জীবন বীমা কর্পোরেশন ডিপিএসব্যাংক হলো বর্তমান সময়ের অর্থ লেনদেন এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্যাংক মূলত জনগন এর নগদ অর্থ ও জানমাল এর নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। ব্যাংক এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সুবিশাল ও বিস্তৃতো । ব্যাংকের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সর্ম্পকে অনেকে অনেক ধারনা দিয়েছে । তবে ব্যাংক এর উতপত্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় নি। চলুন তাহলে এখন ব্যাংক এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
 

পেজ সূচিপত্রঃব্যাংক কি ব্যাংকের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ ও ব্যাংকের কার্যাবলি

ব্যাংক কি ?

ব্যাংক শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট সঠিক কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। ব্যাংক শব্দটির মূলত আভিধানিক অর্থ হলো বস্তুবিশেষের স্তুপ, কোষাগার, লম্বা টেবিল, জলাশয় ইত্যাদি। কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের মতে, Bank শব্দটি প্রাচীন ল্যাটিন শব্দ Banko, Banqu, Banques, ইত্যাদি শব্দ হতে উৎপত্তি হয়েছে।

মধ্যযুগীয় অর্থনীতির ইতিহাসে দেখা যায় ইতালির Lombardy Street- এ কিছুসংখ্যক লোক বেঞ্চ বা লম্বা টেবিল এর উপর অর্থ জমা রাখা এবং ঋণ দানের মাধ্যমে তাদের ব্যাবসা পরিচালোনা করছে। যা ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকায় একিভাবে পরিচালিতো হয়।

অতোএব আমরা বলতে পারি, ব্যাংক হল এমন একটি আর্থিক মধ্যস্থকারি ব্যাবসায় প্রথিষ্ঠান যা জনগণের কাছে থেকে সুদের বিনিময়ে অর্থ সংগ্রহ ঋণ প্রদান করে থাকে।

ব্যাংক ব্যবসার ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ

ব্যাংক ব্যবসায়ের ইতিহাস অতীত প্রাচীন ও সুবিস্তৃতো। স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের উৎপত্তির সাথে সাথে ১৯৭২ সালের ২৬ শে মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রপতির আদেশের প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ১৬ই ডিসেম্বর 1971 সাল হতে কার্যকর করা হয়। 

বাংলাদেশের প্রধান ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক। তেমনি ভারত অঞ্চলের প্রথম আধুনিক ব্যাংক হিসেবে THE HINDUSTHAN BANK প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭০০ সালে। পরে ১৯৩৫ ভারতের সকল ব্যাংকের প্রধান হিসেবে THE RISARVE BANK OF INDIA প্রতিষ্ঠিত হয়

ব্যাংকের কার্যাবলিঃ

ব্যাংক মূলত একটি আর্থিক মধ্যস্থকারি ব্যাবসায় প্রথিষ্ঠান। ব্যাংক মূলত যেসব কাজ করে থাকে সেইগুলোই ব্যাংকের কার্যাবলি হিসেবে বিবেচিতো। ব্যাংকের কার্যাবলিকেই ব্যাংকিং বলা হয়। ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলি বা ব্যাংকিং নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

জনগণের কাছে থেকে আমানত সংগ্রহঃ যাদের আয় বেশি কিন্তু ব্যয় কম, তারা তাদের উদবৃত অর্থ সঞ্চয় করে। আর ব্যাংক তাদের সেই আর্থ বিভিন্ন মেয়াদি আমানতি সংগ্রহ করে।

ঋণ দানঃ বিভিন্ন আর্থিক প্রথিষ্ঠান তাদের বিনিয়োগের সময় যখন অর্থ সংকটে পরে তখন তারা ব্যাংকের দারস্থ হয়, তখন ব্যাংক তাদের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণদানের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করে।

বাট্টাকরণ ও বিনিময় বিলের স্বীকৃতিঃ ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলি আরেকটি কাজ হলো প্রাপ্প্য বিল বাট্টাকরণ ও প্রদেয় বিলের স্বীকৃতি প্রদান।

বৈদেশিক বা বানিজ্য অর্থায়ন প্রত্যয়নঃ আমদানি রপ্তানি ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের আমদানি ও রপ্তানিকারকদের দেশী মুদ্রা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা এবং বৈদেশিক মুদ্রা থেকে দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করা প্রয়োজন হয় যা এই ব্যাংক LC(Letter of credit) এর মাধ্যমে করে থাকে। আমদানিকারকদের পক্ষে এ সমস্ত বিলের প্রত্যয়ন করা ব্যাংকের একটি অন্যতম কাজ।

অর্থ স্থানান্তরঃ দুটি ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রা ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান এর নিকত স্থানান্তর করা অনেক কঠিন , যা ব্যাংক খুব সহযেই করে থাকে।
মূল্যবান দলিল বা বস্তু নিরাপত্তা সাথে সংরক্ষণ করাঃ মূল্যবান দলিল বা গহনা নিজের কাছে সংরক্ষণ করা অনেক ঝুঁকির কাজ, কারণ সেগুলো চুরি বা ডাকাতি হয়ে যেতে পারে। এসব মূল্যবান দলিল জুয়েলারি সামগ্রি ব্যাংক তাদের নিজস্ব ভল্টে সংরক্ষণ করে রাখে।

Post a Comment

Previous Post Next Post