গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় প্রিয় পাঠক, স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি নিশ্চই জানতে চাচ্ছেন। অথবা আপনি নিশ্চই ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করছি আপনি এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারি জানতে পারবেন।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
নিজেকে সকলের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সকলেই একটু ফর্সা হতে চান। কিভাবে আপনি স্থায়িভাবে ফর্সা হবেন সেই সম্পর্কেই আজকে আমরা বিস্তারিত জানাবো আপনাদেরকে।

পেজ সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

ত্বক মানুষের অনেক সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। এই অঙ্গে যদি আপনি অত্যাধিক মাত্রায় কোনকিছু ব্যাবহার করেন তাহলে সেটি ভালো হওয়ার থেকে আরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়ম মেনে সকল কাজ করতে হবে আপনাকে। পরিবেশ দূষণের কারণে সেটি আমাদের ত্বকের ওপর অনেক বাজে একটি প্রভাব ফেলে। যার কারণে আমাদের ত্বক অনেকটাই বাজে হয়ে যায়।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি ৩ দিনে কিভাবে ফর্সা হবেন তার উপায়, লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সহ আরো অনেক কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেওয়া যাক।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি যদি স্থায়িভাবে ফর্সা হতে চান তাহলে অবশ্যই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যাবহারের কোন তুলনা নেই। স্থায়িভাবে ফর্সা হতে হলে অপনাকে অবশ্যই প্রাকৃতিউ উপায়গুলো প্রথমে অবলম্বন করবেন। তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই জেনে নেই কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদানগুলো আপনি কিভাবে ব্যবাহারের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ফর্সা হবেন সেই সম্পর্কে।

দুধ এবং কাঁচা হলুদঃ দুধের সাথে কাঁচা হলুদের ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার ত্বকের কালচে ছাপ দূর করতে পারবেন। তবে এটি ব্যবহারের জন্য আপনি দুই ফোঁটা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। তার ফলে এটা আরো অনেক কার্যকরী হবে। কিভাবে এই উপকরণটি ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে চলুন এখন জেনে নেই।

এটি ব্যবহার করার জন্য উপকরণ হিসেবে আপনাকে প্রথমেই নিতে হবে ৩ চাচা চামচ পরিমাণ দুধ, এরপরে নিতে হবে কিছু কাঁচা হলুদ বাটা যা ১ চা চামচ পরিমাণ হবে। নিতে হবে লেবুর রস এক চা চামচ পরিমাণ। এই সকল উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে।

উপরের এই সকল উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে সেটি আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগাতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে যাওয়ার পরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে ফেলবেন। এরপর নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ আলতো করে মুছে নেবেন।

তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার পর অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে না যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি এই পদ্ধতিতে নিয়মিত তিন দিন ব্যবহার করেন তাহলেই অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার তো অনেক ফর্সা হবে, কোমল হবে এবং তার সাথে সাথে ত্বক করবে দাগ মুক্ত।

এটি ছিল স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রধান একটি উপকরণ মাধ্যম। আপনি যদি এটি ব্যবহার করতে অসমার্থ হন তাহলে নিচের দেখানো প্রাকৃতিক উপকরণগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে আপনার ত্বক ফর্সা করতে পারবেন স্থায়ীভাবে। তাহলে চলুন সেই সকল পদ্ধতি গুলো জেনে নেওয়া যাক।

পেঁপের সাথে ডিমের মাস্কঃ আপনি যদি পেঁপে এবং তার সাথে ডিম একসাথে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক আস্তে আস্তে অনেক ফর্সা হতে শুরু করবে। যার ফলে আপনার ত্বকভাবে অনেক উজ্জ্বল। ডিমে থাকা বিদ্যমান প্রোটিন আপনার ত্বককে রাখবে টানটান। আর এর সাথে যদি আপনি দই ব্যবহার করেন তাহলে সেটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করবে।

এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করার জন্য উপকরণ হিসেবে প্রথমে আপনাকে নিতে হবে ৩ চা চামচ পরিমাণ পেঁপের রস, এর সাথে দুই চা চামচ দই নিতে হবে, এরপরে ৩ চা চামচ পরিমাণ পরিমাণ গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা অংশ নিতে হবে। এ সকল উপকরণগুলো ব্যবহার করে পেস্ট আকারে তৈরি করার জন্য শুধুমাত্র ডিম এবং গ্লিসারিন ছাড়া সকল উপকরণগুলো ভালোভাবে ঘন করে পেস্ট তৈরি করে নিন।

এরপরে সেটা ফ্রিজে রেখে দিবেন দুই ঘন্টার জন্য। ২ ঘন্টা হয়ে গেলে তারপরে সেটা বের করে নিয়ে গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। খুব ভালোভাবে মেশানোর চেষ্টা করুন। এরপর সেটি আপনার মুখে লাগিয়ে দিন। মুখে লাগানোর ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ত্বক খুব সহজেই উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

কমলার খোসা এবং টক দইঃ আমরা সকলেই কমলা খেয়ে থাকি কমবেশি। আর কমলা খাওয়ার পরে এর খোঁসা আমরা ফেলে দেই। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে এই কমলার খোসার সাথে টক দই মিশিয়ে নিয়ে আপনি খুব সহজেই অনেক ফর্সা হতে পারবেন। কিভাবে এটি ব্যাবহার করবেন চলুন জেনে নেই।

প্রথমে কমলার খোসাগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। যখন এটি ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে তখন এটি ভালো করে গুড়ো করে নিন। এর জন্য বেলেন্ডার ও ব্যাবহার করতে পারেন। এরপরে ১ চা চামচ পরিমাণ কমলা খোসার গুড়ো এবং তার সাথে ১ চা চমচ পরিমাণ টক দই মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে ফেলুন।

পেস্ট বানানো হয়ে গেলে সেটি মুখে লাগিয়ে নিন। এরপরে যখন এটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে যখন শুকিয়ে আসবে তখন এটি পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি সাপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বক খুব সহজেই অনেক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

বেসন এবং লেবুর রসঃ আমরা সকলেই জানি যে বেসন ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। আর তার সাথে যদি লেবুর রস যোগ করা হয় তাহলে সেটি হয়ে ওঠে আরো অনেক বেশি উপকারি। যা আপনার ত্বককে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য সাহায্য করবে। এটি ব্যাবহার করবেন কিভাবে সেটি নিম্নে বিস্তারিত জানানো হলো।

এটি তৈরি করার জন্য প্রথমে ৩ চা চামচ পরিমাণ বেসন, ২ চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস আর সামান্য কিছুটা গোলাপ জল নিন। তারপরে এই সকল উপকরণগুলো একটি পাত্রে নিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপরে সেটি আলতো করে আপনার মুখে লাগান। এরপর যখন সুখে আসবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি প্রতি সাপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার মুখে কোনরকম দাগ থাকবে না।

চন্দন গুড়ো এবং দুধঃ আপনি যদি আপনার ত্বক আরো ঝকঝকে করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন চন্দনের গুড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিয়ে হালকা করে লাগাতে থাকুন। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এর ফলাফল আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

মধু এবং লেবুর রসঃ আমরা সকলেই জানি যে, লেবুর রস মুখ পরিষ্কার করার জন্য সাহায্য করে। আর তার সাথে যদি মধু যোগ করা হয় তাহলে সেটি মুখের ময়েশ্চার ধরে রাখার জন্য অনেক সহায়ক হয়। আপনি যদি আপনার ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে এই মাস্ক ব্যাবহার আপনার ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরি একটি মাধ্যমে হবে।

এই মাস্ক তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনি ২ চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস এবং মধু নিন। তারপরে এই দুটি উপকরণ ভালো করে মিক্স করে নিন। এরপরে এটি আপনার ত্বকে লাগান। লাগানোর ২০ মিনিট পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে প্রতি সাপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে মানুষ সবসমই সৌন্দর্যের পাগল। আর এই দিকটা সবসময়ই খেয়াল রাখে বিশেষ করে নারীরা। যার জন্য নারীরা সমসময়ে নিজেকে অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করে থাকে। আর তাই নারীরা নিজের ত্বককে উজ্জ্বল করার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনি ব্যাবহার করে থাকে। আর এখন আমরা তাই কোন কোন ডাক্তারি ক্রিম ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনি অনেক ফর্সা হতে পারবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষজনই ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি ক্রিম খুজে থাকে। এক্ষেত্রে তারা যেকেউ যেই ক্রিমের নাম বলে সেটি ই ব্যাবহার করতে থাকেন। কিন্তু আপনাদের এই ক্ষেত্রে কোন ক্রিম ভালো আর কোন ক্রিম খারাপ সম্পর্কে বুঝে শুনে তারপরে ক্রয় করা উচিত। এক্ষত্রে যদি আপনি খারাপ মানের ক্রিম ব্যাবহার করে ফেলেন তাহলে আপনার ত্বক ভালো হওয়ার থেকে আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে।

সেই জন্য অবশ্যই আপনাকে ফর্সা হওয়ার জন্য সঠিক এবং ভালো মানে ক্রিম দেখেশুনে বুঝে তারপরে ক্রয় করতে হবে। আপনি যদি বাজারের নিম্ন মানের ক্রিম ব্যাবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক ঝুঁকিতে পরতে পারে। তাই এই জন্য আপনাকে সবার প্রথমে ফর্সা হওয়ার সকল ক্রিমের নামগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এখন আমরা আপনাদের এই সম্পর্কে জানাবো। তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক।

লোটাস হারবাল নাইট ক্রিম (Lotus Herbal Night Cream): এই ক্রিমটিতে রয়েছে আঙ্গুর, দুধের এনজাইম এবং সাক্সিফ্রাগা নির্যাস। যা আমাদের ত্বককে করে তোলে অনেক সতেজ এবং তেলতেলে। তার পাশিপাশি এটি আমাদেরকে UVA এবং UVB ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এই ক্রিমটি রাতে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

সারা রাত ধরে ব্যাবহার করার ফলে এটি ত্বকের পিগমেন্টেশন কমায়। আর ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল এমং ময়েশ্চারাইজ। এই ক্রিমটি যদি আপনি নিয়মিত ব্যাবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক হবে অনেক উজ্জ্বল এবং মসৃণ সতেজ তারুণ্যের মতো। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই এটি কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে।

এই ক্রিমটি ব্যাবহার করার জন্য রাতে ঘুমানোর পূর্বে আপনার মুখ ভালোকরে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এখন হাতের আঙ্গুলে পরিমাণ মতো হালকা পরিমাণ ক্রিম নিয়ে আপনার মুখে এবং ঘাড়ে আলতো করে লাগিয়ে দিন। আর সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে আপনার নিত্যদিনের ফেশওয়াশ ব্যাবহার করে ধুয়ে ফেলুন।

হিমালয়া রিভাইটালাইজিং নাইট ক্রিম (Himalaya Revitalizing Night Cream): এই ক্রিমটি আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য অনেক ভালো কাজ করবে। কারণ এই ক্রিম রাতে ব্যাবহার করার মাধ্যমে ত্বকের অনেক গভিরে প্রবেশ করে তার ত্বক উজ্জ্বল করার কাজ করে। এটি ব্যাবহারের মাধ্যমে ত্বক নরম কোমল ও অনেক উজ্জ্বল করে।

এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে রাতে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিয়ে ঘড়ির কাটা যেদিকে ঘুড়ে তার বিপরীত দিকে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে আলতো করে মেসেজ করুন। এটি মুখে লাগিয়ে সারা রাত থাকুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট বিউটি অল ইন ওয়ান ফেয়ারনেস ক্রিম (Olay Natural White Beauty All In One Fairness Cream): এই ক্রিমটিতে রয়েছে ত্রিপল ভিটামিন উপাদান। যা আপনার ত্বকের গভির থেকে করবে উজ্জ্বল। এর পাশাপাশি এটি ত্বককে করবে ময়েশ্চারাইজ এবং আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অনেকভাবে সাহায্য করবে।

এই ক্রিমটিও ভালোভাবে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে মেসেজ করে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে লাগান। সারারাত লাগিয়ে রেখে সকালে পরিষ্কার পানি ব্যাবহার করে ধুয়ে ফেলুন।

গার্নিয়ার স্কিন ন্যাচারাল হালকা কমপ্লিট সিরাম ক্রিম (Garnier Skin Naturals Light Complete Serum Cream): এই ক্রিমটি জাপানিজ একটি কোম্পানির তৈরি। এই ক্রিমটিতে অনেক ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও এতে এক্সফলিয়েটিং এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এর জন্য অনেক ভালো পরিচিত।

এই ক্রিমটিও ভালোভাবে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে মেসেজ করে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে লাগান। সারারাত লাগিয়ে রেখে সকালে পরিষ্কার পানি ব্যাবহার করে ধুয়ে ফেলুন।

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

বাহিরের প্রখর রোদ আর পরিবেশ দূষণের কারণে সেটি আমাদের ত্বকের ওপর অনেক বাজে একটি প্রভাব ফেলে। যার ফলে ত্বক অনেক কালো হয়ে যায়। আর তাছাড়া জন্মগতভাবেই আমাদের গায়ের রং একেক জনের একেক ধরণের হয়ে থাকে। কেউ একটু অতিরিক্ত ফর্সা, আবার কেউ একটু কালো, আবার কেউ বা ফর্সা, আবার কেউ শ্যামলা।

আমাদের গায়ের রং যদি একটু চাপা ধরনের হয় তাহলে অনেকেই সেটা নিয়ে অনেক মন খারাপ করে থাকেন। আপনারা সকলেই চান ত্বক যদি আরেকটু ফর্সা হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। আবার যাদের ত্বক একটু ফর্সা রয়েছে তারা তাদের অসেচতনতার কারণের তাদের উজ্জ্বল ত্বক হাড়াতে বসেন। তাদের এই উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখার জন্য অনেক ধরণের ক্রিম ব্যাবহার করে থাকেন।

কিন্তু বাজারের ক্রিম গুল বিভিন্ন ক্যামিকাল ব্যাবহার করে তৈরি করার কারণে ত্বকের ক্ষেত্রে সবসময় উপকারি হয় না। তাই আপনি যদি আপনার উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখতে চান অথবা ত্বক পূর্বের তুলনায় আরো উজ্জ্বল করতে চান তাহলে নিচের দেখানো টিপসগুলো অনুসরন করুন। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই কোন কোন উপায় অবলম্বন করে আপনি মাত্র ৩ দিনেই আপনার ত্বক অনেক ফর্সা করবেন।

লেবুর রস ব্যাবহারঃ আপনি যদি তিন দিনের মধ্যেই ফর্সা হতে চান তাহলে লেবুর রস আপনার জন্য হবে একটি অন্যতম উপায়। লেবুর রসকে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজন্য বলা হয়। যেটি ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই ত্বক ফর্সা করা যায়। লেবুর রস দিয়ে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রথমে ১ চা চামচ লেবুর রস ত্বকে লাগিয়ে নিয়ে ১-২ মিনিট আলতো করে মেসেজ করতে থাকুন।

এরপরে ১০-১৫ মিনিট পরে যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন এটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ৩ দিন ব্যাবহার করলেই আশা করছি আপনি অনেক ভালো সুফল পাবেন।
হলুদের ফেস মাস্কঃ মাত্র তিন দিনের মধ্যে ফর্সা হওয়ার জন্য হলুদের ফেস মাস্ক আপনার জন্য অনেক কার্যকরি হবে। এটি তৈরি করার জন্য প্রথমে দুই চা চামচ হলুদের গুড়া একটি পাত্রে নিন। এরপর তার সাথে এক চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। তারপরে সেটি মেশানো হয়ে গেলে আলতো করে আপনার ত্বকে লাগান। মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে 10 থেকে 15 মিনিট পরে যখন এটা শুকিয়ে আসবে তখন হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ঘৃতকুমারীঃ আপনি যদি তিন দিনের মধ্যে ফর্সা হতে চান তাহলে আপনার জন্যও ঘৃতকুমারী হবে ওর মাধ্যমে একটি মাধ্যম। যেটি ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজে আপনার ত্বককে অনেক উজ্জ্বল করে তুলবে। এর প্রধান কারণ হলো ঘৃতকুমারীতে রয়েছে লাইটেনার।

এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ঘৃতকুমারী থেকে এর জেল টুকু বের করে নেবেন। এরপর সেই ঘৃতকুমারির জেল আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিবেন। 10 থেকে 15 মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এভাবে আপনি মাত্র একদিন ব্যবহার করেই সুফল পাবেন।

বেসনঃ আপনি যদি স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চান তাহলে বেসন আপনার জন্য হবে আরেকটি অন্যতম উপায়। এর প্রধান কারণ হলো বেসনের থাকা এক্সফলিয়েটর মানুষের ত্বকের মৃত কোষগুলো খুব সহজে অপসারণ করার মাধ্যমে মানুষের ত্বককে ফর্সা করে তোলে। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে পরিমাণ মতো পানি একটি পাত্রে নিন।

এরপর কিছু পরিমাণ বেসন নিয়ে সেটি হালকা করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর সেটা যখন পেস্ট আকারে তৈরি হয়ে যাবে তখন সেটি আপনার ত্বকে লাগানো। ত্বকে লাগানোর ২০ মিনিটের মধ্যে এতে যখন শুকিয়ে আসবে তখন পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁপেঃ পেপে থাকা প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর মানুষের ত্বকের মৃত কোষগুলোকে খুব সহজে অপসারণ করার জন্য কাজ করে থাকে। এটি ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে একটি পাকা পেঁপে সংগ্রহ করে নিতে হবে। তারপরে সেটি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট ফালি আকারে কেটে নিন।

এরপরে সেটি আপনার ত্বকে চটকিয়ে চটকে লাগান। লাগানোর 5 থেকে 10 মিনিটের মধ্যে এটি যখন শুকিয়ে আসবে তখন এটি পরিষ্কার হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি যদি আপনি নিয়মিত তিন দিন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবু ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ফর্সা হতে পারবেন। এখন কোন কোন উপায় অবলম্বন করলে কোন কোন উপায়ে লেবু ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজেই স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারবেন সেই সকল উপায় গুলোর সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। তো বন্ধুগন চলুন এবার আমরা সকলেই লেবু ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নেই।

আমরা সকলেই জানি লেবুর অসংখ্যা গুণ রয়েছে। সেই সকল বনের মধ্যে অন্যতম একটি গুণ হলো ত্বকের যত্নে ব্যবহার। তবে এক্ষেত্রে আপনি লেবু শুধু আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখলেই ফর্সা হতে পারবেন না। এর জন্য অবশ্যই আপনার এর সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। লেবু ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

প্রথমে একটি লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে নিয়ে রস বের করুন। এরপরে সে লেবুর সাথে দুই চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। তারপরে সেটি আপনার ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ওখানে কি আস্তে আস্তে শুকিয়ে আসতে শুরু করবে তখন এটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধু আপনার ত্ব ক উজ্জ্বল রাখার জন্য সহযোগিতা করবে। আর লেবু আপনার ত্বককে আরো ফর্সা করে তুলবে পূর্বের তুলনায়।

আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত থাকে তাহলে সেটি দূর করার জন্য শসার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এই সহজ উপায়ে আপনি খুব সহজেই মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে পারবেন। এতে করে আপনার ত্বক হবে আরো উজ্জ্বল এবং মসৃণ কোমল।

লেবুর সাথে দুধ মিশিয়ে নিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনি অর্ধেক লেবু কেটে নিয়ে তারপরে চা চামচ পরিমাণ দুধ মিশিয়ে নিন। তারপরে দুটি উপাদান ভালো হবে একসাথে করে মিশাল। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে ভালো করে আস্তে আস্তে মেসেজ করুন। মেসেজ করার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের যে সাদা অংশ থাকে আপনি সেটির সাথে লেবুর রস ব্যবহার করে ফর্সা হতে পারবেন। এর জন্য এক চামচ লেবুর রস হালকা উষ্ণ গরম পানি আর ডিমের সাদা অংশ একসাথে করে মিক্স করে নিন। এখন সেই মেশানো উপাদান আপনার ত্বকে লাগিয়ে 20 মিনিট পরে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি। আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব তো দূর করবেই তার পাশাপাশি তো কারো উজ্জ্বল করবে।

আপনার হাত এবং পা যদি রুক্ষ হয়ে থাকে তাহলে সেটা দূর করার জন্য লেবুর রসের সাথে কিছুটা পরিমাণ চালের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে হাত পায়ের সাথে লাগিয়ে নিন। তারপরে যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বক পূর্বের তুলনায় আরো বেশি উজ্জ্বল এবং কোমল হবে।

আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা নিজেদের ত্বক ফর্সা করার জন্য ইতিপূর্বে অনেকগুলো উপকরণ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই পর্যায়ে আমরা আলু ব্যবহার করে কিভাবে আপনি ফর্সা হবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। পাশাপাশি জানবো কোন কোন উপাদানের সাথে আপনি আলুর ব্যবহার করতে পারবেন। আর সেগুলো ব্যবহার করে কিভাবে আপনি খুব সহজেই ফর্সা হতে পারবেন সেই সম্পর্কেও জানবো।

রূপচর্চার ক্ষেত্রে আমরা সব থেকে যেটা ব্যবহার করে থাকি সেটা হলো শসা। তবে আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন সরকার পাশাপাশি রূপচর্চায় আপনি আলু ব্যবহার করতে পারেন। রূপচর্চার জন্য আলুর জুড়ি মেলা ভার। কারণ রূপচর্চার জন্য আলু আপনার ত্বককে অনেক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এটি আপনার সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেক সহযোগিতা করবে। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই কিভাবে আলু ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বকের যত্ন নেবেন।

আলুর সাথে লেবুর রসঃ প্রথমে আধা চা চামচ লেবুর রস নিন। আর তার সাথে এক চা পরিমাণ কুচি করা আলু মিশিয়ে নিন। এরপর সেটি আপনার মুখে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আলু এবং শসাঃ কিছু পরিমাণ কুচি করা আলু নিন। আর তার সমপরিমাণ কুচি করা শসা নিন। তারপর সেই দুটো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে ২০ মিনিট ধরে আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপরে এটি পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখ ধোয়ার পরে আপনাকে আরো অনেক ফ্রেশ দেখাবে।

আলু, টকদই এবং হলুদঃ একটা চামচ পরিমাণ কুচি করা আলু নিন। এর সাথে এক চা চামচ পরিমাণ টকদই এবং তার সাথে এক চিমটি পরিমাণ হলুদ গুড়ো মিশিয়ে নিন। তারপরে এটি আপনার ত্বকে লাগান। এই পেস্টটি ত্বকে লাগানোর ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

উপরের উল্লিখিত এই সকল উপকারণ আলুর সাথে ব্যাবহার করে আপনি খুব সহজেই অনেক ফর্সা হয়ে উঠতে পারবেন। আশা করছি আপনাদেরি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। এই সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করার মাধ্যমে জানাবেন।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ত্বকের জন্য কোন ভিটামিন ভালো?
উত্তরঃ ত্বকের জন্য অবশ্যই ভিটামিন সি অনেক ভালো।

প্রশ্নঃ কি কি খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয়?
উত্তরঃ কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ত্বক অনেক ফর্সা হয়ে উঠবে। সেগুলো হলো
  • লেবু
  • কমলা
  • মোসাম্বি
  • জাম্বুরা
  • মাল্টা
এছাড়াও আপনি চাইলে আরো যেসকল ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রয়েছে সেগুলো খেতে পারেন।

প্রশ্নঃ ত্বকের জন্য কোন সবজি ভালো?
উত্তরঃ ত্বকের জন্য মিষ্টি আলু এবং গাজর সবজি অনেক ভালো।

প্রশ্নঃ কোন সবজি ত্বক পরিষ্কার করে?
উত্তরঃ পাতাযুক্ত সবুজ শাক সবজি ত্বক পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে থাকে।

প্রশ্নঃ ফর্সা হওয়ার ভালো ক্রিম এর নাম কি?
উত্তরঃ ফর্সা হওয়ার ভালো ক্রিম এর মধ্যে কিছু ক্রিম রয়েছে। সেগুলো হলো
  • Super Viga Spray
  • Lotus Herbal Night Cream
  • Emami Fair and Handsome
  • L'oreal Men Expert White Active
  • Olay Natural White Night Cream.
  • Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Night Cream.
প্রশ্নঃ ৭ দিনের ত্বক ফর্সা করার জন্য কোন ক্রিম ভালো?
উত্তরঃ ৭ দিনের ত্বক ফর্সা করার জন্য Gorgesqin Skin Whitening ক্রিম অনেক ভালো কাজ করবে।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা এই আর্টিকেলটিতে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে ও বিস্তারিত আলোচনা করছি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সাজেশ থাকবে আপনি যদি ক্রিম ব্যাবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজনের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যাবহার করবেন।

আপনার যদি আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আর সেজন্য গুগল নিউজে ফলো করে রাখতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post