১০+ অনলাইন ইনকাম করার উপায়প্রিয় পাঠক, ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি কি
জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। ভোটার আইডি কার্ড যেহেতু
একটি দেশের নাগরিকত্ব প্রকাশ করে তাই এখানে যদি কোন ভুল তথ্য থাকে তাহলে সেটা
অবশ্যই খুব দ্রুত সংশোধন করা উচিত। কিভাবে সংশোধন করবেন এই বিষয়ে জানতে শেষ
পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
যদি আপনার সঠিক প্রমাণপত্র থাকে তাহলে অনলাইনে আবেদন করার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করা সভব।
পেজ সূচিপত্রঃ
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ডে যদি আপনার জন্ম তারিখ ভুল থেকে থাকে তাহলে সেটা সংশোধন করবেন
কিভাবে সেই সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। আপনি যদি এই সম্পর্কে জেনে না থাকেন
তাহলে অবশ্যই দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী যদি কাজ করেন তাহলে খুব সহজেই আপনার ভোটার
আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করে নিতে পারবেন। কিভাবে ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম
তারিখ সংশোধন করতে হয় তার বিস্তারিত নিয়ম নিম্নে দেখানো হলো।
ধাপ-০১ঃ কাগজপত্রের ছবি তুলুন
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র দরকার হবে। এক্ষেত্রে আপনার উচিত সংশোধনে
আবেদন করার পূর্বে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সাইজ অনুযায়ী
ঠিকঠাক করে রাখা। যদি আপনি স্ক্যান করতে না পারেন আর আপনি যদি বাড়িতে বসে মোবাইল
ফোন থেকে এই কাজটি করতে চান তাহলে অবশ্যই ছবি তুলে দেন।
ধাপ-০২ঃ NID ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন
আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংশ্লিষ্ট যেকোনো ধরনের সেবাই নেন না কেন সে ক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনাকে নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইটে গিয়ে
NID Account Registration করতে হবে।
যদি এক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে পূর্ব থেকে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি
পূর্বের একাউন্টের আইডি কার্ডের নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে
একাউন্টে লগইন করে নিতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে যদি রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে তাহলে
অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিন।
ধাপ-০৩ঃ জন্ম তারিখের সংশোধন
আপনি যখন এই ওয়েবসাইটের লগইন করে নেবেন তখন আপনার আইডি কার্ডের একাউন্ট এর
প্রোফাইল নামক অপশন পেয়ে যাবেন। এইখানে আপনি ৩ ধরণের তথ্য দেখতে পাবেন। সেগুলো
হলো
- ব্যক্তিগত তথ্য
- অন্যান্য তথ্য
- ঠিকানা
উপরের এই তিন ধরনের তথ্য থেকে আপনি আপনার যে ধরনের তথ্যের পরিবর্তন করতে চান সে
ধরনের তথ্য পরিবর্তন করার জন্য পাশের "এডিট" বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আপনার
জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার জন্য সেখানে সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন। এরপরে পরবর্তী
বাটনে ক্লিক করুন।
তারপরে সেখানে গিয়ে আপনার বর্তমানে ভুল জন্ম তারিখ এবং সংশোধিত জন্ম তারিখ দেখতে
পেয়ে যাবেন। যদি সেখানে গিয়ে দেখেন আপনার বর্তমানে জন্ম তারিখ ঠিক করা হয়েছে
তাহলে পরবর্তী ধাপে পৌঁছান।
ধাপ-০৪ঃ সংশোধন ফি পরিশোধ
এইভাবে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য ভি পরিশোধ করতে
হবে। এখন বিকাশ অথবা অন্য যে কোন মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি টাকা জমা দিতে
পারবেন। এর পরবর্তীতে আপনাকে জন্ম তারিখের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের
কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
যদি আপনি বিকাশের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড এর জন্ম তারিখ সংশোধন করার ফি জমা
দিতে চান তাহলে নিচের দেখানো ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করে নিয়ে সেখানে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করুন।
- এরপর নিচে একটু স্ক্রল করলেই টেবিল নামক অপশন পাবেন। সেখানে প্রবেশ করুন।
- এখন সরকারি ভি নামক অপশনের উপর ক্লিক করুন।
- এখান থেকে NID Service নামক অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- এখন আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি দিতে হবে। সেটি ইংরেজিতে লিখুন।
- এখন এখানে নিচে দেখতে পাবেন NID Info Correction নামক অপশন। এটি সিলেক্ট করুন
- এরপর আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর প্রদান করে ফ্রি পরিশোধ নিষেধ করুন।
ধাপ-০৫ঃ ডকুমেন্ট প্রদান
আপনি যে পরবর্তীতে জন্ম তারিখ প্রদান করেছেন সেটি প্রমাণ করার জন্য তার
প্রমাণপত্র স্ক্যান করে নিয়ে সেগুলোকে আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো
ধরনের সংশোধনের জন্য প্রমাণপত্র দিতে পারেন। যেমন এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট,
এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট। পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। এ ছাড়া
অন্যান্য আরো কিছু ডকুমেন্ট চাইতে পারে সেখানে উল্লেখ করা হবে। সেগুলো আপনাকে
ধাপে ধাপে আপলোড করতে হবে।
ধাপ-০৬ঃ ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন আবেদন ফর্ম ডাউনলোড
আপনি যখন ডকুমেন্ট প্রদান করে আবেদন সাবমিট করবেন তারপরে আপনি প্রোফাইলে চলে
যাবেন। এরপরে আপনি যে জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য আবেদন করলেন সেটি ডাউনলোড করার
একটা লিংক দেখতে পাবেন। এখন এই লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের
সংশোধনী ফরম নিজের কাছে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখুন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু
কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কাগজপত্রগুলো নির্ভর করে আপনার ভোটার আইডি
কার্ডের কোন ধরনের তথ্য পরিবর্তন করবেন তার ওপর। তবে কিছু মৌলিক ডকুমেন্ট
প্রয়োজন হয় ভোটার আইডি কার্ড পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে। যেমনঃ
- SSC কিংবা HSC পরিক্ষার সনদপত্র
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সনদপত্র
- বিবাহের কাবিন নামা (শিক্ষা সনদ যদি না থাকে)
- সরকারি চাকরিজীবি হলে সুপারিশপত্র
- সরকারি চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে এমপিও সিট অথবা সার্ভিস বহি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- পাসপোর্ট
উপরের উল্লেখিত এই সকল ডকুমেন্টগুলো ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার
ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনার উপরে
উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো না থাকে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওয়ারিশ নামার সনদ এবং
নাগরিকত্বের সনদ ব্যবহার করেও আপনি ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করে
নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে যদি আপনি ভোটার আইডি কার্ডে আমি অথবা স্ত্রী এর নাম পরিবর্তন অথবা
সংশোধন করতে গেলে অবশ্যই আপনার কাবিননামার প্রয়োজন হবে। তেমনি ভাবে যদি আপনার
ভোটার আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ না দেওয়া থাকে তাহলে সেটা যুক্ত করার জন্য অথবা
পরিবর্তন করার জন্য ডাক্তারের মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংশোধন করেন সে ক্ষেত্রে তথ্য
সংশোধনের সময় আমাদের অনেকের মনে হয় আমাদের এই তথ্য সংশোধিত হতে কতদিন অথবা কত
বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আমি বলব আপনি ভোটার আইডি কার্ডের যে
তথ্য সংশোধন করেন না কেন এই তথ্য সংশোধনের সময়টা নির্ভর করে আপনি কোন কোন
ডকুমেন্ট তাদেরকে দিচ্ছেন তার ওপর।
এছাড়া যদি আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধন করতে চান তাহলে আপনার যে
সকল সময় গুলো লাগতে পারে সেগুলো হলো
- যদি আপনি ৩ বছর বয়স সংশোধন করতে চান তাহলে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগবে
- যদি আপনি ৫ বছর বয়স সংশোধন করতে চান তাহলে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগবে
- যদি আপনি ৫ বছর বয়সের উর্ধে সংশোধন করতে চান তাহলে ৩০ দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগবে।
আপনি এ বিষয়ে কি বুঝতে পারেন নি? তাহলে চলুন এই বিষয়ে একটু ব্যাখ্যা জেনে নেই।
আপনি কত বছর বয়স সংশোধন করতে যাচ্ছেন সেই সময়ের উপর নির্ভর করে সংশোধনের
ক্ষেত্রে মোট চারটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। চলুন এখন কোন কোন ক্যাটাগরি
নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো ধরণ নিচের একটি ছাকের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
আমরা তো ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন ভুল তথ্য সংশোধন করতে চাই। তবে এই ভুল তথ্য
সংশোধন করতে গেলে আমাদের কিছু পরিমাণে ফি দিতে হয় সরকারকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি
জানেন জেনে না থাকেন ভোটার আইডি কার্ডের কোন জিনিস কোন তথ্য সংশোধন করার জন্য কত
টাকা ফ্রি দিতে হয় তাহলে চলুন এই পাঠের মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্কে জেনে নেই।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য মৌলিক ফিড দিতে হয় ২৩০ টাকা। যদি আপনি ভোটার
আইডি কার্ডের অন্যান্য সকল ধরনের তথ্য সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রি
দিতে হবে ১৫ টাকা। আর যদি আপনি সকল ধরনের তথ্য সংশোধন করতে চান তবে অবশ্যই
সেক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রি দিতে হবে ৩৪৫ টাকা। এই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ফি আপনি
বিকাশ অথবা রকেট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
তাহলে চলুন এখন আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর তালিকা দেখে নেই
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি হিসাব করার নিয়ম
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড এর সংশোধন করতে চান তাহলে অবশ্যই এর জন্য ফি প্রদান
করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সব থেকে বড় যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হয় সেটি হল
কত টাকা ফেব্রিক পরিশোধ করব। আর কোন ধরনের তথ্য ঠিক করার জন্য কেমন ধরনের ফি
পরিশোধ করতে হবে। চলুন বন্ধুগণ তাহলে এখন এই বিষয়ে জেনে নেই।
আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কোন তথ্য সংশোধন করার জন্য কত টাকা ফি
পরিশোধ করতে হবে সেটি হিসাব করার জন্য সব থেকে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম যেটি
রয়েছে সেটি হলো নির্বাচন কমিশনারের এনআইডি এপ্লিকেশন। নির্বাচন কমিশনারের এই
অ্যাপ্লিকেশনটি আপনি ফোনের প্লে স্টোর এ অ্যাভেলেবেল পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার পরে ওপেন করে নিয়ে যদি আপনার ভোটার
আইডি কার্ডের পূর্ব থেকে কোন তথ্য সংশোধন করা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তার ওপর
ভিত্তি করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে বর্তমানে কত টাকা সরকারি ফি দিতে হবে সেটি
হিসাব করে আপনাকে জানিয়ে দেবে।
ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন ফ্রি হিসাব করার জন্য আপনি
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/fees এই ওয়েবসাইটের ভিজিট করবেন। তারপর
সেখানে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর। এরপরে আপনি কেমন ধরনের তথ্য ঠিক
করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করে নিন। এর পরে "হিসাব করুন" এই অপশনের উপর ক্লিক করে
দিন। এখন আপনার আইডি কার্ডের তথ্য ঠিক করার জন্য কত টাকা লাগবে সেটি হিসাব করে
আপনাকে জানিয়ে দিবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ স্মার্ট কার্ড কিভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ স্মার্ট কার্ড আপনি services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে
সংশোধন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের আইডি কার্ড কত সালে চালু হয়?
উত্তরঃ বাংলাদেশের আইডি কার্ড ২২ জুলাই ১৯৯০ সালে চালু হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ড কি?
উত্তরঃ ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রকে বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি
কার্ড বলে।
প্রশ্নঃ ভারতে কোন সালে নির্বাচিত ছবির পরিচয় পত্র চালু হয়?
উত্তরঃ ভারতে 1993 সালে নির্বাচিত ছবির পরিচয় পত্র চালু হয়।
লেখকের মন্তব্য
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন সম্পর্কে আলোচনাই আজকে আমাদের মূল আলোচনা
ছিলো। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি এই সম্পর্কে আপনার কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে
কমেন্টের মাধ্যমে জানান অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য
ধন্যবাদ।
Post a Comment