম কত টাকা ২০২৪
আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো খেজুরের গুড়ের দাম ২০২৪
সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা বুঝতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন
ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
হ্যালো স্যার আপনাদের পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগছে। খেজুরের গুড় নিতে হলে আপনাদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবো
ReplyDeleteউপরের যোগাযোগ নামে একটি বাটন পাবেন সেখান থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার সকল ঠিকানা পেয়ে যাবেন। অথবা বাম সাইডের হোয়াটসআপ আইকনে ক্লিক করে যোগাযোগ করুন।
DeletePost a Comment