চুল পড়া বন্ধ এবং ঘন করার উপায়প্রিয় পাঠক, চন্দন ক্রিম দাম অথবা চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে চন্দন ক্রিম দাম এবং চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সহ আরো অনেক কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আমরা সকলেই চন্দন ক্রিমের সাথেই পরিচিত। এই চন্দন ক্রিম সঠিকভাবে ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব তারাতারিই অনেক ফর্সা হয়ে যাবেন। কিভাবে ব্যাবহার করতে হয় সেটি সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা। চন্দন ক্রিম দাম - চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

চন্দন একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যেটি গাছ থেকে কাঠ আকারে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এই চন্দন গাছের কাঠ থেকে বিভিন্ন প্রকৃয়াজাত করণের মাধ্যমে এটি থেকে ক্রিম অথবা পাউডার তৈরি করা হয়। যেটি যদি আপনি সঠিকভাবে আপনার ব্যাবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি খুব দ্রুতই অনেকটাই ফর্সা হয়ে যাবেন। এটি কিভাবে ব্যাবহার করতে হয় সেটি সম্পর্কে আপনারা একটু পরেই জানতে পারবেন।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম, চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম, চন্দন পাউডার এর উপকারিতা সহ আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

চন্দন ক্রিম দাম

চন্দন ক্রিম দাম জানার পরে এটি ক্রয় করে এই চন্দন ক্রিম কিভাবে আপনি ব্যবহার করবেন সেটি সম্পর্কে জানাবো। আবার আপনারা অনেকেই এমন রয়েছেন যার জন্য এই চন্দন ক্রিম এর দাম সম্পর্কে জানতে চান। এই চন্দন ক্রিম বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়ার হলে এটি ত্বকের অনেক ভালো কাজ করে। তাহলে চলুন এখন আমরা চন্দন ক্রিম দাম সম্পর্কে জেনে নেই।

বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির চন্দন ক্রিম পাওয়া যায়। এই বিভিন্ন কোম্পানির চন্দন ক্রিমের দাম বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যার জন্য একে ক্রিম একই ওজনের দাম কতগুলোর বেশি আবার কতগুলো কম হয়ে থাকে। চন্দন ক্রিমের দাম সম্পর্কে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক।
  • ৫০ গ্রাম ম্যাসাজ চন্দন ক্রিম এর দাম ৫০ টাকা।
  • বার্মিজ চন্দন ক্রিম দাম ২৫০ টাকা (coxsBazar Mart)
  • মমতাজ স্যান্ডাল ২০০ গ্রামের চন্দন ক্রিম দাম ১৫০ টাকা
  • মর্ডান চন্দন গোল্ড ফেসওয়াশ ৫০ গ্রামের দাম ১৮৫ টাকা

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি কি চন্দন ক্রিম দাম জেনে সেই চন্দন ক্রিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে নিম্নের দেখানো উপায় গুলো মনোযোগ সহকারে করুন। আপনারা নিম্নের দেখানো কয়েকটি চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলে আসলেই অবাক হবেন। যে সকল ব্যক্তিগণ চন্দন ব্যবহারের মাধ্যমে টক উজ্জ্বল ঝকঝকে এবং ফর্সা করতে চান তারা আমাদের সাথেই থাকুন।

উপায়-০১ঃ চন্দন পাউডারের সাথে অ্যালোভেরার জেল অথবা এলোভেরা মেশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর পেজটি মুখে, গলায় অথবা হাত পা সব ফর্সা করার জন্য সেখানে ব্যবহার করুন। এটি লাগানো হয়ে গেলে অন্তত 20 মিনিট পর্যন্ত রাখুন। যখন শুকিয়ে যাবে তারপরে এটি ধুয়ে ফেলুন। এটি লাগানোর ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হবে।

উপায়-০২ঃ চন্দন পাউডারের সাথে কাঁচা হলুদ বাটা আর তার সাথে গোলাপজল পানি দিয়ে সুন্দর মত মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। লাগানোর 15 থেকে 20 মিনিট পরে যখন এটা শুকিয়ে আসবে তখন পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলুন। এটি যদি আপনি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি করবে।

উপায়-০৩ঃ ১ চামচ চন্দন পাউডারের সাথে ১ চামচ মুলতানি মাটি, ১ চামচ গোলাপ জল ও একটুখানি টমেটো রস দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তার পরে সেই পেস্ট আপনার ত্বকে লাগান। ত্বকে লাগানোর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে যখন এটি শুকিয়ে আসবে তখন এটি হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। সাথে সাথে আপনার তো অনেক ফর্সা হবে।

উপায়-০৪ঃ ২ চা চামচ চন্দন পাউডার তার সাথে ২ চা চামচ গরুর দুধ মিশিয়ে নিয়ে আর তার সাথে তিন থেকে চার ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপরে সেই পেস্ট আপনার ত্বকে সুন্দর মত এপ্লাই করুন। এরপর যখন সেটা শুকিয়ে আসবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে তখন সেটির পরিষ্কার পানি যারা ধুয়ে ফেলুন।

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে ৪টি উপায় আমরা ইতিপূর্বে জানতে পারলাম। আশা করছি আপনারা এখন চন্দন পাউডার কোন কোন উপায়ে ব্যবহার করলে ফর্সা হতে পারবেন সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থাকে তাহলে আপনি আমাদেরকে মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন।

চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

চন্দন ক্রিম দাম জেনে আপনারা অনেকেই এই ক্রিম কেনার কথা চিন্তা ভাবনা করে থাকবেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই চন্দন ক্রিম কিভাবে আপনি ব্যবহার করবেন। আপনাদের মনে অনেকেরই প্রায় সন্দেহ জেগে থাকে আমরা তো চন্দন ক্রিম কিনে ফেললাম এখন এটি ব্যবহার করব কিভাবে। এখন আপনার মনে যদি এমন সন্দেহ ঢুকে থাকে তাহলে চলুন আপনার সন্দেহ দূর করার জন্য চন্দন প্রেমের ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

এই চন্দন ক্রিম তৈরি করা হয় চন্দন গাছের গোড়া থেকে। এই চন্দন গাছের গোড়া চন্দন গাছের ছাল কাঠ সকল কিছু ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য। চন্দন ক্রিম সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং মেয়েদের রূপচর্চার জন্য।

আপনি যদি চন্দন ডে ক্রিম ব্যবহার করার জন্য কিনে থাকেন তাহলে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হাত মুখ সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। আপনি যদি এটি মুখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজ রাখবে। আবার আপনি যদি চন্দন নাইট ক্রিম কিনে থাকেন।

তাহলে এটি রাতে ঘুমানোর পূর্বে মুখ সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে তারপর এই ক্রিম লাগিয়ে ঘুমাবেন। এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করবে। আপনি চন্দন ক্রিম দিনে এবং রাতে সর্বোচ্চ দুবার করে ব্যবহার করতে পারবেন।

চন্দন ক্রিমটি আপনার ত্বকের সকল বয়সের ছাপ এবং কালো দাগ দূর করতে অনেক সহযোগিতা করবে। আপনি রাতে চন্দন রাখার পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে সেটি ধুয়ে ফেলার জন্য আপনাদের নিত্যদিনের ব্যবহৃত ফেস ওয়াশই ব্যবহার করে নিতে পারবেন। মুখ ধোয়ার ঘরে শুকনো নরম সুতি কাপড় দ্বারা মুখ মুছে নেবেন।

তবে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করার ব্যাপারে একটি জিনিস না বললেই নয়, আপনি যখন চন্দন ক্রিম মুখে লাগাবেন তখন মুখে লাগানোর সময় আপনার ত্বককে ভালোভাবে মেসেজ করে নিবেন। আপনারা এই সকল নিয়মে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।

চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম

চন্দন ক্রিম দাম জেনে সবাই এই চন্দন ক্রিম ক্রয় করেন। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না এই চন্দন লোশন ও এখন বাজারে পাওয়া যায়। শীতকালে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকটাই কমে যায়। যার জন্য আমরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ধরনের লোশন ব্যবহার করে থাকি। আপনি বিভিন্ন প্রকারের লোশন ব্যবহার করার পরিবর্তে চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এই চন্দন রসুন ব্যবহার করার নিয়ম গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রতিদিন দুপুরে অথবা সকালে গোসলের পরে আপনি চন্দন লোশন হাত-পা সহ সম্পূর্ণ শরীরে ভালো করে মেখে নিবেন। আপনি যদি চন্দন লোশন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চন্দন রসুন আপনার ত্বককে অনেক ময়েশ্চারাইজ করে তুলবে। আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে চন্দন লোশনটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

যার ফলে আপনার তোকে সুস্থতা দূর হবে। এবং তার পাশাপাশি আপনার তো অনেক ময়েশ্চারাইজ হওয়ার কারণে তখন অনেক উজ্জ্বল দেখাবে। আপনার ত্বকের সকল খসখসে ভাব দূর হবে। আপনি যদি সারাদিন বাহিরে অফিসে কাজ কাম করে বাড়িতে ফেরেন যদি সারাদিনে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় না পান, তাহলে আপনি রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই লোশন ব্যবহার করে ঘুমাতে পারবেন।

চন্দন লোশন ব্যবহার করার ফলে তোকে লাবণতা ফিরে আসে। যার জন্য তো অনেক উজ্জ্বল এবং নমনীয় দেখায়। আর তাই এই সকল উল্লেখিত কারণে শীতকালে সবথেকে বেশি পরিমাণে এই চন্দন লোশন ব্যবহার করা হয়। আশা করছি আপনারা সকলে এখন চন্দন লোশন ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আসল চন্দন চেনার উপায়

চন্দন ক্রিম দাম জানার পরেই চন্দন ক্রিম কিনতে চাইবেন। কিন্তু আসল চন্দন চেনার উপায় সম্পর্কেও আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। আমাদের পৃথিবীতে যত সকল দামে গাছগুলো রয়েছে তার মধ্যে চন্দন হল অন্যতম একটি। এই চন্দন গাছটির সকল জায়গায় জন্মায় না। যার ফলে চন্দন গাছের অনেক মূল্য হয়ে থাকে। বেশি দামের কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই চন্দন আপনাদেরকে নকল চন্দন দিয়ে থাকে। এখন আপনি চিনবেন কিভাবে কোনটি আসল চন্দন সেটি সম্পর্কে আমরা এখন জানতে পারবো।

আসল চন্দনের কিছু সক্রিয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আসল চন্দন চিনে নিতে পারবেন। আসল চন্দনের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য গুলো হল
  • এটি দেখতে কিছুটা হলদে বর্ণের
  • অন্য সকল কাঠের তুলনার বেশ ভারি
  • সুগন্ধি যুক্ত
  • সুক্ষ দানা
এছাড়াও আরো আসল ভাবে চন্দন চেনার উপায় গুলোর নিম্নে সবিস্তারে আলোচনা করা হলো। চলুন তাহলে সেটি দেখে নেওয়া যাক।
  • আপনি যখন চন্দন কাঠ হাতে নিয়ে কাঠের উপর চাকু অথবা ধারালো কোন জিনিস দিয়ে আঁচড় দিবেন তখন দেখবেন তার ওপর একটি নরম স্তর তৈরি হয়েছে কিনা। যদি সেটি নরম স্তর তৈরি করে তাহলে বুঝবেন সেটি আসল চন্দন।
  • চন্দন কাঠ যখন আপনি হাতে নেবেন তখন আপনার হাতে একটি সুগন্ধ আসবে। আর আপনার আশেপাশের জায়গা অনেক সুগন্ধে ভরে যাবে। যদি এটি আসল চন্দন কাঠ না হয় তাহলে তার থেকে সুগন্ধ আসবে না।
  • নন্দন কাঠ অন্যান্য কাঠের তুলনা অনেকটাই ভারী। তার পাশাপাশি চন্দন কাঠ হলুদ বর্ণের এবং হালকা খসখসে হয়ে থাকে।

চন্দন পাউডার ফেস প্যাক

চন্দন পাউডার শুধুমাত্র ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করার জন্য সাহায্য করে না। বরং সেই সাথে এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের উন্নতি করার জন্য এবং ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই এটা বিভিন্ন ধরনের উপকারের দিকের জন্য সেই আদিম জগতে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে চন্দনের ক্ষেত্রে লাল চন্দন অথবা রক্ত চন্দন এটি অনেক রেয়ার প্রজাতির একটি চন্দন।

চন্দন ক্রিম দাম। এই চন্দর পাউডার কিভাবে ফেস প্যাক বানিয়ে নিয়ে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। আপনি যদি চন্দন পাউডার ব্যবহারের মাধ্যমে ফেসপ্যাক বানিয়ে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিজের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

চন্দন গুড়া, হলুদ গুড়া এবং দইঃ আপনি যদি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এই ফেস প্যাক টি বানিয়া নিয়ে ব্যবহার করুন। তার জন্য কিছুটা পরিমাণ চন্দনের গুড়ো, কিছুটা পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো আর তার সাথে প্রয়োজনমতো দই নিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর এটি শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনি ধুয়ে ফেলুন।

চন্দন গুড়ো এবং নিম গুড়োঃ নিমের সাথে চন্দনের গুঁড়ো আর তার সাথে কিছুটা পরিমাণ পানি মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট তৈরি করা শেষে আপনার মুখে ধীরে ধীরে লাগান। এই পেজটি আপনার মুখে লাগানোর ফলে আপনার মুখের ব্রণের সমস্যা খুব সহজেই ম্যাজিকের মতো দূর করে দিবে।

চন্দন গুড়ো এবং গোলাপ জলঃ এই ফেসপ্যাক টি বানানো অনেকটাই সহজ। প্রথমে কিছুটা পরিমাণ চন্দন গুড়ো আর তার সাথে কিছুটা পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি আপনার মুখে আলতো করে লাগান। এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বককে আদ্র তো রাখবেই তার পাশাপাশি এটি আপনার ত্বককে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণিয়ও করবে।

চন্দন ও দুধঃ দুধের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ চন্দন পাউডার মেশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। তারপরে সেই পেস্ট আপনার মুখে ধীরে ধীরে লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর যখন এটি শুকিয়ে আসবে, শুকানোর পর এটা ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে।

চন্দনের সাথে অ্যালোভেরাঃ কিছুটা পরিমাণ চন্দন পাউডার এর সাথে সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল মিশে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বকের দাগ এবং পোড়া ভাব সহজে দূর হবে।

চন্দন পাউডার এর উপকারিতা

চন্দন ক্রিম দাম জেনে এই ক্রিম অনেকেই ব্যাবহার করেবন। কিন্তু আপনি জানেন কি এই চন্দন পাউডারের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। বেশ কিছু বললে ভুল হবে অনেকগুলো উপকারী দিক রয়েছে। এই চন্দন পাউডারের উপকারিতা গুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে এখন আমরা অবগত করব। তো বন্ধুগণ চলনের বেশি দেরি না করে চন্দন পাউডারের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ব্রণ কমায়ঃ চন্দন কাঠে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা আমাদের ত্বকের ব্রণ সমস্যা খুব সহজেই দূর করে দেয়। এছাড়া এটি ব্রণের কারণে মুখের যে ফোলাভাব থাকে সেটি কমানোর জন্য ও অনেক সাহায্য করে।

মুখের তেলভাব কমায়ঃ চন্দন পাউডার ব্যাবহার করার মাধ্যমে মুখের তৈলাক্তভাব কমে যায়। যার জন্য মুখের ব্রণ সমস্যা ও অনেক হ্রাস পায়। এছাড়াও এর আরো একটু বড় উপকারী দিক হলো এটি ত্বক কে কখনো শুষ্ক করে না। যার ফলে যে কোন ধরনের ত্বকের মানুষই এই চন্দন পাউডার ব্যবহার করতে পারে।

ডার্ক সার্কেল দূর করেঃ আপনার চোখের নিচে যদি কালো দাগ থেকে থাকে তাহলে আপনি কিছুটা চন্দনের গুড়োর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়ে চোখের চারিদিকে লাগান। আর যদি সেটি সারা সার ধরে রেখে দেন তাহলে ৭ দিনের মধ্যে আপনার চোখের ডার্ক সার্কেল খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

মুখের দাগ কমায়ঃ চন্দন পাউডার ব্যাবহারের মাধ্যমে মুখের কোলাজেন বৃদ্ধি পায়। যা ত্বকের দাগ কমানোর জন্য অনেক উপকারী। যার কারণে ত্বক ও অনেক ভালো এবং উজ্জ্বল দেখা যায়।

উপরে উল্লিখিত এই সকল উপকারি দিক ছাড়াও চন্দনের আরো অনেক না জানা উপকারি দিক রয়েছে। আশা করছি আপনারা এইখান থেকে চন্দন পাউডার এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

চন্দন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ আসল চন্দন কাঠ চেনার উপায়?
উত্তরঃ আসল চন্দন চেনার উপায়গুলো হলো
  • দেখতে কিছুটা হলদে বর্ণের
  • অন্য সকল কাঠের তুলনার বেশ ভারি
  • সুগন্ধি যুক্ত
  • সুক্ষ দানা
প্রশ্নঃ চন্দন কি নিরাপদ?
উত্তরঃ হ্যা। আপনি যদি চন্দন নিয়ম অনুযায়ি ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে এটি ব্যাবহার অনেকটাই নিরাপদ।

প্রশ্নঃ চন্দন পাউডার কতদিন পর পর ব্যবহার করতে হয়?
উত্তরঃ চন্দন পাউডার আপনি ফেস প্যাক বানিয়ে নিয়ে প্রতি সাপ্তাহে ২ বার ব্যাবহার করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ মুখের জন্য কোন চন্দন ভালো?
উত্তরঃ মুখের ব্যাবহারের জন্য লাল চন্দন ভালো। তবে সাদা চন্দন ও খুব একটা খারাপ নয়। লাল চন্দনের তুলনায় সাদা চন্দন বাজারে বেশি পাওয়া যায়।

সর্বশেষ বক্তব্য

আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে চন্দন দিয়ে কিভাবে আপনি ফর্সা হবেন সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেই সাথেই চন্দন ক্রিম দাম সম্পর্কে ও জানতে পেরেছেন।

এই রকম তথ্য বহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। সবার আগে আমাদের সকল পোস্টের নোটিফিকেশান পেতে গুগল নিউজে ফলো করে রাখুন। আর হ্যা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন। আপনার কোন মতামত থাকলে সেটা আমাদেরকে মন্তব্য করার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন। ধনবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post