কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশিপ্রিয় পাঠক, আপনি কি আমেল আইডি ভিসা কাজ কি এবং সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারণ আমরা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো
সৌদি আরবেন আমেল আইডি ভিসা কাজ কি সেই সম্পর্কে সকল বিস্তারিত আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে জানতে পারবো।

পেজ সূচিপত্রঃ

ভূমিকা। আমেল আইডি ভিসা কাজ কি - সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

সৌদি আরব হলো বিশ্বের এক অন্যতম সুন্দর একটি দেশ। আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর অনেক হাজিগণ যান সেখানে হজ পালন করার উদ্দেশ্যে। আবার অনেক ভাই যান সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে। সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনেক ধরণে ভিসা রয়েছে। যেমন ক্লিনার ভিসা, সুপার মার্কেট ভিসা ইত্যাদি।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার, সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম, সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি, সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আমেল আইডি ভিসা কাজ কি

আমেল আইডি ভিসায় কাজ হলো আপনাকে একজন কফিল নিয়ে যাবেন সেখানে আপনাকে কাজের জন্য। আপনাকে সেখানে গিয়ে শুধু তার অধিনেই কাজ করতে হবে। আর অনুমতি ব্যাতিত আপনি অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না।

যদি আপনি তার অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কাজ করেন তাহলে সে আপনার বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যাবস্তা গ্রহণ করবেন। কফিল হলো যিনি আপনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।এই ভিসায় যেতে প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

তবে আপনাকে এই কাজের ইকামা করতে হবে প্রতিবছরে একবার করে। যার জন্য আপনার খরচ ১০,০০০ রিয়াল থেকে ১৩,০০০ রিয়াল পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর আপনাকে আপনাকে কফিলকে প্রতি মাসে কিছু টাকা ফয়দা দিতে হবে। আপনি যত টাকা মাসিক ইনকাম করবেন তার উপর।

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো সেই সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদেরকে সৌদি আরবের সকল ভিসা সম্পর্কে জানতে। আপনি যদি সকল ভিসা সম্পর্কে জানতে পারেন তাথলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন ভিসা আপনার জন্য ভালো হবে। তাহলে চলুন সৌদি আরবের সকল ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো
সৌদি আমেল আইদি ভিসাঃ এই ভিসাতে সৌদিতে বসবাসরত একজন কফিল এর অধিনে যেতে হয়। সৌদি ভাষাতে সৌদি মালিক কে কোফিল বলা হয়। আপনি সেখানে যে কোফিল এর অধিনে যাবেন, আপনি তার থেকে অনুমতি নিয়ে সকল ধরণের কাজ করতে পারবেন।

তার অনুমতি ব্যাতিত অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না। এই জন্য সেই কফিলকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে রিয়াল দিতে হবে। রিয়াল হলো সৌদি আরবের মুদ্রার নাম।

সৌদিতে এই আমেল আইদি ভিসাতে যাওয়ার জন্য আপনাকে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। আর সেখানে আপনার ইনকাম নির্ভর করবে আপনি সেখানে কি কাজ করছেন তার ওপর।

সৌদি আরব মাজরার ভিসাঃ সৌদি আরব মাজরার ভিসাতে সৌদিতে গেলে আপনাকে সেখানে সাধারণত ফল বাগানে কাজ করতে দেওয়া হবে। এখানে যারা একটু কাজ কম পারে বা অদক্ষ তাদের কে এই কাজ করতে দেওয়া হয়।

এই ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনা ৩-৩.৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। আর সেখানের আপনি প্রতি মাসে ১ - ১.৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

সৌদি আমেল মঞ্জিল ভিসাঃ এই ভিসায় সৌদি আরবে যেতে ৩ - ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই ভিসায় সাধারণত সেখানে বাড়ির ভেতরে আপনাকে যেকোনো ধরনের কাজ করতে দেওয়া হবে। যেমন বাড়ির ক্লিনার, দারোয়ান, অথবা অন্য যে কোন কাজ।

আপনি এই বিষয়ে সেখানে গেলে আপনার মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্য যে কোন কাজ করতে পারবেন না। এই ভিসা প্রতি বছর রিনিউ করতে হয়। আর রিনিউ করতে খরচ হয় ১ - ১.২০ লাক্ষ টাকা।
সৌদি চাওয়াক খাছ ভিসাঃ এই ভিসার মাধ্যমে আপনি সৌদি আরব গেলে আপনার খরচ হবে ৩ লক্ষ থেকে ৩.৫ লক্ষ টাকা। এই ভিসায় সাধারণত আপনাকে সেখানে মালিকের নিজস্ব ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতে হবে।

আপনি মালিকের ব্যতীত অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না। অন্য কোন কাজ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে মালিকের অনুমতি নিতে হবে। আর এই সৌদি চাওয়াক খাছ ভিসায় আপনি সোউদি আরব গেলে প্রতি মাসে ১ - ১.৫ হাজার রিয়াল আয় করতে পারবেন।

যা বাংলাদেশি টাকায় ৩০ - ৩৫ হাজার টাকার সমতুল্য। অনেক সময় এই টাকার পরিমাণ কমবেশি হয়ে থাকে।

সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসাঃ সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা হলো সব থেকে ভালো ভিসাগুলোর মধ্যে একটি। এই ভিসার মাধ্যমে আপনাকে সৌদি আরব যেতে হলে আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ - ৩৮ এর মধ্যে হতে হবে।

সুপার মার্কেটে কাজ করে আপনি প্রতিমাসে প্রায় ১ - ১.৪ হাজার রিয়েল পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি থাকছে ওভারটাইমের সুযোগ। যেখানে কাজ করে আপনি আরো অনেক টাকা বারতি আয় করার সুযোগ পাবেন। যা আপনার মূল বেতনের প্রায় অর্ধেকের সমতূল্য পরিমাণে হয়ে থাকে।

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসাঃ আপনার যদি দক্ষতা একেবারেই না থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে সৌদিতে ক্লিনার ভিসার কাজে যেতে পারেন। এমন অনেকেই আছেন যারা সৌদি আরবে কোন দক্ষতা ছাড়াই সেখানে এই ভিসাতে গিয়ে অনেক ভালো পরিমাণে আয় করছেন।

আপনি চাইলে এই বিষয়টি আরো ভালো করে যাচাই করে দেখতে পারেন। এই ভিসাতে সৌদি আরব যেতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার পরিমাণ খরচ হয়ে থাকে। সেখানে গিয়ে আপনি কমপক্ষে প্রতিমাসে ১ হাজার রিয়াল আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি একটু বেশি পরিশ্রমি হন তাহলে আরো বেশি তাকা আয় করতে পারবেন। আশা করছি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন আপনার জন্য আমেল আইডি ভিসা কাজ কি এবং কোন ভিসা ভালো হবে। আপনি কোন ভিসা কিনার সামর্থ্য রাখতে পারেন।

যদি আপনি এর পরেও উক্ত ভিসা সম্পর্কে বুঝতে না পারেন তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই আমরা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবো।

সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার ও কিকি

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো সেই সম্পর্কে জানার পরে আপনি যদি সৌদি আরবে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনি অনেক ভিসা পাবেন। কাজের জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য যে ভিসা দেওয়া হয় তাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলে। সৌদি আরবে যাওয়ার এসব ভিসার মধ্যে অনেকগুলি ভিসা দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলি হলোঃ
  • সৌদি আমেল আইদি ভিসা
  • সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা
  • সৌদি আমেল মঞ্জিল ভিসা
  • সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা
  • সৌদি আরব মাজরার ভিসা
  • সৌদি চাওয়াক খাছ ভিসা

সৌদি ভিসা প্রসেসিং করতে কি কি লাগে

সৌদি ভিসা প্রসেসিং করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে সৌদি ভিসার আবেদন সম্পন্ন করার পূর্বে অবশ্যই আপনার তিনটি জিনিস থাকা বাধ্যতামূলক। আর সেগুলি হলো।
  • অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে
  • একটি ইমেইল ঠিকানা
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েঃ আপনি যখন ভিসার জন্য অর্থ প্রদান করবেন তার জন্য অবশ্যই আপনার একটি বৈধ অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে থাকতে হবে। অন্যথায় আপনি অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন না। আর এজন্য আপনি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করতে পারেন।

একটি ই-মেইল ঠিকানাঃ অনলানে সৌদি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপনাকে একটি ই-মেইল ঠিকানা দিতে হয়। আর এই ই-মেইলেই আপনার আবেদন সম্পর্কিত সকল তথ্য পাবেন। এছাড়াও তারা আপনার সাথে সমস্থ যোগাযোগ এই ই-মেইলের মাধ্যমেই করবে।

আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে সৌদি আরবেন জন্য ই-ভিসার আবেদন করবেন তার ঠিক ৭২ ঘন্টার মধ্যেই একটি ই-মেইলের মাধ্যমে একটি ই-ভিসা আপনি ৩ কার্য দিবসের মধ্যেই পেয়ে যাবেন।

একটি বৈধ পাসপোর্টঃ আপনি যেকোন দেশেই যান না কেনো তার জন্য অবশ্যই আপনার একটি একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনার যদি পাসপোর্ট না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সবার প্রথমে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।

অন্যথায় আপনি সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, সৌদি ই-ভিসা সরাসরিভাবে আপনার পাসপোর্টের সাথে ইলেকট্রনিকভাবে সম্পর্কযুক্ত।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো জেনে যদি আপনি সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই অংশটি পড়ুন। সৌদি আরব সরকার কোন ফ্রি ভিসা প্রদান করে না। বরং বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোম্পানি অবৈধভাবে এই ফ্রি ভিসা বিক্রি করে থাকে।

সৌদি আরব সরকার এমন কোন ভিসার কথা বলে নি, যেই ভিসার মাধ্যমে ফ্রিতে সৌদি আরব যাওয়া যাবে। বরং কিছু কোম্পানি সৌদি আরবের বিভিন্ন বাসার কাজে অথবা কোন জমির কাজের জন্য এই ভিসা দেয়। এটি হলো একটি অবৈধ ভিসা।

তারা এই অবৈধ ভিসা তৈরি করে কিছু কোম্পানি অথবা বাড়ির কাজের জন্য অবৈধভাবে সৌদি আরবে পাঠাচ্ছে। তারা এই সকল ভিসা আপনাদের কাছে বিভিন্ন কোম্পানির নামে কথা বলে আপনাদের কাছে বিক্রি করে।

তাই আপনি যদি এমন কোন ভিসাতে যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রথমে তাদের ব্যাপারে একটু ভালো করে খোজ নিয়ে তারপর যাবেন। সৈদি আরবের এইসকল অবৈধ ফ্রি ভিসার দাম সাধারণত ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

তারা আপনাদের কাছে এই ভিসা বিভিন্ন কোম্পানির নামে বলে আপনার কাছে বিক্রি করবে। তারপর আপনাকে সেখানে দিয়ে পাঠাবে। এই সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা নামে আপনাকে যেই ভিসা দেওয়া হয় এটা হলো তাদের একটা ব্যাবসা।
এর সাথে সাথে এটি হলো একটি প্রতারণার ফাদ। তারা প্রথমে খোজ করে সৌদিতে এমন বাসা বা বাড়ি রয়েছে যেগুলোতে মানুষ বসবাস করে না। তাই সেই সকল পরিত্যাক্ত বাড়ির নামে ভিসা তৈরি করে আপনার কাছে বিক্রি করে।

তারপর আপনি সেখানে যাওয়ার পরে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ পাওয়ার পরে তারা আপনার কাছে থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করে বসে। তার কারণ আপনার সকল ইনফরমেশান তাদের কাছে রয়েছে। আপনাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে পারে।

তাই আপনি এই সকল ভিসা ক্রয় করার পূর্বে সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। তার সাথে এটাও জেনে নিবেন যেই এই ভিসার সাথে কোন পুলিশি ঝামেলা আছে কিনা। এই

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত

ইতিপুর্বে আমরা আমেল আইডি ভিসা কাজ কি এবং সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আপনি যদি সেখানে না পড়ে থাকেন তাহলে উপর থেকে একটু পড়ে নিবেন। উপরে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে আপনার বুঝতে অনেক সুবিধা হবে। তাহলে চলুন এখন একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত
সৌদি আরবে আপনি যদি ক্লিনার ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকার মতো। আপনি সেখানে গেলে প্রতি মাসে প্রায় ১০০০ রিয়াল সমপরিমাণ আয় করতে পারবেন। যা বাংলাদেশি টাকাতে ৩০ হাজার টাকার পরিমাণ।

আর আপনি যদি একটু বেশি পরিশ্রমি হন তাহলে আপনি আরো অনেক বেশি আয় করতে পারবেন। আর যারা সৌদি আরবে ক্লিনার ভিসার কাজে যান তাদেরকে ৬০০ রিয়ালের নিচে বেতন দেওয়া হবে না। আপনার এই আয়কৃত টাকা থেকেই আপনাকে আপনার খাওয়া খরচ চালাতে হবে।

আর থাকা খরচ আপনার কোম্পানি সেটা বহণ করবে। তাই আপনার এই টাকা থেকে আপনার খাওয়া খরচ চালাতে হবে। তাই যারা সৌদি আরবে এই ক্লিনার ভিসায় যেতে চান তারা অবশ্যই অনেক ভেবে চিনতে বুঝে শুনে যাবেন। আর অবশ্যই অভিজ্ঞদের পরামর্শ সবসময় গ্রহণ করবেন।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত

আমেল আইডি ভিসা কাজ কি এবং সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো জানার পরে আপনার মনে এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত? সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন নির্ভর করে থাকে অনেক টা কোম্পানির ওপরে।

যেই কোম্পানি যতভালো হবে সেই কম্পানি ততই ভালো বেতন প্রদান করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরণের বেতন হয়ে থাকে। সৌদিতে বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যারা বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে থাকে। সেই সকল কোম্পানিগুলি হলোঃ
  • আরামকো কোম্পানি
  • ইনিশিয়াল কোম্পানি
  • সাসকো কোম্পানি
  • আল মারাই কোম্পানি
  • পেপসি কোম্পানি
  • জুসুর ইমদাদ কোম্পানি
  • আল খায়ের কোম্পানি
  • বলদিয়া কোম্পানি
  • আল বদর কোম্পানি
  • আল-ইমামা কোম্পানি
এই সকল কোম্পানির মধ্যে সবথেকা ভালো কোম্পানিটি হলো আরামকো কোম্পানি। এই কোম্পানিতে শুরুতে বেতন হয়ে থাকে ৩৫ হাজার টাকার মতো। এর পরে আপনার কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বেতন বৃদ্ধি করা হয়

 আপনার দক্ষতা অনুযায়ি ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করা হয়। আর অন্য সকল কোম্পানিতে শুরুতে বেতন বাংলাদেশি টাকাতে ৩০ হাজার টাকা থেকে ধার্য করা হয়। তার পর ক্রমান্বয়ে বেতন বৃদ্ধি পেতে থাকে।

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এটি জানলে অবশ্যই আপনি জানতে পারবেন সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি। সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরণের কাজের বেতন বিভিন্ন ধরণের। যেমন কোম্পানির বেতন এক ধরণের।

আবার ড্রাভিং এর কাজের বেতন এক ধরণের। এই রকম আরো অনেক কাজ রয়েছে। তবে কিছু কাজ রয়েছে যেই কাজের বেতন অন্য সকল কাজের থেকে বেতন বেশি হয়ে থাকে। সেগুলো হলোঃ
  • কনস্ট্রাকশন কাজ
  • ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ
  • ড্রাইভিং
  • রেস্টূরেন্টের কাজ
এই সকল কাজের চাহিদা একটু বেশি হওয়াতে এই সকল কাজের বেতন ও অনেকটাই বেশি। তাই আপনারা যারা সৌদি আরবে কাজের জন্য যেতে চাইছেন তারা অবশ্যই এই সকল কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করে তারপরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করছি সম্পূর্ণ বিষয় টি বুঝতে পেরেছেন।

আমেল আইডি ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ সৌদি আরবে সর্ব নিম্ন বেতন কত?
উত্তরঃ সৌদি আরবে সর্ব নিম্ন বেতন ৪০০০ রিয়াল।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবে কোন ভিসায় গেলে ভালো হবে?
উত্তরঃ সৌদি আরবে আমেল আইদি বা ফ্রি ভিসাতে গেলে ভালো হবে।

প্রশ্নঃ কত বছর বয়স হলে সৌদি আরব যাওয়া যায়?
উত্তরঃ সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স হলে সৌদি আরব যাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানির নাম কি?
উত্তরঃ সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানির নাম হলো আরামকো।

প্রশ্নঃ সৌদি আরব যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
উত্তরঃ সৌদি আরব যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটি বৈধ পাসপোর্ট ও একটি বৈধ ভিসা হলেই যাওয়া যায়।

লেখকের মন্তব্য। আমেল আইডি ভিসা কাজ কি - সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

আমেল আইডি ভিসা কাজ কি - সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো? এই সম্পর্কে আজকে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিলো। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রিতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post