অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনপ্রিয় পাঠক, কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি আপনি নিশ্চই এই বিষয় সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন। অথবা আপনি কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত এই সম্পর্কে নিশ্চই জানার জন্য
আগ্রহি। আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কুয়েত কোন
কাজের চাহিদা বেশি সেই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
কুয়েত দেশটি উন্নত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অনেক ভাই-বোন এই দেশে প্রবাস জীবন
গ্রহণের জন্য যেতে চান। আপনিও এই দেশে গিয়ে সফল হতে পারবেন যদি আপনি জেনে থাকেন
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে।
পেজ সূচিপত্রঃ
- ভূমিকা
- কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
- কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত
- কুয়েতে ইলেকট্রনিক্যাল কাজের কেমন চাহিদা রয়েছে
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
- কুয়েতের কিছু ভালো কোম্পানির নাম
- কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানির বেতনের তালিকা
- কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
- কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত
- কুয়েত সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
কুয়েত পুরো বিশ্বের ভিতরে অনেক উন্নত একটি দেশ। আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী
অনেক ভাইগণ এই দেশে কাজ করেন। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন যিনারা কুয়েতে প্রবাস
জীবন গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আপনি যদি সেখানে কোন কাজের চাহিদা
সবথেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে এই সম্পর্কে জেনে সেই কাজের দক্ষতা অর্জন করে সেই
দেশে যান তাহলে অবশ্যই আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে
আপনি কুয়েতের ইলেকট্রিক্যাল কাজের চাহিদা কেমন রয়েছে, কুয়েতের কোন কোম্পানির
ভিসার বেতন কত, কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত এই সকল বিষয় সহ আরো অনেক কিছু
সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েত এমন পুরো বিশ্বের ভেতরে একটি দেশ যেখানে দক্ষ জনশক্তির কাজের কোন প্রকার
অভাব নেই। আপনি যদি সঠিক কাজের দক্ষতা নিয়ে এই দেশে যান তাহলে আপনার কাজের কোন
অভাব হবে না। সাথে সাথে আপনি অনেক ভাল পরিমাণে একটি বেতন পাবেন। আপনি যদি কোন
কোম্পানির ভিসা নিয়ে সেখানে যান তাহলে অনেক ভালো কাজ পাবেন।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি? কুয়েত হলো এমন একটি দেশ যে দেশটি খনিজ সম্পদে
ভরপুর। যার ফলে এই দেশটি অনেক উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী। কুয়েতে কাজ করার উদ্দেশ্যে
বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রতি বছর শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। এই দেশে বিভিন্ন
কোম্পানির ভিসা সহ আরও ব্যক্তি মালিকানায় লোক নিয়োগ করা হয়। যার ফলে অসংখ্য
শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কাজ করার সুযোগটি পেয়ে থাকেন।
সেখানে কোম্পানির ক্লিনিং এর কাজ অথবা ফ্যাক্টরিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে আপনি
যদি কাজ করেন তাহলে আপনি অনেক ভালো বেতন পাবেন। এই কুয়েত দেশটিতে বর্তমান সময়ে
যে সকল কাজের সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে সেগুলো হল
- রেস্টুরেন্ট
- হোটেল
- কনস্ট্রাকশন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ড্রাইভিং
- ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
তবে বর্তমান সময়ে আপনি যদি কুয়েতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি জানেন যে কুয়েতে
এখন হোটেলে ও রেস্টুরেন্টে এখন কাজের জন্য অনেক বেশি পরিমাণে চাহিদা। আবার জিনারা
কুয়েতে গিয়ে ইলেকট্রিশিয়ান অথবা ড্রাইভিং এর মত কাজ করে থাকেন তারাও একটি মাসে
অনেক ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করেন।
আপনিও যদি কুয়েতে গিয়ে এই সকল কাজ করতে চান তাহলে আপনি প্রতি মাসে প্রায় ৬০
হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি ওভারটাইম কাজ করেন
তাহলে কোন কোন মাসে এর থেকে বেশি হয়ে এক লাখ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
উপরে আমরা যে সকল কাজের কথা বললাম আপনি যদি এই সকল কাজ থেকে আপনার কোন কাজ পছন্দ
হয়ে থাকে তাহলে সেই কাজের দক্ষতা অর্জন করে নিন। কাজের সঠিক দক্ষতা অর্জন করার
পরে আপনি কুয়েত গেলে সেখানে অনেক ভালো পরিমাণে বেতন পাবেন। আর দক্ষতা থাকার
কারণে আপনি অন্য সকল তুলনায় কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি অগ্রাধিকার পাবেন।
যার ফলে আপনার ইনকাম করার সুযোগ তুলনামূলক অনেক বেশি হবে। আপনি যেহেতু একজন দক্ষ
ব্যক্তি তাই আপনি পরবর্তীতে আপনার রেফারেন্স দিয়ে অন্য অনেক লোক নিয়ে যেতে
পারবেন নিজ দেশ থেকে। সেখান থেকে আপনি কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে সেটি জানার পরে আপনারা এমন অনেকেই রয়েছেন
জিনারা কুয়েতে যেতে যাচ্ছেন কাজ করার উদ্দেশ্যে। আমরা সকলেই ইতিপূর্বে জানতে
পেরেছি কুয়েতে কাজের চাহিদা কেমন। তবে অনেকে এমন ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন যে
কুয়েতে কাজের সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা হয়ে থাকে অবশ্যই আপনাদেরকে এই বিষয়ে জানা
উচিত। তাহলে চলুন এই টপিকটি থেকে এ বিষয়ে এখন আমরা জেনে নেই।
কুয়েতে আপনি যে ধরনের কাজই করেন না কেন সেখানে সর্বনিম্ন বেতন হবে ৬০ দিনার। যে
টাকার মূল্য বাংলাদেশের টাকায় প্রায় 20 হাজার টাকার সমপরিমাণ। আর এই কুয়েতের
সর্বনিম্ন বেতনের কথা কুয়েত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত করা হয়েছে। যদি কোন প্রবাসী
ভাই কুয়েতে গিয়ে কাজ করেন তাহলে তার বেতন অবশ্যই সর্বনিম্ন ৬০ দিনার পর্যন্ত
হতে হবে।
যেহেতু এই বেতনটি দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে তাই কেউ চাইলেও এই
বেতনের কম দিতে পারবে না কখনোই। কুয়েতে যে সকল প্রবাসী ভাইগন গিয়ে থাকেন তিনারা
প্রতিমাসে বাংলাদেশী টাকায় সর্বনিম্ন ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম
করেন। আর জিনাদের অভিজ্ঞতা কাজের প্রতি অনেক বেশি পরিমাণে থাকে তিনারা প্রতি মাসে
লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করেন।
এখন বিশ্বের আপনি যে কোন জায়গাতে কাজের জন্য যান না কেন সেখানে আপনার কাজের
অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে আপনার বেতন। যে সকল শ্রমিকগণের কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা
বেশি থাকবে তাদের বেতন বেশি হবে। আপনারা যারা কুয়েতে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন
তারা উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিয়ে তারপরে
সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণে একটা
এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।
কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত
ইতিপূর্বে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন কত সেই
সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখন আমাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন হয়ে থাকে যে কুয়েতের
সর্বোচ্চ বেতনের পরিমাণ কত টাকা শেষ সম্পর্কে। আপনার মনেও যদি এমন প্রশ্ন ঘুরপাক
খেয়ে থাকে তাহলে এই টপিকটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি সকল তথ্য আপনি
ক্লিয়ার ভাবে জানতে পারবেন।
কুয়েতে যে সকল ব্যক্তিগণ কাজের বিষয়ে অবস্থান করছেন তাদের প্রতি মাসে ইনকাম ৮০
হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও এমন অনেক রয়েছেন জিনারা বোনাস
ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা সেখানে ভোগ করেন। এই সকল বোনাস সুযোগ সুবিধা
পাওয়ার জন্য তাদের বেতনের পরিমাণ আরো অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
বিমান টিকেটের দাম
তবে সকলের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ-সুবিধা টি হয় না। যারা বেশি পরিমাণে অভিজ্ঞ কাজের
প্রতি যাদের দক্ষতা অনেক বেশি রয়েছে তারাই মূলত এইরকম সুযোগ সুবিধা গুলো পেয়ে
থাকেন। তবে একজন কর্মী সেখানে কতক্ষণ কাজ করছেন অথবা কোন কাজ করছেন এই সকল
বিষয়ের উপরে তার বেতন নির্ভর করা হয়ে থাকে। কুয়েতের এক এক কাজের জন্য একেক
ধরনের বেতন দেওয়া হয়।
কুয়েতে ইলেকট্রনিক্যাল কাজের কেমন চাহিদা রয়েছে
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি? আমরা সকলেই জানি যে কুয়েত বর্তমান সময়ে বিশ্বের
মধ্যে সবথেকে উন্নত একটি দেশ। তারা বিভিন্ন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক উন্নত সাধন
করেছে। এছাড়া প্রায় সকল ক্ষেত্রে কুয়েত অনেক বেশি পরিমাণে উন্নতি সাধন করেছে।
তাই তাদের প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল কর্মীর। আর এই কর্মী বিভিন্ন দেশ
থেকে প্রতি বছর সংগ্রহ করা হয়।
তেমনি আমাদের বাংলাদেশ থেকেও অনেক ভাইগন কুয়েতে যান ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য।
সেখানে গিয়ে অনেক ভালো মানের একটি বেতন পান। এই ইলেকট্রিক্যাল কাজের সবথেকে ভালো
একটি সুবিধা হল আপনি সেখানে গিয়ে ওভারটাইম পাবেন তার সাথে সাথে আপনি একটু বাড়তি
আয় করার সুবিধা পাচ্ছেন।
আর আপনার যদি কাজ অনেক ভালো হয় কাজের প্রতি যদি অভিজ্ঞতা থাকে আপনি যদি অনেক
বেশি দিন কাজ করেন তাহলে অবশ্যই প্রতি মাসে একটি বোনের সুবিধা পাবেন। যেটা
সাম্প্রতিক যোগ করা হয়েছে সকল কর্মীদের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য। আপনি যদি
ইলেকট্রিক্যাল মিস্ত্রি হয়ে থাকেন, আর আপনি যদি কুয়েতে যাওয়ার চিন্তা করে
থাকেন।
তাহলে আপনি কুয়েতে গিয়ে প্রতি মাসে অনায়াসে সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা থেকে দেড়
লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনি আয় করতে পারবেন এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কারণ এই
ইলেকট্রিক্যাল কাজটি নির্ভর করে অনেক দক্ষতার উপর। তাই অবশ্যই আপনি ইলেকট্রিক্যাল
কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে তারপরে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে সেটি জানার পরে আপনি যদি কুয়েতে বিভিন্ন
কোম্পানির স্পন্সারে গিয়ে থাকেন আর সেখানে যদি আপনি কাজ করেন তাহলে অনেক ভালো
পরিমাণ একটি বেতন পাবেন। যে সকল ব্যক্তিগণ কুয়েতে গিয়ে কোম্পানির কাজ করে থাকেন
তিনারা প্রতি মাসে প্রায় 120 দিনার থেকে 150 দিনার পর্যন্ত বেতন পান। যেটা
বাংলাদেশি টাকা হিসাব করা হলে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ।
কাজ করার মাধ্যমে যখন কর্মীদের অভিজ্ঞতা অনেক বৃদ্ধি পায় তখন তাদের কাজের উপর
ভিত্তি করে বেতন বৃদ্ধি করা হয়। এভাবে প্রতি মাসে বেতন কিছুটা সামান্য পরিমাণ
হলো বৃদ্ধি করা হয়। তার পাশাপাশি রয়েছে আপনার ওভার টাইমে কাজ করার মাধ্যমে
বাড়তি আয় করার সুযোগ। যেখান থেকেও আপনি প্রায় অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
যে সকল ব্যক্তিদের কাজের প্রতি পূর্ণ অভিজ্ঞতা হয়ে যায় তিনারা প্রতিমাসে
সর্বোচ্চ এক লক্ষ 50 হাজার টাকা পর্যন্তও বেতন পেতে পারেন। এছাড়াও তো আরো বোনাস
এর সুযোগ তো রয়েছেই। তাই জিনারা কুয়েতে কোম্পানি বিষয়ে কাজের জন্য যেতে চান
তিনারা অবশ্যই একটি ভাল কোম্পানির খোঁজ করে নিয়ে তারপরে সেখানে কাজের জন্য আবেদন
করতে পারেন।
কুয়েতের কিছু ভালো কোম্পানির নাম
কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে যিনারা তাদের কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে
লোকজন নিয়োগ করে থাকেন। তবে কিছু কিছু কোম্পানির রয়েছে জেনারেল কাজের জন্য লোক
তো নিয়োগ করে থাকেন কিন্তু তাদের সার্ভিস বেতন অনেক কম থাকে। তাই এখন আমরা
আপনাদেরকে কুয়েতের ভালো ভালো কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চলেছি।
কুয়েতের যে সকল ভাল কোম্পানিগুলো রয়েছে সেগুলো হলো
- ন্যাশনাল কোম্পানি
- কেওসি কোম্পানি
- আল জাজিরা কোম্পানি
- মাজেদ আল আলহে
- আল ফয়সাল কোম্পানি
- তানজিকম কোম্পানি
- ডিসাইড কোম্পানি
- ডায়ানা কোম্পানি
- আল আব্রাক কোম্পানি
উপরে উল্লেখিত এই সকল কোম্পানিগুলো প্রতিবছর অনেক পরিমাণে জনবল নিয়োগ করে থাকেন
তাদের কাজের জন্য। আপনি যদি এই সকল কোম্পানির ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে
অবশ্যই সেখানে যেতে পারে। উপরে উল্লেখিত যে সকল ভালো কোম্পানী রয়েছে তাদের
বেতনের তালিকা গুলো আপনি নিচে থেকে জানতে পারবেন।
কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানির বেতনের তালিকা
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে সেটি জানার পরে আমরা জেনেছি কুয়েতের বিভিন্ন
ধরনের কোম্পানির সম্পর্কে। জিনারা তাদের কর্মীর কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন প্রদান
করে থাকেন। যেই ব্যক্তির কাজের চাহিদা কাজের অভিজ্ঞতা, কাজের দক্ষতা যত বেশি হয়ে
থাকে সেই ব্যক্তির তত ভালো বেতন নির্ধারণ করা হয়। এখন আমরা সকলেই এই সকল
কোম্পানির বেতন গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো।
ন্যাশনাল কোম্পানিঃ এই কোম্পানিতে তাদের কর্মীদের কাজের জন্য প্রথম মাসে
থেকেই ৫০ হাজার টাকা থেকে বেতন নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে সেটি কর্মীদের কাজের
দক্ষতার উপর নির্ভর করে ৭০ হাজার পর্যন্ত অথবা তার বেশিও হয়ে থাকে।
কেওসি কোম্পানিঃ কুয়েতের এই কোম্পানিটি তাদের কর্মীদের প্রথম মাসে থেকে
কাজের বেতন ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে সেটি কর্মীদের কাজের অভিজ্ঞতার
উপর নির্ভর করে বৃদ্ধি করা হয়।
আল জাজিরা কোম্পানিঃ এই প্রতিষ্ঠানটি কুয়েতের আরো একটি স্বনামধন্য
কম্পানি। যেখানে আপনি কাজের জয়নিং এর প্রথম মাস থেকেই বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা।
পরবর্তীতে আপনার কাজের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে এই কাজের মাসিক বেতন নির্ধারণ
করা হয় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মাজেদ আল আলহেঃ আপনি যদি এই কোম্পানিতে কাজের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে
এই কোম্পানিতে চাকরিতে জয়েন করার প্রথম মাস থেকেই বেতন পাবেন ৩০ হাজার টাকা। যদি
কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে তার প্রথম মাসের জয়নিং এর বেতন
৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সেটি আরো অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে
মাসিক বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়।
আল ফয়সাল কোম্পানিঃ আল ফয়সাল কোম্পানিটি কুয়েতের আরো একটি স্বনামধন্য
প্রতিষ্ঠান। যেখানে কর্মীদের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে প্রথম মাসের বেতন বাংলাদেশী
টাকার ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে সেটি আরো আস্তে আস্তে দক্ষতার
উপর বৃদ্ধি করা হয়।
তানজিকম কোম্পানিঃ এই কোম্পানিটির বেতন ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয় ৬০
হাজার টাকা পর্যন্ত তাদের কর্মীদের প্রতি মাসে বেতন প্রদান করে থাকে।
ডিসাইড কোম্পানিঃ কুয়েতের এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মীদের
প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকে।
ডায়ানা কোম্পানিঃ এই কোম্পানির বেতন মাসিক ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার
টাকা পর্যন্ত।
আল আব্রাক কোম্পানিঃ কুয়েতের এই কোম্পানিটি তাদের কর্মীদের প্রথম মাস
থেকে বেতন নির্ধারণ করেন ৪০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে সেটি কর্মীদের কাজের দক্ষতার
উপর নির্ভর করে বৃদ্ধি করা হয়।
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে সেটি জানার পরে আপনার অবশ্যই জানতে ইচ্ছে হবে
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত? বর্তমান সময়ে কুয়েতে রাজমিস্ত্রি, ওয়েল্ডিং
মিস্ত্রি, প্লাম্বার, ড্রাইভিং, ইলেকট্রিশিয়ান এই সকল কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।
যার জন্য এই সকল কাজের বেতন ও অনেক বেশি হয়ে থাকে। এই সকল কাজের জন্য কুয়েতে
বেতন প্রদান করা হয় সর্বনিম্ন ১৫০ দিনার থেকে ৩৫০ দিনার পর্যন্ত। যেটা বাংলাদেশী
টাকা এর মূল্য দাঁড়ায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা এর সমপরিমাণ।
এ ছাড়াও সেখানে এই সকল কাজের জন্য ওভারটাইম তো রয়েছেই। তার পাশাপাশি রয়েছে
বোনাস সুবিধা। আপনি যদি কাজের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন আর যদি সেখানে
গিয়ে ভালো কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি অনেক ভাল পরিমাণে একটি টাকা করতে
পারবেন। কুয়েতে কোন কোন কাজের জন্য কেমন বেতন দেওয়া হয় সেটি নিয়ে নিম্নে এখন
আমরা আলোচনা করব।
ইলেকট্রিশিয়ানঃ ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের জন্য কুয়েতে আপনি বেতন পাবেন ৫০
হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে আপনার যদি কাজের ক্ষেত্রে একটু ভালো
পরিমাণে অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে অনায়াসে আপনি প্রতি মাসে 90 হাজার টাকা অথবা
তার বেশি ও ইনকাম করতে পারবেন।
রাজমিস্ত্রি, ওয়েল্ডিং, ড্রাইভিং, প্লাম্বিংঃ কুয়েতে রাজমিস্ত্রি,
ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি, ড্রাইভিং অথবা প্লাম্বিং এ সকল কাজের জন্য প্রতি মাসে বেতন
দেওয়া হয়ে থাকে বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
তবে এই সকল কাজের জন্য যদি আপনার ভালো পরিমাণে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সেখানে
ফোরম্যান পদে যেতে পারেন। তাহলে আপনার সেখানে প্রতি মাসে ইনকাম হবে প্রায় এক লাখ
টাকার মত অথবা তার উপরে।
ফ্যাক্টরি ও রেস্টুরেন্টঃ ফ্যাক্টরি অথবা রেস্টুরেন্টে যদি আপনি কাজের
জন্য যেতে চান তাহলে সেখানের বেতন পাবেন আপনি প্রতিমাসে বাংলাদেশী টাকায় ৪০
হাজার টাকা থেকে ৬০০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে এই সকল কাজে আপনি অবশ্যই ওভারটাইম কাজ
করার সুযোগ পাবেন। তার সাথে সাথে বোনাস সুবিধাটি তো থাকছেই।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন জেগে থাকে যে আপনি ড্রাইভিং জানেন আপনি যদি সেজন্য
কুয়েতে গিয়ে থাকেন তাহলে সেখানে গিয়ে কত টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। আপনাদের
জন্য আজকের এই টপিকটি। এই টপিকের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সম্পূর্ণভাবে জানানোর
চেষ্টা করব কুয়েতে আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসায় যান তাহলে আপনার বেতন কত হবে সেই
সম্পর্কে।
আপনি যদি কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে কাজে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার
ড্রাইভিং এর প্রতি ভাল পরিমানে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানিতে কুয়েত
থেকে ড্রাইভিং কাজের জন্য লোক নিয়োগ করা হয়। আর এই কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে
অনেক মানুষজন আবেদন করেন তাদের কাজের জন্য। এখান থেকে সেই সকল কোম্পানি যাদেরকে
অধিক অভিজ্ঞ বলে বিবেচনা করে তাদেরকে কাজে নেওয়ার কথা বলেন।
যেহেতু বিভিন্ন কোম্পানি এই কাজের জন্য নিয়োগ করবে তাই বিভিন্ন কোম্পানির বেতন
আলাদা আলাদা ধরনের হবে। তবে ড্রাইভিং কাজের অভিজ্ঞতার ওপর গড় হিসাব করে বলা যায়
এই কাজের জন্য বাংলাদেশি টাকায় ৫৫ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন
আপনি পেতে পারেন। তবে হ্যাঁ এখানে ওভারটাইম করা সুযোগ তেমন একটা নেই। কিন্তু
আপনার কাজের উপর বোনাস পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত
আমরা সকলেই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি। যদি আপনি এই
বিষয়ে জেনে থাকেন তাহলে আপনার জানা উচিত কুয়েতে ক্লিনার কাজের জন্য বেতন কত।
চলুন বন্ধুগণ আপনি যদি কুয়েতে ক্লিনার কাজের জন্য যেতে চান তাহলে এই বিষয়ে
সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেই।
বাংলাদেশের অনেক মানুষজন রয়েছে যিনারা কুয়েতে গিয়ে ক্লিনার ভিসায় কাজ করছেন।
সেই সকল ব্যক্তি প্রতি মাসে ৮০ দিনার থেকে ১০০ দিনের পর্যন্ত বেতন পান। যেটা
বাংলাদেশে টাকায় হিসাব করলে ৩০ হাজার টাকার উপরে পাওয়া যায়। এই ক্লিনারের কাজ
যারা অনেকদিন যাবত করছেন তাদের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে প্রতি মাসে এর বেতন
বৃদ্ধি করা হয়।
যাদের অধিক পরিমাণে এই কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা প্রতি মাসে ৫০ হাজার
টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা বাংলাদেশী টাকায় ইনকাম করতে পারেন। তারপরে তো কোম্পানির
এই কাজের জন্য ওভারটাইম কাজ রয়েছে। সেখান থেকেও অনেক ভালো পরিমাণে ওভারটাইমে
ইনকাম করা যায়। তার সাথে সাথে বোনাসও থাকছে।
কুয়েত কাজের চাহিদা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত?
উত্তরঃ কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরে।
প্রশ্নঃ কুয়েতে কোন কোন দক্ষতার চাহিদা বেশি?
উত্তরঃ কুয়েতে যেসকল দক্ষতার চাহিদা বেশি সেগুলো হলো
- কনস্ট্রাকশন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
প্রশ্নঃ কুয়েতে সবচেয়ে কম বেতন কত?
উত্তরঃ কুয়েতে সবচেয়ে কম বেতনের পরিমাণ হলো ৭৫ দিনার। যা বাংলাদেশি
টাকায় ২৫ হাজার টাকা অথবা তার থেকে কিছু বেশি।
প্রশ্নঃ কুয়েতে ঘন্টায় কত টাকা?
উত্তরঃ কুয়েতের সকল কর্মচারীদের ঘণ্টায় আনুমানিক গড় বেতন প্রায় $41
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো কুয়েত কোন কাজের চাহিদা
বেশি সেই সম্পর্কে। তার পাশাপাশি আমরা আরো অনেক কিছু সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলের
মধ্যে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে
উল্লিখিত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
যদি আপনার এই বিষয়ে কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে মন্তব্য করার
মাধ্যমে জানাবেন। এই রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের
সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Post a Comment